নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইদের শুভেচ্ছা

শামীম শাহ

শামীম আহমেদ

শামীম শাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বন্ধুত্ব

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৪২

প্রবাদে আছে, 'সৎসঙ্গে সর্গবাস, অসৎসঙ্গে সর্বনাশ'
অর্থাৎ,
আপনি যদি কোনো অপরাধীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন, আপনার ভেতরের ভালো মানসিকতাকে সে হত্যা করে আপনাকে অপরাধমনস্কা করে তুলবে।

এমন লোকদের সাথে বন্ধুত্ব করবেন না,
-যে লোকগুলো নিরীহ মানুষকে সামান্য কারনে আঘাত করে ক্ষমতার দাপট দেখায় কিংবা অবলা জীবজন্তুকে হত্যা/ মারধর করে পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করে।
কারো সাথে সামান্য বাকবিতন্ডায় যে অশ্রাব্য ভাষায় গালি দেয়।

-আপনার বন্ধুটি যদি নোংরা অশালীন কাজের সাথে জড়িত থাকে এবং আপনাকেও সে কাজে উৎসাহিত করে। যেমন নেশা, চুরি, একাধিক প্রেম, নকলবাজি ইত্যাদি। অথবা যে বন্ধুর পরামর্শে আপনি বারবার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন, এরা কখনোই বন্ধু হতে পারেনা। এরা আপনার প্রকৃত শত্রু।

-যে আপনাকে কথা দিয়ে কথা রাখতে পারেনি। কথা রাখতে না পারায় তারমধ্যে কোনো অনুশোচনাবোধও নেই। মিথ্যে বলে ধরা পড়ার পরও তারা কখনো লজ্জিত হয়না।
যারা কারনে অকারনে অন্যের সাথে মিথ্যে বলে। যে কোনও সময় আপনার সাথেও সে মিথ্যে বলতে পারে।

স্বার্থে আঘাত হলে অথবা আত্মচাহিদা মেটাতে না পারলে এই জাতীয় বন্ধুরা যেকোনও সময় আপনাকেও আঘাত করতে পারে !

আপনার জীবনের ব্যর্থতা সফলতার অনেকটাই নির্ভর করে একজন খাঁটি বন্ধুর কাছে। কাজেই বন্ধু নির্বাচনে অবশ্যই সচেতন হতে হবে।

-যে বন্ধু বিপদের দিনে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। বিপদ কেটে গেলে আবার কাছে ঘেঁষতে থাকে। এরা হচ্ছে সুসময়ের বন্ধু। সুসময়ের বন্ধুরা কখনো প্রকৃত বন্ধু হতে পারেনা।

-যে বন্ধু অন্যের ব্যক্তিগত কথা কিংবা গোপনীয় নানান বিষয় আপনার সাথে বেশ আগ্রহ সহকারে আলাপ করে। কেউ হয়তো তাকে বিশ্বাস করে কিছু কথা বলেছিলো। সে এসে আপনাকে সব জানিয়ে দেয় এবং সেটা নিয়ে হাসি ঠাট্টা করে। যে ব্যক্তি অন্যের গোপনীয় কথা আপনার সাথে আলোচনা করে, তারা আপনার গোপনীয় বিষয়ও অন্যের কাছে গিয়ে বলে দেবেনা, তার নিশ্চয়তা কী !!
তাই এ ধরণের বন্ধুদের কে বিশ্বাস করা ঠিক না।
.
-যে বন্ধুটি নিজের ইচ্ছাকেই সবসময় প্রাধান্য দেয়। আপনার ইচ্ছার কোনো মুল্য নেই।
তাকে সবসময় আপনি আগে স্মরন করেন। সে কখনও আগে থেকে আপনার খোঁজ খবর নেয়না।
অথবা আপনার মান অভিমান নিয়ে যার কোনও মাথাব্যাথা নেই। সে তার মতোই থাকে। তাহলে বুঝবেন আপনার ব্যাপারে তার খুব একটা মনযোগ নেই।
কাজেই এমন লোকের সাথে সম্পর্ক রাখা উচিত হবেনা।

এই জাতীয় বিবেকবর্জিত মানসিকতার বন্ধু/বান্ধবী কিংবা প্রেমিক/প্রেমিকা আপনার জীবনকে সবসময় অন্ধকারাচ্ছন্ন করে রাখবে।
আপনার সুখে-দুঃখে যদি সমানভাবে আপনার বন্ধু বা ভালোবাসার মানুষটি একাত্ম হতে না পারে এবং সব সময় নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে, তাহলে বুঝবেন আপনার প্রতি তার সহমর্মিতার যথেষ্ট অভাব আছে।

মনে রাখবেন,
হঠাৎ পরিচয়ে বন্ধুত্ব হতে পারে, কিন্ত হঠাৎ পরিচয়ে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠেনা। একজন মানুষকে ঘনিষ্টভাবে জানার পরই তার প্রতি প্রেম জাগে মনে।
প্রেমের সম্পর্ক গাঢ়ো হয়ে এলে হঠাৎ অজানা কোনো কারনেও সম্পর্ক স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কাজেই সম্পর্ক গভীরে যাওয়ার আগে তাকে আরও ভালোভাবে জেনে নিন।

ধরুন,
আপনি অপছন্দ করেন অথবা বিরক্ত হন, এমন কাজগুলোই যদি সে বেশি বেশি করে; অথবা অন্য সবার বিরক্তির উদ্রেক করে কিংবা অন্যকে আহত করে, এমন কোনো নির্মম রসিকতা বিনাসঙ্কোচে করতে পারে;
তাহলে বুঝবেন আপনি একজন আত্মকেন্দ্রিক বিকারগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে প্রেম করছেন।

কারো প্রতি মন আকৃষ্ট হলেই তার সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে, এমনটা ঠিক নয়। হঠাৎ করে কারো সাথে পরিচিত হবার মধ্য দিয়ে অর্থাৎ কোনো রকম বিচার বিশ্লেষণ ছাড়া বন্ধুত্ব কিংবা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত নয়।

কিছু সম্পর্ক মানুষের জীবনকে আগের চেয়েও সুখী করে। আর ভুল মানুষের সাথে সম্পর্ক জীবনকে বিষাদময় করে দেয়... আত্মহননে বাধ্য করে !!

বন্ধু বা ভালোবাসার মানুষ নির্বাচনের আগে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।
ভালোভাবে ভেবে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
কারন সম্পর্ক ভাঙ্গার পর আপনার নিকটতম বন্ধুটি হতে পারে আপনার সবচেয়ে বড় শত্রু...........

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.