নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি শাকিল আমি লেখালেখি করতে অনেক ভালবাসি আমি আমার দেশকে অনেক ভালবাসি

মো:শাকিল হোসেন

আমি শাকিল সহজ সরল

মো:শাকিল হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৃিষ্টি ভেজা বালিকা

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:২২

গল্পঃ বৃিষ্টি ভেজা বালিকা
.
Writer shakil hossain
.
.
শাকিল গাড়ি করে অফিস থেকে বাসায় ফিরছিলো।
হঠাৎ নজরে পড়ল একটা সুন্দরী মেয়ে একাকী বৃষ্টিতে
ভিজতে ভিজতে সামনে এগোচ্ছে।
পড়নে নীল রঙের শাড়ী।
বিষ্টিতে শরীরের অর্ধাংশ ভিজে গেছে।
শাকিল গাড়ি ব্রেক চাপলো।
শব্দ শুনে মেয়েটি তাকালো।
শাকিল ডাকলো- এই মেয়ে শোন।
মেয়েটি ভেজা ঠোটে হলকা হেসে বললো_
.
-কি ব্যাপার বলুন?
-এই শীতের মাঝে এমন করে ভিজছো কেনো?
- না মানে একটা বিশেষ কাজে ছাতা ছাড়া বাইরে
গিয়েছিলাম। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলো।
- তা একটা রিকশা নিলেই পারো।
- এই তো সামনে যাবো। তাই প্রয়োজন মনে করিনি।
- ঠিক আছে গাড়িতে উঠে বস। আমি পৌছে দিবো।
- না তার আর প্রয়োজন নাই। প্রায় এসেই পড়েছি।
- আহ্হা উঠেই বসনা। ভয়ের কারণ নেই।
মেয়েটি উঠে বসলো।
.
.
- কোথায় যাবে বলো।
- এইতো সামনে হসপিটাল এর সামনে।
দেখতে দেখতে গাড়ি যথাস্থানে থামলো।
মেয়েটি গাড়ি থেকে নেমে কিছু না বলে সোজা হাটা
শুরু করলো, তারপর হারিয়ে গেলো।
শাকিল অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলো। এ কেমন অকৃতজ্ঞ
মেয়ে একটা ধন্যবাদ ও দিলো না। বাসায় ফিরে শাকিল
মেয়েটাকে সহজে ভুলতে পারে না। মেয়েটাকে দেখে
ভদ্র মনে হলো কিন্ত সেলফিস।
.
.
পরদিন একই সময় শাকিল গাড়ি চালিয়ে বাসায় ফিরছিলো।
নিন্ম চাপ তখন ও কাটেনি। টিপটিপ বৃষ্টি পরছিলো।
আজও সে গতকালের মেয়েটিকে একই অবস্থায় দেখতে
পেলো।
.
-আরে তুমি আজও ছাতা ছারা কেনো? এভাবে রোজ
ভিজলে শরীর খারাপ করবে তো।
মেয়েটি এবার একটু লজ্জামুখি হয়ে বললো।
- না মানে ভুলে গিয়েছিলাম।
- ওকে গাড়িতে উঠে বস। মেয়ে মানুষ বৃষ্টির দিনে
এভাবে একা চলা ঠিক না।
মেয়েটি গাড়িতে উঠলো।
.
কথায় কথায় গাড়ি যথাস্থানে থামলো।
আজ ও কনো কথা না বলে মেয়েটি হাটা শুরু.....
শাকিল এ বার ডাক দিলো, তুমি তো খুব সেলফিস মেয়ে
পরপর দু দিন লিফট দিলাম আর ধন্যবাদ ও দিলে না।
- ওহ আমি তো ভুলে গেছিলাম আপনাকে ধন্যবাদ দেয়া
হয়নি। মাপ করবেন ধন্যবাদ।
.
কথাটা বলে মেয়েটি চলে গেলো।
শাকিল ঠিক বুঝলো না মেয়ে ঠিক কেমন। পরপর দুদিন লিফট
দেয়ার পর ও যেচে কথা বললো না আর ধন্যবাদ এর কথা
বলতে লজ্জিত না হয়ে মাপ চাইলো।
.
