![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন সমুদ্র হবো, বেপরোয়া স্রোত নেবে সব প্রতিশোধ।
ফাগুনের সেই রোদজ্বলা দুপুরটা কেঁদেছিল।
আকাশের নির্মম রসিকতায় রোদের পিঠ বেয়ে সেই ধুলোভেজা সবুজ প্রান্তরে নেমেছিল মেঘের কান্না। উদার প্রান্তরে হতবাক আমি যে তখন ভেজা কাকে উপমা হয়ে দাঁড়িয়ে, তা বুঝতে পারিনি। বোঝার মত অবস্থাটাই বা ছিল কোথায়? আমার মুগ্ধ দু'চোখের তারায় তখন মহাকাশের বিশালতা। আর সে মহাকাশে ধুমকেতুর বেগে সে এল ঝলকের জন্য, আবার পলকেই চলেও গেল। আর ওই এক ঝলকেই থমেক দিয়ে গেল জীবনের বাউন্ডুলে প্রহরগুলো।
প্রথম দেখায় তো তাকে প্রজাপতিই ঠাওরে বসেছিলাম। অবশ্য তা না ঠাওরে আর কী-ই বা করতে পারি, অমন প্রাণবন্ত উচ্ছলতা প্রজাপতি ছাড়া আর কারই বা থাকে!
মেঘের কান্না থেকে নিজেকে আড়াল করে সে উড়ে গেল। মেঘের কান্নার রং তাকে ছুতে পারল না। তবে সে ছুয়ে গেল আমার হৃদয়প্রাঙ্গণ। মূহুর্তের জন্য সেই প্রজাপতির দু'চোখ থেমেছিল আমার চোখের বন্দরে। ভিজে একাকার সেই আমার প্রতি তার তাচ্ছিল্যের হাসিতেই আমি মাতাল হয়ে গেলাম। ঝড় উঠল মনের বনে। কী ভীষণ সেই ঝড়! সে ঝড়ে আমি হয়ে গেলাম বিধ্বস্ত। তবে সেচ্ছায়! নিজেরই সম্মতিতে! কারণ তখন যে শুধু বারবার মনে হয়েছিল, এমন ঝড়ে নিজেকে উজাড় করে দিলেও তো ধন্য হই!
অতঃপর...দীর্ঘ দিবস। দীর্ঘ রজনী। আমার এক পাক্ষিক বিরহকাল যাপন। তাবৎ পৃথিবীর প্রতি চরম উন্নাসিকতা, প্রবল বিতৃষ্ণা। সঙ্গী শুধু তার এক মূহুর্তে চলে যাওয়ার সেই দৃশ্যপট।
একটুকুতেই ইতি ঘটলে বোধহয় মঙ্গলজনকই ছিল। তবে নিয়তি যে আরো বড় নির্মমতার আয়োজন করে বসে আছে, তা কে জানত! জীবনে এক প্রজাপতিকে কে দেখেছে দ্বিতীয়বার? আমি দেখলাম। সেই উচ্ছল প্রজাপতি আবার সামনে এসে উপস্থিত হল একদিন। সেই প্রজাপতি, যার অদৃশ্য ডানার বাঁধনে বাঁধা পরেছে আমার মন। তবে এবারও সেই এক মূহুর্তের দেখাতেই সীমাবদ্ধ রইল সব। এখানেই শেষ হতে পারত। হল না। কারণ নিয়তি!
তাকে আর হারাতে দেই কী করে? পিছু ছুটে তার ঠিকানাও তাই জেনে এলাম। তারপরের সেই বিশাল কষ্টনদী পেরেনোর ছেলেমানুষী গল্পটা না হয় নাই বললাম।আর দূরালাপনের সেই কাতর বাক্যালাপের চিরাচরিত সংলাপ তো সবারই জানা।
জীবনে খুব স্বপ্ন দেখেছি। না দেখে অবশ্য উপায়ও ছিল না। কারণ এই অল্প স্বপ্নগুলোর পরিধিই তো ব্যাপক বিশাল। আর তাই অধিকাংশই রয়ে গেছে অপূর্ণতা দোষে দুষ্ট। তবে এবার পূর্ণতা গুণে বিশেষায়িত হল স্বপ্ন আমার। ভালোবাসার রেলগাড়ি ছুটল কল্পনার পথ ধরে।আর আমার সে মূহুর্তের প্রজাপতি গল্পের মত কোন জীয়ন কাঠির ছোয়ায় রাজকন্যা হয়ে ধরা দিল আমার কাছে। আমার বাড়িয়ে দেওয়া হাতটাও সে ছুঁয়ে দিল অবলীলায়।
কী নাম দেই সেই কন্যার? কান্নার প্রহরে তাকে দেখেছিলাম প্রথম। আর শেষ পর্যন্ত আমার ঠিকানাও ঠেকল কান্নাতেই...। তার নাম দিলাম তাই টুপুর। আকাশের কান্না তো টাপুর টুপুর ছন্দেই ঝড়ে পড়ে।
তো টুপুর কন্যার সঙ্গে আমার উত্তাল দিনযাপন শুরু হল। দগদগে দুপুর, স্যাঁতসেতে বিকেল থেকে শুরু করে বিষণ্ণ সন্ধ্যার ঘরে ফেরা পর্যন্ত আমাদের অবাধ ভ্রমণে মুখরিত হতে লাগল নগরীর ধুলোডাবা পথ... মলিন ঘাসের চাদর গায়ে সবুজ উদ্যান...আরো কত কত স্থান। আহা! আমার মধুর দিনগুলি হায় সোনার খাঁচায় রইল না আর.......
