![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মনে বিষ আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ঔষধ বিষ দিয়েই তৈরী হয়!
বর্ষা মৌসুম। বাংলাদেশের কোন একটি শহরের ছুটির দিন আজ! মেঘলা আকাশের ফাঁক দিয়ে উকি-ঝুকি মারা সূর্যের আলো বৃষ্টি ভেজা মাটি স্পর্শ করছে মাঝে মাঝে। চারদিকে এক নিবিড় আবেশ। তারই মাঝে শরীফ তার বুড়ো বাবাকে নিয়ে বাড়ির সামনের বাগানে বসে আছে। হাতে আজকের খবরের কাগজ। বাবা'র দিকে খুব একটা খেয়াল নেই। অফিসের ছুটি উপভোগ করছে।
এরই মাঝে ছোট্ট একটি চড়ুই সামনের বাগানের একটি গাছে এসে বসলো। বাবার চোখ সেদিকে যেতেই বলে উঠলেন- ''ওটা কি?''
ছেলের সন্ধানী চোখ এদিক-সেদিক তাকিয়ে খুজতে লাগলো কিসে বাবা'র চোখ পড়েছে। সে দেখতে পেলো বাবা একদৃষ্টে একটি চড়ুই-এর দিকে তাকিয়ে আছেন। শরীফের ছোট্ট উত্তর- ''ওটা একটা চড়ুই, বাবা।''
বাবা তবু চড়ুটি'র দিকে তাকিয়ে রইলেন। আবারো আনমনে জিজ্ঞাসা করলেন- ''ওটা কি?''
আফজাল সাহেবের বড় ছেলে এবারে একটু 'বিরক্ত হয়ে বললো- ''বললাম তো, বাবা। এটা একটা চড়ুই।''
বাবা বললেন- ''ও, আচ্ছা!''
চড়ুইটি উড়ে গেলো। বুড়ো বাবা এদিক-সেদিক তাকায়ে কি যেন খুজতে লাগলেন। এবারেও তার চোখে পড়লো আর একটি পাখি। এটাও একটি চড়ুই।
আফজাল সাহেব অবাক হয়ে বললেন- ''তি নাফ তো, ওটা কি?''
চড়ুইটি'র দিকে চোখ পড়তেই চরম বিরক্ত হলো ছেলে। চিৎকার করে উঠলো- ''চড়ুই, এটা একটা চড়ুই......চ---ড়ু----ই।''
তারপরও তিনি আবার জিজ্ঞাসা করে বসলেন- ''ওটা কি?''
প্রচন্ড রেগে গেলো শরীফ।
''এমন করছো কেন, বাবা! তোমাকে হাজার বার বলেছি এটা একটি চড়ুই। তুমি কি এটা বুঝতে পারছো না!'' ধমকে উঠলো ছেলেটি।
বাবা উঠে পড়লেন। হাঁটা দিলেন বাড়ির দিকে।
''কই যাও?''
বাবা বললেন- ''একটু বসো। আমি আসছি।''
কিছুক্ষণ পরেই তিনি ফিরলেন। হাতে একটি ডায়েরী ধরা। তা থেকে একটি বিশেষ দিনের নোট খুজে বের করে জলদ গম্ভীর স্বরে ছেলেকে বললেন, ‘’পড়ো, জোরে।‘’
আফজাল সাহেব লিখেছেন,
"আজ আমার বড় ছেলে তিন বছরে পা দিয়েছে। তাকে নিয়ে পার্কে গিয়েছিলাম, বেড়াতে। সবুজ-শ্যামল সেই পরিবেশে চারদিকে শীতের পাখির মেলা বসেছে। সেগুলোর দিকে না তাকিয়ে তার নজর পড়লো ছোট্ট একটি চড়ুই পাখির দিকে!
শরীফ পড়ে চলেছে, বাবা লিখেছেন-
"আমার ছেলে আমাকে ২১ বার জিজ্ঞেস করলো- ‘’ওটা কি?’’ আমি প্রতিবার আমার ছোট্ট অবুঝ ছেলেকে আদরের সাথে জড়িয়ে ধরে উত্তর দিলাম, ‘’ওটা একটি চড়ুই, বাবা।‘’
আফজাল সাহেব হাসলেন। বুড়ো বয়সের ধূসর হয়ে আসা স্মৃতি’র ভান্ডারে এ যেন এক মণী-মানিক্য!
চোখ ছলছল করে উঠলো কোন বড় চাকুরে করা শরীফের। এক হাতে জড়িয়ে ধরলো বাবাকে। গালে চুমু দিয়ে তাঁর মাথা নিজ মাথায় ঠেকিয়ে বসে থাকলো। কান্নার দমকে বুজে আসা গলা দিয়ে কোন স্বর বেরোলো না।
সামনের গাছে বসা চড়ুইটি উড়ে কোথায় যেন চলে গেলো। কিন্তু, পেছনে রেখে গেলো স্বর্গীয় এক পরিবেশ।
=======
শর্ট ফিল্ম 'তি নাফ তো' অবলম্বনে
=====================
১১ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:০০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
শর্ট ফিল্মতা দেখবেন, প্লিজ।
চোখে পানি চলে আসার মতো!
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
২| ১০ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:৫৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বাহ্ !
১১ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:০১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
শর্ট ফিল্মটা সত্যিই দারুণ!
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৩| ১০ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:২০
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর এবং চমৎকার।
১১ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:০৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
রাজীব ভাই, শর্ট ফিল্মটা দেখবেন, প্লিজ। গ্রীক হওয়ায় সাব টাইটেল দেখে বুঝতে হয়। দারুণ শিক্ষণীয় একটি ফিল্ম।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:৪২
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: আসম্ভব সুন্দর ।