নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম কখনোই ধন-সম্পদের লোভ দেখিয়ে যুদ্ধের কথা বলে না

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৪



আমি পুরো কুরআন পড়েছি, এবং এখন পর্যন্ত যত দূর প্রিয় নবীজীর পথ শিখেছি, তা থেকে জানি যে, ইসলাম কখনোই আক্রমণ করার কথা বলে না। ইসলামের শেষ নবী (সাঁ)-এঁর সময়ে যতগুলো যুদ্ধ হয়েছে, সেগুলোর সবই ডিফেন্সিভ ছিলো। অথচ, মহানবী'র জীবনী নিয়ে লেখা 'আর-রাহীকুল মাখতুম' বইটি'র বাংলা অনুবাদটি এই কথাই লিখেছে যে - নবীজী গনিমতের লোভ দেখিয়ে যুদ্ধে যেতে বলেছেন।

আমি কেন এই বইকে নিষিদ্ধ করার দাবী জানাচ্ছি?

১) আমি এই কারণে বইটি নিষিদ্ধ করতে বলছি যে, প্রথমতঃ আল্লাহ ও মহানবী সম্পর্কে ভুল ধারণা সৃষ্টি হবে। এমনিতেই অনেকে ইসলামের হুর-পরী নিয়ে ঠাট্টা করেন, গনিমতের কথা শুনলে তারা তো হেসেই খুন হোন। গনিমতের ভুল ব্যাখ্যা দেন।

২) গনিমতের লোভ দেখিয়ে জঙ্গি তৈরী বন্ধ হবে। এই গনিমতের লোভ দেখিয়ে অনেক খারাপ লোকই সাধারণ মুসলিম-যুবাদের বেপথে নিয়ে যাবে, যুদ্ধ করিয়ে পরের ক্ষতি করাবে।

৩) এই বইটি পড়লে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা করতে বলেননি, সেটা মানুষ করবে। রেফারেন্স হিসেবে নিয়ে আসবে, এই বইটি।


এই বইটিতে কি আছে?

এই বইটিতে বদর যুদ্ধের কারণ হিসেবে লেখা আছে যে, মহানবী (সাঁ) বুঝি বলেছেন - "সিরিয়া থেকে মক্কা প্রত্যাবর্তনকারী এক কুরাইশ কাফেলার সঙ্গে প্রচুর ধনমাল রয়েছে। সুতরাং, তোমরা এর জন্য বেরিয়ে পড়। হয়তো আল্লাহ পাক গনিমত হিসেবে এসব মালপত্র তোমাদের দিয়ে দিবেণ।"



সম্মানিত পাঠকগণ, বুঝে দেখুন, এখানে কি কি শব্দসমূহ লেখা আছে! 'প্রচুর ধনমাল', 'গনিমত' এসবের লোভ দেখিয়ে যুদ্ধ!!! এগুলো কি বিশ্বাসযোগ্য? যেখানে ইসলামে কাউকে প্রথমে আক্রমণের কথাই নিষিদ্ধ, সেখানে সম্পদের লোভ দেখিয়ে যুদ্ধে যাবার কথা মহানবী বলবেন কেন!!!

দ্বিতীয়ত, বইটির ৩৬০ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে যে, আবু সুফিয়ানের ধনসম্পদওয়ালা কাফেলার উপরে মদীনার মুসলমানরা আক্রমণ করতে চেয়েছিলেন। অথচ, এটা সত্যি নয়। বাংলাদেশের ইসলামী ইতিহাস বইগুলোতে লেখা আছে যে- আবু সুফিয়ানের ভুয়া খবর মক্কায় পৌঁছালে মক্কার কুরাইশরা যুদ্ধের জন্যে আগে সৈন্য পাঠায়। অর্থাৎ, কুরাইশরাই আগে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে আক্রমণ করেছিলো। আর, মদীনার মুসলমানরা আত্মরক্ষা করেছিলেন। অথচ, আর-রাহীকুল মাখতুম বইয়ে উল্টোটা লেখা!