যে হাতে না হাত না রাখলে.... যে চোখে চোখ না রাখলে.... যে বিস্তৃত কাঁধের প্রান্তরে মাথা না ঠেকালে সেই টুপুর কন্যার দিনগুলিকে দিন মনে হত না... ক্লান্ত রাতের দীর্ঘপ্রহর যে কণ্ঠ না শুনলে রাতগুলো রাতগুলোকে রাত মনে হত না... সে হাতের ওপর তার হাতের পরশ রইল না। সে চোখে তার চোখের নজর পড়ল না আর। সে কাঁধের কার্ণিশে আর ঠেকল না তার চুল। সে কণ্ঠটাকে রুদ্ধ করেই সে যেমন আমার জীবনে এসেছিল এক ঝলকে....তেমনি আবার হারিয়েও গেল, এক ঝলকেই.....
আমার স্বপ্নের প্রজাপতি...দুঃস্বপ্নের এত আয়োজন বুকে নিয়ে কী করে বলেছিল সেই মায়াবী গল্পের ধারাপাত?
সেই অটুট ভালোবাসা কেন মূহুর্তেই হয়ে গেল বিচ্ছেদ ব্যথায় কাতর?
কোন সে কারণে বৃথা হয়ে গেল সেই স্বপ্নীল কথোপকথন?
আজও জানি না আমি।
শুধু জানি, সে আমায় ভালোবাসে নি...
টুপুর চলে গেছ, রেখে গেছে দুই বসন্তের কিছু আনন্দ দিন।
স্মৃতি বড় মধুর...
স্মৃতি বড় বেদনার...
আজও তাই সেই টুপুর কন্যা টাপুর টুপুর ছন্দেই বড় বেদনার মত বেজে ওঠে মনের গহীনে.... বেলা অবেলায়...।
মহাকালের মঞ্চে যে জীবনটাই সবচেয়ে বড় সবচেয়ে বড় অভিনয়, সেখানে নাটকের এই ছোট্ট অংকের বেদনাতে তবু গুমড়ে উঠি প্রতিনিয়ত... কাতর আবেগে....
ওই আবেগটাই তো মানব জীবনের সবচেয়ে বড় দূর্বলতা, বুঝি তবু মনেক বোঝাতে পারি না....
ডুবে যাই হতাশার অতলে...
জীবনের দৃশ্যপটগুলো বড় অপ্রয়োজনীয় মনে হয়...
বৃথা মনে হয় জীবনের সব আয়োজন....
কারণ হৃদয় যে সব সময়ই ছন্নছাড়া।
বুঝেও বোঝে না, সে আমায় ভালোবাসে নি........
বিঃদ্রঃ এই লেখাটার সঙ্গে বাস্তব জীবেনর মিল আছে, সেই বাস্তব জীবনটা আমার বন্ধু সজীবের....
আমরা সব বন্ধুরা চাই সে আবার সব ভুলে ফিরে আসবে তার ফেলে যাওয়া জীবনে... আমাদের মাঝে........
দৃষ্টি আকর্ষণ : প্রিয় ইশতিয়াক ভাই সোজা কথায় প্যাচ খোঁজা ভালো না!!!
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৯
ইশতিয়াক অাহমেদ বলেছেন: শাকিল আছো?
গল্পের শেষে এই কোন অভিযোগ???
এটা কী গল্পের কোনো চরিত্রের প্রতি তোমার অভিযোগ নাকি?