- ইচ্ছে ছিলো আর একটু মেয়েটার সাথে কথা বলা যাবে।
কিন্ত সে গুড়ে বালি। মেয়েটা সুবোধ্য বালিকার মতো
হাটা শুরু করলো।
মেয়েটি সম্পর্কে শাকিল এর কৌতুহল জাগে। মেয়েটার
পরিচয় জানা যেনো আবশ্যক হয়ে পড়লো।
পর দিন শাকিল তারাতারি অফিস থেকে বের হয় সেই
রাস্তায় মেয়েটার জন্য। কিন্ত কয়েক দিন বৃষ্টি পর
রোদের ঝিলিকে কোলাহল রাস্তায় আর মেয়েটাকে
খুজে পেলো না।
.
.
প্রায় দু মাস পর শাকিল আবার সেই মেয়েকে দেখতে
পেলো, কিন্ত মেয়েটার মুখে মলিনতার ছাপ। একটা
ফার্মেসি থেকে কিছু ওষুধ নিয়ে বের হলো। মুখে
মলিনতার ছাপ। শাকিলের পাশে যেতেই ব্যস্ততার ভাব
দেখিয়ে বললো অন্য দিন কথা হবে বায়।
.
শাকিলের মনটা একটু খারাপ হয়ে যায় এতো দিন পর
মেয়েটার দেখা পেলো তবু পরিচয় জানতে পারল না।
মেয়েটার বাসায় নিশ্চই কেউ অসুস্থ আর মেয়েটাই কেনো
ওষুধ কিনতে আসলো ওর বাসায় কী কনো পুরুষ মানুষ নেই
নাকি। শাকিল বিষন্ন মনে গাড়ি চালাতে লাগলো।
.
রাতে শাকিলের চোখে বার বার মেয়েটির মুখ ভেসে
উঠলো। একটা নিষ্পাপ সারল্য মায়াবতী মুখ, কোনো
মলিনতার ছাপ নেই। মেয়েটি সত্যি ভালো লাগার মতো,
বর্তমান শহরে এমন ফ্যাশন ছারা মেয়ে বিরল। কোনো
আধুনিকতার উপস্থিতি মেয়েটির মাঝে নেই। চোখ দুটো
মায়াবী চাহনী। আসলেই মেয়েটির মাঝে আকর্ষণ করার
মত কিছু আছে।
.
দুই মাসের মাঝে মেয়েটাকে একদম ভুলেই গিয়েছিলো।
কিন্ত আজ আবার পূর্বের মত সজীব হয়ে উঠলো।
.
পর দিন সকালে শাকিল একটু তাড়াতাড়ি অফিস যাওয়ার
জন্য তৈরি হলো। অফিসে আজ কয়েকটা ইন্টারভিউ নিতে
হবে। শাকিল বাসা থেকে বেড়িয়ে পড়ল। হঠাৎ দূরে ফাইল
হাতে সিএনজি সামনে সেই মেয়েটিকে দেখলো। শাকিল
এবার গাড়ি নিয়ে মেয়েটির পাশে থামলো।
.
শাকিল মেয়েটিকে ডাকলো।
- এই যে কেমন আছো?
- জি ভালো আপনি কেমন আছেন?
- ভালো। তা দারিয়ে আছো কেনো?
- একটু ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় যাবো।
- তোমার কনো আপত্তি না থাকলে আমি পৌছে দেই।
- না ধন্যবাদ, আপনাকে কষ্ট দিতে চাই না।
- কিন্ত আমি যদি ইচ্ছে করে কষ্ট পেতে চাই?
- মাপ করবেন আমি আপনার সাথে যেতে পারবো না।
- কিন্ত কেন?
-কিছু মনে করবেন না, আমি একটু স্পষ্টবাদী মেয়ে। যারা
ধন্যবাদ পাওয়ার আসায় মানুষের উপকার করে আমি
তাদের পছন্দ করি না।
.
.
শাকিল মাথা নিচ করে ফেলল। এই প্রথম কারো কাছে
এরকম আঘাত পেলো। শাকিল একদিন মেয়েটির কাছে
ধন্যবাদ চেয়েছিলো সে নিজের ভুলটা বুঝতে পারল।
উপকার করে ধন্যবাদ চাওয়াটা ঠিক হয়নি।
.
