![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্ত সকল চিন্তা করি, নিজের সাথে নিজেই লড়ি।
সিনেমার ব্যাপকতা গল্পকে ছাড়ায় যেতে পারে। এরকম একটা ইঙ্গিত ঢাকা অ্যাটাক আগেই দিয়েছিল। কিন্তু সেটি ঠিক কিভাবে কি হবে সে বোধটি ছিলনা।
মধ্য আশ্বিনের তপ্ত গরমে মুক্তি পেলো ঢাকা অ্যাটাক। নামের মাঝে কেমন একটা বিদেশী মারপিট ভাব। তার সাথে ফিগারওয়ালা নায়ক আর ট্রেলারে দূর্বল ভিএফএক্স নিয়েও প্রবল উত্তেজনা দেখে ঘরে বসে থাকার জো আছে? যদিও ৫০ টাকা টিকিটের সিনেমা দেখতে যেয়ে প্রতিবার ৪৫০ টাকা খরচ হবার চেয়েও বড় ভয় থাকে নায়ক নায়িকাদের অভিনয়ের ভেতরে অভিনয় দেখার যাতনা আর অন্যের থেকে মেরে দেওয়া গল্প আবিষ্কারের বেদনা। তাও ঢাকা অ্যাটাকের একটা আলাদা আপিল তৈরি হয়েছে এর প্রচারনার জন্যে। দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে নাকি তারা বিশেষ ভাবে দেখিয়েছেন। ভাগ্যিস সাকিব খান একথা বলেন নি। তিনি বললে নির্ঘাত দেশ বলতে এবারও বি-দেশ বুঝাতেন।
যাই হোক গরমের কারণে সকাল সাড়ে এগারটায় প্রথম শো টা দেখার সিদ্ধান্ত নিলাম। সিনেমা শুরু হলো। শুরুতেই অজানা কারণে কারা যেন খুন হতে লাগলো। কেমিকেল ফেক্টোরিতে খুন, রাস্তার কিনারে খুন। খুন করে লাশের গায়ে কিসব অক্ষর আর স্মাইলি রেখে গেলো খুনিরা। বিসিএস চ্যাম্পিয়ন নায়ক অনেক বুদ্ধিমান হওয়ায় কারোর সহযোগিতা ছাড়াই নিজে নিজে সেই ক্লু ধরে ফেললেন। কিন্তু তিনি ধরে ফেলার আগেই একটা স্কুলের বাসে বোম ফুটে কয়েকটা বাচ্চা মারা গেল। নায়ক বুঝলেন এইখানে বোম মারার ক্লু ই ছিল এইসব। বিসিএস বাহিনীর তদন্ত শুরু হলো সেই সাথে গল্প হেব্বি জমে গেলো। এদিকে সাংবাদিক নায়িকা বিসিএস ছিলেন কিনা জানা হয় নাই কিন্তু তিনিও নিজে নিজে তদন্ত শুরু করে দিলেন। মেয়ে বলে কি তার সামর্থ্য নেই? তাছাড়া নায়ক আর নায়িকা বিশেষ সামর্থ্যবান সেটি আমরা সবাই জানি। তাইতো পুলিশের আগেই ছুটতে পারেন নায়িকা। কিভাবে ছুটতে পারেন সেটি কেউ দেখেনি কিন্তু তবুও পুলিশ আর সোয়াতের পূর্বে গহীন জঙ্গলে তিনি চলে যান। গুন্ডা বাহিনীর সাথে পুলিশের বিশাল বন্দুক যুদ্ধে কোন বুলেট প্রুফ জ্যাকেট না পরে উল্টো শার্টের বোতাম খুলে ক্যামেরা হাতে নিয়ে তিনি গুলাগুলি রেকর্ড করতে থাকেন। মেবি পরিচালক আগেই তাকে বলে দিয়েছিলেন যে নায়িকা কোটায় আপাতত আপনি গুলি খাচ্ছেন না। আপনি খাচ্ছেন না।
তদন্ত আগাতে থাকে। শহরে কারা যেন বোম রেখে চলে যায়। সারা শহরে আতংক কিন্তু গাড়ি কোথাও থেমে থাকেনা। সিনেমার গল্পের জন্যে জ্যাম তো আর থেমে থাকতে পারেনা, তাইনা? তাছাড়া বোম ডিস্পোজাল ইউনিটের প্রধান জনাব নায়ক একা হাতে তো সব সামলে নিচ্ছেন ই। এর মাঝে অপরিচিত কে যেন নায়িকাকে ফোন করে দেখা করতে বলে। যেহেতু এখানে একটা টুইস্টের ব্যাপার তাই দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর ভীষণ রিস্ক সমৃদ্ধ ঘটনার নিজে নিজে তদন্ত করতে থাকা নায়িকা সাতপাঁচ না