নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কোন এক সময় লেখালেখি শুরু করবো। এখন যা লিখছি তা সেই সময়ের জন্যে প্রস্তুতি আসলে। আর লেখার জন্যে নতুন নতুন তথ্য যোগাড় করছি আপাতত।

ফায়েজুর রহমান সৈকত

মুক্ত সকল চিন্তা করি, নিজের সাথে নিজেই লড়ি।

ফায়েজুর রহমান সৈকত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদায় টিলাগড় ইকোপার্ক

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৯

গত ছয় বছর ধরে ইকোপার্ককে ঘিরে তিলে তিলে আমার যে একটা প্রচণ্ড আবেগ গড়ে উঠেছিল সেটি না বলে না কয়ে হঠাৎ করে অতীতের মাঝে মিলিয়ে গেছে। এখন থেকে সেখানে পাখির ডাক শোনার জন্যে আর যাবো না। যখন তখন গিয়ে আর নির্জনতার ছবি তুলবো না। রাহিম এলে দুই ভাইয়ে মিলে গল্প করতে করতে আর ভেতরে গিয়ে বসবো না। ইকোপার্কের ভিতরে একটা শর্ট ফিল্মের শুটিং যে শুরু করেছিলাম সেটি আর শেষ করবো না। আর কাউকে সিলেটের ইকোপার্কে এসে বেড়িয়ে যাবার জন্যে নিমন্ত্রণও জানাবো না।

কিছুদিন আগে মায়ার ইকোপার্কটিকে মানুষেরা দখল করে বিনোদন কেন্দ্র বানিয়েছে। তার উপকরণ হিসেবে খাঁচায় বন্দী করে কিছু বুনো প্রাণী এনেও ছেড়েছে তারা। ইকোপার্কের সামনে আর পেছনের গেইটে গার্ড বসিয়েছে। টিকিট কেটে নাকি পার্কে ঢুকতে হবে। এই খবর টিভি আর পত্রিকায় ছড়িয়েও দেওয়া হয়েছে। খাঁচায় বন্দী পশু দেখার জন্যে হাজার হাজার মানুষ ইকোপার্কে আসতেছে। গত ছয় বছর ধরে আমার একাকীত্বরে সঙ্গ দিয়ে আসা চিরপরিচিত নির্জন যৌবনা ইকোপার্কটি হঠাৎ করে অচেনা বুড়ো হয়ে গিয়েছে। আমাদের হয়ত সেভাবে আর নির্জনে আলাপ হবে না কোনদিন। অচেনা ইকোপার্কে যেতে ইচ্ছে করছে না আর। প্রিয় কোন কিছু হঠাৎ অচেনা আচরণ করলে তার সাথে বিচ্ছেদ করাই উচিত হয়ত। এই পার্ককে ঘিরে আমার যে ভাল লাগা গুলো ছিল তা সুখস্মৃতি হিসেবে বুক পকেটে যত্ন করে রেখে দিলাম।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪৬

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: মনটা খারাপ হয়ে গেল।

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: সৃতি নিয়েই তো মানুষ বেঁচে থাকে।

৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৯

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ইকো পার্ক নিয়ে এখন জাতীয় ব্যবসা শুরু হয়েছে যা পার্কের মূল থিমটাকে হারাবে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.