![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মনে বিষ আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ঔষধ বিষ দিয়েই তৈরী হয়!
অনেকেই বাংলাদেশের সামরিক পাওয়ার নিয়ে কটাক্ষ করেন। অথচ, গত কয়েক দশকের যুদ্ধগুলোতে বাংলাদেশ সব সময়ে জয়ী হয়েছে। শত্রুপক্ষ সে পাকিস্তান হোক কি ভারত, দেশের ভূমি ও জনগণকে রক্ষা করতে বাংলাদেশ কাউকে ছাড় দেয় নাই। আজ এমন একটা যুদ্ধের কথা লিখবো, যা আজও বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর শক্তিমত্তা ও সাহস প্রমাণ করে। যে সম্মুখ যুদ্ধে ভারতীয় বাহিনীর সকল যুদ্ধ-সাধ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।
পটভূমি:
২০০১ সালের এপ্রিল মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশ রাইফেলস (বর্তমানে বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষ দুর্বলভাবে চিহ্নিত আন্তর্জাতিক সীমান্তে ঘটেছিল।
সংঘর্ষের স্থান ও তারিখ:
সংঘর্ষটি মূলত ১৫ ও ১৬ এপ্রিল সিলেট সীমান্তে পাদুয়া এবং ১৯ এপ্রিল পুনরায় পাদুয়া সীমান্তে ঘটে।
সংঘর্ষের কারণ:
বিএসএফ সদস্যরা পাদুয়া গ্রামের ভেতরে প্রবেশ করে এবং সেখানে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীদের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। বিডিআর এ সময় পাদুয়া দখলে নিতে বিএসএফকে হুশিয়ারি জানিয়েছিল। এরই প্রেক্ষিতে বিডিআর ১৫ এপ্রিল ২০০১ রাতে পাদুয়া গ্রাম পুনরুদ্ধার করে এবং সেখানে ৩টি ক্যাম্প স্থাপন করে তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করে। এ গ্রামটি পুনরুদ্ধাারের সময় কোন পক্ষ থেকে গোলাগুলি হয়নি
যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য বিএসএফ পাদুয়া ঘটনার মাত্র তিনদিনের মধ্যে রৌমারী সদর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ী গ্রাম ও ক্যাম্প দখলের অপচেষ্টা চালায়। বিএসএফ’রা ১৬ এপ্রিল দুপুরে বড়াইবাড়ি অপারেশন পরিকল্পনা করে।
তাদের উদ্দেশ্য ছিল মহেন্দগঞ্জ-কামালপুর পাকা সড়ক নির্মাণ সহজ করা এবং বড়াইবাড়ির চার কিলোমিটার অতি উর্বর জমি ভারতীয়দের দখলে আনা। ধুবরী, মহেন্দ্রগঞ্জ, গৌহাটি থেকে রাতেই তিন প্লাটুন ক্যাটস আই কমান্ডো ও দু’শর বেশি অতিরিক্ত বিএসএফ এসে গোপনে অবস্থান নেয় মাইনকারচর ক্যাম্পের আশেপাশে। প্রস্তত রাখে মর্টার, কামান, মেশিনগান ও সাঁজোয়া যান। বাংলাদেশের বড়াইবাড়ি, হিজলামারী, খেওয়ারচর, বিডিআর ক্যাম্পগুলো যেমন দুর্গম তেমনি অনুন্নত।
সীমান্তে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার না থাকায় বড়াইবাড়ী ক্যাম্পের বিডিআর’রা বিএসএফ-এর আক্রমণের প্রস্ততি আগে বুঝতে পারেনি। কিন্তু অতর্কিত ভাবে সেই ১৮ই এপ্রিল কাঁটাতারের বেড়ার মাঝে পূর্ব অংশের গেট দিয়ে রাত ৩টার দিকে ভারতীয় কমান্ডো, সেনা ও বিএসএফ-এর প্রায় চারশত সদস্যের যৌথ-বাহিনী ধানক্ষেতের মাঝ দিয়ে ঢুকে পড়ে বড়াইবাড়ী সীমানায়। শুকিয়ে যাওয়া খাল দিয়ে তারা ক্রস করে এগিয়ে তিনদিক থেকে বড়াইবাড়ী ক্যাম্প আক্রমণের প্রস্ততি নেয়। গেট পেরিয়ে ভারতীয় বাহিনী বিএসএফ বড়াইবাড়ীতে ঢুকে পড়ার দৃশ্যটি দেখে ফেলে ঐ গ্রামের মিনহাজ। সেই দিন ভোর সাড়ে ৩টায় ধানক্ষেতে সেচ দিতে গিয়ে মিনহাজ কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে সারি সারি সৈন্য আসতে দেখতে পায় এবং বিএসএফরা বড়াইবাড়ি ক্যম্পটি কোথায় জানতে চাইলে অন্য একটি বাড়ি দেখে দিয়ে তখনই সে দৌড়ে খবর দেয় বড়াইবাড়ী ক্যাম্পে। সাথে সাথে প্রস্তুতি নিয়ে এবং ওয়্যারলেসে খবর চলে যায় পার্শ্ববর্তী হিজলমারী ও খেওয়ারচর ক্যাম্পে।
সংঘর্ষের বিবরণ:
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর ১৬ জন সৈন্য নিহত হয় এবং বাংলাদেশের তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (এখন বিজিবি) ২ জন নিহত হন। উভয় পক্ষের সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের মাঝে গুলি বিনিময়ের সময় ২ জন জীবিত বিএসএফ সদস্য আটক করা হয়।এছাড়াও, উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বহু সদস্য নিহত হওয়ার পরই পরাজয় স্বীকার করে তারা পিছু হটে।
গুরুত্ব:
এই যুদ্ধটি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এবং পারস্পরিক আস্থার অভাবের একটি উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
সূত্রঃ দৈনিক খবরপত্র
২| ১৪ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:৪৫
ঊণকৌটী বলেছেন: ভারত দয়া করে আসছে | কিন্তু দয়া কে নিজের ক্ষমতা ভাববেন না | বিলিয়ন সাহেব | নিজের ক্ষমতা নিজের আস্থা ভালো কিন্তু অতি আস্থা ভালো না |
৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:৫৫
ঊণকৌটী বলেছেন: বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার এর মালিক আপনে তো এতো সময় পান কই প্যাচাল করার | নাকি সবই vhuya
৪| ১৫ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:০১
ঊণকৌটী বলেছেন: ভারত কে নিয়া না কথা বললে ভালো | নিজেদের সমস্যা নিজেরা শেষ করেন | ভারত আপনাদের বাল বইলা পাত্তা দেয়না |এইটা বুঝেন না গত এক বছরে |
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:২৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ছবিটা একটু দেরীতে দেওয়ার জন্যে দুঃখিত। ছবিতে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সদস্যদের দেখা যাচ্ছে।