নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

লন্ডনে ঘটা এক অতিপ্রাকৃত ঘটনা

০৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৩৭



আজ আগস্ট মাসের ৭ তারিখ। কারো জীবনী সম্পর্কে লিখতে ইচ্ছে করছে না! এই দিনে আমার প্রিয় অভিনেতাদের একজন ডেভিড ডুকভনি'র জন্মদিন। এই নামে তাঁকে অনেকেই চিনবেন না। কিন্তু, যদি বলি, এক সময়ের জনপ্রিয় টিভি সিরিজ এক্স ফাইলসের নায়ক ফক্স মোল্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা ডেভিড ডুকভনিকে চিনেন কিনা, তাহলে অনেকেই বলে উঠবেন- আরে, শাইয়্যান! কি যে বলো! তাঁকে চিনবো না!!!'' ডেভিড সম্পর্কে আর কিছু না বলে আজ তাঁর জন্মদিনে, একটা অতিপ্রাকৃত সত্য ঘটনা শেয়ার করবো।

আমার মেঝ মামা দারুণ সাহসী এক মানুষ। লন্ডনে থাকেন প্রায় ৩০ বছর হয়ে গেলো। নিজের ব্যবসা আছে। প্রথম যখন লন্ডনে এলেন, তখন অবশ্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরী করতে হয়েছিলো। সেই সময়ে, বাসায় ফিরতে রাত হয়ে যেতো। একদিন রাতে বাসায় ফিরছেন। নতুন বাসা নিয়েছেন। রাস্তাঘাট তাই কম চিনেন। ঐদিন পথ হারালেন।

শীতের রাত। কুয়াশার মধ্যে পথ খুঁজছেন, সামনে একটি ঘোড়ার আস্তাবল পড়লো। সেটি পেরিয়ে সামনে এগিয়েছেন, হঠাৎ শুনেন, পেছনে আওয়াজ! কে যেন তাঁর পিছনে পিছনে আসছে! তিনি পিছনে তাকালেন। কাউকে দেখতে পেলেন না, কোন আওয়াজও নেই! নিজের মনের ভুল মনে করে আবার হাঁটা দিতেই, পিছনে আবারও কার যেন হাঁটার আওয়াজ। এবারে স্পষ্ট শুনতে পেলেন। তিনি থামতেই, আওয়াজটাও থেমে গেলো! আয়াতুল কুরসি পড়ে বুকে ফুঁ দিয়ে এবারে একটু জোর পায়ে হাঁটা লাগালেন। কোন আওয়াজ এবারে কানে এলো না।

কিছুক্ষণ এদিক-ওদিক ঘুরতেই বাসার রাস্তা পেয়ে গিয়ে ঘরে পৌঁছালেন মামা। তখন খুব ক্লান্ত। বাতি নিভিয়ে তিনি বিছানায় শুয়ে পড়ে ঘুমিয়ে পড়লেন। কতক্ষণ ঘুমিয়েছেন বলতে পারবেন না, হঠাৎ তাঁর মনে হলো বুকের উপর কেউ উঠে গলা চেপে ধরেছে! মামা এদিক-ওদিক করছেন, নড়তে পারছেন না। দম বন্ধ হয়ে আসছে তাঁর।

সেই অবস্থায়, কোথা থেকে যেন তিনি শক্তি পেলেন! চিৎকার দিয়ে উঠলেন- 'কুত্তার বাচ্চা, তোর এতো বড় সাহস!' এই বলে জোরসে বিছানায় উঠে বসলেন মামা। স্পষ্ট দেখতে পেলেন- একটা আবছায়া নীল আলো ঘরময় ভরে আছে! মামা তাকাতেই এক ঝটকায় জানালার কাঁচের মধ্য দিয়ে সেটি বেরিয়ে গেলো।

দুই দিন পরে, বন্ধুরা যখন তাঁর কোন খোঁজ পাচ্ছিলেন না, তারা এসে দেখতে পেলেন, মামা তীব্র জ্বরে শয্যাশায়ী। বাসায় একলা! অবিবাহিত মামাকে সেইবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিলো।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ভুত ছিল?

০৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


পুলিশ ইনভেস্টিগেশন করে কিছু পায়নি।

তাই, বলা মুশকিল কি ছিলো ওটা।

ধন্যবাদ নিরন্তর, গোফরান ভাই।

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১২

কামাল৮০ বলেছেন: এখানে অতিপ্রাকৃত কিছুই নাই।প্রয়োজন বিশ্লেষনের।অতিপ্রাকৃত কোন কিছু প্রমান করতে পারলে ,কোটি কোটি ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করা আছে।কেউ যায়নাই তার দাবী প্রমান করতে।ভারতেই আছে বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি।তাদের কিছু পুরস্কার ঘোষনা করা আছে।

০৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


হতে পারে আপনি যা বলছেন তা সঠিক।

তবে, সব কিছুই আপেক্ষিক।

ধন্যবাদ।

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৪:৫৫

মিরোরডডল বলেছেন:




গুলশান আপুর পোষ্টে এরকম একটা বর্ণনা পড়ে ভেবেছিলাম এটা নিয়ে লিখবো কিন্তু আর হয়ে উঠেনি ।
আজ আবার শাইয়্যানের লেখাটা পড়ে নিজের সেই ছোট ঘটনা শেয়ার করছি ।

স্টুডেন্ট সময়ের কথা । একটা রাস্তা ধরে ট্রেইন স্টেশনে যাওয়া আসা করি ।
দিনের আলোয় রাস্তাটা ভীষণ সুন্দর । কয়েকশো বছরের পুরোনো মোটা মোটা বিশালাকার গাছ ।
চারদিক ঘন সবুজ । তারমাঝে একটি বিরাটাকৃতির চার্চ ।
দিনে যতটা সুন্দর, রাতের অন্ধকারে ঠিক ততটাই ঘুটঘুটে আর ভয়াবহ ।

ইউনি শেষে কাজ শেষে মাঝে মাঝে ফিরতে অনেক রাত হয় ।
ট্রেইন থেকে নামার পর সবাই যে যার মতো ভিন্ন রাস্তায় চলে যায়, এদিকটায় খুব একটা কেউ আসে না ।
বেশি রাত হয়ে যাওয়ায় মানুষ নেই বললেই চলে ।

সেরকম একটি রাত, ফিরতে অনেক দেরি হয়ে গেছে । আমি একা হেটে আসছি । গা ছমছম পরিবেশ ।
চার্চটা ক্রস করার সময় হঠাৎ শুনি পেছনে খস খস শব্দ । আমি তখন তাড়াতাড়ি পা চালালাম । ওই শব্দটা আরও বেড়ে গেলো । পেছনে তাকাবার সাহস হয়নি । আরও দ্রুত হাঁটছি । পেছনের গতিও বাড়ছে । মনে হচ্ছে এই বুঝি আমাকে ধরবে ।

কিছু একটা যেন আমাকে তাড়া করছে । যতটা সম্ভব স্পিড বাড়ালাম । লাভ হয়নি । অবশেষে ধরেই ফেললো ।
ঝট করে পেছনে তাকাতেই দেখি একজন ভদ্রলোক, একদমই আমার কাছে এসে বললেন আর ইউ ওকে ?
আমার স্ট্রেস আড়াল করে বললাম ইয়েস, আই’ম ফাইন !

উনি যা বললেন, এই রাস্তায় আসার পর দূর থেকে আমাকে দেখেছে একা খুব ফাস্ট হেটে যাচ্ছি । যেহেতু রাস্তাটা রাতে ঘুটঘুটে, উনি ভেবেছেন আমি হয়তো ভয় পেয়েছি । তাই উনি আমার কাছাকাছি আসতে জোরে হেটে এগিয়ে এসেছেন আমাকে কমফোর্ট দিতে যে এ রাস্তায় আমি একা না উনিও আছেন, আমি যেন ভয় না পায় । আর ভদ্রলোকের এই খস খস পায়ের শব্দেই কিনা আমি ভয় পেলাম । তার আগেতো ভালোই ছিলাম । :)

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৫:১৬

মিরোরডডল বলেছেন:





হঠাৎ তাঁর মনে হলো বুকের উপর কেউ উঠে গলা চেপে ধরেছে! মামা এদিক-ওদিক করছেন, নড়তে পারছেন না। দম বন্ধ হয়ে আসছে তাঁর।

এই অভিজ্ঞতা হয়নি এরকম মানুষ খুব কম আছে ।
নট শিওর কি বলে, স্লিপ প্যারালাইজ এরকম কিছু ।

যেহেতু সে রাস্তায় ভয় পেয়েছিলো, তারপর আবার স্লিপ ডিজঅর্ডার, তাই বাকি নীলরশ্নিরটা দুর্বল মনের কল্পনা ।

আমি প্রায়ই দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙ্গে গেলে বাকি রাত আর ঘুমাতে পারিনা ।
এলোমেলো অনেক কিছু মনে হয় , এটাই স্বাভাবিক ।


৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৭:৫২

অগ্নিবেশ বলেছেন: এই সব ভুত গুলানও কেমন যেন, ভোদাইমার্কা, আরে তোগো যারা মাইর‍্যা ভুত বানাইল তাগো ভয় না দেখাইয়া, তোরা ভয় দেখাস সাধারন মানুষগো। এই ভুতগুলানের মাথায় যদি একটু বুদ্ধি সুদ্ধি থাকত তাইলে কি আর গুজরাটের কসাই একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী হইতে পারে? ভুতগুলান যদি তাদের খুনী গুলানরে শাস্তি দেওন শুরু করে তাইলে কি আর দ্যাশে আর খুন টুন হয়?

৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:০৭

মোগল বলেছেন: বোবায় ধরছিল

৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২৭

খাঁজা বাবা বলেছেন: লন্ডনেও ভূত?

৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:০৪

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার মামা কে বলবেন যতো দ্রুত বিয়ে অথবা লিভ ইন রিলেশানে যেতে। একা লোক কে ভুত বেশি ধরে। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.