আবারো বলছি, মহানবী (সাঁ)-এর সময়ে কোন আক্রমনাত্মক যুদ্ধ হয় নাই। তিনি যতগুলো যুদ্ধ করেছেন, সবগুলোই ছিলো ডিফেন্সিভ। প্রথম আক্রমণাত্মক যুদ্ধ শুরু হয় খলিফা মুয়াবিয়া'র সময় থেকে যখন তিনি যাকাত দিতে অস্বীকার করার কারণে একটি গোত্রের বিরুদ্ধে সৈন্য প্রেরণ করেন।

আশা করি, সরকার এই বইটি নিষিদ্ধ করবেন।


মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫৭

কামাল১৮ বলেছেন: গনি মতের মালের লোভ দেখায় আর যৌনদাসীর।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


এগুলো ইসলামের নামে কুৎসা, ভাইয়া।

ইসলামে বলা আছে ডিফেন্সিভ যুদ্ধের কথা। প্রতিরোধের কথা।

ধন্যবাদ।

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সঠিক ভাবনা।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


এই বইটি খুব আগ্রহ নিয়ে কিনেছিলাম। কিন্তু, আশাহত হয়েছি।

ধন্যবাদ।

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আসলে বেহেশতের লোভের কাছে দুনিয়াবী এসব লোভ-লালসা কিছুই না।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



লোভকে প্রশ্রয় দেওয়া উচিৎ নয়। লোভ মানুষের বিবেককে ঢেকে ফেলে।

ধন্যবাদ।

৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনি কামাল সাহেবকে এমনভাবে ইসলামের ছবক দিচ্ছেন মনে হচ্ছে যেন ভিন্ন ধর্মী কোন ব্যক্তিকে ইসলামের প্রথমিক জ্ঞান দিচ্ছেন।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



ইসলামের ছবক দিচ্ছি না। উনি ইসলাম সম্পর্কে অনেক জ্ঞান রাখেন।

তবে, উনার সোর্সগুলো অনেক ক্ষেত্রে ভুল।

ধন্যবাদ।

৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:০৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: সত্য ভাই মানবিক মানুষ তাই আল্লাহর আইনকে অস্বীকার করে আল্লহকে মানবতা শেখাচ্ছে।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



ঠিক বলেননি। আমি আল্লাহকে মানবতা শিখাচ্ছি না।

কারণ, আমার মাঝেই খোদার আবাস। আমি আমাকেই মানবতা শিখাচ্ছি।

ধন্যবাদ।

৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৫২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



ইসলামের নবী এখন নেই,আল্লাহ যা বলার আগেই বলে গেছেন ; তবুও আপনি কি বলতে চাচ্ছেন।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


ইসলামের নবী সম্পর্কে বানোয়াট কথা প্রচার হচ্ছে।

ধন্যবাদ।

৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:১১

ইএম সেলিম আহমেদ বলেছেন: সীরাত গ্রন্থ টি মূলত আরবী তে লেখা। আপনি কোন প্রকাশনীর বইতে এটা পেয়েছেন সেটা উল্লেখ করুন। অনেক প্রকাশনী আছে। কিন্তু সবগুলো অনুমোদিত নয়।

মহানবী (সাঁ) বুঝি বলেছেন - "সিরিয়া থেকে মক্কা প্রত্যাবর্তনকারী এক কুরাইশ কাফেলার সঙ্গে প্রচুর ধনমাল রয়েছে। সুতরাং, তোমরা এর জন্য বেরিয়ে পড়। হয়তো আল্লাহ পাক গনিমত হিসেবে এসব মালপত্র তোমাদের দিয়ে দিবেণ।"

এই লেখা টি কত নম্বর পৃষ্ঠায় লেখা আছে পৃষ্ঠা নাম্বার উল্লেখ করুন।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আমি মীনা বুক হাউস প্রকাশনীর মাওলানা লুতফুর রহমান অনুবাদিত বইটি কিনেছিলাম।

৩৬০ পৃষ্ঠায় 'ইসলামের প্রথম যুগান্তকারী সামরিক যুদ্ধ' অধ্যায়েঢ় ২য় প্যারায় এটি উল্লেখ আছে।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



যুদ্ধে জয় লাভের পর গণিমতের মাল ও নারীদের ভাগ বাটোয়ার নিয়ে ইসলাম কী বলে?

