নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কোন এক সময় লেখালেখি শুরু করবো। এখন যা লিখছি তা সেই সময়ের জন্যে প্রস্তুতি আসলে। আর লেখার জন্যে নতুন নতুন তথ্য যোগাড় করছি আপাতত।

ফায়েজুর রহমান সৈকত

মুক্ত সকল চিন্তা করি, নিজের সাথে নিজেই লড়ি।

ফায়েজুর রহমান সৈকত › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিরো আলম এবং নির্বাচন

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২০

হিরো আলমের নির্বাচনে দাঁড়ানোর খবর রাজনীতির এই সময়ে আপাতত ইম্পোর্টেন্ট কিছু না। সংবিধান অনুসারে যে কোন নাগরিক নির্বাচনে দাঁড়াতে পারে। তবে তারে নিয়ে উত্থিত বিভিন্ন আলাপ আলোচনা অবশ্যই ইম্পোর্টেন্ট। মিডিয়াতে তার প্রবেশ এবং অবস্থান সব সময় ভাঁড় হিসেবে হলেও পাতলা দেহের লিকলিকে, কালো, নিজের মাতৃভূমি বগুড়ার আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলা আলম একটা পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। আলমের ভিডিওতে দেখবেন সে নিজেকে কখনো দূর্বল ভাবছে না। উল্টো কমার্শিয়াল সিনেমার নায়ক শাকিব, বাপ্পি, সাইমন, জায়েদদের মতই এটিচুড তার। তার পাঁচশ খানেক মিউজিক ভিডিও অথবা শ'খানেক সিনেমাতে কোন রেসিজম নাই, কোন ঘৃণা নাই। নিজেকে সুপার হিরো হিসেবে দেখানোর প্রয়াস আছে, হয়ত ভায়োলেন্স আছে তবে সেটি ফান মেটেরিয়াল। তার বক্তব্যে দেখলাম সরলতা আর স্পষ্টতাও আছে। নিজের অতীত সম্পর্কে তার কোন লুকোছাপ নাই। বরং নিজের ভিওয়ার্সদের ব্যাপারে তার ভরসা আছে। তার ধারণা ধীরে ধীরে তার ভিওয়ার্সরা তাকে ভালবেসে ফেলছে।

কেউ ফান পছন্দ করেন, কেউ করেন না। তবে কাউকে তাচ্ছিল্য আর ঘৃণা করার কোন সুযোগ নেই। হিরো যদি মনে করেন নির্বাচনে দাঁড়ালে তিনি জয়ী হবেন অথবা তিনি জয়ী হয়েও যান সেটি তার এলাকার ভোটারদের ব্যাপার। এতে হতাশ কিংবা বিরক্ত হবারও কিছু নেই। যে কেউ জনপ্রতিনিধি হইতে পারেন। সম্ভাবনার ব্যাপার হচ্ছে আপনি যদি হিরো আলমের কন্টেন্টকে হাস্যকর, সস্তা বিনোদন মনে করেন তবে সেই সস্তা বিনোদনও এই যে মিডিয়াতে আছে এইটা ভাল। মিডিয়া থাকবে টোটাল লিবারেল। এইখানে রবীঠাকুরের কালচার, হুমায়ূনীয় কালচার, ফারুকি ভাই বেরাদার কালচার, হিন্দী কালচার, ইংরাজি কালচার, হিরো আলমের কালচার সহ আরো আরো শত শত কালচার থাকুক। যারা কেবল নিজের পছন্দ মত গুটি কয়েক কালচার নিয়ে মিডিয়া সাজাইতে চায় তারা বাজে কট্টর লোক । তাদের মত নিজেও ঘৃণাজীবী কট্টর না হইলেন।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫

অলিউর রহমান খান বলেছেন: আমাদের সমাজে শিক্ষিত, সুদর্শন ও যোগ্য লোকেরা কোটি কোটি টাকা চুরি, ডাকাতি করে সেই দিক থেকে আমি নিশ্চয়তা দিতে পারি হিরো আলম তাদের মতো অন্তত চোর কিম্বা ডাকাত হবে না। তার পরও যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই কিন্তু যোগ্য ব্যক্তির কে কি করেছেন দেশ, দশ ও সমাজের জন্য আমরা সবাই ভালই জানি।
আপনার সাথে আমি একমত।

