নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ধকারে পা হড়কালে কি করার !!৫২

শামীমঅাহেমদ

পথ হারানো পথিকের জন্য পথের মোড়ে কেউ না কেউ আছে অপেক্ষমাণ পথ দেখাবে বলে ।

শামীমঅাহেমদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আহলে হাদিসদের দাবিঃ তাকলীদ শব্দ কুরআনে নেই তাই তাকলীদ আবশ্যক নয়!

১৭ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫৫

প্রশ্ন

আজকে শায়েখ মতীউর রহমান মাদানীর “দেওবন্দী আকিদাহ” নামে একটি ভিডিও লেকচার শুনলাম। এর এক পর্যায়ে তিনি বলেছেন যে, দেওবন্দীদের কিতাবে যে কোন এক ইমামের তাকলীদ করাকে ফরজ বলা হয়েছে। যারা চার ইমামের মাঝে যে কোন এক ইমামের তাকলীদ করে না সে গোমরাহ। তার ভাষায় বলতে গেলে তিনি বলেন- “তাকলীদ যদি ফরজ হয়, তাহলে কুরআনে কারীমের কোথাও না কোথাওতো একবার হলেও তাকলীদ শব্দ আসতো। কিন্তু আপনি যদি পুরো কুরআন পড়ে শেষ করে দেন, তবু তাকলীদের কথা পাবেন না। অথচ রোযা ফরজ, রোযার কথা কুরআনে কতবার এসেছে? অনেক আয়াতে এসেছে তাই না? হজ্ব ফরজ। হজ্বের কথা কুরআনের কত আয়াতে এসেছে তাই না? যারা এসব কথা বলেন, তাদের বলুন, হুজুররা আপনারা কুরআনের একটি আয়াত দেখান যেখানে তাকলীদ শব্দ আছে। যদি ফরজ হতো তাহলে কুরআনেতো তাকলীদ শব্দ থাকতো। নতুবা হাদীসেতো তাকলীদ শব্দ থাকতো। হাদীসের কোথাও কি তাকলীদ শব্দ আছে?”

শায়েখ মতীউর রহমান মাদানীর উক্ত যুক্তিরসঠিক ব্যাখ্যা জানিয়ে কৃতার্থ করার জন্য অনুরোধ

করছি।

উত্তর

ﻢﺴﺑ ﻪﻠﻟﺍ ﻦﻤﺣﺮﻟﺍ ﻢﻴﺣﺮﻟﺍ

এরকম জাহিল আর অজ্ঞদের লেকচার শুনে আপনাদের মূল্যবান সময় কেন নষ্ট করছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। মুর্খতা আর বাগাড়ম্বরতার কি পরাকাষ্ঠা তিনি প্রদর্শন করেছেন তা দেখে আমরা স্তম্ভিত।

তিনি বলছেন যে, রোযা ফরজ। রোযার কথা কুরআনে কারীমে এসেছে।

কোথায় রোজা শব্দ এসেছে? কুরআন বা হাদীসের কোন স্থানে রোযা শব্দ আছে? আছেতো সাওম শব্দ। তার মতেতো হুবহু শব্দ থাকা জরুরী কোন কিছু সাব্যস্ত হওয়ার জন্য। তাহলে তিনি নিজেই কোন যুক্তিকে রোযা ফরজ বলে কুরআনের সাওম সম্পর্কিত

আয়াত উপস্থাপন করছেন? হুবহু রোযা শব্দ সম্বলিত আয়াত কেন তার লেকচারে উদ্ধৃত করলেন না? তাকলীদের হুবহু শব্দ যিনি তালাশ করার পরামর্শ দিচ্ছেন তাকলীদ ফরজ বলে। সেখানে রোযা ফরজ বলে রোযার হুবহু শব্দ কুরআন ও হাদীসে খোঁজার পরামর্শ দেয়ার কথা কেন ভুলে গেলেন? কেন নিজেই রোযার ফরজ প্রমান করতে সাওম ফরজ হওয়ার আয়াত পেশ করলেন? ফিক্বহ মানেই হল গভীরতম জ্ঞান। যারা ফিক্বহ বিরোধী হবে তাদের থেকে আল্লাহ তাআলা আকল

ছিনিয়ে নেবেন এটাই স্বাভাবিক। তাই এরকম দ্বিমুখী মুর্খতাসূলভ আচরণ প্রকাশ করলেন কথিত শায়েখ মতীউর রহমান মাদানী সাহেব। “তাকলীদ শব্দ কুরআনে নেই তাই তাকলীদ ফরজ একথা ঠিক নয়” এই অজ্ঞতাসূচক মনোবৃত্তিই যদি তাকলীদ ফরজ না হওয়ার দলীল হয় মতীউর রহমান সাহেবের কাছে। তাহলে আমরাও অজ্ঞতারস্তরে নেমে এসে মতীউর রহমান সাহেবেরকাছে প্রশ্ন রাখি-

প্রশ্ন নং-১

তাওহীদ এর উপর ঈমান যদি ফরজ হয়, তাহলে কুরআনের কোথাও তাওহীদ শব্দ নেই কেন? তাওহীদ শব্দ কুরআনের কোথাও নেই, তাই তাওহীদের উপর ঈমান রাখা ফরজ নয়?