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আমি গনিমতের মাল ও নারীদের ভাগ বাটোয়ারায় বিশ্বাসী না।

ইসলাম এই সম্পর্কে কি বলেছে? আমার কাছে সেরকম তথ্য নেই। আপনার কাছে থাকলে জানান।

ধন্যবাদ।

৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



যুদ্ধে জয় লাভের পর গণিমতের মাল ও নারীদের ভাগ বাটোয়া নিয়ে ইসলাম কী বলে?
একটু বিস্তারিত আলোচনা করুন। আমাদের বুঝতে সুবিধা হবে। খালি বই নিষিদ্ধ করলেই কি চলবে? আলোচনার মাধ্যমে জবাব দিন। সবাই জানুক।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আমি আপনার ৮-নং কমেন্টের জবাবে কি লিখেছি একটু পড়ে দেখবেন, প্লিজ?

ইসলাম কখনোই আক্রমণ করতে বলে না। বরং, আক্রমণ প্রতিরোধের কথা বলে।

ধন্যবাদ।

১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪০

আহলান বলেছেন: একটি কথার কত রকম ভাবে ব্যাখ্যা করা যায়, নেগেটিভ বা পজেটিভ !

১১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত।
ইসলাম মূলত সুন্দর ও সহজ সরল। কিছু হুজুর মাওলানারা নানান রকম ফটোয়া দিয়ে ইসলামের সৌন্দর্য নষ্ট করে দিচ্ছে।

১২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪১

অগ্নিবেশ বলেছেন: আল্লাহ এরশাদ করেছেন: “এটা জেনে রেখো যে, যা কিছু তোমরা গনিমতের মাল অর্জন কর তার মধ্যকার এক পঞ্চমাংশ হচ্ছে আল্লাহর ও তার রাসূলের, এবং রাসূলের (সাঃ) নিকট আত্মীয়দের, এতিমদের ও মিসকিনদের এবং মুসাফিরদের এবং ভ্রমণকারীদের জন্য” (সুত্র: আল কোরআন, সূরা আনফাল, আয়াত: ১ , ৪১ ; সূরা বানী ইসরাইল, আয়াত: ২৫ ; সূরা রোম , আয়াত: ৩৮ ; সূরা আহযাব, আয়াত: ২৭ ; সূরা হাশর, আয়াত: ৬‑৯)

টাইপ করতে কষ্ট লাগে, তাই নীচের কমেন্টটি মাহমুদ আলীর থেকে ঝেড়ে দিয়েছি।

মাল এ গনিমাহ বা গনিমতের মাল হচ্ছে যুদ্ধে পরাজিত বাহিনীর রেখে যাওয়া সব সম্পত্তির উপর বিজয়ী দলের অধিকার।
গনিমতের মালকে ইংরেজিতে বলে ওয়ার বুটি, মানে যুদ্ধ থেকে প্রাপ্ত সম্পদ।

গনিমতের মাল আসলে ইসলামিক কিছু না। এটা অনেক আগে থেকে বিশ্বে প্রচলিত ছিলো। সেটাকে ওয়ার বুটি হিসেবে নেয়া হতো। পরাজিত পক্ষের ধন সম্পত্তি নিজের দলের লোকদের নির্দিষ্ট হারে ভাগবাটোয়া করে দেয়াকে গনিমতের মাল বলে। অনেকে বলেন, এটা আসলে লুটের মাল।

এই লুটের মাল বা ওয়ার বুটি বা গনিমতের মাল যদিও ইসলাম প্রথমে নিয়ে আসে নি। এটা ইসলাম আবির্ভাবের অনেক আগে থেকে সব দলের মানুষদের মধ্যে যুদ্ধের পরে একটা বিধি হিসেবে ছিলো। ইসলাম যেটা করেছে, এই প্রথা বাতিল না করে সেটাকে খুমুসের মাধ্যমে কার কত ভাগ সেটা নির্ধারন করে দিয়ে এই গনিমতের মালকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ইসলামের অনেক আগেই ক্রীতদাস ও দাসী প্রথা ছিলো কিন্তু ইসলাম সেই ক্রীতদাস সিস্টেমকে বন্ধ না করে সেটাকে নিয়মের মধ্যে এনে ডান হাতের অধিকারী নামে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

