নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্ত সকল চিন্তা করি, নিজের সাথে নিজেই লড়ি।
১) আমাদের বুড়োরা বুড়ো হইবার সাথে সাথে আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে পড়ে। এই ক্রাইসিসকে মোকাবেলা করার জন্য কিছুকাল তারা খিটখিটে আর রগচটা মেজাজ দেখাইলেও একটা সময় বুঝতে পারে যে বুড়ো হইবার পর থেকে সমাজে তাদের আর কোন পাত্তা নেই, এমনকি তাদের নিজেদের পরিবারেও নেই। এইটা বুঝতে পেরে তারা জীবন্মৃত বোঝা হইয়া বাকি জীবন যাপন করে। একটা দীর্ঘশ্বাসের মতন সারাক্ষণ তারা দুঃখী হইয়া থাকে।
এই বোঝা হইয়া থাকা থেকে মুক্তি দিতে পারে বৃদ্ধাশ্রম। সেইখানে তারা আলাপ করার মতন সমবয়েসী বুড়ো বুড়ি পাইবে। নিয়ম করে তিনবেলা খাবার পাইবে, বিনোদনের লাইগা টিভি, সিনেমা, খেলার মাঠ পাইবে। অসুখ হইলে সেবা পাইবে। প্রার্থনা করার লাইগা উপযুক্ত জায়গাও পাইবে। বুড়োদের জন্য স্বস্তির ব্যাপার হইব, সঙ্গীহীন একাকী থেকে জোর করে ধর্মচর্চা করার লোক দেখানো এক্টিং করতে হবেনা সেখানে। মিডলক্লাসে ওল্ডহোম যত পপুলার হইব বুড়োরা তত আইডেন্টিটি পাইবো।
২) আমার এক আত্মীয় ছিলেন যার সন্তানরা তাদের স্ত্রী-সন্তান সহ জীবিত থাকতেও তিনি ভীষণ একা ছিলেন। এমনকি তারা প্রত্যেকে সাবলম্বী হইবার পরেও ওই আত্মীয়কে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত অনেকটা একাই থাকতে হইতো। এর চেয়ে বৃদ্ধাশ্রমে বোধহয় তিনি ভাল থাকতেন। তাই বৃদ্ধাশ্রম থাকুক। যাদের সন্তানরা থাকতেও নেই অথবা যাদের সত্যিই কোন আত্মীয় নেই বৃদ্ধাশ্রমে তারা কিছু বন্ধু পাবেন। শেষ বয়েসে কথা বলার কিছু লোক পাবেন। পরিবারের মত সামান্য শৃঙ্খলাও পাবেন।
১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:২৪
ফায়েজুর রহমান সৈকত বলেছেন: তাহইলে আবার পড়ে বুঝে ফেলুন।
২| ১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:২৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বৃদ্ধাশ্রমের প্রয়োজন আছে আজকের সমাজে।
৩| ১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৪
অর্ক বলেছেন: আসুন বৃদ্ধা শ্রম না বলে প্রবীন নিবাস, প্রবীন আবাস ইত্যাদি অন্য যে কোনও শব্দ ব্যবহার করি আমরা। এই শব্দটা খুবই বাজে লাগে আমার কাছে। মনে হয়, শ্রম দিয়ে বৃদ্ধরা থাকে এখানে! যদিও বৃদ্ধদের আশ্রম বলা হয়েছে, তারপরও মোটেও ভালো লাগে না শব্দটা।
যাই হোক এতে দ্বিমতের সুযোগ নেই আজকের দিনে প্রবীণ নিবাস প্রবীণদের জন্যেই দরকার। আপনি একটু কঠোরভাবে বলেছেন হয়তো! তবে অনেকাংশেই সহমত।
ধন্যবাদ।
১৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:১৭
ফায়েজুর রহমান সৈকত বলেছেন: নামে অত আহত হইয়েন না যদি না কটাক্ষ করা হয়। তারপরেও আপনি যেভাবে বলে আরাম পান সেভাবেই বলবেন।
৪| ১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৫৫
যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: সহমত হইলাম
৫| ১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: না-বোধক চিন্তার মানুষ তাদের চিন্তা দিয়া আশেপাশের মানুষের চিন্তারে না-বোধক করে দেয়। আর না-বোধক চিন্তার মানুষ হলো হতাশাগ্রস্ত আর বোরিংমানুষ।
অথচ সহজ সূত্র হলো-'নেগেটিভ চিন্তার চাইতে পজেটিভ চিন্তা অনেক বেশি শক্তিশালী'।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:২৩
রসায়ন বলেছেন: কি বলতে চাইলেন বুঝলাম না