![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পথ হারানো পথিকের জন্য পথের মোড়ে কেউ না কেউ আছে অপেক্ষমাণ পথ দেখাবে বলে ।
হাকীমুল উম্মত, মুজাদ্দিদে মিল্লাত হযরত মাওলানা শাহ আশরাফ আলী থানভী রহ. কুরআন-সুন্নাহর আলোকে সঠিক পীরের কতগুলো আলামত বর্ণনা করেছেন। সঠিক পীর চেনার ক্ষেত্রে এই নিদর্শনসমূহ যথেষ্ট সহায়ক হবে।
১. পীর তাফসীর, হাদীস, ফিকাহ শাস্ত্রের অভিজ্ঞ আলেম হবেন। অন্ততপক্ষে মিশকাত শরীফ ও জালালাইন শরীফ বুঝে পড়েছেন এই পরিমাণ এলেম থাকা অত্যাবশ্যক।
২. পীরের আমল-আকীদা শরীয়ত অনুযায়ী হতে হবে। তাঁর স্বভাব-চরিত্র ও অন্যান্য গুণাবলী শরীয়ত যেমন চায় ঠিক তেমন হতে হবে।
৩. পীরের মধ্যে কোন প্রকার লোভ ( টাকা-পয়সা, সম্মান-যশ-খ্যাতি ইত্যাদি) থাকবে না।
৪. নিজেই নিজেকে কামেল হওয়ার দাবী করবে না।
৫. তিনি নিজে কোন কামেল সঠিক পীরের কাছ থেকে আত্মশুদ্ধি ও তরিকত অর্জন করে থাকবেন।
৬. সমসাময়িক দীনদার হক্কানী উলামায়ে কেরাম ও সুন্নাত তরীকার পীরগণ তাঁকে হক বলে মনে করবেন।
৭. দুনিয়াদার অপেক্ষা দীনদার লোকেরাই তার প্রতি বেশি শ্রদ্ধা ভক্তি রাখবে।
৮. উনার মুরীদের অধিকাংশ ( পাঁচ জনের তিন জন) এমন হবেন, শরীয়তের পাবন্দ ও দুনিয়ার লোভ লালসামুক্ত।
৯. পীর মনোযোগ সহকারে মুরীদদের তালীম-তারবিয়াত করবেন, আত্মশুদ্ধি করবেন। কোন দোষ ত্রুটি দেখলে সংশোধন করে দেবেন। স্বাধীন ছেড়ে দেবেন না।
১০. উনার সংস্পর্শ-সোহবত কিছুদিন অবলম্বন করলে দুনিয়ার ভালবাসা কম ও আখেরাতের চিন্তা বেশি হতে থাকে।
১১. পীর নিজেও নিয়মিত জিকির-আজকার মশগুল থাকবেন। অন্ততপক্ষে নিজে অযীফা আদায় করার ইচ্ছে রাখবেন। কারণ নিজে আমল না করলে তার তালীমে বরকত হবেনা।
©somewhere in net ltd.