![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্র তার বাবাকে এসে বলল,
বাবা তোমার সাথে আমার কিছু দরকারি কথা ছিলো ।
আমার মনেহয় আমার ইঞ্জিনিয়ারিং না, আমি ফটগ্রাফিতে আমি ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চাই ।।
তুমি তো জানোই আমার আগে থেকে ফটগ্রাফিতে কতটা ঝোক ছিলো ।।
আর এখন আমার হাতে একটা ভালো সুযোগ ও এসেছে।।
আমি তোমার কথামত ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হয়েছিলাম ঠিকি,
কিন্তু কোনোদিন এ আমি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়া কোন আনন্দ খুজে পাই নি ।।
ক্লাসে প্রতি মুহূর্ত যেনো আমার দম আটকে আসতো ।।
যেখানে ফটগ্রাফিতে আমি প্রতি মুহূর্তে আনন্দ খুজে পাই ।।
তাই আমি কলেজ থেকে ড্রপ আউট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ।।
কথাটা শোনার পর তার বাবা উত্তরে বললেন," অপদার্থ, এই জন্নেই এতগুলো টাকা খরচ করে
তোমায় ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি করলাম ?? ছি ছি আমরা সমাজে মুখ দেখাবো কিভাবে ???
ওসব ফটগ্রাফিতে কোনো ভবিষ্যৎ নেই, হয় ইঞ্জিনিয়ারিং কমপ্লিট করো না হয় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও।।
.
আবার একজন বয়ফ্রেন্ড তার গার্লফ্রেন্ড কে বলল, ' তোমাকে বলেছিলাম না?
এসব জিন্স টপ পরতে না ,তারপরেও তুমি এগুলা পরেছ।।
তারপর মেয়ে টা বলল, " আরে বাবা পরলে কি হয়েছে এখন তো সবাই এইসব পরে ।।
উত্তরে ছেলেটা বলল,"অন্য মেয়েরা পরলে যদি তোমাকেও পরতে হয়,
তাহলে তোমাকে আর আমার সাথে রিলেশন রাখার দরকার নেই ।।
মেয়েটা বলল, "তুমি এমন করতেছ কেনো" ???
ছেলেটা বলল," কারন আমি তোমাকে ভালবাসি"।।
এখন আপনার কাছে একটা প্রশ্ন ?
সত্যি এগুলাই কি ভালবাসা ???
যদি গভির ভাবে লক্ষ করেন তাহলে আপনিও দেখতে পাবেন,এগুলা আর কিছুই না
এগুলা শুধুমাত্র কিছু ব্যাক্তিগত চাহিদা ।। যেগুলো আমরা ভালবাসার সাথে গুলিয়ে ফেলেছি ।।
একজন মানুষের মধ্যে ২ রকমের চাহিদা থাকে ।।
১। শারীরিক (Physical)
২। মানুষিক (Emotional)
বিভিন্ন সম্পর্ক গরে তোলার মধ্যে দিয়ে মানুষ বেসিকালি এই ২ ধরনের চাহিদা গুলো মেটানোর চেস্টা করে ।।
যে চাহিদাগুলোকে আজ আমরা ভুলবশত ভালবাসার নাম দিয়ে দিয়েছি ।।
আমার একটা ইমোশনাল চাহিদা রয়েছে এই ওয়ার্ল্ড এর সাথে সবসময় কানেক্টেড থাকার।।
আর তার জন্য আমার একটা স্মার্টফোন বা মোবাইল দরকার ।।
এবার আমি আমার এই চাহিদাটাকেই ভালবাসার নাম দিয়ে বলে ফেলি, " আমি আমার ফোনটাকে অনেক ভালবাসি ।।
আমার একটা চাহিদা রয়েছে নিজের মনের কথাগুলো কারো সঙ্গে সেয়ার করার।।
আর তাই আমি একটা বেস্ট ফ্রেন্ড বানিয়েছি ।।
এবার এই চাহিদাটাকেই আমি ভালোবাসার নাম দিয়েছি ।।
আর ঠিক আমার মতই উল্টোদিকে যিনি রয়েছেন,
তিনিও তার কোনো একটা চাহিদা গরে তোলার জন্য আমার সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন।।
যাকে তিনিও আমার মত ভালবাসার নাম দিয়ে দিয়েছেন।।
এবার যখন ২ জনেরই চাহিদা এক পথে হাটছে ততোক্ষণ তো ভালোবাসা ঠিক আছে,
কিন্তু যেই মুহূর্তে ২ জনের চাহিদা বিপরিত দিকে হাটতে শুরু করে তখনই আসল খেলাটা চোখে পড়ে ।।
ঝামেলা শুরু হয় আর ভালবাসাটা জেনো কোথাও একটা উধাও হয়ে যায় ।।
যে লায়লা মুজনু ভালবাসার জন্য একদিন একে অপরের জন্য পাগল ছিলো ,
তারাই একে অপরের সবথেকে বড় শত্রু হয়ে জায় ।।
এটাই কি তাহলে ভালবাসা ???
