নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার উপরে দেশ - আমার স্বদেশ। ভাল লাগে সততা, সরলতা। খারাপ লাগে নোংরামি, মিথ্যা, অহমিকা, কুটিলতা।
তারেক বা বেগম খালেদা জিয়া যদি এপ্রিল মাসের ১ তারিখে এ দাবী করতেন তাহলে বুঝতে পারতাম কেন তারা এ দাবী করছেন। কিন্তু তারা এ দাবী করলন সপ্তাহ ব্যবধানে মহান স্বাধীনতা দিবসে। ৩ বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী যখন এ দাবি নিয়ে সামনে হাজির হন তখন 'মাথা নষ্ট' এই অভিধায় বিষয়টিকে ছুঁড়ে ফেলি কি করে? তাই খুজতে লাগলাম তাদের কথার রহস্য। কিছু একটা পেয়েও গেলাম। কিন্তু এরি মধ্যে আমার ফেইসবুক বন্ধু চবির সাবেক ভিসি বর্তমানে শেখ হাসিনার ঘনিষ্টজন এবং সরকারের সকল কাজের পক্ষে কলাম লিখক এক অধ্যাপকের পোষ্ট। তিনি হাজির করলেন বিএনপির ওয়েব সাইটে জিয়াকে ৭ম প্রেসিডেন্ট হিসাবে লিখা আছে।
মনের অতৃপ্তি এতে আরও বাড়ল। সব শেষে ফেইজ বুকে একটি লিংক পেলাম যাতে ২০০৯ সালের জুন মাসে নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক এখন সময়ের একটি লিখার যোগসুত্র। সাপ্তাহিকীটি প্রশ্ন রেখেছিল ১৯৭১ সালের ২৬ এ মার্চের পর মুজিব নগর সরকার গঠিত হবার আগ পর্যন্ত ২২ দিন কি বাংলাদেশ সরকার বিহীন ছিল?
এরি সুত্র ধরে জাতীয়তাবাদী এক্টিভিষ্টরা নেমে পড়েন এবং ২০১০ সালে ঢাকায় বাসরত এক জাতীয়তাবাদী একটি নোট লিখেন যেখানে তিনি জিয়াকে প্রথম ২২ দিনের জন্যে প্রেসিডেন্ট বলে দাবী করেন। তিনি ভারতীয় লিখক, বাংলাদেশী লিখক, ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সুত্র, বিদেশী বিভিন্ন পত্রিকার লিখা কোট করেছেন। সাথে আমেরিকান এ্যামবাসীর ঢাকা থেকে পাঠানো টেলিগ্রাফের কপি।
ইতিহাস হতে হবে সত্য নিষ্ট। এতে কোন ধরনের গাজাখুরির যায়গা নেই। এমনিতেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনেক বিতর্কিত এবং অমিমাংষিত বিষয় আছে। এ বিতর্কের মূল কারণ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। আওয়ামীলীগ বা বংগবন্ধু যদিও প্রধান দল বা নেতা ছিলেন, কিন্তু মুজিবনগর সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত আওয়ামীলীগের তেমন কোন রাজনৈতিক বা প্রতিযুদ্ধের প্রস্তুতি ছিলনা। ফলে এই অবস্হায় খালি মাঠে মাঠের প্রয়োজনে সামরিক বাহিনীর লোকজন রাজনৈতিক বা প্রতিযুদ্ধের দায়িত্ব পালন করে অনেকটাই নিজ উদ্দ্যোগে। কিন্তু আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্ধ এই কৃতিত্বটুকু অন্যদের দিতে নারাজের কারণেই আমাদের ইতিহাসের বিকৃতি ঘটেছে। এর দায় প্রধানত আওয়ামীলীগের। ইতিহাসের এই দায়ে নতুন করে যুক্ত হল ২২ দিনের সরকারের দাবী। হয় আমাদেরকে স্বাধীনতা দিবস হিসাবে পালন করতে হবে মুজিব নগর সরকার গঠনের দিন নতুবা সঠিক ইতিহাসের সন্ধান। কারণ একটি দেশ কখনই সরকার বিহীন থাকেনা। তবে নতুন যুক্ত হওয়া এ বিষয়ও হয়ত সময়ের ব্যবধানে মীমাংসিত হবে। কিন্তু তার আগেই জিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে এভাবে নতুন ভাবে বিতর্ক তৈরি করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত হয়েছে? সময়েই বলে দিবে তারা কতটুকু যোক্তিক সময়ে বিষয়টা সামনে এনেছে।
অনেক আগেই ব্লগে বলেছিলাম শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্যে নতুন ক্রাইসিস তৈরি করলেন স্বাধীনতার পক্ষ বিপক্ষে জাতিকে বিভক্ত করে। আজ জাতি শুধু ভূমিকা নিয়েই বিভক্ত হবেনা, বিভক্ত হবে ইতিহাসের দাবী, দায়, দেনা, পাওনা নিয়েও। এর ফল হতে পারে একটি দূর্বল এবং ভংগুর রাষ্ট্র বাংলাদেশের ক্রমান্বয়ে পিছিয়ে পড়া।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩
জগ বলেছেন: মার্কিন টেলিগ্রামের লিংক কই?