![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পথ হারানো পথিকের জন্য পথের মোড়ে কেউ না কেউ আছে অপেক্ষমাণ পথ দেখাবে বলে ।
ছোটকাল হতেই বেদাতীদের মিলাদ মাহফিলে, লোকমুখে এই কথাগুলো হাজারো বার শুনেছি যে, ওরা গাইছে
"দু জাহানের বাদশা নবী" অথবা
"শান্তিদাতা মুক্তিদাতা এলেন দুনিয়ায়, উঠেন সবাই দাড়ায়িয়া সালামো জানাই" !
"কেউ ফিরেনা খালি হাতে খাজা বাবার দরবারে"
"আকাশটা নাচছিলো কেন, জমিনটা কাপছিলো কেন, বড়পীর ঘামছিলো কেন সেই দিন, সেই দিন, গান গাইছিলেন খাজা মাইনুদ্দিন"
এই টাইপের আরো অনেক কথা আছে যা আমার এখন মনে পড়ছেনা, আপনাদের মনে থাকলে মেনশন করবেন দয়া করে।
এবার প্রথম লিরিকসটায় আসি "দো জাহানের বাদশা নবী" !!
আচ্ছা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি দো জাহানের বাদশাই হন, তাহলে মহান রাব্বুল আলামীন তাহলে কি হবেন? উজির নাজির? (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক)। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্মানের নামে এটা যে কত বড় গোস্তাগী করেছে তার কি খেয়াল আছে বেদাতীদের?
"শান্তিদাতা মুক্তিদাতা এলেন দুনিয়ায়, উঠেন সবাই দাড়ায়িয়া সালামো জানাই" !
এটা আল্লাহর শানে চরম বেয়াদবী এবং নিশ্চিত শিরেকী কথা। সব কিছু দিবার মালিক আল্লাহ সুবহান ওয়া তায়ালা। এইসব গাজাখুরী কথা বার্তা কেবল গোস্তাগে রাসূল (সাঃ) দের দ্বারাই সম্ভব।
"কেউ ফিরেনা খালি হাতে খাজা বাবার দরবারে"
নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক। এরা তো মাখলুক আর আল্লাহর পার্থক্যও বুঝেনা !!!!!
"আকাশটা নাচছিলো কেন, জমিনটা কাপছিলো কেন, বড়পীর ঘামছিলো কেন সেই দিন, সেই দিন, গান গাইছিলেন খাজা মাইনুদ্দিন"
এখানে আকাশ বাতাস কাপার মধ্যে বড় পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী (রহঃ) এর ঘামার কি সম্পর্ক থাকতে পারে? তাছারা হযরত মাইনুদ্দিন চিশতী রহঃ শায়খ আব্দুল কাদীর জিলানী রহঃ এর অনেক পরের জামানার। দুজনের সাথে না কোন সময় দেখা হয়েছে না কথা হয়েছে। তাহলে কোথাকার কথা কোথায় এনে লাগাইলো এরা? এর থেকে কি বুঝা যায় না যে এদের মুখে কোন কিছু আটকায় না? এরা না পারে এমন কিছু নেই। তাই তো রাস্তা থেকে গাজা খোর ল্যাংটা লোকগুলারে ধরে এনে নিজেদের আল্লাহ বানিয়ে নেয়।
২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৩৫
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আল্লাহ রাব্বুল আলামিন , সমস্ত জগতের রব আল্লাহ । আর নবী পাক সা রাহমাতাল্লিল আলামিন সমগ্র জগতের রহমত দয়াল নবীজী । কোরআনের আয়াত , আল্লাহ পাক বলেন হে নবী আমি আপনাকে সমগ্র জগতের রহমত স্বরূপ প্রেরন করেছি ।
আল্লাহ তার প্রিয় হাবিব কে অতিশয় মর্যাদা দিয়ে পাটিয়েছেন এবং কোরআনে বলেন আমি এবং আমার ফেরেস্তাগন আমার হাবিবের উপর দরুদ ভেজে থাকি তোমরাও দরুদ ছালাম ভেজ । সুরা আহযাব
আয়াত ৫৬ । মানুষ হয়ে তার নবীর প্রতি সম্মান জানাতে অসুবিধা কোথায় । কোরআন হাদিসের জ্ঞান না থাকলে মূর্খরাই ভুল পথে যায় ।।
৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৪৬
শামীমঅাহেমদ বলেছেন: বন্ধু সম্মান জানাতেই হবে কিন্তু সেটা যেন বাড়াবাড়ি না হয়ে ,
আমি তো লিখছি বাড়াবাড়ি করে তা নিয়।
৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২২
ইনফা_অল বলেছেন:
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্মানের নামে এটা যে কত বড় গোস্তাগী করেছে তার কি খেয়াল আছে বেদাতীদের?- আপনি ঠিকই বলেছেন।
আল্লাহ বলেন,
"বলুন ইয়া আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর আর যাকে ইচ্ছা অপমানে পতিত কর। তোমারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল"। (Aali Imraan: 26)
অবশ্যই রাসুল (সঃ) কে আমরা সম্মান করবো, আমাদের প্রানের চেয়ে প্রিয় মনে করবো- সেটা ঈমানের দাবী। কিন্তু এমন কিছু করবো না যা কিনা আল্লাহর সাথে শরীক হয়ে যায়,
