![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের স্নাতক শ্রেনীর ছাত্র, পাশাপাশি টুকিটাকি লিখালিখি করে চলেছি।
হাফ ছেড়ে বাচতে নিজের আত্মার খোরাক দিতে মাঝে মাঝে অজানাতে ডুব দেওয়ার অভ্যাস অনেক আগে থেকেই পুষে আসছি। এইবার বলব ভ্রমন পিয়াসুদের কাছে অখ্যাত একটি নৈসর্গিক লীলাভূমির কথা যেখানে সাগরের ঢেউ আর সরল মানুষের নিরবতা একসাথে মিশে রয়েছে, সাগরের ঢেউ আছড়ে পড়ে যেখানে, যেখানে সাগরের সাথে টেক্কা দিয়ে জেগে রয়েছে চর কালী, চর পাতিলা, চর কাশেম, চর নারিকেলবাড়ি এইসব চরগুলোতে নিজের পদচিহ্ন আকতে রওনা করলাম ভোলার উদ্দেশ্যে, সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা সদরঘাট থেকে লঞ্চে উঠে পড়লাম তিন বন্ধু মিলে সাথে নিয়ে নিলাম তাবুসহ ক্যাম্প করার যাবতীয় মালামাল, লঞ্চে ইচ্ছে করেই কেবিন না নিয়ে ডেকে বিছানা পেতে দিলাম আজ সাধারণ মানুষের সাথে মিশে যাবো বলেই তাদের সুখ দুখ গুলোকেও অনুভব করার জন্যই এই ব্যবস্থা শুরু হলো আমাদের যাত্রা বুড়িগঙ্গার বুক চিরে এগিয়ে চলছিল লঞ্চ, রাত যত বাড়ছিলো ভালোলাগাও ততটাই বেড়ে চলেছিলো, লঞ্চ ভ্রমনের সুখ আমি মনে করি বাংলাদেশের আর অন্য কোনো ভ্রমনেই নেই, ভেবে দেখুন মাঝরাত আকাশের বুকে জেগে রয়েছে অগণিত তারা আপনি পদ্মার বুকে ঝরঝরে বাতাসে তারা দেখতে দেখতে ছুটে চলেছেন, আসলেই স্বর্গীয় সুখ, এই প্রশান্তিতেই কেটে গেলো রাত অবশ্য শেষ রাতে একটু ঘুমিয়ে নিলাম। সকাল ৭ টায় লঞ্চ ভিড়লো চরফ্যাশনের ঘাটে ঝরঝরে একটা সকাল খুশিমনে নাস্তা সেরে ইজিবাইকে চড়ে রওনা দিলাম চরকুকরি মুকরির দিকে ইজিবাইক যেখানে নানিয়ে দিলো আইচা বাজার থেকে যেতে হবে ট্রলার যোগে উঠে পড়লাম মালপত্তর নিয়ে, অবাক হয়ে গেলাম ট্রলার ১৫ মিনিট চলতেই ট্রলার ছুটে চলছিলো ম্যানগ্রোভের ছোট নদী দিয়ে, চারিপাশের সৌন্দর্য দেখে মনে হচ্ছিলো তৃপ্ত এ চোখ আমার সাড়ে তিনঘণ্টা ট্রলার চলার পরে আমরা গেলাম চর কুকরি মুকরি।
©somewhere in net ltd.