![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মনে বিষ আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ঔষধ বিষ দিয়েই তৈরী হয়!
যুক্তরাষ্ট্র যে নতুন পাল্টা ট্যারিফ বা প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করছে, তার পেছনে শুধুমাত্র চীন নয় — আফ্রিকা ও ইউরোপের কিছু দেশের অনৈতিক বাণিজ্য চর্চাও ভূমিকা রাখছে। নিচে আফ্রিকা ও ইউরোপের কিছু নির্দিষ্ট অনৈতিক চর্চা তুলে ধরা হলো, যেগুলোর কারণে আমেরিকা পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে:
আফ্রিকার দেশগুলোর অনৈতিক বাণিজ্য চর্চা:
জোরপূর্বক শ্রম এবং শ্রম অধিকার লঙ্ঘন
কিছু আফ্রিকান দেশে বিশেষ করে পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় শিশুশ্রম, জোরপূর্বক শ্রম ও শ্রমিকদের অধিকার হরণের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন হয়। এই পণ্যগুলো আমেরিকায় প্রবেশ করলে সেগুলো নৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
উদাহরণ: কোট দিভোয়ার এবং ঘানার কোকো শিল্পে শিশু শ্রমের ব্যবহার।
রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি এবং আমদানি-নিষেধ
অনেক আফ্রিকান দেশ বিদেশি পণ্যের উপর অত্যধিক ট্যারিফ ও কোটা আরোপ করে, যাতে নিজেদের অদক্ষ বা নিম্নমানের পণ্য টিকিয়ে রাখা যায়। কিন্তু তাদের পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশ পায়।
যুক্তরাষ্ট্র একে “asymmetrical trade” বলে অভিযোগ করে।
অবৈধ খনিজ রপ্তানি (Conflict Minerals)
কঙ্গো ও আশপাশের দেশগুলো থেকে অবৈধ খনিজ (যেমন: coltan, tungsten, gold) উত্তোলন করে তা স্মার্টফোন/ইলেকট্রনিকস ইন্ডাস্ট্রিতে সরবরাহ করা হয়। এতে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় এবং দুর্নীতিকে উৎসাহিত করে।
ইউরোপীয় দেশগুলোর অনৈতিক চর্চা:
সবসিডাইজড কৃষিপণ্য রপ্তানি (Agricultural Dumping)
EU কৃষকদের বিপুল ভর্তুকি দেয় এবং সেই কম দামে উৎপাদিত পণ্য বিশ্ববাজারে রপ্তানি করে।
-এতে মার্কিন কৃষকরা চাপে পড়ে এবং বাজার হারায়।
উদাহরণ: ফ্রান্স ও জার্মানির দুগ্ধ ও গম খাত।
প্রযুক্তিতে বৈষম্যমূলক নীতিমালা
EU, বিশেষ করে ফ্রান্স ও আয়ারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর উপর অতিরিক্ত কর (Digital Services Tax) আরোপ করেছে, যাকে আমেরিকা একপাক্ষিক ও বৈষম্যমূলক মনে করে।
Google, Apple, Facebook, Amazon – এদের উপর নির্দিষ্ট করে targeting।
ইউরোপিয়ান কার্বন ট্যাক্স (CBAM)
EU 2026 থেকে Carbon Border Adjustment Mechanism চালু করছে। এর ফলে আমেরিকার ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম, সার, ও বিদ্যুৎ রপ্তানি খাতে বাড়তি শুল্ক বসবে — যাকে যুক্তরাষ্ট্র "পরোক্ষ শাস্তিমূলক শুল্ক" বলছে।
রাশিয়ার বিকল্প বাজার হিসেবে ইউরোপীয় সুবিধা গ্রহণ
EU-এর কিছু দেশ, রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞার কারণে, সস্তায় আমদানি করা তৃতীয় দেশের পণ্যকে নিজের নামে রপ্তানি করে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাচ্ছে — যেটা নিয়মবহির্ভূত ও জালিয়াতিমূলক (Trade Re-routing বা Trans-shipment)।
যুক্তরাষ্ট্র কেন পাল্টা শুল্ক আরোপ করছে বলে মনে করছে?
• বাণিজ্য ভারসাম্য রক্ষা করতে।
• নৈতিক বাণিজ্য রক্ষা করতে।
• নিজেদের শিল্প সুরক্ষায় রাখতে।
• টেক জায়ান্টদের সুরক্ষায়।
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা ট্যারিফ আরোপের পেছনে কেবল অর্থনৈতিক নয়, বরং নৈতিক, কূটনৈতিক ও কৌশলগত কারণ রয়েছে। চীন, ইউরোপ ও আফ্রিকার মধ্যে যারা বৈশ্বিক নিয়ম ভঙ্গ করছে বা প্রতিযোগিতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, তাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.