![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হোটেল রেস্তোঁরায় খাওয়া শেষে বিল পে করার সময় নিয়মমাফিক অতিরিক্ত যে বিলও আপনাকে পে করতে হয়,
সেটা হলো ওয়েটারদের টিপস...
বাংলাদেশে হোটেল সালাদিয়া থেকে শুরু করে রেডিসন ব্লু হোটেলেও এই নিয়মটি চালু আছে। আবাসিক হোটেলগুলোতে রুম ভাড়া নেয়ার আগেই টিপসের টাকাটা গুনে রাখতে হবে সাথে। পরিস্থিতির শিকার না হলে তো কেউ আবাসিক হোটেলে গিয়ে ওঠেনা।
কিন্ত খাওয়ার হোটেলেও এই নিয়মটা মোটামুটি অস্বস্তিকর।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের হোটেল রেস্তোঁরায় এই নিম্নমানের কাজটি দেখা যায়না।
হোটেলে আগত কাস্টমারদের প্রতি খেয়াল রাখা, তাদের প্রতি মনযোগ দেয়া, কাস্টমার আসার আগেই টেবিল পরিস্কার রাখা, গ্লাসগুলো ধুয়ে সাজিয়ে রাখা, টেবিলে টিস্যু বক্স রাখা। কাস্টমারদের যত্ন আত্মি করা হোটেল কতৃপক্ষের পেশাগত দায়িত্ব। এর বিনিময়েও কিন্ত সে পরোক্ষভাবে চার্জ নিচ্ছে।
বছরখানেক আগেও ডাল যেখানে ছিলো ১০ টাকা, একই হোটেলে বর্তমানে এক বাটি ডালের মুল্য নির্ধারন করেছে ৪০ টাকা। বাটির সাইজ কিন্ত বড় হয়নি... বিলের পরিমান বেড়ে গেছে।
আগামী ২০১৭ সালে দশ টাকার ডাল ৬০ টাকায় পৌঁছবে নিশ্চিতভাবে বলা যায়।
হোটেলের খাদ্যতালিকার দরদামে সরকারী নীতিমালা না থাকায় হোটেল মালিকরা নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম সেট করে রাখতে পারে। খাওয়ার আগে কয়জনই বা দাম জিজ্ঞেস করে খায় !!
একটা হোটেলে মেহমান সাথে নিয়ে গেলে শুধুমাত্র অতিরিক্ত দামের কারনে তো মেহমান নিয়ে কেউ ফিরে আসবে না...
খাওয়াশেষে বিলের সাথে ওয়েটারদের টিপস দেয়ার জন্য স্বয়ং হোটেল মালিকও ইঙ্গিত দিয়ে জানায়।
একজনকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম
হোটেলের ওয়েটার, টেবিল বয়'রা নামেমাত্র বেতনে চাকরি করে। তাদের মুল ইনকামটাই হচ্ছে কাস্টমারদের থেকে পাওয়া টিপস।
একটি ঘটনা শেয়ার করিঃ
কুমিল্লা বিশ্বরোডে হোটেল মুনের ঠিক উল্টোদিকে আরেকটা হাইওয়ে রেস্টুরেন্ট আছে।
(নামটা এখন মনে পড়ছেনা)
দুপুরের লাঞ্চ সেরে বিল দিচ্ছিলাম। হোটেল মালিক ওয়েটারকে ডেকে বিল জিজ্ঞেস করলে ছেলেটি জানায় ১৫০ টাকা।
আমি অবাক হলাম যেখানে কম করে হলেও ৩৫০ টাকা বিল হওয়ার কথা, সেখানে মাত্র একশো পঞ্চাশ... কিভাবে সম্ভব !!
পাঁচশো টাকার নোট থেকে ১৫০ টাকা রেখে বাকীগুলো ফেরত দিলো।
এদিকে ওয়েটার ছেলেটি আমাকে হাতের আঙ্গুলের ইশারায় বললো ৩০ টাকা তাকে দেয়ার জন্য। সে কি দুর্নীতি !
