নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরবের ভূমিতে ইহুদীদের অধিকার আছে

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:২০



ফিলিস্তিন একটি সংঘতাময় স্থান। এই ভূমির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক। মনে হয়, পুরো পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র এই ভূমিতেই একই তীর্থ ভূমি ঘিরে ইব্রাহিমি তিনটি ধর্মীয় গোষ্ঠী তথা মুসলমান-ইহুদী-খ্রিস্টানদের বসবাস। বলা বাহুল্য, বাইতুল মুকাদ্দাস মুসলমান-ইহুদী-খ্রিস্টান তিন জাতিগোষ্ঠীর কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। পবিত্র তুর পাহাড় আর বেথেলহেমও এখানে। একটা ভূমি যখন তিনটি জাতিকে এক করেছে, সেখানে তারপরও এতো হানাহানি কেন? কবে থেকে এর শুরু? এই তিন জাতিগোষ্ঠীর মাঝে কারা এটা হানাহানি শুরু করেছিলো?

যত দূর জানা যায়, ১৯৪০ দশকের গোড়ার দিকে প্রথমে বিভিন্ন আরব ও আফ্রিকার দেশ থেকে ইহুদীরা ফিলিস্তিনের ভূমিতে পাড়ি জমাতে থাকেন। ইসরাইল তৈরী হওয়ার আগে, প্রায় ৮ লক্ষ ইহুদী আরব ও আফ্রিকার দেশগুলোতে থাকতেন। এই ইহুদীদের দুই-তৃতীয়াংশ ফরাসী শাসিত উত্তর আফ্রিকায়, ১৫-২০% ইরাক রাজ্যে, ১০% মিসর রাজ্যে, এবং প্রায় ৭% ইয়েমেন রাজ্যে বাস করতো। এছাড়াও আরও ২ লক্ষ ইহুদী পাহলভি শাসিত ইরান এবং গণপ্রজাতন্ত্রী তুরস্কে বসবাস করতো।

এতো বড় ইহুদী গোষ্ঠীকে বিভিন্ন দেশ থেকে উচ্ছেদ করে ফিলিস্তিনে আনা সম্ভব হতো না যদি না আরব জাতীয়বাদীরা তাদের দেশে অবস্থানরত ইহুদীদের উপর আক্রমণ শুরু না করতো। জুন ১৯৫০ থেকে এপ্রিল ১৯৫১ সাল পর্যন্ত ইরাকী ইহুদীদের উপর বোমা হামলা হয়। এছাড়াও সিরিয়া ও লেবাবনে আরব জাতীয়তাবাদীরা ইহুদীদের উচ্ছেদে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।

সেই যে শুরু, আজ অবধী সেই সংঘাত হয়ে যাচ্ছে। আরব জাতীয়তাবাদীদের আক্রমণের প্রতিশোধ নিতে নবগঠিত ইসরাইল আশ্রয় দিতে থাকে রিফিউজি ইহুদীদের। এরপরে শুরু হয়, আরব-ইসরাইল যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে আরবেরা চরম মার খায়। এর প্রতিশোধ নিতে তারা নিজ দেশের ইহুদীদের উপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে, আরবের অন্যান্য দেশ থেকে দলে দলে ইহুদীরা ফিলসিতিনের ভূমিতে চলে আসে।

আর, এভাবেই ইসরায়েল নামক দেশটি শক্তিশালী হয়ে উঠে। একটি রিফিউজি রাষ্ট্র থেকে এই পর্যন্ত উঠে আসার পথটা সহজ ছিলো না, যদি না তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষেরা তাদেরকে সাহায্য করতো।

========
সোনাগাজী ভাইয়ের অনুরোধে লেখা
=======================

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:২৯

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনি যেটুকু আলোচনা করেছেন, সেটা হলো, ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনের (১৪ই মে, ১৯৪৮ ) পরের ঘটনা, আরব দেশ থেকে ইহুদী বিতাড়নের ঘটনা।

এখন কি কারণে প্যালেষ্টাইন পুর্নাংগ স্বাধীনতা পাচ্ছে না?

