নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যবসায়িক আইডিয়া-২ঃ আনারসের সরস ব্যবসা আপনাকে নিয়ে যেতে পারে অন্য এক উচ্চতায়

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩০



আনারস চাষ করে অনেকেই মুনাফার মুখ দেখেছেন। কিন্তু, তাঁরা আপনাকে এটা জানান না যে, এই ফলটি চাষ করেও লক্ষাধিক টাকার মুখ দেখা যায়। এ নিয়ে আজ একটু আলোচনা করবো। তবে, ধাপে ধাপে।

১ম ধাপঃ

আনারস চাষ সম্পর্কে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে একটি ট্রেইনিং নিয়ে নিন। এটা আপনাকে একজন কৃষি ব্যবসায়ী হবার জন্যে সাহস যোগাবে। তারপর, আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিষয়ে একটি ছোটখাটো কোর্স করে ফেলুন- অন লাইনে অথবা আই,বি,এ থেকে।

২য় ধাপঃ

আনারস চাষ করা যায় এমন ১ বিঘা জমি খুঁজতে থাকুন। এছাড়া, আনারসের চারা কোথায় পাওয়া যায়, কত দাম, লাগাতে কত খরচ, দক্ষ শ্রমিক কোথায় আছেন, তাঁদের বেতন কত, কোথায় আনারস বিক্রি হয়- এসব সম্পর্কে খোঁজ করতে থাকুন। মনে রাখবেন, এই তথ্যগুলো ডাইরীতে টুকে রাখার সাথে সাথে গুগল ড্রাইভ বা ড্রপবক্সে সেইভ করে রাখতে ভুলবেন না।

৩য় ধাপঃ

একটি কোম্পানী গঠন করুন। পার্টনারদের মাঝে দায়িত্ব বন্টন করে দিন।

৪র্থ ধাপঃ

কোম্পানীর নামে জমি লিজ নিন। এক্ষেত্রে অবশ্যই একজন ভূমি লিজ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল উকিলে সাহায্য নিতে হবে।

৫ম ধাপঃ

জমিকে আনারস চাষের জন্যে প্রস্তুত করুন। এখানে মনে রাখতে হবে যে, জমিটির মাটি ঝড়ঝড়ে ও সমতল হতে হবে। এমন ভাবে জমি তৈরী করতে হবে যাতে বৃষ্টির পানি না জমতে পারে। আনারসের চারা লাগানোর জন্যে জমি তৈরী করার সময় বেড সিস্টেমে করতে হবে, অর্থাৎ, একটু উঁচু রাখতে হবে। এই বেড ১৫ সে,মি, উঁচু এবং ১ মিটার প্রসস্থ করে তৈরী করতে হবে। এক বেড থেকে আরেক বেডের দূরত্ব হতে হবে ৫০-১০০ সে,মি। জমি প্রস্তুত করার সময় গোবর, ইউরিয়া, জিপসাম, টিএসপি, এমপি জাতীয় সার ব্যবহার করা হয় আমাদের দেশে। তবে অর্গানিক উপায়ে চাষ করতে হলে রাসায়নিক সার ব্যবহার করা যাবে না। এর বদলে, মাটিতে ভার্মী কম্পোস্ট ব্যবহার করতে হবে।

৬ষ্ঠ ধাপঃ

আনারস গাছ বছরে দুইবার ফলন দিতে পারে। তবে, এজন্যে হরমোন ব্যবহার করতে হয়। প্রথম বার আনারস চারা লাগানোর মৌসুম হচ্ছে আশ্বিন মাসের মাঝামাঝি থেকে অগ্রহায়ন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত। এই সময়টা ছাড়াও অন্য মাসে করা যায়। তবে, জমিতে সেচের সুবিধা না থাকলে, এই সময়টাই যথোপযুক্ত।

বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করলে হানিকুন ও জায়েন্ট কিউ জাতের আনারস চাষ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। একেক বিঘায় হানিকুইন ৩-৪ টন এবং জায়েন্ট কিউ ৪-৫ টন ফলন হয়। চারা রোপনের সময় এক চারা থেকে আরেক চারার দূরত্ব ৩০-৪০ সে,মি, রাখতে হবে।

৭ম ধাপঃ

জমিকে সব সময় আগাছামুক্ত রাখতে হবে। আর, চারার উপরের দিকের পাতা বেশি লম্বা হতে দেওয়া যাবে না, ৩০ সে,মি, রেখে বাকিটুকু কেটে ফেলতে হবে।

৮ম ধাপঃ

যেহেতু হরমন ব্যবহার করে চাষ করার পদ্ধতি সম্পর্কে এই লেখা, সেজন্যে ছয় মাসের মাথাতেই ফল আহরণ করা সম্ভব। একেক বিঘা জমিতে ৩০০০-৪০০০ পিস হানিকুইন আর ২০০০-২৫০০ পিস জায়ান্ট কিউ আহরণ করা সম্ভব।



খরচের হিসেবঃ

প্রথমেই জেনে নিই যেসব খাতে টাকা ব্যয় করতে হবে, সেগুলো কি কি। লাভের জন্যে আনারস চাষ করতে হলে নিম্নের খাতগুলো আসে-

ক) জমি লিজ, খ) জমি প্রস্তুতকরণ, গ) কোম্পানী গঠন, ঘ) চাষের যন্ত্রপাতি ক্রয়/ভাড়া, ঙ) অফিসঘর, স্থায়ী লেবারদের থাকার জায়গা, গার্ড ঘর তৈরী, ফেন্সিং করা, চ) আনারসের চারা, ছ) হরমোন, জ) রক্ষণা-বেক্ষণ, ঝ) ফল আহরণ, ঞ) মার্কেটিং

এই হিসেবে ৩ বছরের একটি ১ বিঘা জমির প্রজেক্টে মোট খরচ ১,২০,০০০ টাকা। এটাই আপনার মূলধন।

এখন, সিজন ও অফ সিজন মিলে একেকটি বড় আনারসের মূল্য গড়ে ২০টাকা। সেই হিসেবে একেক বিঘায় গড়ে প্রতি বছরে যদি গড়ে ৭০০০ পিস হানি কুইন জন্মে তাহলে ২০টাকা দরে বেঁচে দেওয়ার পরে তা থেকে ১,৪০,০০০ টাকা আয় করা সম্ভব। এই ভাবে, ৩ বছরে ৪,২০,০০০ টাকা আয় করা যাবে। ১০% আনারসের পচে যাওয়া থেকে এই ৩ বছরে যদি ৪২,০০০ টাকা কমেও যায়, তবুও, ১ বিঘা জমিতে ৩,৭৮,০০০ টাকা লাভ পেতে পারে আপনার কোম্পানী।

এখানে, একটি তথ্য দিয়ে রাখি, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ৫৪০ মেট্রিক টন আনারস বিদেশে রপ্তানী হয়। আর, যে ৭টি দেশ সবচেয়ে বেশি আনারস আমদানী করে সেগুলো হচ্ছে- আমেরিকা, হল্যান্ড, চীন, স্পেন, যুক্তরাজ্য, জার্মানী এবং ফ্রান্স।

আশা করি, আমার লেখাটি আপনাদের উপকারে দিবে। তাহলে, এবারে, আমার ফিস-টি দিয়ে দিন, প্লিজ! :)
এ নিয়ে কোন সাহায্য লাগলে এই ঠিকানায় ইমেইল করতে পারেন

