নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি শাকিল আমি লেখালেখি করতে অনেক ভালবাসি আমি আমার দেশকে অনেক ভালবাসি

মো:শাকিল হোসেন

আমি শাকিল সহজ সরল

মো:শাকিল হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে মায়ানমার রোহিংগাদের গনহত্যা করছে সে মায়ানমারেরই আদিবাসী পার্বত্য চট্রগ্রামের উপজাতিরা

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪

যে মায়ানমার রোহিংগাদের গনহত্যা করছে সে মায়ানমারেরই আদিবাসী পার্বত্য চট্রগ্রামের উপজাতিরা
১. চাকমাঃ আদিনিবাস হলো চম্পকনগর , মায়ানমার, আনুমানিক ১৭১১ সালের দিকে আসে
২. ত্রিপুরাঃ আদিনিবাস ভারত , আনুমানিক ১৫ শতকের দিকে আসে
৩. মারমাঃ আদিনিবাস মায়ানমার, আনুমানিক ১৭ শতকের শুরুর দিকে আসে
৪. তঞ্চংঙ্গাঃ আদিনিবাস মায়ানমার, আনুমানিক ১৮১৯ সালের দিকে আসে
৫. চাকঃ আদিনিবাস মায়ানমার ,আনুমানিক ১৮ শতকের শুরুর দিকে আসে
৬. খুমিঃ আদিনিবাস মায়ানমার , নির্দিষ্ট তারিখ নেই নেই
৭. খ্যাং: আদিনিবাস চীন হয়ে মায়ানমার ,আনুমানিক ১৯ শতকের শুরুর দিকে আসে
৮.লুসেই ,পাংখুয়াঃ আদিনিবাস মিজোরাম,আনুমানিক ১৯ শতকের শুরুতে আসে
৯.বমঃ আদিনিবাস মায়ানমার, আনুমানিক ১৮৩৮ সালের দিকে আসে
১০. ম্রো/মুরং: আদিনিবাস মায়ানমার, আনুমানিক ১৭ শতকের দিকে আসে
১১. রাখাইন/ মগঃ আদিনিবাস মায়ানমার, ১৭৮৪ সালের দিকে আসে
১২. কুকিঃ আদিনিবাস মায়ানমার
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস হতে সহজেই বুঝা যায়, বাংলাদেশে বসবাসকারী বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এদেশের আদিবাসী নয়।
একইভাবে ইতিহাস বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, সমতলের উপজাতীয় সম্প্রদায় যেমন সাঁওতাল, গারো, হাজং, মনিপুরী প্রভৃতির বাংলাদেশে আগমনের ইতিহাস তিন-চারশ’ বছরের বেশি নয়। কাজেই উপযুক্ত আলোচনায় প্রমাণিত হয় আভিধানিকভাবে বাংলাদেশের উপজাতীয় জনগোষ্ঠী কোনোভাবেই এখানকার স্বদেশজাত বা ভূমিপুত্র বা আদিবাসী নয়। প্রখ্যাত উপজাতি গবেষক ও নৃতত্ত্ববিদ RHS Hutchison (1960), TH Lewin (1869), অমেরেন্দ্র লাল খিসা, Jaffa (1989) Ges Ahmed (1959) প্রমুখের লেখা, গবেষণাপত্র, থিসিস এবং রিপোর্ট বিশ্লেষণে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়, উপ-জাতীয় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী গুলো আদিবাসী নয়। তারা সবাই একবাক্যে বলেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজাতীয়রা নিকট অতীতের কয়েক দশক থেকে নিয়ে মাত্র কয়েক শতাব্দী আগে এদেশে স্থানান্তরিত হয়ে অভিবাসিত হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের এসব উপজাতীয় জনগোষ্ঠীগুলোর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, এসব জনগোষ্ঠীগুলো প্রায় সবাই যুদ্ধবিগ্রহ এবং দাঙ্গা-হাঙ্গামার ফলে তাদের পুরাতন বসতিস্থান থেকে এখানে পালিয়ে এসেছে। নতুবা, এক জনগোষ্ঠী অন্য জনগোষ্ঠীর পশ্চাৎধাবন করে আক্রমণকারী হিসেবে এদেশে প্রবেশ করেছে (Huchinson 1909, Bernot 1960 and Risley 1991)।
তাহলে প্রশ্ন জাগে রোহিংগারা বাংলাদেশি দোহাই দিয়ে সে দেশ থেকে তাড়িয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হয় তাহলে মায়ানমারের আদিবাসী উপজাতি সন্ত্রাসীদের মায়ানমারের নাগরিক হিসাবে বিবেচিত হোক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.