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: হিরো আলম লোক ভালো............. মারবে নিচতলায় আর ব্যাথা পাবে উপর তলায়

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯

সনজিত বলেছেন: সহমত

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আমরা যোগ্যতাকে মূল্যায়ন করি না। করলে দেশের এই অবস্থা হইতো না।
যোগ্যতার মাপকাঠিতে স্রেফ পড়ালেখা, জামাকাপড়,অর্থবিত্ত আর গলাবাজি রাখি বলেই হিরো আলম, শামীম ওসমান, শাহাজান খানের মতো লোকদের ক্ষমতায় বসাইতে পারি।

৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮

৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: এই দেশে নির্বাচনে দাড়াবার প্রধান যোগ্যতা হচ্ছে দূর্নীতি, চুরি দারি করার মানসিকতা। মিডিয়া থেকে আগত স্বচ্ছ , শিক্ষিত এবং অসম্ভব জনপ্রিয় বাকের ভাই ( আসাদুজ্জামান নুর), তারানা হালিমেরা সাফল্যের সাথে সেই সব গুনাবলী দেখাতে সমর্থ হয়েছে। তো হিরু আলম কি দোষ করেছে?

রাজনীতির প্রতি মানুষের বিতৃষ্ণা এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে মানুষ এখন ভোটাধিকার ফেরত পেলে হিরো আলমকেই নির্বাচিত করবে।আর যাই হোক হিরো আলমরা সমাজের যে অংশকে প্রতিনিধিত্ব করে তারা ভদ্রতার মুখোশ এটে জাতির সাথে বেইমানি করে না।

৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: হিরো আলম রাজনীতি পারবে না।
সবাই সব কিছু পারে না।

৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: "হিরো আলম কনফিডেন্ট" এটা অবশ্যই একটি অসাধারণ গুন - বাঙালিদের সবারই এই গুণটির প্রয়োজন রয়েছে | হিরো আলম জিরো থেকে হিরো হতে পেরেছে, তাকে হিরো হওয়ার জন্য তদবির অথবা কোটার প্রয়োজন পড়ে নি, এটাও তার একটা বিশাল অর্জন বলা যেতে পারে | আমি জানি না সে অন্যান্য মিডিয়া ব্যক্তিত্ব-কাম-রাজনীতিবিদদের মতো ধূর্ত,ধুরন্ধর এবং আগ্রাসী কিনা | যদি তার সেই গুণাবলী না থাকে তবে আমি রাজীব নূরের সাথে সহমত "হিরো আলম রাজনীতি পারবে না"|

৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আমাদের এলাকায় একজন সংবাদপত্র হকার ছিল। সবাই তাহারে পাম-পট্টি মারিয়া মেম্বার ইলেকশনে দাড় করাইয়া দিলো ! আশ্চর্যের ব্যাপার হইলো, হকার বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হইলো ! এমনকি ভোটের হিসাবে সে প্যানেল মেয়রও হইলো। মাগার, কিছুই পরিবর্তন হইলো না। মিটিংয়ে চেয়ারম্যান, মেম্বাররা তাহারে দিয়া চা-সিঙ্গারা আনাইতো ! পরের বার লোকে তাহার নাম মুখেও আনে নাই !

হিরু আলম ঘুঘু দেখিয়াছে ফাঁদ দেখে নাই !! ফাঁন্দে পড়িলে বগার মতনই কান্দিতে হইবে !

তাহারপরও চাই সে নির্বাচন করুক ! সংসদের মতন বিনুদুন পার্কে দুই-একটা ভাঁড় না থাকিলে জমে না। এক মমতাজ ঠিক জমাইতে পারিতেছে না !

ছাঙবাদিকরা খবর না পাইয়া আর কি করিবে ! অপেক্ষা করেন , শীঘ্রই দেখিবেন কে কাহার ইয়ে ছিড়িয়া আটি বাঁধিতেছে তাহাও খবরে আসিবে !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.