আল্লাহ বলেন, "নিশ্চয় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে। এছাড়া যাকে ইচ্ছা, ক্ষমা করেন। যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে সুদূর ভ্রান্তিতে পতিত হয়"। (An-Nisaa: 116)
আরা দরূদের ব্যাপারে আল্লাহ বলেনঃ
إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ ۚ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا [٣٣:٥٦]
আল্লাহ ও তার ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি দরূদ পাঠান৷হে মুমিনগণ! হে ঈমানদারগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠাও৷
আল্লাহর পক্ষ থেকে নবীর প্রতি দরূদের অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ নবীর প্রতি সীমাহীন করুণার অধিকারী। তিনি তার প্রশংসা করেন। তার কাজে বরকত দেন। তার নাম বুলন্দ করেন। তার প্রতি নিজের রহমতের বারি বর্ষণ করেন। ফেরেশতাদের পক্ষ থেকে তার প্রতি দরূদের অর্থ হচ্ছে, তারা তাকে চরমভাবে ভালোবাসেন এবং তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন, আল্লাহ যেন তাকে সর্বাধিক উচ্চ মর্যাদা দান করেন, তার শরীয়াতকে প্রসার ও বিস্তৃতি দান করেন এবং তাকে একমাত্র মাহমুদ তথা সবোর্চ্চ প্রশংসিত স্থানে পৌঁছিয়ে দেন।
৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৪০
অতৃপ্ত কোডার বলেছেন: হুম, বুঝলাম। আমিও আপনার সাথে একমত। তবে শেষ অংশটা নিয়ে একটু আলোচনা করা উচিত আমাদের। আমি লিরিকসটা জানি এমন (মনের মানুষ ছবিতে যেটা গাওয়া হয়, এটা লালন সঙ্গীত):
"আকাশটা কাঁপছিল ক্যান?
জমিনটা নাচছিল ক্যান?
বড় পীর ঘামছিল ক্যান সেইদিন, সেইদিন
গান গেয়েছিল খাজা যেইদিন"।
তবে অন্য জায়গায় আমি যে কাহিনীটা পড়েছিলাম সেখানে কাওয়ালি গাওয়ার কথা বলা ছিল। আমার রেফারেন্সটা মনে নেই। স্মরণ করার চেষ্টা করছি।
আবার, আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.) হিজরি ৪৭১ সনে পবিত্র রমজান মাসের প্রথম তারিখে বাগদাদের জিলান শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। আর হিজরী ৫৬২ সালের ১১ রবিউসসানী আব্দুল কাদের জিলানী (র.) পরলোক গমন করেন।অন্যদিকে হযরত খাজা মাইনুদ্দিন চিশতী (র) এর জন্ম: ৫৩৭ হিজরি ১৪ রজব সোমবার খোরাসানের সানজার গ্রামে। ওফাত: ৬৩৩ হিজরি ৬ই রজব রবিবার। তাহলে ২৫ বছর বয়সে খাজা রহঃ বড়পীরের সাথে মোলাকাত করেন। হিসেবে কিন্তু গোলমাল।
আমার কথা হল, ওখানে কি আদৌ মাইনুদ্দিন চিশতী রহঃ এর কথা বলা হয়েছে?
৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫৮
দালাল০০৭০০৭ বলেছেন: ৫০/৫০
৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:০০
নতুন বলেছেন: ভন্ডামী সবই ভন্ডামী....
৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:৫৭
শামীমঅাহেমদ বলেছেন: সবাই ভণ্ডামি করে না ,
রাসুল (সঃ) বলেছেন তার উম্মতের এক দল উম্মত কেয়ামত পর্যন্ত হক এর উপর থাকবে ।
৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯
আমান৮২ বলেছেন: দুই জাহান আল্লাহর সৃষ্টি , আল্লাহ পাক পবিত্র কোরানে এরশাদ করেছে
" তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের স্রষ্টা। তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্যে যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং চতুস্পদ জন্তুদের মধ্য থেকে জোড়া সৃষ্টি করেছেন। এভাবে তিনি তোমাদের বংশ বিস্তার করেন। কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন।" সূরা আশ-শুরা আয়াত -১১।
এখন আমার বক্তব্য হচ্ছে "কোন কিছুই তার অনুরুপ নয়" এই বাক্যটা নিয়ে আল্লাহ খালেক আর রাসুল সাঃ মাখলুক , খালেক মাখলু্কে বাদশহী দান করেন । এখন আপনি যদি আল্লহকে তার সৃষ্ট ( দুই জাহান) এর বাদশা মনে করেন তাহলে আল্লাহ যা দান করেন সেই দানের অন্তর্ভুক্ত করলেন কিনা ?
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৩২
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: যাযাকাল্লাহ খায়ের । আল্লাহ আপনাকে উত্তম যাযা দান করুন।