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



হরমোন কোন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
না। এটা পড়ুন-

সম্ভাবনাময় ফল আনারসের কথা চিন্তা করে আমাদের উদ্যান বিজ্ঞানীরা হরমোন প্রয়োগে সারা বছর আনারস উৎপাদনের কৌশল সাফল্যজনকভাবে আবিষ্কার করছেন। এ পদ্ধতি অনুসরণে এ দেশের মানুষ সারা বছরই আনারসের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন। অর্থাৎ বলা যায় আনারসও বারোমাসি ফলের গর্বিত স্থান দখল করতে পারবে। আনারস উৎপাদনে প্রধান সমস্যার মধ্যে রয়েছে গাছে ফুল আসতে ১৫ থেকে ১৬ মাস এবং আনারস পাকতে ২১ থেকে ২২ মাস সময় লেগে যায়। এতে ফলের জন্য দীর্ঘসময় অপেক্ষা জমিতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। বিশ্বে আনারস উৎপাদনকারী বিভিন্ন দেশ যেমন- মালয়েশিয়া, হাওয়াই, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, ভারত, আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশ বহুকাল আগে থেকেই হরমোন প্রয়োগ করে আনারসের উৎপাদন করা হচ্ছে। হরমোন প্রয়োগে আনারস উৎপাদনের সুবিধার কথা জেনে আনারস চাষি উৎসাহিত হবেন এবং জাতীয় সমৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবেন। হরমোন প্রয়োগের কারণে কম সময়ে আনারস পাওয়া; এক সঙ্গে বা কাক্সিক্ষত সময়ে আনারস পাওয়া যায়; ইচ্ছে অনুযায়ী বছরের যে কোনো সময়ে অনায়াসে আনারস পাকানো যায়; অমৌসুমে আনারস বিক্রি করে দ্বিগুণ, তিনগুণ বহুগুণ দাম পাওয়া যায়; কম খরচে বেশি লাভ করা যায়Ñ হরমোন প্রয়োগে আনারস প্রতি খরচ মাত্র ২০ পয়সা থেকে ২৫ পয়সা আর আনারস প্রতি বাড়তি লাভ ৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা; সারা বছর ফলানো যাবে বলে উৎপাদনের এবং সরবরাহের বছরব্যাপী নিশ্চয়তা পাওয়া যায় আর সে কারণে দেশে প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে; পচনশীলতার কারণে পচে যায় না, বর্ষা মৌসুমে পরিবহন, স্তূপিকীকরণ সমস্যাজনিত অপচয় মোটেই হবে না; বাগানে অতিরিক্ত উৎপাদন সম্ভব হবে। কেননা, হরমোন প্রয়োগে ৮০ থেকে ৯০% গাছে ফল ধারণ করে হরমোন ব্যতিরেকে গড়ে ৫০ থেকে ৬০% গাছে ফল ধরে।

হরমোন গাছ থেকে উৎপাদিত একপ্রকার রাসায়নিক দ্রব্য। আনারসের ক্ষেত্রে সাধারণত ১. ইথ্রেল ২. ন্যাপথলিন এসিটিক এসিড, ফুল আনতে সাহায্য করে। ইথ্রেল ৫০০ পিপিএম দ্রবণ তৈরির জন্য প্রতি লিটার পরিষ্কার পানিতে ১.৩ মিলিলিটার তরল ইথ্রেল (৩৯% ইথাফন) মিশিয়ে নিতে হবে। হরমোন দ্রবণ প্রতিদিন ভোরবেলায় (সকাল ৬-৮টা) ৯ থেকে ১৩ মাস বয়সের (৩০ থেকে ৪০ পাতাবিশিষ্ট) প্রতি গাছে ৫০ মিলিলিটার হরমোন দ্রবণ গাছের ডগায় ঢেলে দিতে হবে। হিসাব করে দেখা গেছে ১ লিটার হরমোন দ্রবণ দিয়ে ২০টি গাছে প্রয়োগ করা যায়। বৃষ্টি বাদলার দিনে হরমোন প্রয়োগ করলে কার্যকারিতা থাকে না বা কম হয়। প্রয়োগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেন বৃষ্টি না হয় এ চিন্তা মাথায় রেখে দ্রবণ প্রয়োগ করতে হবে। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিডিউল করে হরমোন প্রয়োগ করলে কাক্সিক্ষত সময়ে অর্থাৎ অমৌসুমে আনারস পাওয়া যায়। হরমোন মানুষের জন্য ক্ষতিকর তো নয়ই, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। কিন্তু ব্যবহারকালীন সাবধানতা অবলম্বন বেশি জরুরি। ব্যবহারকালে শরীরে, কাপড়ে যেন না লাগে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। লাগলে নষ্ট হয়ে যাবে। প্রতিকার হিসেবে তাৎক্ষণিক বেশি পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। দ্রবণ তৈরি এবং সংরক্ষণের ক্ষেত্রে পানিজনিত বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। একটু সাবধান হলে কোনো সমস্যা থাকে না। আনারস উপাদেয় ফল। আমাদের দেশে বলতে গেলে খরচবিহীন বা কম খরচে আনারস উৎপাদন করা হয়। আমাদের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত আনারসের এ হরমোন ব্যবস্থাপনা আনারসকে বর্তমানের চেয়েও অধিকতর দামি আলোকিত ভুবনে নিয়ে আসতে পারে।

