![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মনে বিষ আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ঔষধ বিষ দিয়েই তৈরী হয়!
বাংলাদেশকে তার পারমানবিক চুল্লি নিয়ে এখনই সাবধান হতে হবে। ইসরায়েল ইতিমধ্যে ইরানের পারমানবিক স্থাপনায় হামলা করেছে, পাকিস্তানকে হুমকি দিয়েছে। ইসরায়েলের পরবর্তী টার্গেট বাংলাদেশ হলে বিচিত্র কিছু নয়। যদি কখনো তা হয়, বাংলাদেশের কি করা উচিৎ?
ইসরায়েল এর আগে ইরাক (১৯৮১) এবং সিরিয়া (২০০৭)-এ পারমাণবিক চুল্লির ওপর আক্রমণ করেছে এবং সম্প্রতি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সাইবার ও সামরিক আক্রমণের ইতিহাসও রয়েছে। যদিও বাংলাদেশ কোনও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে নেই, বরং শান্তিপূর্ণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে — তবুও যদি কোনও ভুল ধারণা, জিও-পলিটিকাল সংঘাত বা মুসলিম দেশ হিসেবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে বাংলাদেশকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়, তাহলে এর জবাবে করণীয় কী হতে পারে?
বাংলাদেশের করণীয়:
১) প্রতিরক্ষা কৌশল হালনাগাদ ও প্রস্তুত করা
রূপপুর প্রকল্পের মতো কৌশলগত স্থাপনাগুলোর জন্য বিশেষ বিমান-বিধ্বংসী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে।সামরিক গোয়েন্দা এবং সাইবার নিরাপত্তা ইউনিটকে শক্তিশালী ও আধুনিকায়ন করতে হবে। আকাশ প্রতিরক্ষা (air defense radar + missile systems) উন্নত করতে হবে। রাশিয়া, চীন বা অন্যান্য দেশ থেকে সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।
২) জাতীয় কূটনৈতিক কৌশল পুনর্বিন্যাস
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA)-র সরাসরি নজরদারিতে থাকা প্রকল্প হিসাবে রূপপুরকে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ প্রকল্প হিসেবে বারবার তুলে ধরতে হবে।
মধ্যপ্রাচ্য এবং মুসলিম দেশগুলোর সাথে কূটনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলা এবং ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (OIC)-তে শক্ত অবস্থান নিতে হবে।
ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক না থাকলেও, কূটনৈতিক মাধ্যমে তৃতীয় দেশগুলোর মাধ্যমে বার্তা পাঠানো (ব্যাকডোর ডিপ্লোম্যাসি) প্রয়োজন।
৩) গোয়েন্দা ও সাইবার নজরদারি
বাংলাদেশে military-grade cyber surveillance ও early warning systems স্থাপন করা জরুরি। পারমাণবিক প্রকল্পগুলোর ডিজিটাল সিস্টেমকে firewall, air-gap ও AI-based threat detection দিয়ে সুরক্ষিত করতে হবে।
৪) জনগণকে সচেতন করা, আতঙ্ক নয়
জনগণের মধ্যে আতঙ্ক না ছড়িয়ে, সচেতনতা বাড়াতে হবে যে এটি একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার বিষয়। প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির সাথে সাথে দুর্যোগ প্রস্তুতি ও মহড়া পরিচালনা করা যেতে পারে — যেন সম্ভাব্য বিপর্যয়ে ক্ষয়ক্ষতি কমানো যায়।
৫) আন্তর্জাতিক সংহতি গড়ে তোলা
IAEA, UN, BRICS, NAM সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জোটে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ ও প্রযুক্তিনির্ভর উদীয়মান দেশ হিসেবে তুলে ধরতে হবে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে।
উপসংহার:
বাংলাদেশের মতো উদীয়মান উন্নয়নশীল দেশকে অবশ্যই স্মার্ট, কৌশলগত ও শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকতে হবে। তবে আত্মরক্ষার পূর্ণ প্রস্তুতি ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না। যদি কোনদিন আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকায় কেউ — তবে আমাদের কূটনীতি, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা ও ঐক্যের বলেই হতে হবে সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
২| ২২ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৩১
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এই দেশে কেউ আক্রমণ করবে না।
৩| ২২ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৩৭
ঊণকৌটী বলেছেন: শান্তির পথে চলেন, কেউই আসবে না এই দেশের উপরে আক্রমণ করতে কেননা কি আছে এই দেশে কিসের লাভে আসবে?
৪| ২২ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৪৬
ফারমার২ বলেছেন:
আপনার জ্ঞানগর্ভ উপদেশের জন্য ধন্যবাদ; আশাকরি, আপনার পোষ্টটাকে জাতীয় পর্যায়ের দরকারী ডকুমেন্ট হিসেবে সামু ড: ইউনুসকে ও ব্লগার না'হল তরকারীকে পাঠাবেন।
আরেকটি ব্যাপার, ইহুদীরা ইরাক ও ইরানের অনেক এটোমিক থিংক ট্যাংকদের ধরে নিয়ে গেছে। আমরা কি শেখ হাসিনার লোকজনকে বলবো আপনাকে গুম করার ছলে আয়না ঘরে লুকিয়ে রাখতে?
৫| ২২ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৫০
ঊণকৌটী বলেছেন: ধংস চিত্র ইরানে ইরান যদি শান্তি প্রিয় দেশ হতো তবে এই দৃশ্য দেখতে হতো না দেখে শিক্ষালাভ করেন|https://www.youtube.com/live/4rMHy3jmrIg?si=kRYaZrFOl0HxQryY
৬| ২২ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৫২
ঊণকৌটী বলেছেন: ইরানের 14 টা বাজিয়ে দিচ্ছে ইসরাইল
৭| ২৩ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:০০
ঊণকৌটী বলেছেন: যা দেখলাম ইরানের জন্য নরকের দরজা খুলে দিয়েছে ইসরাইল
৮| ২৩ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:০৪
Akasher tara বলেছেন: ইসরাইল ইরানের হাতে ধ্বংস হবে
৯| ২৩ শে জুন, ২০২৫ রাত ৩:০২
ফারমার২ বলেছেন:
আপনার সব বিষয়ে অনেক নলেজ থাকায় আপনি কোনদিন চাকুরী পাননি। বিদ্যুৎ উদপাদনের জন্য কেহ ইউরিনিয়ামকে "এনরিচমেন্ট করে না", তাপ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করে।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:২০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশে কি আছে না আছে আমেরিকা সব জানে। ভয়ের কারণ নাই ।