![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালোবাসা- শুধু একজনকে নিয়ে একরোখা একটা নিরব আসক্তি!!! কিছু পাগলামি,কিছু অভিনয় এবং অনিশ্চয়তা! https://www.facebook.com/ ABUHENAALMASUD
"আশরাফুল" তুই এটা কি করলি ভাই?
না চিল্লাতে পারছি, না কাউরে বুঝাইতে পারছি।
আমি, আমরা কি তোর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলাম বলে কি এতবড় একটা ভুল করলি?
বন্ধুবান্ধব,আত্মীয়স্বজন কার সাথে ঝগড়া করি নাই বল?
ম্যাচে খারাপ খেল্লেও তোমারে ঝগড়া কইরা মাইরা ধইরা জিতায়ে নিতাম!
আর যদি কোন রকম ভাল একটা স্কোর দিতে পারতা তাইলে
আমার আশে পাশে আশরাফুল বিরোধী কেউ থাকতেই পারেনা।
বাংলাদেশের কোন ম্যাচ থাকলে তাইলে আগে আমি সম্ভাব্য লিস্ট দেখতাম-
আশরাফুল দলে আছে কিনা?
দলে নাইতো আমার আর খেলা দেখার খুব একটা ইচ্ছে হইত না!!
প্রথম ১৫ ওভার খেলা দেখে অন্য দিকে হাতা ধরতাম। লাস্টে জাস্ট কে হারছে কে জিতছে তা জেনে নিতাম।
আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে ইন্ডিয়ার সাথে সেই ১৫৮ রানের ইনিংসটার কথা!
যখন ইরফান পাঠানকে টানা কাভার শর্টের ওপরে রাখছিল আর তখন পিছন থেকে শচীন টেন্ডুলকার বড় বড় করে দেখছিল
আর ভাবতে ছিল এতাই বুজি বাঙ্গালির ক্রিকেট গ্রেনেড যে কিনা টেস্ট ইতিহাসে সর্ব কনিষ্ঠ সেঞ্চুরির মালিক।
যার দ্রুতি ছড়ানটা দেখল মানুষ শ্রীলঙ্কার সাথে।
এমন কি কেউ ভেবেছিলো?সেই নেটওয়েস্ট সিরিজের কথা?
এই তো সেই আশরাফুল যে কিনা কার্ডিফের সুফিয়া গার্ডেনে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে লজ্জায় ফেলে দিছিল।
ম্যকগ্রা,গিলেস্পি,ক্যাসপ্রোভিচ দের সেদিন নাস্তানুবাদ করে ১০১ বলে ১০০ রান করে দলকে জয়ের পথ সুগম করে মাঠ ছাড়েন।
রিকি পন্টিংকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে তার জিবনে সব চেয়ে বাজে দিন কোনটি?
উত্তরে হয়তো রিকি পন্টিং বলবে বাংলাদেশের সাথে সেই ম্যাচটার কথা।
সে নাকি সারা রাত ঘুমাতে পারেনি।
আমার এখনো মনে আছে আশরাফুলের ওই মাচের কথা!!
নেট ওয়েস্ট সিরিজের ইংল্যান্ডের সাথে ৫২ বলে ৯৪ রানের সেই বিধ্বংসী মাচের কথা।
সেদিন দেখেছিলাম যখন আশরাফুল আউট হয়ে মাঠ ছাড়ছিলেন তখন ৯৪ রানের একটা ঝড়ো ইনিংস খেলে
ঠিক তখনই মাঠের হাজারো দর্শক দাড়িয়ে সম্মান জানিয়েছিল এই আশরাফুলকে।
গত দুটি বছর আমি আমার ব্যক্তিগত কাজে ক্রিকেট থেকে বাইরে আছি।
তবে মিস করিনা আশ্রাফুলের খেলা দেখতে যখনই শুনি বাংলাদেশের ম্যাচ আছে অফিসে থাকলে স্কোর আপডেট নিয়ে পরে থাকি।
আর আশরাফুল যদি ম্যাচে ভাল করে থাকেত রাতে বাসায় গিয়ে হাইলাইটস দেখতে বসি।
খুব ভালবাসতাম আশরাফুলকে।
অনেক ভালবাসতাম,
আমার প্রথম প্রেমিকার যখন আমার থেকে হারিয়ে গেছিলো সেদিনের সেই কষ্ট আর আজকেও ঠিক একি কষ্ট পেতে হচ্ছে।
এ মন অনেক বন্ধু আছে আমার,
-এই আশরাফুলকে নিয়ে ঝগড়া করে কয়েকদিন কথাও বলিনি।
এমন অপ্রত্যাশিত ভাবে আমরা আশরাফুলকে হারিয়ে ফেলব ভাবিনি।
ব্যাট হাতে আর সেই ছোট্ট অ্যাশ বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামবে না।
গ্যালারী গুলো বড্ড বেশী মিস করবে সেই সব আশরাফুলের দর্শকদের যারা কিনা গ্যালারীর
আনাচে কানাচে "গো এহেড অ্যাশ" বলে পুরা গ্যালারীর মাতিয়ে রাখত।
যে মানুষ নিজেই নিজের ভুলে অনুতপ্ত হতে পারে,
যে কিনা নিজের ভুলের জন্য ১২ বছরের তিল তিল করে গড়ে তোলা নিজের ইমেজটা নষ্ট করে দিতে পারে,
যে কিনা ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় মানব যার নিজের পাতানো মাচের খবর নিজেই জানালেন।
এমন ক জনা আছে বলুন তো?
ভাবুন তো একটা বার এই মানুষ টা আমাদের ক্রিকেটকে কিনা দিছে?
সে যখন ম্যাচ জিতিয়েছে তখন আমরা আনন্দে কে না কেদেছি?
তাই আজো তার ক্যরিয়ার শেষের লগ্নে কাঁদো কাঁদো গলায় আমরা বলতে পারি তুমি ভাই যাই করছ।
আমরা তা ভুলে গেছি! আমরা তোমায় ক্ষমা করে দিছি।
এবং কান্না ভেজা চোখে বলি আমরা তোমার পাশে আছি সারাজীবন ও থাকব।
তোমার ফিরে আসার প্রতিক্ষায় থাকলাম।
০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:২৬
আবু হেনা আল মাসুদ বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩১
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: