নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শামিম ইশতিয়াক, জন্ম ময়মনসিংহ জেলার জাতীয় কবির শৈশব কাটাবো ত্রিশাল উপজেলায়,বিএসএস অনার্স (অর্থনীতি) নিয়ে বর্তমানে অধ্যায়নরত আছেন, এছাড়াও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (সমমান) পাশ করেছেন, শামিম ইশতিয়াক নিজেকে একজন কবিতাসক্ত হিসেবে পরিচয় দিলেও

শামিম ইশতিয়াক

শামিম ইশতিয়াক জন্ম ৭ জুলাই, জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলামের শৈশবের স্মৃতি বিজরিত ময়মনসিংহের ত্রিশালে। অর্থনীতি তে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন আনন্দ মোহন কলেজ থেকে, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কামিল মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন, এছাড়াও আইন শিক্ষায় এল এল বি শেষ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখি শুরু, বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন, পাশাপাশি দৈনিক, সাপ্তাহিক মাসিক পত্রিকাগুলোতে লেখালেখি শুরু করেন, সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কবিতা, গল্প, রম্য রচনা, কলাম, ভ্রমণকাহিনী লিখেছেন বিভিন্ন পুস্তক, ম্যাগাজিন, পত্রিকায়, রয়েছে কবিতা আবৃত্তির কালেকশন। ভ্রমণকাহিনী লেখার পাশাপাশি দেশ ভ্রমণেও তিনি পরিচিত মুখ, পরিচালনা করেন ভ্রমণ এজেন্সি। তিনি জাতীয় দৈনিকে সাংবাদিকতা শুরু করেন পাশাপাশি তিনি তিনি সম্পাদনা করেছেন কয়েকটি সাপ্তাহিক পত্রিকা, সাহিত্য পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল । সামাজিক, সেচ্ছাসেবী ও সাহিত্য সংগঠনের তিনি দায়িত্বশীল ও নিয়মিত সদস্য হিসেবে কাজ করে এসেছেন। সাহিত্য চর্চা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি সম্মাননা পদক, পুরস্কার লাভ করেছেন।

শামিম ইশতিয়াক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাগলীর পাগলামি - শামিম ইশতিয়াক

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২৩


মরার মত ঘুমাইতেছো কেন? উঠো বলতেছি, কথা কানে যায়না তোমার? কখন থেকে ডাকতেছি,
কাচা ঘুমে পানির ছিটা লেগে ঘুম ভাজ্ঞলো নীলাভ্রের,
মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখল রাত দুইটা বেজে বত্রিশ মিনিট,
এই হলো নীলাময়ীর সমস্যা মাঝরাতে ডাকবে আর ঘুমের বিরক্ত করবে, বিয়ে করেই আজ এই যন্ত্রণার শিকার সে, ঠিকমত ঘুমানোও যায়না৷
অথচ ব্যাচেলর লাইফে কত শান্তির ঘুম ছিল, কারো হাক ডাক নাই শুধু সকালে "মামা কি রান্না হরবাম? ডাকটা মনে হতো এক অশান্তির দাবানলের মত কিন্তু এটাও সহ্য হয়ে গিয়েছি ভোরের সূর্য উঠার রুটিনের সাথে মানানসই হয়ে..

তখন ও নীলাময়ীর প্যারা ছিল, ফোনের পর ফোন আসতো, ফোন রিসিভ করলেই শুরু হত ঘ্যানঘানানি ১১টা বাজে উঠো তারাতারি, সারারাত কি করছো? ঘুমাইছো কয়টায়? কোন মাইয়ার সাথে ফেইসবুকে কথা বলছো? এত ঘন্টা আগে একটিভ ছিলা তুমি, যাও ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করো,
এসবের হাত থেকে বাচার জন্য অবশ্য শেষের দিকে ফোন সাইলেন্ট করেই সকালের ঘুমের অমিয় স্বাদ টা নিতো নীলাভ্র..
তবুও বাচা ত আর গেলোনা, ব্যাচেলর লাইফ থেকে এখন সে এক বিবাহিত মূর্তিতে রূপ নিলো...

ওই নীলাভ্র কি হলো উঠো, উপরে তাকাইয়া কি ভাবো?
- এত রাতে ঘুম ভাজ্ঞাইলা কেন?
- চলো ছাদে যাব চাঁদ দেখবো,
- মানে কি এই শীতের রাতে?
- হুম শীতের রাতে কুয়াশার সাথে চাঁদ দেখাটা অনেক মজার চলো যাই,
- হুম চলো যাই না গেলেও ত মুখটা বাংলার পাচ বানাইয়া দিবা
- কি বললা তুমি? হে কি বললা?
-ইয়ে মানে বললাম পাচটা বাজা পর্যন্ত দেখবো দেখবো চলো যাই,
- তুমি যাও আমি তোমার জন্য কফি নিয়ে আসি,

নিস্তব্ধ অন্ধাকারে ছাদে এসে দাড়াতেই সারা গায়ে কাপুনি দিয়ে উঠল নীলাভ্রের, কম্বলের নিচে আরাম কে হারাম করে এই পাগলী মেয়েটার জন্য এই শীতের রাতে ঠান্ডার আঘাত হজম করতে হচ্ছে এখন,
ঘুমঘুম চোখ নিয়ে ছাদের র‍্যালিং ঘেষে দাঁড়ালো সে, কখন যে আসবে এই অসহ্য মেয়েটা..

হাতে দুটি কফির মফ নিয়ে ছাদে আসল আসল নীলাময়ী,
খোলা চুলে অন্ধকারে বোকাসোকা চেহারার বউটাকে দেখে ঘুম কেটে গেলো নীলাভ্রের,
কি যেনো এক মায়া আছে মেয়েটার মাঝে তার দিকে তাকিয়ে থেকে ভুলে যাওয়া যায় সব কষ্টগুলো,

এই নাও বলে কাপ এগিয়ে দিল নীলাময়ী,
কফি থেকে ধোয়া উঠছেনা কেন প্রশ্নটা করতে যাবে তখনি হাতে কাপ নিতেই আবারো গা হিম হয়ে গেলো তার,
ঠান্ডা কাপের উপর ফোটা ফোটা পানির অস্তিত্ব জানান দিলো যেনো ভেতরে এন্টার্রটিকা মহাদেশের বরফেরা দল বেধে চলে এসেছে,
এটা কি কফি নীলাময়ী?
আগে চুমুক দাও,
চুমুক দিয়ে থ হয়ে গেলো,
ফ্রিজের ঠান্ডা পানিতে লেবু চিনি দিয়ে শরবত বানিয়ে এনেছে....
- কি নীলাভ্র কফিটা মজানা!"
- ফাইজলামি করার জন্য এত রাতে ছাদে আনছো?
- মনে পরে তুমি এক বছর আগে স্টেটাশ দিছিলা যে কেউ একজন যদি হারকাপা শীতের রাতে, বরফ শীতল পানিতে লেবু চিনি দিয়ে শরবত বানিয়ে এনে বলতো চলো ছাদে গিয়ে চাঁদ দেখি তখন তাকে জড়িয়ে ধরে হয়ত হমজ করা যেতো সব কিছু.
রাগে শরির কাপছিলো নীলাভ্রের তবুও পাগলী মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরার ইচ্ছাটা আর থামিয়ে রাখতে পারলোনা সে ....

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.