![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যিনি রান্না করেন, তিনিই রাঁধুনী। এর কোনো লিঙ্গান্তর নেই।
মহিলাদের তুলনায় পুরুষ রাঁধুনীদের রান্নায় স্বাদ বেশি হয়, এটি কিন্ত অপ্রিয় সত্য!
পৃথিবীর সব নারী সংসার আর রান্নাবান্নার সাথে জড়িত। কাজেই রান্নায় নারীদের অভিজ্ঞতা বেশি।
কিন্ত সব পুরুষের রান্নাবিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকেনা। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে নারীপুরুষ সবাই কর্মজীবনে ব্যস্ত সময় কাটায়। বিবাহিত জীবনের পরও অনেকে ফাস্টফুডে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। তারা শখের বসে রান্না করে খায়।
রান্না তাদের জন্য শখ...
আমরা যেহেতু মাছেভাতে বাঙ্গালী। ফাস্টফুডে অভ্যস্ত নই। কাজেই রান্নাবান্না আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ। যারা রান্না করে খান, রান্নার সময় প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র মজুদ না থাকলে রান্নার কাজে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়।
অথচ সামান্য কিছু কৌশল মেনে চললে রান্নাঘরে আপনি নিজেকে আরও সহজ করে নিতে পারেন। এই কৌশলগুলো আমার পরীক্ষিত।
ধরুন,
তরকারীতে লবনের পরিমান বেশি হয়ে গেছে। এই মুহুর্তে আপনি যদি ভাবেন পানি ঢেলে দিলেই লবন কমে যাবে, তাহলে আপনি ভুল করবেন।
পানি ঢাললেও সেই পানি আবার ঝোলের আকার ধারন করা পর্যন্ত কিন্ত আপনি তরকারি নামিয়ে নিতে পারবেন না। এতে করে বরং তরকারীর স্বাদ নষ্ট হবে।
প্রায় সব তরকারীর সাথে স্যুট হয়, এমন একটি সবজি হচ্ছে আলু।
তরকারীতে লবনের পরিমান কমাতে আপনি আলু কেটে দিতে পারেন।
সেদ্ধ আলু তাড়াতাড়ি ছিলতে গিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। এর একটি সহজ সমাধান হলো গরম সেদ্ধ আলু তৎক্ষনাৎ ঠান্ডা পানিতে ছেড়ে কিছুক্ষন রাখুন। খুব আরামসে আলুর চামড়া ছাড়িয়ে নিতে পারবেন।
কলা, পেঁয়াজ এবং টক জাতীয় ফলমুল কখনো ফ্রিজে রাখবেন না। টক জাতীয় ফল ফ্রিজের ঠান্ডায় স্বাদ নষ্ট হয়ে যায় এবং ফলের প্রকৃত গুন থাকেনা। কলা দ্রুত পঁচে যাবে, পেঁয়াজে পানি এসে পড়বে। ঘরের ফ্লোর/মাটিতে পেঁয়াজ রাখলে দীর্ঘদিন গুনগতমান ঠিক থাকে।
পাকা টমেটোগুলো অতি কম সময়ে নরম হয়ে যায়। নরম টমেটো শক্ত করতে চাইলে লবনের পানিতে কিছুক্ষন ভিজিয়ে রাখুন। টমেটো শক্ত হয়ে উঠবে।
রসুন কাটতে গিয়ে এর খোসা ছড়ানো বেশ কষ্টসাধ্য এবং সময় সাপেক্ষ। এই সমস্যারও সহজ সমাধান আছে। রসুনগুলো একসাথে রাখুন। তারপর একটি প্লেট দিয়ে রসুনগুলোর উপর চাপ দিন। দেখেবেন রসুনগুলো ভেঙ্গে গেছে। এখন একটি বয়ামে/কনটিনেইনারে রসুনগুলো রাখুন। ঢাকনা লাগিয়ে ভাল করে ঝাঁকিয়ে নিন। দেখবেন রসুনগুলো থেকে খোসা আলাদা হয়ে গেছে।
পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে অনেকেই কৃত্রিম চোখের জলে কেঁদেকেটে বুক ভাসিয়ে ফেলেন।
এর সহজ সমাধান হলো,
একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে তার মধ্যে খোসা ছড়ানো পেঁয়াজ ২ মিনিট রেখে দিন। তারপর পেঁয়াজ কাটুন, দেখবেন আর চোখে পানি আসছে না। পেঁয়াজের গন্ধও আসবেনা।
গরম পানি পেঁয়াজের বাইরের আবরনটাকে তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানো থেকে কিছুক্ষনের জন্য নিয়ন্ত্রনে রাখবে।
চিনির বয়ামে পিঁপড়ার আক্রমন ঠেকাতে বয়ামের ভেতর কয়েকদানা লবঙ্গ রেখে দিন।
পিঁপড়া পালিয়ে যাবে। এই আইডিয়া বাসা থেকে ইঁদুর তাড়ানোর জন্যও ইস্তেমাল করতে পারেন।
বাথরুমের দুর্গন্ধ খুব সাধারণ একটি সমস্যা। একটি মোমবাতি বাথরুমের জ্বালিয়ে রাখুন। এটি বাথরুমের গ্যাস শুষে নিবে আর বাথরুমকে রাখবে দুর্গন্ধ মুক্ত।
বিভিন্ন রকমের খাবার রাখার কারণে ফ্রিজে দুর্গন্ধ হয়ে থাকে। এক টুকরা লেবু কেটে ফ্রিজে রাখুন, দুর্গন্ধ কমে যাবে।
রান্নাঘর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
ময়লা আবর্জনা এখানে সেখানে না ফেলে বাসায় নির্দিষ্ট একটি যায়গায় ময়লার ঝুড়ি রাখুন। রান্নাঘরের ময়লার ঝুড়ি প্রতিদিন পরিস্কার রাখুন।
রান্না ঘরের ময়লার ঝুড়িতে আমরা অনেক ধরণের শুকনো, ভেজা আবর্জনা ফেলি। সবজি, মাছ-মাংস কাটার পর যে ময়লাগুলো ফেলা হয় সেগুলো থেকে অনেক সময়ই পানি পড়তে থাকে। এতে রান্না ঘরের ফ্লোর নোংরা হয়ে কাজ বাড়ে। আবার দূর্গন্ধও ছড়ায়। ঝুড়ির পলিথিনটির ভেতরে আগে কিছু নিউজ পেপার রাখুন। এরপর আবর্জনা ফেলুন। খবরের কাগজ পানি শূষে নেবে।
রান্নাশেষে অবশ্যই রান্নায় ব্যবহৃত জিনিষপত্র ভালোভাবে ধুয়ে পরিস্কার করে গুছিয়ে রাখবেন। রান্নাঘরে কোনো ভেজা কাপড় রাখবেন না। মশলার গুণগতমান ঠিক রাখতে মশলার কৌটাগুলোর ঢাকনা ভালোভাবে বন্ধ করে রাখবেন। রান্নাঘর অবশ্যই পরিচ্ছন্ন রাখবেন।
পরবর্তী রান্নার সময় মন হাসিখুশি থাকবে।
আপনার রান্নাঘরের মুহুর্তগুলো আরও আনন্দময় হউক,
শুভ কামনা
২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৩৪
শামীম শাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২০
শামীম সরদার নিশু বলেছেন: বাহ খুব ভালো লাগল।