নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমার কাছে অনেক আইডিয়া আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সব কিছুর মূলে রয়েছে আইডিয়া!

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"দেশে সেই ব্যাক বেঞ্চারেরাই রয়ে গেছে, তারাই দেশের অগ্রগতিতে ভুমিকা রাখছে"

১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:৩৯

মানুষ তাঁর চারপাশে যা দেখে, তা নিয়েই এগিয়ে যায়। চারপাশে তাকিয়ে যদি দেখে, দেশ ছেড়ে মানুষ চলে যাচ্ছে, তখন সেও দেশ ছেড়ে চলে যেতে চায়। যেমন - আমার সিলেটের বেশিরভাগ মানুষই ছেলেকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিতে চান, মেয়েকে বিলেতে বিয়ে দিতে চান। তাই তো, ঘরের সেরা ছেলেটি দেশের বাইরে চলে যায় - হয় পড়াশোনা করতে অথবা কাজ করে খেতে। নিজের সন্তানদের মাঝে সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটার বিয়ে হয়ে যায় বিলেতি বরের কাছে! এমনই চলছে!

আমার দাদা'র ছেলে-মেয়ে, নাতিপুতিদের বেশিরভাগই থাকেন দেশের বাইরে। লক্ষ্য করে দেখেছি, পরিবারের সবচেয়ে মেধাবী আত্মীয়রাই দেশের বাইরে চলে গিয়েছেন। আমার মতো অমেধাবীরা দেশে ফিরে এসে ধুঁকছেন!

আমার বড় দুই চাচা লন্ডনপ্রবাসী হয়েছেন স্বাধীনতার পরপরই! বড় চাচার ছেলেদের একজন ডাক্তার, আরেকজন ব্যাংকার। মেঝ চাচার দুই ছেলের বর্জন আইটি বিশেষজ্ঞ, আরেকজন ফিল্ম ডিরেক্টর। সেঝ চাচা ছিলেন বাংলাদেশের পদ্মা ওয়েলের রেসিডেন্স ম্যানেজার। তাঁর দুই মেয়েই প্রবাসী - ঢাকা ভার্সিটির গ্র্যাজুয়েট। এরপরে আমার আব্বা যিনি কৃষি ডিপার্টমেন্টে ডেপুটি ডিরেক্টর ছিলেন। তাঁর ৫ ছেলের ৩জনই দেশের বাইরে থাকেন। বাকিরাও যাওয়ার পথে। বাবার দুই ছোট ভাইয়ের একজন মুক্তিযোদ্ধা ও স্থপতি। আরেকজন দেশে থাকতে আমেরিকান একটি কোম্পানীতে জব করতেন। তাঁদের ছেলেমেয়েদের মাঝে -১-জন ছাড়া বাকিরা দেশের বাইরে!

এবারে আসি, ফুফুদের কথায়। বড় ফুফু ছিলেন বেগম সুফিয়া কামালের সহযোগীনী। তাঁর ৪ ছেলে-মেয়েদের মাঝে ২-জন বাইরে থাকেন। মেঝ ফুফুর ৫ ছেলে-মেয়ের সবাই আমেরিকা প্রবাসী। সবাই ইঞ্জিনিয়ার, কারণ আমার মেঝ ফুফা ছিলেন ওয়াপদা'র চেয়ারম্যান। সেঝ ফুফু ডাক্তার। তাঁর ছেলে-মেয়েরাও প্রবাসী। দুইজনের একজন পিএইচডি, আরেকজন ইঞ্জিনিয়ার। বাকি ৩ ফুফুর বাচ্চাদের অনেকেই বিদেশে থাকেন।

এই যখন অবস্থা, বিলেত ফেরত সামান্য একটি মাস্টার্স করা সবার চেয়ে পিছিয়ে পড়া এই আমি দেশে বসে আছি। এইরকম অবস্থা আমার সিলেটের বেশিরভাগ পরিবারেরই! ব্লগার মুঘল সম্রাট ঠিকই বলেছেন। ব্যাক বেঞ্চারেরাই দেশ চালাচ্ছেন।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:৩৩

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: দেশের অগ্রগতিতে সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রাখছে যারা (হয়তো) কোনো বেঞ্চেই বসেনি তারা।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:৪৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



তাঁরা দাঁড়িয়ে আছেন?

ধন্যবাদ নিরন্তর।

২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:৩৩

মোগল সম্রাট বলেছেন:

বাংলাদেশে মেধাকে কাজে লাগানোর কাঠামোই দুর্বল রয়ে গেছে এযাবৎকাল পর্যন্ত। যেদিন আমরা যোগ্যতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করব, গবেষণায় বিনিয়োগ করব, এবং তরুণদের কথা শুনব সেদিন হয়তো মেধাবীরা আর পালাবে না, নিজের দেশেই তারা সম্ভাবনার সোপান তৈরি করবে।

শুভকামনা নিরন্তর।


১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:৪৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




ভাই, আমি মনে করি, যোগ্যতা তৈরি করতে হয়। নিজেকে যারা সঠিক ভাবে গড়ে তুলেন, তাঁরা যে কোন জায়গায় নিজেকে সেট করে নিতে পারেন।

আমার আত্মীয়দের একজন নাসায় আছেন। তাঁর ছোট ভাইদের একজন এম্বাসেডর ছিলেন। আরেকজন ডাক্তার হয়েও কিছু করতে পারছেন না দেশে!!!

ভালো থাকুন নিরন্তর।

৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:২২

সুলাইমান হোসেন বলেছেন: আপনি দেশে পিরে এসে ধুকছেন কেন ভাই।আপনার কি দেশের প্রতি ভালোবাসা নাই নাকি?আমার মতে আপনিই শান্তিতে আছেন।শুভেচ্ছা নিরন্তর

১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:৩২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




আমাকে যখন নিজের নীতি বিরুদ্ধ কাজ করতে হয়, তখন খুব কষ্ট লাগে।

ইনকাম ট্যাক্স অফিসে যখন ন্যায্য ট্যাক্স সার্টিফিকেট উঠানোর জন্যে ঘুষের আবদার শুনতে হয়, তখন কষ্ট লাগে।

ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের জন্যে যখন ঘুষ চাওয়া হয়, তখনো কষ্ট লাগে।

গাড়ির বাইরে ট্রাফিক জ্যামে আটকালে যখন হাতপা-হারা পঙ্গুদের গাড়ির জানালায় ভিক্ষার জন্যে ঠুকতে দেখি, তখন খুব কষ্ট হয়।

নিজের দেওয়া ট্যাক্সের টাকা অপচয় করে সরকারী অফিসারদের যখন সময় অপচয় করতে দেখি, তখন খুবই কষ্ট হয়।

এভাবেই, দিনে দিনে মনে হচ্ছে, ফিরে আসাটা দেশের জন্যে লাভজনক হয় নাই। এরচেয়ে রেমিটেন্স যোদ্ধা হয়ে দেশের আরও বড় ভালো করতে পারতাম।

ভালো থাকুন নিরন্তর।

৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:৫২

রবিন_২০২০ বলেছেন: নিউইয়র্ক যাওয়া পড়লে আপনার বোনের ছেলে মেয়েদের দেখতে যাই। ইলিশ মাছ খেয়ে আসি।
আমি বোধহয় আপনার আত্মীয় স্বজন প্রায় সবার স্ট্যাটাস জানি। আজ শুধু এটুকুতেই থাক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.