শাকিল অফিস গিয়ে ইন্টারভিউ নেয়া শুরু করলো। টানা চার
ঘন্টা ইন্টাভিউ পর শাকিল বাসায় যাবার জন্য উঠতে
লাগলো ঠিক তখনই ম্যানেজার টেলিফোন করল।
- স্যার পার্থী আর একজন এসেছে। খুব রিকোয়েস্ট করছে
পাঠিয়ে দিবো?
- শাকিল বিরক্ত ভাবে বলল ঠিক আছে পাঠিয়ে দিন।
.
.
-আসতে পারি স্যার? মিষ্টি একটা কন্ঠ শোনা গেল।
শাকিল মাথা নিচু করে বলল আসুন। মাথা তুলতেই সে চমকে
গেলো, এ তো সেই মেয়ে!
মেয়েটি যেনো ভাষা হারিয়ে ফেলল। রাস্তায় যাকে
অপমান করল সে কিনা তার অফিসের বস। মেয়েটি
লজ্জিত হয়ে চলে যেতে লাগলো।
- কী হলো চলে যাচ্ছ কেন? লজ্জিত হবার কারণ নেই
আমি কিছু মনে করি নাই।
- স্যার আমি জানতাম না আপনি.... স্যার আমাকে ক্ষমা
করে দিন।
- ওকে। আর তখন দোষটা আমার ছিলো।
.
- এখন বলো তুমি কি মিম?
- জি স্যার, কিন্ত আপনি আমার নাম জানলেন কী ভাবে?
- আবেদনপত্র দেখেছি। লেখাটা কি তোমার?
- জি স্যার।
- সত্যি খুব সুন্দর আর নির্ভুল।
মিম একটু হেসে বলল প্রশংসা করে আর লজ্জা দিবেন না
স্যার।
- তবে তোমার প্রশংসা প্রাপ্য।
.
- আচ্ছা মিম তুমি চাকুরী করবে কেন?
- কারণ চাকুরীটা আমার খুব প্রয়োজন।
- খুব প্রয়োজন? কিন্ত কেন?
- স্যার আপনি বুঝেন না একটা মেয়ে কেন ছাতা ছারা
বিৃষ্টি দিনে বের হয়, কেন পায়ে হেটে পথ চলতে হয়
রিকশা ভারা বাচাতে, কেন টিউশনি করাতে হয়..... বলতে
বলতে মিমের চোখ জলে ভরে গেলো।
.
- আমি দুঃখিত মিম।
- আচ্ছা তুমি কি পড়াশুনা করছিলে?
- ঈশ্বরদী মহিলা কলেজ ব্যাবস্থাপনা অনার্স। কিন্ত বাবা অসুস্থ
হওয়ায় সেটা আর শেষ হলো না। সংসারের সব দায়িত্ব
আমার।
- বাসায় আর কে কে আছে?
- একমাত্র অসুস্থ বাবা। বাবাই আমার সব। বাবার
চিকিৎসা জন্য আমাকে এতো পরিশ্রম করতে হয়।
-মিম তুমি কী টাইপ জানো?
- জি স্যার। টাইপ শটহ্যান্ড দুটোই জানি।
- ওকে আজ তাহলে উঠি।
- স্যার আমার ইন্টাভিউ?
- পরশু থেকে তুমি চাকরীতে জয়ন করো!!
মিম আবার একটু ভয়ে ভয়ে বললো স্যার আমার ইন্টাভিউ
নিলেন না।
- টেনশন করো না তোমার চাকরী হয়েছে।
.
.
মিম চাকরীতে যথাদিনে জয়ন করলো। কিন্ত অফিসে এই
সব চেয়ে কম বয়স্ক মেয়ে সে কি না ম্যানেজারের
এসিসট্যান্ট।
সবাই প্রথম দিন দেখে অবাক কিন্ত তরুনী ম্যাডাম পেয়ে
সকলের মনের একটু দোলা খেলো যদি ও কেউ প্রকাশ
করলো না।
.
মিম প্রথমে লজ্জায় কারো দিক তাকাতে পারল না।
হঠাৎ শাকিল অফিসে চলে আসে মিম বুঝতে পারেনা আর ও
দিকে সবাই দারিয়ে শাকিলকে ছালাম দেয়। আর মিম কি
না এখন ও বসে আছে। সবাই অবাক হলো। শাকিল মিমের
কাছে গিয়ে বললো_
- মিম আপনার কি হয়েছে এতো অন্যমুনুুস্ক কেন?
- স্যার আপনি!! কখন আসলেন? না মানে.......
- মাত্র আসলাম। আপনি একটু পর আমার রুমে আসুন।
- জি স্যার।
.
.
একটু পর মিম শাকিলের রুমে গেলো।
- স্যার আসতে পারি?
- হুম আসুন।
- স্যার আপনি আমাকে আপনি করে বলছেন কেন?
- এটা অফিস তাই। আমি তোমাকে তুমি করে বলবো তবে
সবার সামনে নয়।
এবার বলো তোমার বাবা কেমন আছেন?
- জি স্যার ভালো।
- আমি অফিসে বলে দিয়েছি একমাসের অগ্রিম বেতন
নিয়ে যেও।
- জি স্যার।
.
বিকালে অফিস শেষে মিম বাসায় যাবার সময় গাড়ির
জন্য অপেক্ষা করছিলো। এমন সময় শাকিল এসে হাজির।
- চলো আমি পৌঁছায় দিচ্ছি।
- না স্যার, অফিসে সবাই আমাদের নিয়ে কানাঘোসা
করে। এখন আপনার সাথে যাওয়া ঠিক হবে না। কয়েক দিন
পর যাওয়া যাবে।
- ওকে গুড আইডিয়া।
ঠিক আছে তুমি অন্য গাড়িতে চলে যাও।
- জি স্যার, আপনি সাবধানে যাবেন।
- জি ম্যাডাম।
.
.
কয়েক দিন পর।
- মিম একটা কথা বলবো যদি কিছু মনে না করো।
- স্যার এভাবে বলছেন কেন, আপনি যা বলার বলতে
পারেন।
- মিম চলো আজ দুপুরে একসাথে লাঞ্চ করি।
- কিন্ত স্যার....
- কি কিন্ত?
- কিছু না। ওকে স্যার যাবো।
দুজন একসাথে লাঞ্চ করে। শাকিল বাসার মোর পর্যন্ত
পৌঁছায় দেয়।
- স্যার ধন্যবাদ।
- ওটা না দিলে ও হবে। একি কারনে দু বার অপমান হবার
ইচ্ছা নাই।
.
.
পর দিন শাকিল অফিসে গিয়ে দেখে মিমের মন খারাপ আর
চোখ টলমল করছে।
- মিম তোমার কি হয়েছে?
- স্যার বাবা খুব অসুস্থ।
- তাহলে অফিস আসছো কেন?
- স্যার নতুন চাকুরী তাই ভাবলাম.......
- ওকে এখনই বাসায় চলে যাও আগে তোমার বাবা তারপর
চাকুরী। তোমার বাবা সুস্থ হলে তবে অফিসে আসবে।
- জি স্যার।
.
.
পরদিন সকালে মিম অফিসে উপস্থিত।
- কি ব্যাপার মিম তুমি অফিসে কেন? তোমার বাবার
শরীর কেমন?
- স্যার বাবা এখন মুটামুটি সুস্থ, হার্টের রুগী তাই এই সুস্থ
আবার অসুস্থ।
স্যার আপনাকে বাবা যেতে বলছেন।
- তুমি আমার কথা তোমার বাবাকে বলছো?
- জি স্যার, এমন মহৎ মানুষের কথা না বললে কি হয়।
- তুমি একটু বেশি প্রশংসা করে ফেলছো।
- স্যার আপনি যাবেন?
- তুমি বললে আজই যাবো।
.
অফিস শেষে শাকিল মিমকে নিয়ে ওদের বাসায় গেলো।
সুন্দর ছোট একটা বাড়ি। খুব পরিপাটি করে সাজানো।
নিশ্চই মিম সাজিয়েছে। মিম শাকিলকে ওর বাবা রুমে
নিয়ে গেলো।
- আসুন শাকিল সাহেব।
- আসসালামু আলাইকুম।
- ওয়ালাইকুম আসসালাম।
শাকিল মিমের বাবাকে সালাম দিতেই চমকে গেলো !!!
- স্যার আপনি!? আপনি আমাদের সইকত স্যার না?
মিম বললো, স্যার আপনি বাবাকে চিনেন?
- চিনি মানে, আমি উনার ছাত্র।
স্যার আমাকে চিনতে পারছেন না... আমি আপনার প্রিয়
ছাত্র শাকিল । আমার বাবা .......।
- তুমি সেই শাকিল ... বলে বুকে জরিয়ে ধরল। বাবা তুমি
কেমন আছো?
