নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বনির্ভর সরল পাঠ - গরিব মানুষ, মানুষ হতে চাই

বিক্ষিপ্ত ভাবনা

সরলপাঠ

সবার উপরে দেশ - আমার স্বদেশ। ভাল লাগে সততা, সরলতা। খারাপ লাগে নোংরামি, মিথ্যা, অহমিকা, কুটিলতা।

সরলপাঠ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিজিটাল যুগের একজন মুসলমান হিসাবে বিশ্বব্যবস্থায় নিজেকে প্রাসংগিক রাখতে আমাদের কি করা উচিৎ

০৭ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:০৯

বর্তমান সময়ে আপনার কার্যক্রম বলবে, আপনি গণনায় আছেন, নাকি হিসাবের বাহিরে। এই ডিজিটাল যুগে আপনার উপস্থিতি বলে দিবে আপনি গুরুত্বপূর্ণ না গুরুত্বহীন। যেমন দরুণ: দুনিয়ায় মুসলমানের সংখ্যা ২ বিলিয়ন, আর ইহুদির সংখ্যা মাত্র সাড়ে ১৫ মিলিয়ন। মুসলমানেরা দুনিয়ার জনসংখ্যার ২৬%, আর ইহুদিরা মাত্র ০.২%। ইসরায়েল গাজায় এই গণহত্যা চালানোর পরও বিশ্বশক্তি কেন নিশ্চুপ? কেন এই ২ বিলিয়ন মুসলমান কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যার্থ? বর্তমান ডিজিটাল সময়ে, নিজেকে হিসাবের মধ্যে আনতে হলে যা করতে হবে:
১) নিজেদের মধ্যে কার্যকর নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা এবং প্রয়োজনীয় সকল বিষয়ে সমন্বিতভাবে নিজেদের মতামত তুলে ধরা। একটি উদাহরণ দিই: বিবিসির ইতিহাসে বিবিসি সবছেয়ে বেশী কমপ্লেইন রিসিভ করেছে বব ভাইলনের এবারের গ্লাসটনবারির পারফরমেন্স "Death, Death to IDF" লাইভ করার বিরুদ্ধে। আমরা বিবিসির পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করি, কিন্তু নিশ্চুপ থাকি। আমাদের ৯৯% মানুষই তাদের মতামত তুলে ধরেনা। এটি আপনাকে হিসাবের বাহিরে নিয়ে যায় আর আপনি গুরুত্বহীন হয়ে পড়েন। এ সমাজে পশুরও গুরুত্ব আছে, কারণ তার চিৎকার শুনা যায়। কিন্ত আপনি গুরুত্বহীন, আপনি পশুর থেকেও অধম। নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ করার প্রথম শর্ত হচ্ছে, "তোমরা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হইয়োনা"।

২) নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হওয়া: আমরা বিশেষ করে, অনারব মুসলমানেরা সব কিছুতেই আরবদের দোষ খুজি। এটি সত্যি আরবদের আর্থিক সক্ষমতা বেশী, কিন্ত তাদের অনেকেই ভোগবাদে নিমজ্জিত। অনারব মুসলমানেরাই বর্তমানে মুসলমানদের মধ্যে জ্ঞান বিজ্ঞানে অগ্রসর। অনারবরা তাদের এই সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে। আপনার দায়িত্ব হচ্ছে মুসলমানদের মধ্যে কোন একটি নেটওয়ার্কে নিজেকে যুক্ত করা, যার মাধ্যমে আপনি আপনার ভয়েস রেইস করতে পারবেন। একবার চিন্তা করুণ বর্তমান গাজা সমস্যা নিয়ে আপনি সহ মুসলমানেরা যদি তাদের মতামত অনলাইনে বা ইমেইলের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বা সংস্থার নেতাদের কাছে পৌছে দিত - এধরণের কোটি ইমেইলের যে প্রভাব তা হবে অকল্পনীয়। হা হুতাশ না করে শুধু একটু একটিভ হতে হবে। ইমেইল এখানে একটি উদাহরণ মাত্র।

৩) নিজেকে মানবতাবাদী হিসাবে তৈরি করা। ইসলাম একটি মানবতাবাদী ধর্ম। আপনি যদি মানবতার অনুসরণ করেন, তাহলে আপনি ইসলামেরই অনুসরণ করলেন। এক্ষেত্রে আপনার দায়িত্ব হচ্ছে, ইসলামের মানবতার অনুশাষণের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে জানা এবং তা মানা।

৪) বর্তমান বিশ্বব্যবস্থার ক্রান্তিকাল সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সহযোগীদের সাথে সম্পর্ক তৈরী করা। বর্তমান বিশ্বরাজনীতি অনেকটাই মোরালি করাপ্ট এবং অন্তসারশূন্য। ক্ষমতার এই রাজনীতি অনেকটাই কর্পোরেট নিয়ন্ত্রিত। সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের শক্তিশালী যোগাযোগের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে করাপ্ট কর্পোরেট রাজনীতিকে অপ্রাসংগিক করে তোলা। এ ক্ষেত্রে নিউইয়োর্কের মেয়র প্রার্থী যোহরান মামদানীর যোগাযোগ মডেল গ্রহন করতে পারেন।

৫) ভোটার হোন এবং ভোটের রাজনীতিতে সক্রিয় হোন।

৬) সাইন্স, টেকনোলজি, এবং ম্যাথ শিক্ষাকে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরে শক্তিশালী করা। এতে নিজের অংশগ্রহন বাড়ান।

আমি ব্যক্তিগত এবং সামাজিক উদ্যোগের কয়েকটি বিষয়কে উল্লেখ করলাম মা্ত্র।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:২৭

কামাল১৮ বলেছেন: দুনিয়ায় মুসলমানের থেকে মানুষ বেশি।

০৭ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:৪৪

সরলপাঠ বলেছেন: মানুষ নামক সংখ্যাটি বেশী। সত্যিকারের মানুষের সংখ্যা সীমাবদ্ধ। মুসলমানের ঘরে জন্ম নিলেই যেমন মুসলমান হয়না, মুসলমান হয়ে উঠতে হয়। মানুষ রুপে জন্ম নিলেই মানুষ হয়না, মানুষ হয়ে উঠতে হয়। মানুষ হওয়ার প্রথম শর্ত, মানবতাবাদী হওয়া।

২| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৭:৪৬

ওমর খাইয়াম বলেছেন:




যেকোন ধর্মীয় সংস্কৃতি মানুষকে অমানুষে পরিনত করে। যেমন আপনার ভাবনা ও আচরণ ভালো বলে মনে হচ্ছে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.