নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমার কাছে অনেক আইডিয়া আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সব কিছুর মূলে রয়েছে আইডিয়া!

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন সৎ সেনা অফিসারের জবানবন্দি

২৩ শে জুন, ২০২৫ রাত ১০:৪৫

আমি তখন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে ডেপুটেশনে সেখানে আমাকে ২০১৩ সালে নিয়োগ দেওয়া হয়। গিয়ে দেখলাম, দূর্নীতির এক আখড়া বানিয়ে রাখা হয়েছে সিটি কর্পোরেশনকে। একটা ঘটনা বলি।

তখন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কচুরিপানা পরিষ্কারের জন্যে ২ কোটি টাকা বাজেট ছিলো। কাজ এলাকাগুলোর জলাশয়গুলোর কচুরিপানা শুধু পরিষ্কার করা। আমি ভেবে দেখলাম, শুধু এই কাজের জন্যে এতো টাকা খরচ হয়! আমি সরিজমনে মাঠ পরিদর্শনে বের হলাম। গিয়ে দেখি যেসব শ্রমিক কচুরিপানা পরিষ্কার করেন, তাদেরকে দিনে মাত্র ৩০০ টাকা দেওয়া হয়। আমি বললাম যে, এখন থেকে তাদের মজুরি ৬০০ টাকা। তারপরও, সব জলাশয়ের কচুরিপানা পরিষ্কার করতে মাত্র ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হলো। প্রায় ১.৫ কোটি টাকা বেঁচে গেলো!

তা দেখে, আমার কাছে প্রস্তাব আসলো যে, আমি যেন ১ কোটি নিয়ে বিল করি আর বাকি ৫০ লক্ষ টাকা কর্মকর্তা - কর্মচারীদের মাঝে বিলিয়ে দেই! আমি সাথে সাথে প্রস্তাবটা রিজেক্ট করে দিয়ে যারা এমন প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলো তাদের বিরুদ্ধে উপর মহলে রিপোর্ট করি।

এরপরে, ঠিক কলাম, ঐ বেঁচে যাওয়া দেড় কোটি টাকা দিয়ে মশা মারার ফগার মেশিন কিনবো। এর আগে কোরিয়ান ফগার মেশিন কেনা হতো। মাত্র ৪০০০০ টাকার মেশিন ৯০০০০ টাকা দিয়ে কেনা হয়! এরপরে কিছু দিনের মাঝে সেসব ফগার মেশিন নষ্ট হয়ে যায়। আমি ঠিক করলাম ফ্রান্স থেকে 'জি টু জি' প্রক্রিয়ায় উন্নত ফগার মেশিন কিনবো। কোরিয়ার অকেজোগুলো দিয়ে চলবে না। আর, টেন্ডার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিলাম।

আমাকে সরানোর জন্যে কর্মাচারীরা এক জোট হয়ে গিয়েছিলো। আমি যে ১ বছর সেখানে ছিলাম, ঢিট করে দিয়ে এসেছিলাম পুরো প্রতিষ্ঠানকে।

======
ব্রিগেডিয়ার ডাঃ আফজালুর রহমান-এঁর কাছ থেকে আজ শোনা এই জবানবন্দিটি
================================================

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:০৬

কাঁউটাল বলেছেন: মাঝে মাঝে মনে হয় এদেশকে ঠিক করতে হলে তালেবানী শাসন লাগবে। শয়তানদের কল্লা না কাটলে এই দেশ ঠিক হবে না।

২৩ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৪৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




আরেক দিন বাংলাদেশের ভূমি অফিসের কাহিনী শোনাবো।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

২| ২৪ শে জুন, ২০২৫ ভোর ৪:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


বাংলাদেশে সৎ অফিসারও আছে!

২৪ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৯:২৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



সিটি কর্পোরেশনের সেই সময়ের কিছু কর্মকর্তা কর্মচারী অসৎ ছিলেন।

৩| ২৪ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৯:২৯

অপলক বলেছেন: এ রকম মানুষ বেঁচে থাক...আরও দ্বায়িত্ব দেয়া হোক।

২৪ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৩১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



তিনি অসতদের মাঝে সততার উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।

ধন্যবাদ।

৪| ২৪ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৩৩

রাসেল বলেছেন: বাংলাদেশে সৎ মানুষ আছে, তবে অসৎ মানুষের বর্ণচোরা লেবাস এবং গলার জোর বড় হবার কারণে সৎ মানুষ কাজ করার সুযোগ পায় না।

২৪ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৩৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



সৎ মানুষদের নিজেদের কাজ করতে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।

ধন্যবাদ।

৫| ২৪ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৩২

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: স্বাধীনতার পর দেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে হারামখোর আমলা আর বেজন্মা ব্যবসায়ী নামের দুনীতিবাজেরা । আল্লাহ্ যদি ইরানের মতো একটা সরকার এই দেশে দিতেন , ধরা পড়া মাত্র ফাসি । তাহলে আর আর এসব হতো না ।

২৪ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৪৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



ইরানের মতো কেউ আসলে, আমেরিকা আক্রমণ করবে।

আপনি কি তা-ই চান?

৬| ২৪ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:০৭

আহমেদ রুহুল আমিন বলেছেন: বাংলাদেশে পাবলিক সেবা প্রতিষ্ঠান গুলোর ৯৯% দূর্নীতি গ্রস্থ । দূর্নীতিবাজদের চোখে এই সৎ সেনা অফিসার ছিলেন চক্ষুশুল । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমন অফিসারকে পদে পদে হয়রানী বা বিপদের সম্মুখিন হতে হয় । পরবর্তীতে একজন সৎ অফিসারকেই হার মেনে চাকুরী ছাড়তে বা নিরাপদ জায়গায় বদলী নিতে হয় । সাম্প্রতিক সময়ে সচিবালয়ের কর্মচারীদের আন্দ্লেনই বলে দেয় যে বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড় । বিষয়টি যে কি পরিমাণ দুঃখজনক এবং এই অবস্থার কোনদিন পরিবর্তন হবে কিনা কে জানে ..!

২৪ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৪৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



উনার মতো কয়েকজন দাঁড়িয়ে গেলে অসৎরা পালানোর পথ পাবে না।

ধন্যবাদ।

৭| ২৪ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০৮

রাসেল বলেছেন: সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: স্বাধীনতার পর দেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে হারামখোর আমলা আর বেজন্মা ব্যবসায়ী নামের দুনীতিবাজেরা।

হারামখোর আর বেজন্মা হিসাবে রাজনীতিবিদদের নাম সবার আগে বিবেচনা করা যেতে পারে।

২৪ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




রাজনীতিবিদদের সাহায্য করেছে আমলা আড় ব্যবসায়ীরা।

৮| ২৫ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: শ্যাইয়ান ভাই আপনাকে সত্য কথা বলি- ঘুষ খাওয়ার সুযোগ থাকলে আমি ঘুষ খেতাম। কিন্তু বিশ্বাস করেন ঘুষের টাকা আমি বা আমার পরিবারের জন্য করচ করতাম না। দরিদ্রদের মাঝে বিলিয়ে দিতাম। রবিনহুড টাইপ টাইপ ব্যাপার আর কি।

২৫ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




বলেন কি!!!

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.