- ভালো স্যার। কিন্ত আপনার এই অবস্থা কেন?
- সে অনেক কথা অন্যদিন বলবো।
- স্যার আপনার সাথে আবার দেখা হবে ভাবতে পারি
নাই। স্যার আপনার মনে আছে স্কুলে আমাকে কি বলে
ডাকতেন.....
- হ্যা, একটু মুচকি হেসে বললো... জামাই বলে ডাকতাম।
কথাটা শুনে মিম একটু লজ্জা পেলো আর মামুন আর চোখে
মিমের দিকে তাকিয়ে ওর লজ্জামাখা মুখ দেখছে।
-তোমার বাবা আর আমি ছিলাম ছোট বেলার ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
একদিন তোমার বাবা তোমাকে আমার স্কুলে ভর্তি করে
দিয়ে বললো, সইকত আমার ছেলেকে তোমার মেয়ের
সাথে বিয়ে দিবো তোমার জামাইকে একটু দেখে শুনে
রেখ। সে দিন থেকে রসিকতা করে তোমাকে সবার
সামনে জামাই বলতাম... হাহাহাহাহা...
.
মিম লজ্জায় ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলো, বাবা খাবার
আনছি...
একটু পর মিম খারার নিয়ে হাজির হলো।
- স্যার আপনার জন্য সামান্য খাবার জানি না আপনার
ভালো লাগবে কিনা।
- ভালো লাগবে না মানে.... তোমার রান্না নিশ্চই ভালো
লাগবে।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে শাকিল বললো এমন রান্না যদি
রোজ খেতে পারতাম।
- স্যার কি বললেন?
- ও কিছুনা।
একটু পর শাকিল বিদায় নিলো।
.
বাসায় গিয়ে শাকিলের মন মিমকে এক মূহুর্তের জন্য ভুলতে
পারে না।
বার বার মিমের মায়াবতী মুখটা চোখে ভাসছে। কি
অপূর্ব সুন্দরী। শাকিল মনে মনে ভাবতে থাকে তার বাবা মা
কেউ নেই নিজেই মিমের বাবার সাথে কথা বলতে হবে।
কিন্ত মিমের মতামত আগে জানা দরকার। শাকিল মিমকে
প্রথম দেখা থেকেই ভালোবেসে ফেলে।
.
পরদিন অফিসে শেষ করে শাকিল মিমকে একটা পার্কে
নিয়ে যায়।
- মিম তোমাকে কিছু কথা বলার ছিলো...
- জি স্যার বলুন।
- স্যার নয়, তুমি এখন আমাকে তুমি করে বলতে পারো।
- মানে?
- দেখো মিম তুমি যেমন স্পষ্টবাদী পছন্দ কর আমি ও করি।
"মিম আমি তোমাকে ভালোবাসি" তুমি কি আমাকে
ভালোবাসো?
- স্যার আপনি এসব কি বলছেন?
- তুমি যা শুনছো আমি তাই বলছি।
- সরি স্যার আমি আপনাকে কিছু বলতে পারবো না।
আপনি বাবার সাথে কথা বলতে পারেন। বাবা রাজী
থাকলে আমার কনো প্রবলেম নেই।
.
কথাটা শুনে শাকিল মহা খুশি হলো। তার মানে মিম ও
তাকে পছন্দ করে।
সন্ধা নেমে আসলে শাকিল মিমকে বাসা পর্যন্ত পৌঁছায়
দিয়ে যায়।
.
শাকিল অফিসর কাজে ব্যাস্ত থাকায় কয়েক দিন পর
মিমের বাসায় গিয়ে ওর বাবার সাথে কথা বলে। মিমের
বাবা ও সহজে রাজী হয়ে যায়। বাবা তোমার মতো
ছেলের হাতে আমার একমাত্র মেয়েকে তুলে দিতে
পারলে আমি মরে শান্তি পাবো। বাবা, আজ তোমার
বাবা বেচেঁ থাকলে ও খুব খুশি হতো।
.
.
আগামী ১৪ এপ্রিল শাকিল আর মিমের বিয়ে। আপনারা
সবাই আমন্ত্রিত।
...
******* সমাপ্ত। *******

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.