প্রশ্ন নং-২

জানাযার নামায যদি ফরজে কেফায়া হয়, তাহলে কুরআনের কোথাও জানাযা শব্দ নেই কেন? জানাযা শব্দ কুরআনের কোথাও নেই, তাই জানাযা ফরজে কেফায়া নয়?

এরকম মুর্খতাসূলভ যুক্তি কেবল অজ্ঞ আর বিবেকশূণ্য ব্যক্তিদের পক্ষেই দেয়া সম্ভব।

আল্লাহ তাআলা আমাদের এসব ফিতনাবাজদের ফিতনা থেকে হিফাযত করুন।

মতীউর রহমান মাদানী সাহেবদের কাছে আমাদের এ প্রশ্নগুলোও পাঠিয়ে দিয়েন।

বিজ্ঞ ব্যক্তির তাকলীদ করে কুরআন ও হাদীস অনুসরণ যদি ফরজ না হয়ে থাকে, শুধুমাত্র কুরআন ও সহীহ হাদীস অনুযায়ী আমলই একমাত্র

পন্থা হয়ে থাকে, তাহলে নি¤েœর সহীহ হাদীসের উপর কেন তাদের আমল নেই? রাসূল সাঃ এর এসকল সহীহ হাদীসগুলোকে কেন তরক করে দেয়া হয়?



রাসূল সাঃ এর দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা . বুখারী শরীফের ১ম খন্ডের ৩৬ নং পৃষ্ঠা এবং মুসলিম শরীফের ১ম খন্ডের ১৩৩ নং পৃষ্ঠার মুত্তাফাক আলাই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। {দেখুন-সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২২২,২২৩, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৬৪৭}

ইংরেজরা যে, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করে, তাই তারা পাক্কা আহলে হাদীস! কারণ সহীহ হাদীসের উপর আমল করছে? আর

আমরা যারা বসে বসে প্রস্রাব করে থাকি, তারা হাদীসের বিরুদ্ধবাদী!



বুখারীর ১ম খন্ডের ৩১ নং পৃষ্ঠা এবং মুসলিমের ১ম খন্ডের ১২৩ নং পৃষ্ঠার মুত্তাফাক আলাই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, রাসূল সাঃ অজু করার সময় হাতের তালুতে পানি নিয়ে একই সাথে কুলি ও নাকে পানি দিতেন। {সহীহ বুখারী,

হাদীস নং-১৮৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৫৭৮} কুলি ও নাকে পানি দেয়ার জন্য

আলাদা আলাদা পানি নেয়ার বর্ণনা না বুখারীতে আছে, না মুসলিমে আছে।

তাহলে এ সহীহ হাদীসটি কেন ছেড়ে দেন পন্ডিত আহলে হাদীস ভাইয়েরা? সহীহ হাদীস মেনে হাতের তালুতে পানি নিয়ে একইসাথে কুলি ও নাকে পানি দেন না কেন? সহীহ হাদীস নিজেরাই ছেড়ে দিয়ে কোন সাহসে মানুষকে সহীহ হাদীস দেখে দেখে মানার মিথ্যা আহবান করছেন?



বুখারীর ১ম খন্ডের ১২২ নং পৃষ্ঠা এবং মুসলিমের১ম খন্ডের ১২৮ নং পৃষ্ঠার মুত্তাফাক আলাই বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত যে, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ

যদি বেশি কষ্ট না হতো, তাহলে আমি প্রত্যেক নামাযের সাথে মেসওয়াক করার হুকুম দিতাম। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং- ৮৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৬১২}

ইমাম তিরমিজী রহঃ বলেন যে, এ হাদীস আঠার জন সাহাবী বর্ণনা করেছেন। {সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২২} কিন্তু তারপরও অধিকাংশ লোক নামাযের

বদলে অজুর সাথে মেসওয়াক করে থাকে। কিন্তু কেউতো তাদের গোনাহগার বলে না। হাদীসে বলেছে নামাযের সাথে মেসওয়াকের কথা, আর করা হয় অজুর সাথে, এ উল্টো আমল কেন করা হয় সহীহ হাদীস বাদ দিয়ে?



