![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গ্রামীণফোনের বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা পাঁচ কোটির উর্ধ্বে।
৪৩ শতাংশ সক্রিয় সিম রয়েছে দেশের শীর্ষ এই কোম্পানীটির।
আজ যদি গ্রামীণফোন কোম্পানী তাদের সকল গ্রাহকের সিম থেকে এক টাকা করে অকস্মাৎ কেটে নিয়ে যায়,
এতে গ্রাহকদের বড় কোনো ক্ষতি হয়ে যাবেনা। এমনকি কেউ প্রতিবাদও করবেনা।
অথচ কোম্পানীর কামাই হবে ৫ কোটি টাকা।
একটা সাধারণ মাউস ক্লিকের মাধ্যমে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ তারা চাইলে এক মিনিটেই আয় করতে পারেন। সব মোবাইল অপারেটর কোম্পানীই তাদের গ্রাহকের কাছ থেকে ইচ্ছে করলে হঠাৎ করে এক টাকা/ দুই টাকা/ ৫০ পয়সা কেটে নিতে পারেন। কারন এসব ছোটখাটো বিষয়ে গ্রাহকদের খুব বেশি মনযোগ থাকেনা।
কিন্ত গ্রাহকদের সামান্য এই এক টাকা দুই টাকায় কোম্পানীর জন্য বিরাট একটা সংখ্যা দাঁড়িয়ে যায়!
.
দেশের মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ মানুষ ব্যাংকে টাকা পয়সা জমা রাখেন।
কারো বেশি কারো কম। কারো ৫০ হাজার, কারো বা ৫ লাখ।
যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যাংকে অর্থ জমা রাখেন।
গড় অনুপাতে ধরা যাক ২০ শতাংশ মানুষ এক লক্ষ টাকার মালিক।
দেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬,৪৮,২৭,৭১৮ জন।
২০ শতাংশের সংখ্যা- ৩,২৯,৬৫,৫৪৩ জন (যারা এক লক্ষ টাকার মালিক)।
প্রতি লাখে এক হাজার টাকার কর আদায় করা হলে মোট করের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ হাজার ২৯৬ কোটি ৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী দেশে বর্তমানে ১,১৯,৩৬১ জন কোটিপতি রয়েছেন।
অর্থমন্ত্রীর নতুন আইন অনুযায়ী প্রতি এক লক্ষ টাকায় এক হাজার টাকা কর প্রদান করতে হবে।
এক লক্ষ থেকে দশ লক্ষ টাকার জন্য সমান আইন। দশ লক্ষ টাকার উর্ধ্বে গেলে আবারও সমপরিমাণ কর দেয়া লাগবে।
১,১৯,৩৬১ জনের প্রত্যেকে যদি এক কোটি টাকার মালিক হন, এবং তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রতি দশ লক্ষ টাকার জন্য এক হাজার টাকা করে কর প্রদান করতে হয়, তাহলে মোট করের পরিমাণ দাঁড়ায়- ১১৯ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা।
একের অধিক কোটিপতিদের সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি। ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে দেশে এক হাজার কোটি টাকার মালিক রয়েছেন প্রায় ৫০ জন (২০১৭ সঠিক হিসেবটা জানা যায়নি)।
সোনালী ব্যাংকের অর্থ ক্যালেঙ্কারীতে ধরা পড়ে হলমার্ক গ্রুপের এম ডি তানভির মাহমুদ গনমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন তিনি ৫৪ হাজার কোটি টাকার মালিক। অথচ তার নাম সেরা ধনীদের তালিকায় নেই। মুসা বিন শমসের, সালমান এফ রহমান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আকবর সোবহান, আবুল কাশেম, শামসুদ্দিন খান, তারেক রহমান, সাইদ ইসকান্দার, গিয়াসউদ্দীন আল মামুন, শাহরীন ইসলাম তুহিন, ইকবাল আহমেদ, নাজমূল হুদা, রাগিব আলী, আরো অনেক। এদের প্রত্যেকেই কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক।
যদি এদের কাছ থেকেও সমপরিমাণ কর আদায় করা যায়, এই ক্ষেত্রে সরকারের বার্ষিক আয় দাঁড়াবে ৭-৮ হাজার কোটি টাকা।
সমপরিমাণ অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা পড়ে শুধুমাত্র জমির খাজনা থেকেই।
যারা নিয়মিত ভুমিকর প্রদান করে থাকেন, কিংবা জমি ক্রয় বিক্রয় সম্পর্কে ধারণা রাখেন, শুধুমাত্র তারাই এই বিষয়টা ভালো বুঝবেন...
২| ১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:০৪
তপোবণ বলেছেন: মাল তন্ত্র প্রয়োগের ফলে কি পরিমাণ টাকা সরকারের কোষাগাড়ে জমা হবে তার একটা ধারণা পাওয়া গেল, চমৎকার লিখেছেন। শিয়ালের শ্যান দৃষ্টিতো গৃহস্তের খোয়ারেই থাকবে এই না হলে কি আর আমরা নয়া গণতন্ত্রের অনুসারী?
৩| ১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:০৫
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৫৬
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: উনারা নিতান্তই গরীব।।। ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে কোনমতে বেচে আছেন
।। খাড়াতো পড়বে গোবেচারা পাঠার ঘাড়েই!!