![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমানে দেশে মেডিকেল ব্যবসাটা মোটামুটি রমরমা অবস্থায় চলছে।
বাংলাদেশের আনাচে কানাচে পাড়া মহল্লায় হাটে-বাজারে, গ্রামে-গঞ্জে বাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠছে ক্লিনিক-প্যাথলজী সেন্টার।
এই বিজনেসটা বিভাগীয় শহরের চেয়ে গ্রাম আর উপজেলাশহরগুলোতে বেশি লাভজনক।
সেজন্য শহরের তুলনায় গ্রাম্য এলাকায় প্রাইভেট হাসপাতাল আর ক্লিনিকের দপদপি বেশি।
গ্রামগঞ্জের ক্লিনিকগুলোতে মেডিকেলে ফেল হওয়া ছাত্ররা নামের সাথে বাহারি টাইটেল লাগিয়ে ডাক্তার সেজে বসে থাকে (আমার নিজ চোখে দেখা)...
পল্লী ডাক্তারী কোর্স করে সাইনবোর্ডে উচ্চমানের কোনো ডিগ্রি এঁটে দেয়।
রোগী এলে প্রচলিত কিছু ডাক্তারী প্রশ্ন করেই কয়েকটি প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় টেস্ট দেয়া হয় তাদের। যদিও রোগীরা আদৌ জানেনা এই টেস্টগুলো তাদের অসুস্থতা দুরীকরণে কতটুকু ফলপ্রসু হবে।
মরণাপন্ন রোগীরা এদের কাছে এসে বাঁচার শেষ আশাটুকুও হারিয়ে ফেলে।
তাদের বিজনেস কৌশলগুলো সহজ সরল রোগীদের বোঝার কায়দা নেই।
প্রদত্ত টেস্টগুলোর নিরীক্ষনে ডাক্তারও কিন্ত তারাই সেট করে দেয়।
ওখানে ৫০% থেকে ৬০% পর্যন্ত টেষ্টের বিলের কমিশন তাদের প্রাপ্য থাকে।
টেস্ট রিপোর্ট আসার পর ওষুধপত্র কেনার জন্য নির্দিষ্ট ফার্মেসীর ঠিকানা দেন ডাক্তার মশাই।
বাংলাদেশে এই একটি মাত্র পন্য আছে যেটির দাম হাঁকানোর সুযোগ নেই।
ইচ্ছেমতো ওষুধ কোম্পানীগুলো দাম সেট করে রেখেছে। ফার্মেসীওয়ালারা রোগীর অবস্থা দেখে সেটাকে আরও দ্বিগুন করে দেন।
দেশের নামীদামি ওষুধ কোম্পানীগুলো প্রতিনিয়ত মেডিসিনের দাম বাড়াচ্ছে অযৌক্তিক হারে।
সরকার এখানে নির্বিকার… কারন এসব বড় কোম্পানিগুলো রাজনৈতিক দলের ডোনার।
প্রতি বছর বাজেটে স্বাস্থ্যসেবার জন্য যে বরাদ্দ সরকার রাখে, তার অর্ধেকও জনগণের কল্যানে ব্যায় হয় না।
বিশ্বের নামকরা দুঃনীর্তিগ্রস্থ দেশ বলেই হয়তো সচরাচর এসব কর্মকান্ড চলতে দেখেও স্বাস্থ্য মন্ত্রালয় এ বাপ্যারে নিশ্চুপ।
ডাক্তারদের এই পরীক্ষা নিরীক্ষা বা টেষ্ট ব্যবসা এখন সয়াবিন তৈল বা ডাল চিনি সিন্ডিকেডের মতই নাগরিক জীবনে একটি নতুন সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে।
একজন দরিদ্র রোগীর ক্ষেত্রে অতগুলো অপ্রয়োজনীয় টেস্ট লিখে দিতে ডাক্তার নামক অর্থলোভী অমানুষগুলোর একটুও হাত কাঁপেনা। কতটুকু বিশ্বাস নিয়ে একজন রোগী আসে ডাক্তারদের কাছে।
মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে সুস্থ হওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাদের নিঃস্ব করে দেয়া হয় নীরবে !!
সেবা এখন ব্যবসা হয়ে গেছে। সাবান তেলের পাশাপাশি ক্লিনিক গুলোর ও বিজ্ঞাপন পত্রিকা-টিভি চ্যানেলে প্রচার হয়।
ঝকঝকে তকতকে মার্বেল পাথরে সজ্জিত এসব ক্লিনিকে গেলে রোগী সুস্থ হোক বা নাহোক তার পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে অসুস্থ্ করে দেওয়া হয়।
ডাক্তারদের চেম্বারে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ভিজিট নেবার পরও রোগীদের প্রয়োজনমতো সময়ও দেয়া হয়না।
রোগীরা প্রথমবার কোনো ডাক্তারের সাথে সাক্ষাত করতে এলে ঠিকভাবে কথাও বলতে পারেনা। ডাক্তার কি বললো না বললো সেটা না বুঝলেও ডাক্তারের দেয়া আশ্বাসে রোগীরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে।
ভুক্তভোগীতো ডাক্তার না, রোগীরাই !!
ডাক্তারদের উচিত রোগীদের সমস্যাগুলো তাদের মতো করে খুব আন্তরিকতার সহিত শোনা। তাদের কথা বলার সুযোগ দেয়া।
কতজন ডাক্তার এই কাজটি করেন !
তবে সব ডাক্তারই টাকার পেছনে ছুটছে সেটা বলছিনা।
দেশে ভালো মনের ডাক্তারও রয়েছেন।
যাঁরা নিজেদের পেশাকে সাস্থ্যসেবা হিসেবেই রাখতে চান।
আমি কয়েকজন ডাক্তারকে দেখেছি যাঁরা দুস্থদের বিনা মূল্যে স্বাস্থসেবা দিয়ে থাকেন।
ফ্রি স্যাম্পল পাওয়া ঔষুধ গরীব রোগীদের মাঝে বন্টন করে দেন।
টাকা নয়, তাঁরা মানব সেবার মহান ব্রত নিয়ে কাজ করেন। যাঁরা রোগীকে সুস্থ করে তোলার জন্য তাঁদের সর্বোচ্চ শ্রম দিয়ে থাকেন।
আশা করছি ডাক্তারগণ তাঁদের মহৎ হৃদয় নিয়ে বিষয়টি একটু ভেবে দেখবেন
এবং ক্লিনিক প্যাথলজীর টেস্ট দালালদের দালালী করতে গিয়ে অসহায় রোগীদের অপ্রয়োজনীয় টেস্ট না দিয়ে বরং সাধ্যানুযায়ী তাদের সাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য সদয় হবেন...
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪৭
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এটা আপনার জন্য।
৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩৫
শামীম শাহ বলেছেন: ধন্যবাদ ফরিদ ভাই
৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:০১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ডাক্তারদের একটু মানবিক হতে হবে। তারা কমিশন না নিলেও অনায়াসে ভিজিট দিয়ে অনেক আয় করতে পারবেন। কেন শুধু শুধু অপ্রয়োজনীয় টেস্ট করিয়ে গুনাহ অর্জন করছে কে জানে...
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৪
আহলান বলেছেন: সমাজের অনেক বড় একটি ক্ষত তুলে ধরেছেন! ধন্যবাদ আপনাকে...!