আচ্ছা যদি এটা ভালবাসা না হয় তাহলে আসল ভালবাসাটা কী ???
তার মানে কি সেই বাবার তার ছেলেকে বলা উচিৎ যে হ্যাঁ বাবা তুই ভালো ডিসিশন নিয়ে নিয়েছিস ,
এবার যা লেখাপড়া বাদ দিয়ে ফটগ্রাফি শুরু কর ???
বা সেই ছেলেটার কি মেয়েটাকে এরকম কিছু বলা উচিৎ বাহ জিন্স টপে তো তোমায় সেই লাগছে !
মাঝে মাঝে হট প্যান্টও তো পরতে পারো!
তাহলে কি এটা ভালবাসা ??
কি মনেহয় ???
এই ২টার কোনোটাই ভালবাসা না !
আচ্ছা তাহলে শুনুন
একটা কঠিন বাস্তব সত্যি হলো, ভালবাসা এমন একটা জিনিস যেটা দেওয়ার মত ক্ষমতা আমাদের
মত ৯৯.৯% মানুষের মধ্যে নেই ।। তার কারন আমরা কাউকে কোনো জিনিস তখনই দিতে পারি যখন সেই
জিনিসটা আমাদের কাছে আগে থেকেই আছে ।।
যেটা আমার নিজের কাছেই নেই সেটা আমি অন্য আর একজনকে কিভাবে দিবো ???
আমাদের সবার মাঝে সবথেকে বড় ইচ্ছে বা আখাঙ্কা টা আছে সেটা হলো
সমস্ত রকমের হাসি-কান্না,ব্যাথা বেদনা সবকিছু থেকে মুক্তি ।
এবসুলেট ফ্রিডম এবং Infinite বা অসীম হয়ে যাওয়া ।।
এখন হয়তো অনেকেই ভাববেন ধুর শার্দূল মিয়া কি সব ভুলভাল বকতেছেন ।।
মানুষ আবার ইনফাইনেট বা অসীম হবে কিভাবে ???
হ্যাঁ মানুষ ইনফাইনেট বা অসীম হতে পারে না যদি সে তার অস্তিত্বর জন্য
এক্সট্রানাল কোনো জিনিসের ওপর ডিপেন্ডেন্ট হয়ে পরে ।।
অর্থাৎ খুশি থাকার জন্য টাকা চাই , এই পারটিকুলার বা ওমুক মেয়ে বা ছেলে সঙ্গে থাকা চাই ,
এই জিনিসটা চাই ,ওটা চাই, এটা চাই এরকম হলে কোনোদিনই ইনফিনেট বা অসীম হওয়া সম্ভব না ,
কারন এই চাহিদার কোনো শেষ নেই আর এইগুলোর ওপর আমাদের কোনো কন্ট্রল নেই ।।
কিন্তু যদি কারো Resource বা সংস্থানটা Internal মানে অভ্যন্তরীণ হয় অর্থাৎ সে তার খুশির জন্য বাহিরের কোনোকিছুর ওপর ডিপেন্ডেন্ট না যে নিজেকে বা নিজের খুশিকে এমন কিছুর সাথে আইডেন্টিফাই করে নিয়েছে যেটা তার ভিতরে এবং বাহিরের কোনো সিসুয়েশনেরি (Situation) কোনো রকম প্রভাব পরে না ,
সেটা তার জন্মের সময়ও ঠিক যেমন ছিলো আজও তেমন আছে ভবিষ্যৎতেও তেমন থাকবে,
তখন সেই মানুষটার কাছে সুযোগ থাকে Infinite হওয়ার বা অসীমের সঙ্গে গিয়ে মিলিত হওয়ার ।।
কিন্তু যতদিন না এটা হচ্ছে ততদিন একের পর এক চাহিদা আসতে থাকবে একটা মেটালে
আর একটা চাহিদা জন্ম নিবে আর অসম্পূর্ণ চাহিদা মানেই অস্থিরতা আর অস্থিরতা এবং চাহিদা যেখানে রয়েছে
সেখানে স্বার্থপরতা জন্ম নিবেই ।।
আর স্বার্থপরতা এবং ভালবাসা সম্পূর্ণ বিপরীত ।।
যখন আমরা সম্পূর্ণ স্বার্থহীন ভাবে সম্পূর্ণ মানে একদমই সম্পূর্ণ বা ০ চাহিদা থেকে কারো জন্য কোনো কিছু করি
তখন সেটা হয় সত্যিকারের ভালবাসা।।
যেখানে চাহিদা এবং স্বার্থপরতার লেস মাত্র অস্তিত্ব নেই ।।
এবার কয়জন মানুষ আছে বলতে পারেন যে, "হ্যাঁ আমি সত্যি তোমাকে বা নিজেকে নিজে ভালবাসি"??
