![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের স্নাতক শ্রেনীর ছাত্র, পাশাপাশি টুকিটাকি লিখালিখি করে চলেছি।
আমাদের প্রিয় ঢাকা শহর এ যেনো ময়লা আবর্জনায় নোংরা যানজটে বিষাক্ত এক নগরীর নাম, ঢাকাবাসী যে কাউকে যদি প্রশ্ন করা হয় বসবাসের জন্য ঢাকা কেনো বেছে নিলেন প্রায় সবারই একই উত্তর পেটের দায়ে।
এই সেই নগরী যেখানে প্রায় ১ কোটি ৯৬ লাখ মানুষের বসবাস যেখানে প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার টন বজ্র নিঃসরিত হয়। যেখানে প্রতিদিন প্রায় ৮০ লাখ পলিথিন ব্যবহার করা হয়। এই সেই শহর যেখানে প্রতি কিউবিক মিটারে সিসার পরিমান ৪৩৬ ন্যানোগ্রাম। অপরিকল্পিত নগরায়ণ, অধিক জনসসংখ্যা, কলকারখানার বজ্র,ট্যানারি শিল্প, যানবাহনের কালো ধোয়া, সিটি করপোরশোনের অপ্রতুলতাকেই বায়ু দূষনের জন্য দায়ী করেন বিশেষজ্ঞরা।
বায় দূষনের ফলে হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, হ্রদ্ররোগ, বিভিন্ন প্রকার অসুখ বিসুখ লেগেই থাকে।
ঢাকা শহরে প্রতি বছর বায়ু দূষনের ফলে ১৫ হাজার লোক মারা যায়। তাও বলি এই শহর আমার বেচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। আর এই বায়ু দূষনে ক্ষতিগ্রস্থ হয় শিশু, ছাত্রছাত্রী, এবং সব বয়সের মানুষ, তবে বেশী প্রভাব পড়ে সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষগুলির উপর, যারা বস্তিতে বসবাস করেন এবং খোলা জায়গায় কাজ করেন।
আমরা কখনই কি ভেবে দেখেছি এই নোংরা আবর্জনায় ভরা শহরের বেচে থাকার পেছনের গল্প কারা ঘষেমেজে টিকিয়ে রেখেছে শহরটাকে। হ্যা মেথর, পরিচ্ছন্ন কর্মীদের কথা বলছি যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা একটু নিশ্বাস টানতে পারছি।
ভেবে দেখেছেন এই টানা বৃষ্টিতে পলিথিনের নগরীতে কারা ড্রেন পরিস্কার করে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেয়। ঢাকা শহরে প্রায় ৫০ হাজার পরিচ্ছন্ন কর্মী, মেথর রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত পরিষ্কারের কাজে নিয়জিত আছে। কেমন আছে তারা? কিভাবে দিন কাটায় তারা?
হ্যা হয়ত কখনোই আমরা অইভাবে ভাবিনি মাঝে মাঝে ময়লার স্তুপের পাশ দিয়ে নাক চেপে হেটে চলি তখন দেখতে পাই পরিচ্ছন্ন কর্মীরা কিভাবে ময়লা সংগ্রহ করছে ভাবতে পারেন কেমন করে কাজ করে তারা মানুষ অভ্যাসের দাস তবে এরকম দূষিত এলাকায় প্রচন্ড দূরগন্ধ, গাড়ির কালো ধোয়া, ধুলোবালি তাদের ভিতর একধরনের মাদকতা তৈরী করে, একধরনের একঘুয়ে হয়ে যায় এবং কাজের সময় বিভিন্ন নেশাজাত দ্রব্য সেবন করে থাকে প্রচন্ড এই গন্ধযুক্ত স্থানে কাজ করার ফলে প্রায় সারাবছর বিভিন্ন রোগে ভুগে থাকে এই কর্মীরা।
বায়ু দূষনের সবচাইতে বড় ভিক্টিম হচ্ছে পরিচ্ছন্ন কর্মী। নির্দিষ্ট বয়স ৪০-৪৫ বছরের মধ্যেই এইসব মানুষ বিভিন্ন রোগে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং ৩৫% জীবন হারায়। হাপানী, শাসকষ্ট, ফুসফুসের ক্যান্সার বেশি দেখা
কারি প্রতিষ্ঠান ব্রাকের পরিসংখ্যানে জানা যায় ঢাকায় প্রায় ৩০ হাজার পরিচ্ছন্ন কর্মী কাজ করে তার প্রায় ৬০ শতাংশ বিভিন্ন কঠিন রোগে ভুগছে এবং প্রতিবছর ৯% মারা যায়। মৃত্যুর সবচাইতে বড় কারন হিসেবে দেখানো হয় বায়ু দূষন।
বিভিন্ন রোগে পায়ননা ভালো চিকিৎসা, পুষ্টিকর খাবার, ফলে ৪০-৪৫ বছরে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি ই বেছে নেয় এইসব মানুষগুলি।
রাজধানির মোহাম্মদপুর মেথর পট্টিতে বসবাসকারী জহির মিয়া জানান, যখন প্রথম ঢাকায় এই কাজ শুরু করেন প্রথম প্রথম দুর্গন্ধে বমি হয়ে যেতো হাঁপানি শ্বাশকষ্ট হতো আস্তে আস্তে সব সয়ে গেছে তবে প্রায় উনি অসুস্থ থাকেন রোগশোকে পরিত্রান নাই তার।
বায়ু দূষনের কারণ এবং এর প্রতিকার নিয়ে ব্যাপক জনসচেতন্তা গড়ে তুলতে হবে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের স্বাস্থ্যকর বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে তাদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে সচেতন করতে হবে এবং আধুনিকভাবে পয়নিস্কাশনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
©somewhere in net ltd.