নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার উপরে দেশ - আমার স্বদেশ। ভাল লাগে সততা, সরলতা। খারাপ লাগে নোংরামি, মিথ্যা, অহমিকা, কুটিলতা।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সকল প্রারম্ভিক নমুনা দৃশ্যমান। সরকারের বিদায়ের সময় যে ধরনের ঘটনা ঘটে, বাংলাদেশে এখন তাই ঘটছে। যদিও পরিস্থিতি এখনও সরকারের নিয়ন্ত্রনে, তবে উচ্ছসিত এবং উদ্ভাসিত ছাত্রজনতার আন্দোলনে তা কতক্ষন থাকে দেখার বিষয়। সরকার সময় ক্ষেপন করায়, ছাত্র জনতার দাবী এখন এক দফায় রুপ নিয়েছে - সরকারের পদত্যাগ। আজকের ঢাকা একটি সফল গনআন্দোলনের পূর্বরুপ। ছাত্রজনতা ভয়হীন ভাবে রাস্তায়। বিভিন্ন পেশাজীবি, বুদ্ধিজীবি, এবং সাংস্কৃতিক কর্মীরা একে একে এ আন্দোলনের সাথে একাত্নতা পোষন করে ফেইসবুকে পোষ্ট দিচ্ছেন। সরকারের জন্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে বিশ্বাসযোগ্যতার সমস্যা। ছাত্রজনতা সরাসরি সরকারের পদত্যাগ দাবী করছে।
ছাত্রজনতার বিশ্বাস ফিরাতে সরকার পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনীর খুনিদের, কয়েক ডজন রাজনৈতিক নেতা, ১ ডজনের বেশী মন্ত্রীকে একযোগে শাস্তি দিতে হবে। এতে হয়ত সরকার সাময়িক টিকার চেষ্টা করতে পারে, তবে টিকার সম্ভাবনা কম। এর ফলে দুর্বল হওয়া সরকার কয়েক মাসের মধ্যে ক্ষমতা হারাবে। আর সরকার যদি দমন, নিপিড়ন চালিয়ে যায়, তবে গনবিদ্রোহে আগামী কয়েক সপ্তাহে সরকারের পতন হতে পারে।
সরকারের উচিত হবে হবে এখন এক্সিট প্ল্যান নিয়ে কাজ করা। সরকার চাইলে প্রেসিডেন্টের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সংবিধানের অধীনে নতুন নির্বাচন দিয়ে বিদায় নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সরকার তার সাজানো প্রশাসনের সুবিধা পাবে। কিন্ত গনআন্দোলনে ছাত্রজনতার নির্ধারিত কোন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হলে, এ সরকারে জন্য এক কলংকজনক বিভিষিকা অপেক্ষা করছে। গনতন্ত্র মুক্তিপাক।
©somewhere in net ltd.