![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের স্নাতক শ্রেনীর ছাত্র, পাশাপাশি টুকিটাকি লিখালিখি করে চলেছি।
উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশে সবসময় ই প্রশ্নবিদ্ধ সচেতন দেশগুলোর কাছে, এদেশের আয়ের সবচাইতে বড় উৎস রেমিটেন্স, বিদেশে গিয়ে শ্রমিকের কাজ করে উপার্জিত টাকাই আমার দেশ চলে। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর আজো আমাদের শ্রমিকের কাজ করে দেশ চালাতে হয় কি করেছি আমরা এই ৪৮টি বছর একটিবার মালয়েশিয়ার দিকে তাকান পরিস্কার বুঝতে পারবেন রাষ্ট্রনীতি কি, কিভাবে দেশকে উন্নতির চরম শিখরে পৌছে নিয়ে যেতে হয়, রাষ্ট্রনীতি কি! রাষ্ট্রনীতি হচ্ছে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলার সাথে সম্পর্ক বাচাতে দেশকে বিকিয়ে দেওয়া! বিদেশের মাটিতে সেকেন্ড হোম করা! আমলাতন্ত্র জটিলতার পিষ্ঠতলে উন্নয়নের ধারা দাবিয়ে দেওয়া! কোটা পদ্ধতির বৈষম্যে দেশের বেকার যুবকদের ভবিষ্যৎ গলা টিপে হত্যা করা!
বর্তমান সমায়ের সমালোচিত সরকারি চাকুরিতে ৫৬% কোটা যার মধ্যে অন্যতম মুক্তিযোদ্ধা কোটা ই ৩০%। মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে কয়েকটা কথা বলতে চাই। যেখানে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন করা হয়েছে তখন মুক্তিযোদ্ধা ছিলো গোটাকয়েক আমার কথা হচ্ছে তখন যারা বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছেন তাদের উত্তম পুনর্বাসন করা হতো কেননা এদেশের ৮৫% মানুষ ই প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে যুদ্ধ করেছেন তাই একজনকে বাদ দিয়ে অন্যজনকে পুরস্কৃত করা যায় না! আর করলেও তা কেন দীর্ঘমেয়াদী হবে আর তার প্রভাব পুরো জাতীর উপর পড়বে! যেখানে মুক্তিযোদ্ধারাই কিছু ভোগ করতে পারলো না সেখানে নাতী, নাতনী, পুতা, পুতিরা তার অদৃশ্য ফল ভোগ করছে আজব এক সিস্টেম আমাদের। ধরুন সক্রিয় যুদ্ধ করেছে ৫০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা আর কোটা ভোগ করছে এর ২০ গুন মানুষ আজব সব কারবার যেখানে সংখ্যা কমার কথা সেখানে চক্রাকারে বাড়ছেই বাড়ছেই নাতী, নাতনী পর্যন্ত। আর তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা ছাড়া কেউ মুক্তিযুদ্ধ করেনি?
©somewhere in net ltd.