আমি কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে রইলাম।
অতঃপর টেবিল বয়কে ডেকে তার হাতে দশ টাকা দিয়ে হোটেল মালিকের ফোন নাম্বারটি নিয়ে চলে এলাম। দীর্ঘদিন পর হঠাৎ একদিন মনে পড়ার পর হোটেল মালিককে ফোনে জিজ্ঞেস করে জানলাম ছেলেটি এখন আর এই হোটেলে নেই। চুরিতে ধরা পড়ার পর চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
অতিরিক্ত লোভ সামলাতে না পেরে ছেলেটি চুরির বদনাম নিয়ে চাকরি হারালো। অন্য কোনো হোটেলে চাকরি করতে গেলে যদি পুর্ব অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাওয়া হয়, নিশ্চয়ই সে আগের হোটেলের নাম বলবেনা। এতে তার চোর পরিচয়টা প্রকাশ হয়ে যেতে পারে !
সে একজন ধরা পড়ায় বিষয়টা হয়তো কয়েকজন জেনেছে। কিন্ত বাংলাদেশের আরও এমন হাজারো হোটেলে এই জাতীয় ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে,
সেটার প্রতিকার কী !!
২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: যেখানে কম করে হলেও ৩৫০ টাকা বিল হওয়ার কথা, সেখানে মাত্র একশো পঞ্চাশ - ব্যাপারটা তাৎক্ষণিকভাবে হোটেল মালিকের সাথে আলোচনা করে সুরাহা করাটাই সঙ্গত ছিল বলে মনে হয়। এতে চোরও হাতে নাতে ধরা পড়তো, আপনিও নিজ বিবেকের কাছে পরিস্কার থাকতে পারতেন।
৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪০
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ভাল লাগল ।
৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: বাংলাদেশে সব কিছুতে আজগুজিব ভাব আছে। সেখানে হোটেলে এই বয়, ছোকরা বাদ যাবে কেন!
মাঝে মাঝে এদের প্রতি মানুষের খারাপ ব্যবহার দেখলে নিজেদের ভিতর খুব খারাপ লাগে।
৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ওয়েটারদের এরকম দুর্নীতি অনেক আগে থেকেই আছে। ১৯৭২ সালে আমাদের এখানে এক রেস্টুরেন্টে এরকম ঘটতে দেখেছি।
ধন্যবাদ ভাই শামীম শাহ।
৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: শামীম শাহ ,
সহ-ব্লগার "খায়রুল আহসান" এর সাথে পূর্ণমত ।
৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৩
সুমন কর বলেছেন: দুর্নীতি এবং দুর্নীতিবাজে দেশ ভরপুর !!
৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ওয়েটারদের দুর্নীতি আমরাও অনেকে ইনজয় করি। কারণ, ওয়েটারকে ২০ টাকা দিলে ৫০/৬০ টাকা কমিয়ে বিল করে। হায় আমরা টপ টু বটম কীভাবে দুর্নীতগ্রস্থ জাতি হয়ে গেলাম...
৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০৯
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ভালো বলেছেন ।
১০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩
শামীম শাহ বলেছেন: ধন্যবাদ... আপনাদের সুচিন্তিত মতামতগুলো ভালো লাগলো। খায়রুল আহসান ভাইয়ের সাথে আমিও সহমত। তবে সেইসময় নিজেও ব্যস্ততার মধ্যে ছিলাম। কখন বাস ছেড়ে দেয় এই ভয়ে !
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:১৭
আহলান বলেছেন: যে সব হোটেলে আলাদা করে সার্ভিস চার্জ নেয়, সেখানে টিপস দেওয়ার কোন দরকার বোধ করি না। রেডিমন ব্লুতে কোনদিন খাইনি, তাই জানি না সেখানে সার্ভিস চার্জ কেটে রাখে কিনা। তবে তার থেকেও অনেক নিম্ন শ্রেনীর হোটেলেও এখন সার্ভিস চার্জ কেটে রাখে। পল্টনের কস্তুরী তে একদিন ম্যানেজার বল্লো একচুয়াল বিল করবো, নাকি কম বিল করে তাকে ২০০ টাকা দিবো? তাকে একচুয়াল বিল করতেই বলেছিলাম। চোরে চোরে আসলে দেশ সয়লাব হয়ে গেছে। আর এসব না করে চলবেই বা কিভাবে? সব শিক্ষা চিকিৎসা বাসস্থান আইন শৃঙ্খলা সহ সব কিছুই যখন দূর্নীতির শিকার ... সেখানে সাধারণ মানুষ কিভাবে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রাখবে?