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৪৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনের আগের ও পরের ঘটনার সাথে এখনকার সংঘাতের কানেকশন আছে।

আমাদের জানতে হবে ১৯৪০ সালের গোড়ার দিকে, ইস্রেয়েল হওয়ার আগে, কেন ইহুদীরা দলে দলে ফিলিস্তিনি ভূমির দিকে রওনা দিয়েছিলো। কেন এবং কীভাবে আরব জাতীয়তাবাদীরা তাদের উপর হামলা শুরু করেছিলো। কে বা কারা মিসরে ইহুদীদের উপরে বোমা হামলা করেছিলো।

স্বাধীনতা না পাওয়ার ব্যাপারটা পুরোই রাজনৈতিক। এখন ফিলিস্তিনের ভূমিকে আবারো জাতীয়তাবাদীদের হাতে ছেড়ে দিলে ইহুদীদের আবারো দেশ ছাড়া হতে হবে।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৪৯

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন, "এখন ফিলিস্তিনের ভূমিকে আবারো জাতীয়তাবাদীদের হাতে ছেড়ে দিলে ইহুদীদের আবারো দেশ ছাড়া হতে হবে"

-প্রশ্ন, কারা সেই জাতীয়তাবাদী? পশ্চিম তীর ও গাজা মিলে আজকের প্যালেষ্টাইন (রিফিউজি ক্যাম্প বলা যায়); তাদেরকে কে যায়গা ছেড়ে দেবে? ৭৪ বছর তো যায়গা দখলই করছে ইসরায়েল, ওরা যায়গা ছাড়ার জন্য শর্ত দিয়েছে, সেটা তো পিএলও ও হামাস অনুসরণ করছেনা।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:০২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আমি পোস্টে বলেছি, আরব জাতীয়তাবাদীরা ফিলিস্তিনের ভূমি নিয়ে দখল দখল খেলা করছে। ইহুদীদের তাদের নিজ আবাস থেকে উচ্ছেদ করেছে।

আরবের ভূমি রাজাদের পরে এখন জাতীয়তাবাদীদের দখলে।

এখন ইহুদী জাতীয়তাবাদীরা তাদের উপর অত্যাচারের প্রতিশোধ নিচ্ছে।

এটা চলতে থাকবে যত দিন পর্যন্ত কোন এক পক্ষ নিঃশেষ হয়ে যায়।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১৭

সোনাগাজী বলেছেন:


হামাস ও পিএলও যদি 'পাথর মারা ও রকেট ছোঁড়া বন্ধ করে'ও ইরানী কানেকশান ছেড়ে দেয়, সাথে সাথে শান্তিপ্রিয় নিরপেক্ষ ফিলিস্তনীদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে অবসরে চলে যায়, বিশ্ব ইসরায়েলকে বাধ্য করবে ফিলিস্তিনের ৪৬ ভাগ ভুমি ছাড়তে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


সেই 'বিশ্ব' ও তাতে বসবাসকারী মানুষ কারা???!!!

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:১১

তানভির জুমার বলেছেন: আরব-ইসরাইল যুদ্ধে আরবরা মার খাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ইরান নামক রাষ্টের বেইমানীর জন্য, কিন্তু হায়, সেই ইরানকে ই আজ ইসরাইল কচুকাটা করতে চায়। আপনি ইতিহাসের কম গুরুত্বপূর্ন আংশিক কিছু কথা বলেছেন। ইসরাইল রাষ্টের জন্মের পুরো ইতিহাস জানার অনুরোধ রইল।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


ইহুদীদের নিজ আবাসস্থল থেকে যারা উচ্ছেদ করেছে, হত্যা করেছে, তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন।

ধন্যবাদ।

৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১২

সোনাগাজী বলেছেন:


সেই 'বিশ্ব' ও তাতে বসবাসকারী মানুষ কারা???!!!

-আপনার ও আমার মতো লোকজন; শুধু আপনি যে, ফিলিস্তিন নিয়ে একা ভাবছেন, ব্যাপারটা তা' নয়।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আরবের ভূমিতে ইহুদীদের অধিকার আছে। তাদেরকে ১৯৪০ সালের দিকে নিজেদের আবাসস্থল থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছিলো। সেই স্মৃতি তারা ভুলতে পারেনি।

ইরান ফিলিসতিনী শান্তি প্রক্রিয়ায় ছোট খেলোয়াড়, এখনো।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:০৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কথায় যুক্তি আছে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


ফিলিস্তিনীদের নিজেদের অধিকার ফিরে পাওয়ার সাথে সাথে ইহুদীদেরও তাদের আবাসস্থল ফিরিয়ে দিতে হবে।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১৩

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন, "ইরান ফিলিসতিনী শান্তি প্রক্রিয়ায় ছোট খেলোয়াড়, এখনো। "

