নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমার মনে বিষ আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ঔষধ বিষ দিয়েই তৈরী হয়!

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি এখন আর কারো কাছে হাত পাতি না

০১ লা জুন, ২০২৫ সকাল ১১:১১



দেশে নিম্ন আয়ের মানুষদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ভিক্ষুকরা তাদের মাঝে অন্যতম। এক কথায় বললে, নিকট ভবিষ্যতে মানুষের কাছে হাত পাতা মানুষের সংখ্যা আরো বাড়বে। আমি এই ধরণের মানুষদের নিয়ে অনেক ধরণের স্টাডি করার চেষ্টা করছি। তারা কেন হাত পাতে, কিভাবে পাতে, কোন সময়টায় ভিক্ষার জন্যে উপযুক্ত ইত্যাদি। দৈনিক ইনকিলাব লিখেছে - মূলস্ফীতি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি, আয় কমে যাওয়া, কর্মহীন হয়ে পড়া, ব্যবসায় পুঁজি হারানোসহ নানা কারণেই বেড়েছে ভিক্ষাবৃত্তি।

নবীজি সক্ষম মানুষদের হাত পাতা পছন্দ করতেন না। তিনি একবার মানুষকে কাজ করে খাওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। তাই, আমিও মানুষের কাছে হাত পাতা পছন্দ করি না। যদিও জীবনে বেশ কয়েকবার নিকট আত্মীয়দের কাছে চাকরীর জন্যে অনুরোধ করেছিলাম। তাঁরা আমার জন্যে চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু, হয় নাই।

একবার সিটি সেল কোম্পানিতে রেফার করলেন আমার মামা। তারা আমার ইন্টার্ভিউ নিতে রাজি হলো। প্রথম দুটি ইন্টার্ভিউ খুবই ভালো হলো। টিকে গেলাম। ফাইনাল তৃতীয় ইন্টার্ভিউয়ের সময়ে কি যে হয়ে গেলো! তারা আমাকে নিলো না। আমার মামা বললেন যে, তারা হিযবুত তাহরীর করতাম এটা জেনে গিয়েছে। এমন কাউকে তারা নিবে না। আরেকবার, আরেকটি ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানিতে এরকম ফাইনাল ইন্টারভিউ হওয়ার পরে, তারা জানালো আমাকে নিবে না। এরকম বেশ কয়েকবার হওয়ার পরে আমি খুব হতাশ হয়ে পেলাম। তবে, বুঝলাম। এসব জায়গায় চাকরী না হয়ে ভালোই হয়েছে। রেফার করা জব হলে, পরে আত্মীয়রাই এই নিয়ে কথা বলতো। আর, নিজের মাঝেও অপরাধবোধ কাজ করতো।

একটা ঘটনা বলে শেষ করছি।

ছোটবেলায়, রমজান মাসে, তারাবী পড়ে বের হয়েছি। আমাদের এলাকায় আতরের ব্যবসা করতেন মিনহাজ ভাই। আতরের ব্যবসা মানে, ঝোলায় করে আতর নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। যখন পকেট খালি হতো, তিনি আতর বের করে বিক্রি করতেন। প্রথম প্রথম মিনহাজ ভাইকে নিয়ে আমরা ছোটরা অনেক কানা-ঘুষা করতাম। কারণ, তিনি হাত ছেড়ে নামাজ পড়তেন।

মিনহাজ ভাই আমাকে খুব পছন্দ করতেন। আমি ইসলাম নিয়ে এটা ওটা প্রশ্ন উনাকে জিজ্ঞাসা করতাম। প্রথমবার আমার সাথে যেদিন মসজিদের বাইরে দেখা হয়, তিনি আমাকে আতর দিতে চাইলেন। তারপরে বললেন, সামনে হাত পাতো। আমি আতর ঢালছি। আমার হাত পাততে খুবই লজ্জা হচ্ছিলো। আমিই কোথায় যেন শুনেছিলাম, নবীজী কারো সামনে হাত পাতেন নাই। আবার, মিনহাজ ভাইয়ের মতো গুরুজনের কথা ফেলি কিভাবে! তাই, আমি হাতের তালু ঈষৎ বাঁকা করে তাঁর দিকে বাড়িয়ে দিলাম। মিনহাজ ভাই আবার বললেন, হাত পাতো। আমি ঐ অবস্থায় দাঁড়িয়ে রইলাম, আগের মতোই হাত একটু বাঁকা করে। তিনি আমার হাত ধরে তাতে কয়েক ফোঁটা আতর ঢেলে দিলেন। তারপর বললেন- তুমি এই হাত কাউকে দেখাবে না। তোমার এই হাত কারো কাছে পাতার জন্যে নয়।

এই বলে তিনি একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে চলে গেলেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



মিনহাজ ভাই জ্ঞানী ব্যক্তি। তিনি আপনাকে ঠিকভাবেই মূল্যায়ন করতে পেরেছিলেন। আল্লাহ তাআ'লা আপনার মঙ্গল করুন।

০২ রা জুন, ২০২৫ রাত ২:৫১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:





ধন্যবাদ, ভাই। শুভেচ্ছা নিরন্তর।

২| ০২ রা জুন, ২০২৫ রাত ৩:১৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



কিছুদিন আগে আপনি ব্লগে অসম্পূর্ণ একটি সিভি দিয়েছিলেন। আপনি সিভি দিয়ে কি করতে চাইছেন, চাকরি নাকি ব্যবসার জন্য সিভি প্রয়োজন?

৩| ০২ রা জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: টাকার প্রয়োজন হলে বয়স্ক কিন্তু ধনী মহিলাকে বিবাহ করে, আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়া যায়। মানে একের অধিক বিবাহ করা ভালো। কিন্তু হাত পাতা ভালো নয়। যখন মানুষের কাছে টাকা থাকে না। তখন মানুষ হাত পাতে। কেউ শখ করে হাত পাতে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.