![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অতি নিরূপায় হলেও কিছু বিষয়ে ঘনিষ্টজনদের কাছে নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করতে নেই।
ভবিষ্যত জিবনে এর নেতিবাচক প্রভাব আসবেই।
কেউ কেউ অতি খুশিতে নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করে ফেলে।
অতি দুঃখ, অতি আনন্দে মানুষের হিতাহিত জ্ঞান থাকেনা। তখনকার সিদ্ধান্তগুলো বিনাবিবেচনায় নিয়ে থাকে মানুষ।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পেয়ে কিংবা বি সি এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে অতি আনন্দে উত্তেজিত হয়ে যদি কেউ বলেই দেয় প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ায় তার এই সুযোগটা হয়েছিলো।
তখন তার মেধার প্রতি মানুষের বিরূপ ধারণার জন্ম নেবে।
সবাই তার প্রতি আড়চোখে তাকাবে... পাছে সমালোচনা করবে।
আর এই বদনামটা সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে তাকে।
দুর্বলতা প্রকাশের ক্ষেত্রে আর্থিক সমস্যাটাই সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য।
অতি অভাবে পড়লে মানুষের আসল পরিচয়টা প্রকাশ পেয়ে যায়।
একটা প্রচলিত প্রবাদ আছে,
অভাব যখন দুয়ারে এসে দাঁড়ায়, ভালোবাসা জানালা দিয়ে পালায়।
ভালোবাসার পাশাপাশি আত্মসম্মানবোধও পালায় !
উদার মানসিকতার মানুষরাও কঠোর হয়ে যায়।
অভাবে টাকা ছাড়া সবাই অপরিচিত। সার্ভাইব করার জন্য অল্পকিছু টাকা দরকার...
অধম কারো কাছে হাত পাততেও লজ্জাবোধ করেনা।
বিত্তবানদের আর্থিক সমস্যা বেশি।
তারা অভাবে পড়লে হুট করেই যে কারো কাছে বিনালজ্জায় টাকা চাইতে পারে। কারন শোধ করার ক্ষমতা আছে। সমশ্রেনীর মানুষদের কাছে পাওয়া না গেলে চলে যায় নিন্মশ্রেনীতে।
আয়ের সাথে সাথে মানুষের চাহিদার পরিমান বাড়তে থাকে... জীবনমান বাড়ে।
খরচের কোনো হিসাব থাকেনা।
একসময় হঠাৎ আয় থেমে যায়... কিন্ত চাহিদা থামানো যায়না।
বিপত্তিটা তখনই ঘটে... মানসম্মানের তোয়াক্কা না করে নত হয় অন্যের দরবারে।
আজ একজনের কাছে কাল অন্যজনের কাছে। ধার না পাওয়া গেলে সাহায্যের জন্য হাত পাতে।
পরনির্ভরশীলতার চেয়ে বড় লজ্জার কিছু আছে কী?
একটা মজার ঘটনা শেয়ার করিঃ
বন্ধুর বড় ভাইয়ের বিয়ের দাওয়াত পেলাম সকাল বেলায়। দুপুরেই যেতে হবে বরের গাড়িতে বসে।
যেনোতেনো দাওয়াত নয়... স্পেশাল গেস্টের দাওয়াত।
সে নাকি তার বড়ভাইয়ের কাছে আমার অনেক প্রশংসা করে।
সেই অনুযায়ী নিজের অবস্থান তো ধরে রাখতে হবে নাকি !
ভাবছি কি গিফট দেয়া যায়...
এদিকে আমার পকেটেরও ওজন কম সেদিন।
কারও কাছ থেকে ধার নেয়া ছাড়া উপায় নেই। ঘনিষ্ট একজন বিত্তবান বন্ধুকে ফোন দিলাম।
বন্ধুমহলের মধ্যে সবচেয়ে সেই একটু বেশি খরচপ্রিয়। হোটেলে গেলে সবার আগে জোরাজুরি করে সেই-ই বিল পে করে দেয়। তার এই বিশেষ মহৎ (!) গুনের কারনে অন্য বন্ধুরা তার নাম দিয়েছে বিল গেটস।
বিল গেটস সবসময় দামী পোষাক পরে চলাফেরা করে। কিছুদিন পরপর মোবাইল ফোন বদলায়।
মোটামুটি এক্সিকিউটিভ লাইফ স্টাইল...
তার কাছ থেকে ধার নিয়েই আমাকে বিয়ের গিফট কিনতে হবে। এছাড়া এই মুহুর্তে অন্য উপায় নেই।
সিদ্ধান্ত নিলাম যেই গিফটই দেইনা কেনো, কমপক্ষে দশ হাজার টাকা সমমুল্যের হতে হবে।
প্রথম বারের ফোন সে রিসিভ করেনি।
দ্বিতীয় কলও না... আমার টেনশন শুরু হয়ে গেলো। তাকে পাওয়া না গেলে তো বিরাট মুসিবত !!
তৃতীয় কলের শেষ রিংটোনের সময় রিসিভ করেছে। যাক আলহামদুলিল্লাহ্।
ফোন পেয়ে ঠিকানামতো দ্রুত এসে হাজির হলেন জনাব বিল গেটস।
বললাম ফোন ধরতে এতো দেরী হলো কেনো গাধা। বেশি জরুরী না হলে আমি কাউকে কল দেইনা।
উত্তরে বিল গেটস জানালো তার মোবাইলে ব্যালান্স নেই।
সেজন্য কলব্যাক করতে পারেনি। তাছাড়া সেও নাকি আমাকে ফোন দিতে চেয়েছিলো।
জিজ্ঞেস করলাম কেনো?
-আসলে আমার কিছু টাকা দরকার। দুদিন যাবত হাত একদমই খালি। কয়েকজনের কাছে চেয়েছি... পাইনি-
জানালো মিস্টার বিল গেটস।
মনে মনে গালি দিচ্ছিলাম। শালা বিল গেটসগিরী কইরা বেড়াস। তোরে তো থাপড়ানো দরকার।
তোর কারনে আমার স্পেশাল গেস্টের দাওয়াতটা মিস গেলো।
বিল গেটস সাহেব কাজুমাজু করে বললো,
দোস্ত দুই হাজার টাকা হলে আপাতত আমার চলে। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ফেরত দেবো।
প্লিজ... খুব টানা হেঁচড়ার মধ্যে যাচ্ছে এই কয়দিন।
প্রচলিত সহজ একটা উত্তর দিয়ে দিলাম। আরেহ... গতকাল বলিস নি কেনো !
গতকাল বিকেলে বললেও তো দেয়া যেতো !!
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:১১
শামীম শাহ বলেছেন: আমি জানি। কম থাকাই ভালো
৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:০৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ধার করে গিফট দেয়ার চাইতে বিয়েতে না যাওয়াই ভালো...
৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৫৪
শামীম শাহ বলেছেন: ঠিক বলেছেন তালগাছ ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার বন্ধু বান্ধবের সংখ্যা ক্রমেই কমে যাবে।