-ইরান হামাসকে রকেট প্রযুক্তি দিয়ে, ফিলিস্তিনকে স্বাধীনতা থেকে বন্চিত করেছে।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



ইহুদী বিদ্বেষ দেখানো একটি রাজনৈতিক ইস্যু ইরানে। মুসলিমদের ভূমির সব জায়গায় এটা আছে।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৮

কামাল৮০ বলেছেন: এই তিন ধর্মের লোক যে এলাকায় একত্রে বাস করবে সেটাকে দোজখ বানিয়ে ছাড়বে।তিনটাই আল্লাহর ধর্ম (দাবি)

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


এই তিন ধর্মের মানুষদের মাঝে যারা ভালো মানুষ তাঁরা এতে কষ্ট পাচ্ছেন।

ধন্যবাদ।

৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২০

রানার ব্লগ বলেছেন: ফিলিস্তিনের উচিৎ বিভিন্ন ভাগে ভাগ না হয়ে রাষ্ট্র ও জনগণের প্রয়োজনে এক হয়ে জোর প্রচেষ্টা চালানো স্বভুমি ও স্বাধীনতা ফিরে পাওয়া।

ইসরায়েল ধোয়া তুলসি পাতা না। সাধারণ মানুষ শান্তির পক্ষে হতে পারে কিন্তু রাজনৈতিক দল গুলো তাদের ইস্যু কে জীবিত রাখার তাগিদে ফিলিস্তিনের উপর হামলা বলেন আর ঢিল ছোরা বলেন তা জাড়ি রাখবে। তার উপর কিছু অতি উৎসাহি ফিলিস্তিন আর ইসরায়েলি তো আছেই। বিভিন্ন উৎসবে একটা না একটা যন্তনা তাদের করা চাই। যেমন বাংলাদেশে দুর্গাপূজার সময় ভারতে কোরবানির সময়।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আপনি বলছেন- ''ফিলিস্তিনের উচিৎ বিভিন্ন ভাগে ভাগ না হয়ে রাষ্ট্র ও জনগণের প্রয়োজনে এক হয়ে জোর প্রচেষ্টা চালানো স্বভুমি ও স্বাধীনতা ফিরে পাওয়া।''

এী 'স্বভূমি' শব্দটি নিয়েই তো যত গণ্ডগোল। ইহুদীরাও এটা স্বভূমি হিসেবে দাবী করছে।

ধন্যবাদ।

১০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:১৬

শাহ আজিজ বলেছেন: ভাল্লাগছে সবার আলাপ । বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে । @তানভির জুমার কাছে অনুরোধ উল্লেখিত ইতিহাস নিয়ে লিখতে ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:২১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



বেশির ভাগ ব্লগারের এই নিয়ে কোন চিন্তা-ভাবনা নেই।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

১১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১২

বিটপি বলেছেন: প্রথমত ইহুদীদের কোন অধিকার নেই আরবের ভূমিতে। মুসলিমদের সাথে ক্রমাগত বিশ্বাস ভঙ্গ করার জন্য তাদেরকে তাঁদের আদি আবাসস্থল থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে।

দ্বিতীয়তঃ, প্যালেস্টাইনে জাতিগত আরবরা উড়ে এসে জুড়ে বসেনি। তারা আদিকাল থেকেই সেখানে ছিল। পশ্চিমা বিশ্ব প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ায় গায়ের জোরে সেখানে ইহুদী পুনর্বাসনের প্রকল্প হাতে নেয়। মধ্যযুগে মুসলিম শাসকদের ভয়ে থাকা পশ্চিমাদের জন্য এটা একটা প্রতিশোধও বটে।

স্বাভাবতই আরবেরা এটা মেনে নেয়নি। সেজন্যে যুদ্ধ চালানো তাঁদের পক্ষে কোন অন্যায় বলে আমার মনে হয়নি।

তৃতীয়ত, আরব ইসরাইল যুদ্ধে আরবদের মার খাওয়ায় ইসরাইলের কোন বীরত্ব নেই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইহুদীরা ব্যাপক সিম্প্যাথি আদায় করেছিল। তাই রাশিয়া আমেরিকা ফ্রান্স ব্রিটেন সবাই আরবদের বিরুদ্ধে ইসরাইলকে সরাসরি সাহায্য করে। আমেরিকা থেকে জাহাজ ভর্তি করে স্বেচ্ছাসেবিরা এই যুদ্ধে এসে যোগ দেয়। এত প্রবল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আরবরা সেকেলে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.