সূত্রঃ Click This Link

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


জমি কোথায় সস্তায় লীজ পাওয়া যায়?

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

আনারসের জন্যে সিলেটে ভালো জমি রয়েছে বলে জানি। পরিচিত মানুষ থাকলে লিজ নেওয়া সম্ভব। :)

ধন্যবাদ নিরন্তর।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আপনি লাইক দিয়েছন!!!!! ওয়াও!!!!!!!!!!!

অনেক অনেক ধন্যবাদ!!!!!!!!!

৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি দরকারী বিষয়ে ভালো পোষ্ট দেন মাঝে মাঝে, লাইক দেয়া সঠিক হয়েছে, মনে হয়।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:২১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

আবারো অনেক ধন্যবাদ।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: চাষবাস করা সবার পক্ষে সম্ভব না।
বই পড়ে সাঁতার শেখা যায় না। তেমন না জেনে বুঝে আনারস ব্যবসায় নামা বোকামি হবে। লোভ করা ভালো নয়।

৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: খাগড়াছড়ির দিকে কি আনারস চাষের জন্য উপযোগী । আপনার কি মনে হয় কোন ধারণা থাকলে বলেন।

৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০৩

কলাবাগান১ বলেছেন: আনারস পাকানোর প্রক্রিয়া বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের দ্বারা আবিস্কৃত পদ্ধতি নয়। এটা অনেক আগে থেকে ই জানা জিনিস।

ধুয়া দিয়ে ফল পাকানোর প্রক্রিয়া হাজার বছর আগে চাইনিজ রা শুরু করে...। একশ বছর আগে বিজ্ঞানীরা ও জানতো ফল পাকানোর জন্য ইথিলিন ব্যবহার করা। আমেরিকা সরকার এর ফল পাকানোর জন্য এর ব্যবহার বহু বছর আগেই অনুমতি দিয়েছে। আশ্চর্য বিষয় হল, যারা ফল ফলাদি কে অর্গানিক হিসাবে সার্টিফিকেট দেয়, সেই সংস্হা ও বিভিন্ন ফল পাকানোতে এথিলিন ব্যবহার এর অনুমতি দিয়েছেন....ইথিলিন ব্যবহার করে ফল পাকানোর পর ও এসব ফল কে অর্গানিক হিসাবে স্টোরে বিক্রি হচ্ছে আমেরিকাতে.....

আর আপনি যে অক্সিন ( ন্যাপথলিন এসিটিক এসিড) এর কথা লিখেছেন সেটা কিন্তু বেশী মাত্রায় ইউজে ক্যান্সার জাতীয় অসুখ হওয়া অসম্ভব কিছু না। কেননা এই হরমন এর কাজ ই হল কোষ বিভাজনে হেল্প করা। আমেরিকান রা এই অক্সিন ইউজ করেছিল (এজেন্ট অরেন্জ নামে) ভিয়েতনামে বন কে উজাড় করার জন্য যাতে গেরিলা রা বনে লুকাতে না পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.