এটা নিয়ে অনেকেই হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর সমালোচনা করতে পারেন। তিনি অন্যের সম্পত্তি নিজ বাহিনীর লোকদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে দিতেন গনিমতের মাল হিসেবে। নিজে উনার জন্য এবং আল্লাহর জন্য আলাদা করে রাখতেন ২০% সম্পত্তি। সেই সম্পদ দিয়ে নিজের পরিবারের ভরনপোষন করতেন। বাকি ৮০ ভাগ সম্পত্তি মুসলিম বাহিনীর সদস্যরা নিজেরা ভাগ করে নিতো।

পরাজিত বাহিনীর রেখে যাওয়া সম্পত্তি দিয়ে কেনো নিজের পরিবার চালাতে হবে? এই সিস্টেমটাই আমার কাছে খারাপ লাগে। নিজের অর্জিত সম্পদ ও অন্যের অর্জিত সম্পদের উপর নিজের অধিকার এক জিনিস নয়।

আমার কি আসলেই কোনো অধিকার আছে অন্যের সম্পদের উপরে? এই ওয়ার বুটি নেয়া একটা খারাপ সিস্টেম।

নবী চাইলে এই গনিমতের মাল নিজে না নিয়ে অন্যদের দিয়ে দিতে পারতেন কিন্তু এখানে আগে তিনি নিজের জন্য ও আল্লাহর জন্য ২০% নিশ্চিত করে পরে বাকিদের ব্যবস্থা করেছেন।

এই সম্পত্তি উনার নেয়ার দরকার ছিলো না। এটা তো উনার অর্জিত সম্পত্তি না। উনি কেনো ২০% আলাদা করে রাখবেন নিজের ও আল্লাহর জন্য। নিজের জন্য রাখলেন। আবার আল্লাহর জন্য কেনো? আল্লাহর কেনো গনিমতের মাল দরকার? তিনি কি করবেন এই মাল দিয়ে? অনেকে বলবেন ওটা গরীবদের মাঝে দিতে আল্লাহর নামে রাখা হয়েছে কিন্তু আয়াতে তো বলা আছে ২০% আলাদা করে নবী ও আল্লাহর জন্য রেখে দিয়ে বাকি মাল মুসলিমদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া ও এতিম মিসকিনদের দেয়ার কথা বলা হয়েছে। মিসকিনদের আলাদা করে দেয়া হলোই। তবে আল্লাহর জন্য আলাদা করে বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে কেনো? এর উত্তর নেই কারো কাছে।

এবার ইনিয়ে বিনিয়ে না বলে সত্য কথায় আসি।

নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ ছিলেন মধ্যযুগের একজন আরব শাসক। তিনি আয়াত দিয়ে দেশ শাসন করতেন। দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে উনি কোরআনের আয়াত দিয়ে নিজের মুসলিম সেনাবাহিনী ও আরব দেশ শাসন করতেন। প্রথম দিকে তিনি যখন নিজেকে নবী দাবি করেন তখন আরবে উনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে উনার প্রতিপক্ষ দলগুলো। সেখানে তিনি কোরআনের আয়াত দিয়ে নিজের মুসলিম দল সংগঠিত করেন এবং বিভিন্ন নির্দেশনা দেন উনার বাহিনীকে যে, এভাবে যুদ্ধ করো, ওভাবে যুদ্ধ করো। এর পরে যখন তিনি আরবের ক্ষমতা যুদ্ধের মাধ্যমে হাসিল করেন তখন তিনি কোরআনের আয়াত দিয়ে দেশ বা রাজ্য চালাতেন।

একটি দেশ চালাতে বাজেট লাগে। অর্থ লাগে। উনার সেনাবাহিনী মুসলিম বাহিনীকে চালাতে তিনি খুমুসের ব্যবস্থা করেন। নিজেরও চলতে হবে এবং নিজের দলের লোকদেরও চলতে হবে। এই আয়ের প্রধান উৎস বিভিন্ন সেনা অপারেশন চালিয়ে গনিমতের মাল বা ওয়ার বুটি হাসিল করা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.