নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
আমি বাজারে গিয়েছিলাম। হঠাৎ, দেখলাম, একজন বয়সের ভারে নুয়ে পড়া মানুষ আমার সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। মানুষটাকে চেনা চেনা মনে হচ্ছিলো। আমি একটু দ্রুত হেঁটে তাঁর সামনে যেতেই তাঁকে চিনতে পারলাম। তিনি আমার প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক!
আমি মানুষটার পা ধরে সালাম করে আমার পরিচয় জানাতেই তিনি আমাকে বুকে জরিয়ে ধরলেন। তারপরে, বললেন- "আমি আসলে তোমার চেহারা মনে করতে পারছি না! তুমি কেমন আছো? কি করছো এখন?"
আমি তাঁকে জানালাম, ", স্যার, আমি এখন শিক্ষকতা করি। আপনিই আমার অনুপ্রেরণা!"
তিনি হাসলেন। বললেন- "আমার কোন কাজটি তামকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে শিক্ষক হত্যে?"
আমি বললাম, "স্যার, আমি যখন ক্লাস ফাইভে পড়ি, আমার এক বন্ধু একটি দামী ঘড়ি নিয়ে এসছিলো ক্লাসে। ঘড়িটি দেখে আমার খুব লোভ হোয়। টিফিন টাইমে আমি তাঁর ব্যাগ থেকে ঘড়িটি চুরি করি।
পরবর্তীতে, আমার বন্ধু যখন আপনার কাছে তাঁর ঘড়ি হাঁরিয়ে যাওয়ার কথা নালিশ করে, আপনি ক্লাসের দরজা বন্ধ করে আমাদের সবাইকে ঘড়ি ফেরত দিতে বলেছিলেন। তারপরও, আমি সেই ঘড়ি ফেরত দেই নাই।
তখন আপনি আমাদের সবাইকে চোখ বন্ধ করতে বলে আমাদের সবার পকেট একে একে সার্চ করেন। এক পর্যায়ে, আমার পকেটে ঘড়িটি পেয়ে আপনি আমার বন্ধুকে সেই ঘড়ি ফেরত দেন। কিন্তু, আশ্চর্যের বিষয়, সেদিন আপনি আমাকে কিচ্ছু বলেন নাই! আমার নামটিও কাউকে বলে দেন নাই!
এরপরে থেকে আমি সিদ্ধান্ত নিই যে, আমি বড় হয়ে শিক্ষক হবো। আপনার সেই দিনটার কথা মনে আছে, স্যার? এবারে নিশ্চয় আপনি আমাকে চিনতে পারছেন?"
আমার কথা শুনে আমার স্যার মৃদু হাসলেন। তারপরে, বললেন, "আমার সেই দিনটার কথা মনে আছে, বাবা! কিন্তু, তোমাকে আমি এখনো চিনতে পারছি না, কারণ, যেদিন তোমার পকেটে আমি হাত দিয়ে ওটা খুঁজে পাই, তখন তোমাদের মতো আমার চোখও বন্ধ ছিলো!"
১১ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:১৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমাদের ব্লগারদের কেউ কেউ খুব ভালো শিক্ষক।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
২| ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:১৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
সত্যি ঘটনা?
৩| ১২ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০০
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: এমন শিক্ষকের দেখা পাওয়া খুবই দুষ্কর! তবে দুয়েকজন যে নাই তা তো নয়।
৪| ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: শিক্ষনীয় ঘটনা, প্রকৃত শিক্ষকদের এমনই হওয়া উচিৎ।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:১০
অধীতি বলেছেন: শিক্ষকতার এই গুণগুলো ধীরে ধীরে লোপ পাচ্ছে। আগে শিক্ষাদেবার জন্যই শিক্ষক হতো এখন সরকারী চাকরি আর বেতনের কল্যাণে শিক্ষক হয়।