বুখারীর ১ম খন্ডের ৭৪ নং পৃষ্ঠা এবং মুসলিমের ১ম খন্ডের ২০৫ নং পৃষ্ঠার মুত্তাফাক আলাই হাদীস হল- রাসূল সাঃ নামাযের মাঝে স্বীয় নাতি উমামাকে বহন করে নামায পড়তেন। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৪৯৪, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১২৪০}

আর বাচ্চাদের বহন করা ছাড়া নামায পড়ার কোন স্পষ্ট বর্ণনা না বুখারীতে আছে,

না মুসলিমে আছে। তাহলে কি যে সকল নামাযীগণ বাচ্চাদের বহন করা ছাড়া নামায পড়ে থাকে, তা মুত্তাফাক আলাই হাদীসের বিপরীত হওয়ার

কারণে তাদের নামায বাতিল? আর এ সহীহ হাদীসের উপর ছেড়ে দেয়ার মানে কি?



বুখারী ১ম খন্ডের ৫৬ নং পৃষ্ঠা এবং মুসলিমের ১ম খন্ডের ২০৮ নং পৃষ্ঠার মুত্তাফাক আলাই বর্ণনায় এসেছে যে, রাসূল সাঃ জুতা পরিধান করে নামায

পড়তেন।

জুতা খুলে নামায পড়ার কোন স্পষ্ট বর্ণনা বুখারী ও মুসলিমের কোথাও নেই।

তাহলে কি যেসব খৃষ্টানরা জুতা পরিধানকরে নামায পড়ে থাকে, তারা সকলে আপনাদের নিকট পাক্কা আহলে হাদীস? আর যেসব গায়রে মুকাল্লিদরা জুতা খুলে নামায পড়ে থাকে, তারা মুত্তাফাক আলাই হাদীসের উপর আমল না করার কারণে মুনকিরে হাদীস তথা হাদীস অস্বিকারকারী?



বুখারীর ১ম খন্ডের ৫৫ নং পৃষ্ঠা এবং মুসলিমের ১ম খন্ডের ১৬৪ নং পৃষ্ঠার মুত্তাফাক আলাই হাদীসে যে আজানের কথা এসেছে, তাতে তারজী’ নেই। অথচ আপনাদের গায়রে মুকাল্লিদওয়ালা মসজিদের আজানের মাঝে তারজী’ দিয়ে মুত্তাফাক আলাই হাদীসের সাথে বিরোধীতা করা হয় কেন?



বুখারীর ১ম খন্ডের ১০৩ নং পৃষ্ঠা এবং মুসলিমের ১ম খন্ডের ২১৯ পৃষ্ঠার মুত্তাফাক আলাই বর্ণনায় সানার সময় “সুবহানাকাল্লাহুম্মা” এর স্থলে এসেছে “আল্লাহুম্মা বায়িদ বাইনী”। আর বুখারীর ১ম খন্ডের ১০৯ নং পৃষ্ঠা এবং মুসলিমের ১ম খন্ডের ২১৩ নং পৃষ্ঠার মুত্তাফাক আলাই বর্ণনায় রুকু ও সেজদার তাসবীহ “সুবহানা রাব্বিয়াল আজীম” ও “সুবহানা রাব্বিয়াল আলা” এর বদলে অন্য

তাসবীহের কথা এসেছে। এসব মুত্তাফাক আলাই বর্ণনার উপর আমল না করার

কারণে কি পুরো উম্মত গোনাহগার হচ্ছে?



ইমাম বুখারী রহঃ সহীহ বুখারীর ১ম খন্ডের ৪৩ নং পৃষ্ঠায় হযরত উসমান রাঃ, হযরত আলী রাঃ, হযরত জুবায়ের রাঃ, হযরত তালহা রাঃ, হযরত উবাই বিন কা’ব রাঃ, হযরত আবু আইয়ুব রাঃ, এ ছয়জন সাহাবী থেকে হাদীস এনেছেন যে,

যদি কেউ বিবির সাথে সহবাস করে, আর বীর্যপাত হওয়ার আগেই আলাদা হয়ে যায়, তাহলে উক্ত ব্যক্তির উপর গোসল করা ওয়াজিবনয়।

এ ছয়জনের বিপরীত এক হযরত আবু হুরায়রা রাঃ এর হাদীস এনেছেন।

যাতে এসেছে যে, এরকম অবস্থায় গোসল ওয়াজিব হয়ে যায়। এখানে ছয়জন সাহাবী থেকে বর্ণিত সহীহ হাদীস ছেড়ে দিয়ে এক সাহাবীর বর্ণনা মেনে নেয়া হচ্ছে কোন নফসের তাকলীদ করে? ছয় সাহাবী থেকে বর্ণিত সহীহ হাদীস ছেড়ে দেয়ার নাম সহীহ হাদীসের উপর আমল?



