নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কোন এক সময় লেখালেখি শুরু করবো। এখন যা লিখছি তা সেই সময়ের জন্যে প্রস্তুতি আসলে। আর লেখার জন্যে নতুন নতুন তথ্য যোগাড় করছি আপাতত।

ফায়েজুর রহমান সৈকত

মুক্ত সকল চিন্তা করি, নিজের সাথে নিজেই লড়ি।

ফায়েজুর রহমান সৈকত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্রিকেট প্রীতি

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃ অনুষদীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলতেছে। গতকাল একটা ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরেছি, আর আজকে ভীষণ উত্তেজনাকর ম্যাচে শেষ বলে এক উইকেটের জন্য হেরেছি। পর পর দুইটা ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে প্রথমেই বিদায় নিয়ে এখন হয়ত হতাশায় জর্জরিত হইবার কথা ছিল। কিন্তু আশ্চর্য এই কারণে অত খারাপ লাগছেনা। কিন্তু খারাপ লাগছে অন্য কারণে।

আজকে ক্যাম্পাস জীবনে শেষ বারের মতন খেলতে নেমেছিলাম। এত বয়েস হয়েছে, ভুড়িটাও তরতর করে বেড়ে গেছে, এইসব ভেবে খেলতে নামতে একটুখানি অস্বস্তি হচ্ছিল। কালো হইবার কারণে সস্তা টিজিং এর শিকার হইতে হয় এটি জেনেও নামব কিনা ভাবছিলাম। এইসব ভাবনা শেষ পর্যন্ত খেলতেই নামিয়ে দিল। আসলে ছোটবেলা থেকে খেলার প্রতি প্রচন্ডরকম আগ্রহ ছিল বলে না খেলে থাকতে পারিনি। এবং খেলোয়াড় হিসেবে এখনও সবাই সমীহ করছে এই অনুভূতি নিশ্চয়ই আপনি বারেবারে পেতে চাইবেন। এখানে এসে সেই অনুভূতি ২০১৩ সালে যখন সবচে জুনিয়র ছিলাম তখন পেয়েছিলাম। এখন ২০১৯ সালে সবচে সিনিয়র হয়ে আবার পেয়েছি।

এত বছর ধরে বিভিন্ন খেলা খেলে একটা ব্যাপার আমি দেখেছি, অনেকে খেলোয়াড়দের অপমান করে, কটাক্ষ করে, আক্রমণ করে কথা বলেন। অবশ্য আমার নিজেকেও এসব শুনতে হয়েছে এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের মত উদারচর্চার জায়গায় এসেও। প্রথম দিকে খেলতে নামতে এ নিয়ে অস্বস্তি লাগতো। দূর থেকে অনেকে মিলে নোংরা ঠাট্টা করছে এই ভাবনা সারাক্ষণ মাথায় ঘুরপাক খেতো। কিন্তু ধীরেধীরে তা মানিয়ে নিয়েছি। শুধুমাত্র নিজে সক্রিয় হয়ে খেলার জন্যেই কোন দেশ, কোন জাত আর কোন দৈহিক গড়নের কাউকে কখনো অপমান করতে শিখিনি। এটি নিজের আশেপাশের লোকদের বলেছি।

কিন্তু খেলার সবচে মজার ব্যাপারটা হলো তা পরষ্পরের সাথে সৌহার্দ্য বাড়ায়। এবারের কথাই বলি, এত সিনিয়র হয়েছি যে খেলতে নামার আগে বেশিরভাগকে চিনতাম না। অথচ খেলার মাঝে দারুণ ভাবে আমরা বন্ধু হয়ে গেছিলাম। নিজের দল, বিপক্ষ দল সবার সাথে হাসিঠাট্টা করে খেলেছি। এখন সবাই সবাইকে চিনি। পথে দেখা হলে কুশলাদি জিজ্ঞেস করি। আর আমি তো একটু ব্যাম ট্যাম করতে চেষ্টা করি, খেললে সেই কাজটা হয়ে যায়।

এখানে ছবিতে আমি, মিল্টন আর মিথুন ক্যাম্পাসে এসে প্রথম থেকে একসাথে খেলেছি। বাকিরা একে দুইয়ে মিলে আমাদের কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদ ক্রিকেট দল। এমনকি কিছুদিন আগে ভর্তি হয়েছে এমন খেলোয়াড়ও আছে আমাদের দলে। সবাইকে মনে পড়বে। ক্যাম্পাসের শেষ ম্যাচটি এমন উত্তেজনা নিয়ে খেলেছি যে নিজের অন্যতম প্রিয় ম্যাচ হিসেবে হয়ত সারাজীবন আজকের কথা মনে পড়বে

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: ক্রিকেট প্রীতি থাকা ভালো।
ইয়াবা প্রীতি থাকা ভালো না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.