ভেবেই অচেনা লোকের সাথে দেখা করতে রেস্টুরেন্টে চলে যায়। বিপদে পড়লে একেবারে ঠিক সময়ে নায়ক যে এসে নায়িকাকে বাঁচায় এটি এদেশের কোন সে নায়িকা না জানে। এমনকি আর মাত্র কয়েক মিনিট পরে বোম ফুটে হাসপাতাল পর্যন্ত উড়ে যেতে পারে এমন সময়েও নায়িকা যে নায়কের কাছে বারেবারে ছুটে যেতে পারে সেটিও নায়িকার জানা রয়েছে। তাইতো ভীষণ এই রিস্কি মোমেন্টেও বাকী পুলিশেরা নায়িকাকে আটকায় না। যেন এর ফাঁকে একটা স্যাড সং বাজতে পারে। ভীষণ উত্তেজনার কালে এমন সেড সং দর্শকদের আরো উত্তেজিত করে তোলে। এখানেই চিরায়ত বাংলার প্রেম ফুটে উঠে। এখানেই সিনেমাটি দর্শকের হৃদয়ের চিরস্থায়ী আসন ছেড়ে চিরাচরিত সিনেমায় পর্যবসিত হয়।
উপরের সবকিছু মজা করে বলা। মশলা সিনেমায় মশলা থাকবেনা তো কি নুন থাকবে? কিন্তু এসব ছাড়াও ঢাকা অ্যাটাকের কিছু ভাল দিক আছে। আর তা হলো ঢাকা অ্যাটাক তার গল্পের চেয়েও প্রসারিত। গল্পের জন্য যেমন লোকেশন প্রয়োজন ছিল ঠিক সেরকম লোকেশনে গল্পটিকে নিয়ে গিয়েছেন পরিচালক দীপঙ্কর সেন গুপ্ত। দক্ষ ক্যামেরার শুট দেখেছি আমরা। আর দেখেছি মোহাম্মদ কালামের চমৎকার এডিটিং। মূলত তারাই সিনেমাটিকে সুন্দর করে তুলেছেন। আর এইযে অভিনয়ে যতটুকো এক্সপ্রেশন দেবার দরকার ঠিক ততটুকো এক্সপ্রেশন দিয়ে সোয়াত অফিসার এবিএম সুমন আর ভিলেন তাসকিন রহমান সব দর্শকের মন কেড়েছেন এটিই প্রমাণ করে যে দর্শক আসলে এতটুকোই চায়। মূল চরিত্রে শুভর অভিনয়ও আগের চেয়ে ভাল হয়েছে কিন্তু শতাব্দি, নওশাবা, সুমন, তাসকিনদের মত সেরাটা হয়ত তিনি দিতে পারেন নি। আর মাহির অভিনয় তার মতই হলেও তার চরিত্রটি ভীষণ দূর্বল লেগেছে। এমনকি কয়েকটি দৃশ্যে দর্শক রীতিমত বিরক্তও হতে পারে।
সবকিছু মিলিয়ে ঢাকা অ্যাটাক মোটামুটি সুন্দর সিনেমা। প্রথম থেকেই এঞ্জয় করেছি।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:০৩
ফায়েজুর রহমান সৈকত বলেছেন: ভাল খারাপ দুই মিলিয়েই যেহেতু সবকিছু তাই সমালোচনাটাও এসে পড়লো।
২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৯
ময়না বঙ্গাল বলেছেন: আপনার সমালোচনা সো স্টাইলিশ
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:০৪
ফায়েজুর রহমান সৈকত বলেছেন: হাহাহা। মজা কইরা কইয়া দিলাম আরকি।
৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬
অনিক_আহমেদ বলেছেন: আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে ছবিটা দেখতে হবে। সারা জীবন তো শুধু হলিউড দেখে আসলাম এবার একটু বাঙালী হওয়া যাবে মনে হয়।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:০৬
ফায়েজুর রহমান সৈকত বলেছেন: কষ্ট করে একটু বাঙ্গালি হইয়া যান । হাহাহা।
৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭
মঈনুদ্দিন অারিফ মিরসরায়ী বলেছেন: ভালো মুভি রিবিউ +
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:০৬
ফায়েজুর রহমান সৈকত বলেছেন: সিনেমাটা দেখেছেন?
৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মুভি রিভিউ ভাল হয়েছে।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:০৬
ফায়েজুর রহমান সৈকত বলেছেন: সিনেমাটা দেখেছেন?
৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪৬
জাহিদ হাসান বলেছেন: এই সিনেমার শেষে পুলিশ এসে - আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না
না বলে শুরু থেকেই পুলিশ আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে, এর চাইতে ভাল আর কি আশা করেন?
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:০৭
ফায়েজুর রহমান সৈকত বলেছেন: পুলিশ কোথায় কোথায় আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে সেটিও বলে দিন।
৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২২
ঘুমন্ত আমি বলেছেন: ভালো রিভিও অভিনেতাদের অভিনয় এবং মুভির কাহিনী নিয়ে। মুভিটি দেখা হয়নি এখনো। দেখার ইচ্ছা জাগলো।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:০৮
ফায়েজুর রহমান সৈকত বলেছেন: দেখেছিলেন শেষ পর্যন্ত?
৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪০
আবু তালেব শেখ বলেছেন: অসাধারন রিভিউ। সমালোচনা আর প্রশংসায় ভরপুর
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:০৮
ফায়েজুর রহমান সৈকত বলেছেন: যার যেটি প্রাপ্য তাকে সেটি দিয়ে দিলাম।
৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৩৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ঢাকা এটাক সিনেমার নেগেটিভ বলতে মাহির অভিনয়ের ন্যাকামির কথাই শুনেছিলাম। আইটেম সং আর তাসকিন, শতাব্দী ওয়াদুদের প্রশংসা শুনেছি, আরো শুনেছি আরেফিন শুভর আগের চেয়ে ম্যাচিউরড হবার কথা। এখনো দেখতে পারি নাই সিনেমাটা
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:০৯
ফায়েজুর রহমান সৈকত বলেছেন: দেখে ফেলুন। ভাল লাগবে ।
১০| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫
আখেনাটেন বলেছেন: বাংলা সিনেমার সুদিন ফিরাতে হলে এই রকম কিছু সিনেমার নির্মাণ জরূরী। যদিও ছবিতে শতভাগ পেশাদারিত্বের ছাপ নেই তারপরও বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটা বেস্ট।
অবশ্যই সিনেমাপ্রেমীদের হলে গিয়ে উপভোগ করা উচিত।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:১০
ফায়েজুর রহমান সৈকত বলেছেন: সিনেমা শিল্প বাঁচাতে হলে সবাইকে আগে হলমুখী হতে হবে।
১১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২৫
সুমন কর বলেছেন: মজা করে লেখা, আপনার রিভিউ ভালো লাগল। +।
১০নং মন্তব্যই যা বলার বলে দিয়েছে। যদিও মুভিটি দেখব না।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:১২
ফায়েজুর রহমান সৈকত বলেছেন: দেখবেন না কেন?
১২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৮
ডাকনাম ইমু ইমরান বলেছেন: ভাল লাগলো
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:১১
ফায়েজুর রহমান সৈকত বলেছেন: সিনেমা নাকি রিভ্যু? হাহাহা।
১৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চমৎকার রিভিউ!!
ভালো লাগলো,
তাই ছবিটি দেখার
ইচ্ছা পরিত্যাগ করলাম।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:১১
ফায়েজুর রহমান সৈকত বলেছেন: দেখার ইচ্ছা বাদ দিলেন কেন?
১৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪
আল আমিন হিমু (হিমালয়) বলেছেন: বাংলা সিনেমায় এর চেয়ে আর বেশি কি চান??
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:১০
ফায়েজুর রহমান সৈকত বলেছেন: এর চেয়ে বেশি না চাইলে সিনেমা শিল্প আগাবে না।
১৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০০
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ভাই, পরিচালকের নাম দীপঙ্কর দিপন হবে, দীপঙ্কর সেন গুপ্ত নয়। ঠিক করেন।
১৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১
নন্দী মিঠুন বলেছেন: হলে গিয়ে ছিনেমা দেখাতো ভুলেই গেছি............
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:০২
ফায়েজুর রহমান সৈকত বলেছেন: সামনে ডুব আসতেছে। দেখে আসুন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সবাই শুধু আলোচনা করেছে আলোচিত সিনেমাটি নিয়ে আপনার সমালোচনা ভাল লাগলো।