“ইমাম বুখারী রহঃ বলেছেন যে, হযরত আনাস রাঃ এর হাদীস “আসনাদ” তথা সনদের দিক থেকে অধিক শক্তিশালী। যে হাদীসে এসেছে যে, “উরু সতরের অন্তর্ভূক্ত নয়”। এর মানে হল, উরু ঢাকা জরুরী নয়। আর জারহাদ এর হাদীস যাতে এসেছে যে, “উরু ঢাকা জরুরী” সেটি আহওয়াত তথা অধিক সতর্কতমূলক। অর্থাৎ এর

উপর আমল করাটা সতর্কতামূলক। এভাবে আমরা উম্মতের মতবিরোধ এড়াতে পারি। {সহীহ বুখারী-১/৫৩, সালাত অধ্যায়, উরু সম্পর্কে বর্ণনার পরিচ্ছেদ}

তাহলে খেলার মাঠে যে সকল ছেলে মেয়েরা উরু বের করে খেলাধুলা করে থাকে, তারা উঁচু পর্যায়ের আহলে হাদীস? কারণ তারা সনদের দিক থেকে অধিক শক্তিশালী হাদীসের উপর আমল করছে! আর আপনারা যারা উরু ঢেকে নামায পড়েন, এখনো উরু ঢেকে আছেন তারাতো কেউ আর আহলে হাদীস বাকি থাকেন না”। কারণ

আপনারা সহীহ হাদীস ছেড়ে দিচ্ছেন। কার তাকলীদে এ সহীহ হাদীস ছেড়ে দেয়া হয়?

১০

এমনিভাবে সেজদার সময় রফয়ে ইয়াদাইন করার হাদীস অনেক। সেই সাথে এ হাদীস সর্বসম্মতমতানুসারে সহীহ। এ কারণেই শায়েখ

আলবানী লিখেছেনঃ ﺪﻗﻭ ﻯﻭﺭ ﺍﺬﻫ ﻊﻓﺮﻟﺍ ﻦﻋ ﺓﺮﺸﻋ

ﻦﻣ ﺔﺑﺎﺤﺼﻟﺍ তথা এ রফয়ে ইয়াদাইন দশ জনসাহাবী বর্ণনা করেছেন।

{সিফাতু সালাতিননাবী-১৪৬} এমনিভাবে গায়রে মুকাল্লিদদের নিকট মুহাদ্দিস, মুফাসসির, ফক্বীহ ও উসূলী আবুল মুহাম্মদ আব্দুল হক আলহাশেমী আসসালাফী [মৃত্যু ১৩৯২ হিজরী] সাহেব স্বীয় কিতাব “ফাতহুল ওদূদ ফী তাহক্বীকি রফয়ে ইয়াদাইন ইনদাস সুজূদ” গ্রন্থে হযরত মালিক বিন আনাস রাঃ, হযরত আনাস

বিন মালিক আনসারী রাঃ, হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ, হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ, হযরত উমায়ের বিন হাবীব রাঃ, হযরত হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ, হযরত ওয়াইল বিন হুজুর রাঃ, হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর বিন খাত্তাব

রাঃ এবং হযরত আব্দুল্লাহ বিন জুবাইর রাঃ এ নয়জন সাহাবী থেকে সেজদার সময়

রফয়ে ইয়াদাইন করার হাদীস একত্র করেছেন। এমনিভাবে প্রসিদ্ধ গায়রে মুকাল্লিদ আলেম আবু হাফস বিন উসমান আলউসমানী সাহেব স্বীয় রেসালা “ফজলুল ওদূদ

ফী তাহক্বীকে রফয়ে ইয়াদাইন লিস সুজূদ” এউল্লেখিত নয়জন সাহাবীর হাদীস এনেছেন। আর ফাতাওয়া উলামায়ে হাদীস এর ৪ নং খন্ডের ৩০৬ নং পৃষ্ঠায় লিখা হয়েছে যে, রফয়ে ইয়াদাইন [সেজদার সময়] মানসূখ তথা রহিত হয়নি। বরং রাসূল সাঃ এর শেষ সময়ের আমল এটা ছিল। কেননা, মালিক বিন হুয়াইরিস রাঃ রাসূল

সাঃ এর শেষ বয়সে মদীনায় সাক্ষাৎ করে। এরপর এমন কোন স্পষ্ট হাদীস পাওয়া যায় না, যার দ্বারা এটি রহিত হওয়ার কথা বুঝা যায়। {আব্দুল হক্ব ওয়া ফায়যুল কারীম সিন্ধী} তাহলে অধিক বর্ণনা সমৃদ্ধ এ সহীহ হাদীসকে আপনারা কোন সাহসে আমল করা ছেড়ে দিয়েছেন। এর নাম সহীহ হাদীসের উপর আমলকারী? না নফসপূজারী?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.