নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার উপরে দেশ - আমার স্বদেশ। ভাল লাগে সততা, সরলতা। খারাপ লাগে নোংরামি, মিথ্যা, অহমিকা, কুটিলতা।
আওয়ামীলীগ বা বিএনপির বাহিরে রাজনীতির তৃতীয় শক্তির উত্থান নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে অনেক আয়োজন অনেক চেষ্টা সবই অনেকটা ব্যার্থ। তবে তৃতীয় শক্তির যারা প্রত্যাশা করেন, তারা কিন্তু বসে নেই। এর অন্যতম কারণ আওয়ামীলীগ এবং বিএনপির রাজনৈতিক ব্যার্থতা। রাজনৈতিক দূর্বৃত্তায়নের কারণে আওয়ামীলীগ এবং বিএনপির প্রতি গণমানুষের যে ক্ষোভ তা ধারন করার শক্তি বাংলাদেশের প্রচলিত কোন রাজনৈতিক দলেরই নেই।
একটা সময় মনেহয়েছিল গণজাগরণ মন্চ বুঝি বাংলাদেশের রাজনীতির তৃতীয় শক্তি হতে যাচ্ছে। পরে দেখা গেল, সবই সাজানো নাটক। গণজাগরণ মন্চকে রাজনীতির ক্লাউনে পরিণত করা হল। অবশ্য মন্চ যখনই ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক অবস্হান নিয়েছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তখই অনেকে এর ভবিষ্যত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন।
ধর্মানুভূতির কারণে মানুষ সিপিবি বা অন্য বাম রাজনীতির প্রতি অনিহা প্রকাশ করেছে অনেক আগেই। তবে সুযোগের অভাবে এদের অনেকের গায়েই কোন প্রকার দূর্গন্ধ লাগেনি। সুযোগ বলছি একারণে - সাম্যবাদী দলের দীলিপ বড়ুয়া বাম রাজনীতির গায়ে অনেক বড় কলংক লাগিয়ে দিয়েছেন ক্ষমতায় থাকাকালীন দূর্নীতির মাধ্যমে।
জাতীয় পার্টির রাজনীতিই মনে হয় শেষ। বিগত উপজেলা নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অবস্হান তাদের রাজনীতির শেষ সলতে বলেই প্রতিয়মান। আর এরশাদের অবর্তমানে এই দলের কোন ভবিষ্যতই নেই।
যুদ্ধাপরাধ বা রাজাকার অপবাদেদুষ্ট জামাতের রাজনীতির ভবিষ্যতও খুবই ক্ষীন। যদিও তারা উপজেলা ইলেকশনে ভাল করেছে তুলনামূলক ভাবে। জামাতের লোকদের সমকালীন রাজনীতি নিয়ে বিচার করলে হয়ত তারা এগিয়ে থাকবে, কিন্তু রক্তাত্ত ৭১ জামাতের রাজনীতির কলংক। তদুপরি এদেশের মানুষ ধর্মের সাথে তার সংস্কৃতির বন্ধন খোজার চেষ্টা করে। ফলে সে সহনীয় ভিত্তিতে ধর্ম পালন করে, এর বেশী নয়। এই কারণে জামাতের রাজনৈতিক দর্শণ - ধর্মই রাষ্ট্রিয় যাবতীয় কাজের মূল উৎস, এটি ব্যাপক ভিত্তিক জনগণের কাছে আবেদনহীন।
ফলে তৃতীয় শক্তির প্রত্যাশা জনগনের চাহিদা হিসাবে থেকে যাচ্ছে, যার কোন আপাতত যোগান নেই। এই অবস্হায় মানুষ বিএনপি / আওয়ামীলীগ এই দুটির মধ্যে একটি দলকে শাস্তি দিতে আরেকটি দলকে বেচে নিচ্ছে। কিন্তু তৃতীয় শক্তির চাহিদা শেষ হয়ে যায়নি বরং আরও বাড়ছে।
কারা তৃতীয় শক্তির প্রত্যাশা করেন:
এটি মুলত সমাজের বৃহৎ সেই জনগণ যারা:
১) ধর্মের বিরোধীতা বা অপমাণ সহ্য করেননা আবার খুব বেশী ধর্মকে পালন করেন তাওনা।
২) এদের জাতীয়তাবোধ খুবই প্রকট।
ত) এরা সামাজিক এবং প্রশাসনিক শৃঙ্খলাকে খুবই গুরুত্ব দেন।
৪) রাষ্ট্রের কাছে এদের প্রত্যাশ সীমিত, কারণ এরা ব্যক্তিগত প্রচেষ্টাকে খুবই গুরত্ব দেয়।
৫) এরা রাজনৈতিক নৈরাজ্যকে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ মনে করে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি এই শ্রেনীর সংখ্যা ও বাড়ছে। এই অবস্হায় হয়ত আগামীতে আমরা রাজনীতিতে নতুন কোন মুখ দেখতে হলে তাদেরকে অবশ্যই উপরোক্ত জনগোষ্টির মানুষের চাহিদা মাথায় রাখতে হবে।
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৫৬
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: বাম রাজনীতির ব্যর্থতা নাস্তিকতার জন্য নয়, তারা আদৌ নাস্তিক কি না তাও জানি না। কারণটা হল তাদের জনবিচ্ছিন্নতা।
৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৩৪
সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: বাংলাদেশের রাজনীতি যে পথে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে আমাদেরকে তৃতীয় না বরং দ্বিতীয় রাজনৈতিক শক্তি খুজতে হবে
৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৪৫
ভোলামন বলেছেন: ভাবনা টা ভাল !
৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬
টাবলীগহেপী বলেছেন: Assalamualikum,
তৃতীয় শক্তির প্রত্যাশা :
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আইতাছি আমি নতুন ভোরের আলো লইয়া। আর ৫টা বছর সবুর করেন।