নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৈয়দ সু ফেই-এড়ঃ চীনে মুসলিম জাতির জনক

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:৩৬

বর্তমান চীন হয়তো প্রিন্স সু ফেই-এড়কে ভুলে গিয়েছে। এটাও হয়তো একুশ শতকের চীনবাসীদের মনে নেই যে, মুসলমানরা যদি যাযাবরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে চীনের পক্ষ না নিতো, তাহলে হয়তো বর্তমান চীনের ইতিহাস অন্য ভাবে লিখতে হতো।



১০৭০ সাল। চীন তখন যাযাবর জাতি খিতানদের আক্রমনে বিপর্যস্ত। খিতান রাজবংশ লিয়াও চীনের উত্তরাংশ দখল করে অনেক দিন ধরেই নিজের করতলগত করে রেখেছে। এই খিতানদের অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে তৎকালীন কোরিয়ান সম্রাট গোরিও ১০৩৩-১০৩৪ সালে একটি বড় সীমানা প্রাচীর তৈরী করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এ থেকে বুঝা যায়, লিয়াও-রা কতটা ভয়ংকর ছিলো।

সেই সময়ে, অর্থাৎ ১০৭০ সালের দিকে, বুখারা'র আমির ছিলেন সু ফেই-এড়। এই চৈনিক নামেই আজ ইতিহাস চিনে তাঁকে। তাঁর আসল নাম সুফেয়ার বলে অনেকেই মত প্রকাশ করে থাকেন। যাহোক, চীনের সং রাজবংশের সম্রাট শেনজং সাহায্যের আবেদন জানিয়ে বিশেষ দূতের মাধ্যমে তাঁকে আমন্ত্রন জানালেন চীনে।

সৈয়দ সু ফেই-এড় সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে চীনের হয়ে যুদ্ধ করতে ৫,৩০০ মুসলমান সৈন্যকে সেই দেশে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে, এই সেনারা স্থায়ী ভাবে চীনে থেকে যান। মুসলমানদের এই সাহায্যে চীনের তৎকালীন সম্রাট শেনজং যাযাবর জাতি লিয়াওদের সাথে যুদ্ধ করে বাধ্য করেন একটি শান্তি চুক্তি করতে।

পরবর্তীতে, বুখারা থেকে আরো ১০,০০০ মানুষকে চীনের ঐ অঞ্চলে থাকার আমন্ত্রন জানান সম্রাট শেনজং। সেই সাথে, সৈয়দ সু ফেই-এড়কে চীনের একজন 'রাজপুত্র' ঘোষণা করে চীনের মাটিতে এসে থাকার বিশেষ আমন্ত্রন জানান। সেই আমন্ত্রন গ্রহণ করেন সৈয়দ সু ফেই-এড়। থেকে যান চীনের মাটিতে।

সৈয়দ আজ্জল শামস-আল দীন ওমর ছিলেন তাঁরই স্বনামধন্য বংশধর।


সূত্রঃ
Raphael Israeli (2002) - Islam in China: Religion, Ethnicity, Culture, and Politics, Lexington Books. p. 284. ISBN 0-7391-0375-X

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধুলোয় আড়াল ইতিহাসের কত সত্য যে এমন আড়ালেই রয়ে গেছে- ক'জনা খবর রাখে!

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: সত্যিই তাই, ভাইয়া! ধুলোগুলো ঝেড়ে ইতিহাসটি বের করার একটা ক্ষীণ চেষ্টা শুরু করেছি।

মন্তব্য ও প্লাসে অশেষ কৃতজ্ঞতা।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪

অন্তরা রহমান বলেছেন: আপনার লেখা শেষমেশ আমার আগ্রহ জন্মাইতে পেরেছে। হাতের সায়েন্স ফিকশন বইগুলো পড়া শেষে এই নিয়ে পড়বো।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: শুনে সত্যি খুব খুশি হলুম। ইতিহাস আমার খুব প্রিয় বিষয়, সায়েন্স ফিকশনও।

শুভেচ্ছা থাকলো।

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৫১

নীল আকাশ বলেছেন: দারুন একটা ঘটনা পড়লাম। আগে এটা জানতাম না।
ধন্যবাদ।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:২৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ইতিহাসে অনেক ঘটনাই আছে যা আমরা এখনো জানি না। সেগুলো জানানোর চেষ্টা করছি। ধন্যবাদ।

৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:০৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: একেবারেই নতুন আমার কাছে।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:২৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: পড়ার জন্যে ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।

৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: অজানা ইতিহাস জানলাম।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:৩০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: অজানা ইতিহাস জানাতে পেরে ভালো লাগছে। শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: জানলাম। সময় পেলে এমাজন থেকে বইটা সংগ্রহ করবো :)

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: এমাজনের উচিৎ আমাকে একটা কমিশন দেওয়া। :)

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আরও একটু হলে ভালো হতো। তারপরেও ইতিহাসের এক অজানা অধ্যায় তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: জী, আরো কয়েক প্যারা লিখলে ভালো হতো। ইচ্ছে আছে, প্রাইমারী ডাটা নিয়ে আরো বড় করে লেখার। সেজন্যে, প্রয়োজন চীন ভ্রমণ। শীঘ্রই তা প্ল্যানে আছে।

আমার পোস্টে আসার জন্যে অনেক ধন্যবাদ, হেনা ভাই।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.