নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সামাজিক ব্যবসার ধারণা: "সাংবাদিক নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার ফাউন্ডেশন"

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:২৭



ডয়চে ভেলে আজ একটি নিরাপত্তা পেতে বিচারহীনতার সংস্কৃতির ইতি চান সাংবাদিকরা শিরোনামে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, যাতে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের অবস্থা তুলে ধরা হয়। তাতে লেখা হয়েছে - বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতের কথা বললেও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকি কাটেনি৷ সাংবাদিকদের উপর হামলা হচ্ছে৷ এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে বিচারহীনতা দীর্ঘ সংস্কৃতির ইতি চান বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা। এই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আমি একটি সামাজিক ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে লিখেছি।

মিশন:
বাংলাদেশের সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, তাদের উপর সংঘটিত আক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া এবং দীর্ঘমেয়াদে একটি ন্যায়বিচার-নির্ভর গণমাধ্যম ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
================================================
১. ব্যবসার কাঠামো ও কার্যক্রম:
এই সামাজিক ব্যবসাটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম হবে, যেখানে সাংবাদিকদের জন্য আইনি সহায়তা, প্রশিক্ষণ এবং নিরাপত্তা সেবা নিশ্চিত করা হবে।

(ক) মূল কার্যক্রম:

আইনি সহায়তা কেন্দ্র:

>সাংবাদিকদের উপর হামলা বা হয়রানির ঘটনায় বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদান।
>মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবীদের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করা।
>সংক্ষিপ্ত সময়ে মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করা।

নিরাপত্তা ও ঝুঁকি প্রশিক্ষণ:

>সাংবাদিকদের নিরাপত্তা সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।
>ডিজিটাল নিরাপত্তা ও সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত ওয়ার্কশপ আয়োজন।

ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং তহবিল:

>সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করার জন্য অর্থায়ন।
>ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশের সহায়তা।

২৪/৭ ইমার্জেন্সি হেল্পলাইন:

সাংবাদিকদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য হেল্পলাইন, যেখানে তারা হুমকি পেলে তাৎক্ষণিক সাহায্য পেতে পারেন।

নিরাপত্তা সরঞ্জাম প্রদান:

মাঠপর্যায়ের সাংবাদিকদের জন্য বডি ক্যামেরা, হেলমেট ও অন্যান্য নিরাপত্তা উপকরণ প্রদান।
================================================
২. ব্যবসার মডেল:
এই সামাজিক ব্যবসাটি "Non-Profit, Sustainable Model" অনুযায়ী পরিচালিত হবে, যেখানে আয়ের উৎস তৈরি করে সাংবাদিকদের সুরক্ষা প্রদান নিশ্চিত করা হবে।

================================================

(ক) আয়ের উৎস:

১) সদস্য ফি:
সাংবাদিক ও সংবাদ সংস্থাগুলো নির্দিষ্ট ফি প্রদান করে সদস্য হতে পারবে।

২) গ্লোবাল অনুদান ও ক্রাউডফান্ডিং:
আন্তর্জাতিক মিডিয়া সংস্থা ও মানবাধিকার সংস্থার মাধ্যমে অনুদান সংগ্রহ।

৩) সাধারণ জনগণের কাছ থেকে অনুদান সংগ্রহের জন্য একটি "Crowdfunding Platform" চালু করা।

৪)কর্পোরেট স্পন্সরশিপ:
বড় বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানকে সামাজিক দায়বদ্ধতা (CSR) প্রকল্পের আওতায় অনুদান দিতে উৎসাহিত করা।

৫) প্রশিক্ষণ ও সেমিনার ফি:
সাংবাদিকদের নিরাপত্তা প্রশিক্ষণের জন্য মিডিয়া হাউজগুলো থেকে অর্থ সংগ্রহ করা।

৬) গবেষণা ও তথ্য বিশ্লেষণ সেবা:
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য গণমাধ্যম-সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করে অর্থ উপার্জন।

================================================
প্রযুক্তিগত বাস্তবায়ন পরিকল্পনা:

ক) একটি অ্যাপ ও ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট:
>সাংবাদিকরা যদি কোনো হুমকি পান, তাহলে তারা সরাসরি রিপোর্ট করতে পারবেন।
>জরুরি আইনি সহায়তা ও হেল্পলাইন সুবিধা থাকবে।

খ) AI-ভিত্তিক মনিটরিং সিস্টেম:
সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম পর্যবেক্ষণ করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঘৃণাত্মক প্রচারণা ও হামলার তথ্য সংগ্রহ করা।

গ) ডিজিটাল ফান্ডিং প্ল্যাটফর্ম:
অনলাইন অনুদান ও সাবস্ক্রিপশন মডেলের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা।
================================================
৪. বিতরণ ও প্রসারের কৌশল:

ক) সাংবাদিক ইউনিয়ন ও মিডিয়া হাউজের সাথে পার্টনারশিপ
খ) সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ও ডিজিটাল ক্যাম্পেইন
গ) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি
ঘ) সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সমর্থন সংগ্রহ
================================================
৫. প্রত্যাশিত প্রভাব:

ক) সাংবাদিকদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি হবে।
খ) মিডিয়া সেক্টরে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে।
গ) অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা আরও জোরদার হবে।
ঘ) জনগণ সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে আরও সচেতন হবে।
================================================
উপসংহার:
এই সামাজিক ব্যবসাটি কেবল সাংবাদিকদের সুরক্ষা দেবে না, বরং দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সাংবাদিকদের উপর হামলা বন্ধ করতে হলে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করতে হবে এবং এটি সম্ভব হবে যদি সাংবাদিকরা আইনি সুরক্ষা ও নিরাপত্তা পান। "সাংবাদিক নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার ফাউন্ডেশন" সেই লক্ষ্যেই কাজ করবে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো উদ্যোগ। সফল হোক।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৩০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



ধন্যবাদ নিরন্তর। :)

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৯

মেঘবৃষ্টির গল্প বলেছেন: অবশ্যই ভালো উদ্যোগ।

যথার্থ বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৩০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:১৩

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: ভালো উদ্যোগ।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৩০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.