আমার নিজের কাছে বা অন্য কারো কাছে বা তোমার কাছে কোনো চাহিদা নেই।।
আমি সম্পূর্ণভাবে পরিপূর্ণ।।
যানি খুবেই কম ।।
কারন আমরা সবাই কমবেশি এক্সট্রানাল রিসোস এর ওপর ডিপেন্ডেন্ড তাই ভালবাসা
শব্দটা ব্যবহার না করে আমার মতে চাহিদা কথাটা ব্যবহার করাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যথার্থ ।।
আচ্ছা তাহলে সেই বাবা আর ছেলেটার কেছ টা কি হলো ???
সেইক্ষেত্রে তার বাবা যদি তার ছেলেকে সত্যি ভালবাসতো তাহলে সে তার ছেলেকে কি বলত??
প্রথমত তার বাবা তো তার ছেলেকে কখনই অপদার্থ বলতেন না কারন তার বাবা আগে থেকেই পরিপূর্ণ ।।
বাবার তার ছেলের কাছে নিজের জন্য কিছুই চাওয়ার নেই ।।
তাহলে সে তখন কী করতো ???
ছেলেকে ঠান্ডা মাথায় বোঝাতো যে, সে কেনো মনে করছে তার ছেলের এই ডিসিশনটা এই মুহূর্তে ঠিক না !
তার সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতাটা ঠান্ডা মাথায় সেয়ার করতো এবং তার পরেও যদি তার ছেলে না বুঝতো,
তাহলেও কখনই তাকে জোর করতো না যে তার বাবা যেটা চায় সেটাই করার জন্য ।।
কারন তার ছেলের কাছে তার চাহিদার কিছুই নেই।।
সেটা সমাজে মুখ দেখাতে পারাই হোক বা ছেলেকে মানুষের মত মানুষ করাই হোক ।।
এইবার বলতে পারেন বাবার তার ছেলের প্রতি এইটুকু আশা এইটুকু চাহিদা তো থাকতেই পারে এতে দোষের কি আছে ???
এতে দোষের কিছুই নেই তো !
আমি কখন বললাম যে চাহিদা থাকাটা দোষের ???
আমি শুধু এইটুকুই বলতে চাইলাম যে আমরা যেটাকে ভালবাসা বলে ভুল করছি সেটা আসলে ভালবাসা না সেটা আসলে চাহিদা ব্যাস।। এইটুকুই আমি কারো দোষ গুন কিছুই বিচার করতেছি না ।।
শুধু আমি সত্যিকার ভালবাসা কাকে বলে সেইটুকুই আপনাকে বুঝানোর চেস্টা করলাম,
যে যখন আমরা সম্পূর্ণ স্বার্থহীন ভাবে সম্পূর্ণ মানে একদমই সম্পূর্ণভাবে ০ চাহিদা থেকে কারো জন্য কিছু করি তখন সেটাই হয় সত্যিকারের ভালবাসা ।।
.
সবশেষে আপনার কাছে ছোট্ট একটা অনুরধ,
যদি এই লিখাটি থেকে আপনার নিজের ভালবাসার সম্পর্কে ধারনা বদলে থাকে
তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আপনার ভালবাসার মানুষের সাথে শেয়ার করবেন,
যাতে তারাও সত্যিটা বুজতে পারে এবং আমরা সবাই মিলে আরো ভালোভাবে
আমাদের রিলেশন গুলোকে ম্যানেজ করতে পারি ।।
ধন্যবাদ ।।
...
শামাঊন শার্দূল জাহান ।।
৩০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২
শামাঊন শার্দূল জাহান বলেছেন: বুঝলাম না আসলে কি বুঝাতে চেয়েচেন?
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ধুর!! কী সব কবকব(পড়ুন বকবক) করলেন?