নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনটা যেভাবেই চলুক

ব্লগের এই পাতায় আমারই রাজত্ব

খুলনার শের

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্র। শেষ বর্ষ। খুলনার ছেলে। গুন বলতে কোন কিছু আমার মধ্যে আছে কিনা জানিনা। অনেকের মধ্যে অনেক গুন থাকে। কারো গানের গলা ভাল, কারো কবিতা লেখার হাত ভাল, কেউ আবার অনেক মেধাবী। আমার মধ্যে এমন কোন গুন নেই। বন্ধু মহলে জোকার নামে স্বীকৃতি আছে। কারন আমি প্রায় সব ব্যাপারে কেয়ারলেস একটা ভাব দেখাই স্পেশিয়ালি বন্ধুদের সামনে। অনেকে আবার অলস ও বলে। ভালই লাগে শুনতে। কারন এইচ এস সি পর্যন্ত এত ভাল ভাল কথা শুনেছি যে এই স্বাদ পরিবর্তন টা উপভোগই করি।

খুলনার শের › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুর্দান্ত এক ভ্রমন- সাথে ১৩ জন।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৮

১৩ সংখ্যাটা অপয়া জানা থাকলেও বিরিশিরি ট্যুরে ১৩ বন্ধু গিয়ে যে আনন্দ করেছিলাম তাতে ১৩ এর অপবাদ টা মন থেকে দূর করে দিয়েছিলাম। সিলেট ট্যুরে অবশিষ্ট যে সন্দেহ মনে ছিল তাও চলে গেল।



কিছুদিন আগে ১৩ জন বন্ধু মিলে ঘুরতে গিয়েছিলাম সিলেট। অলি আওলিয়ার পুন্যভুমি সিলেট। অসাধারন সুন্দর এলাকা। ভ্রমনের পরিকল্পনা এসেছিল ফরহাদের মাথা থেকে। কষ্টও করেছে বন্ধুটা আমার। মাইক্রবাস ঠিক করতে প্রায় ৫ ঘন্টা ঢাকার এই মাথা থেকে ওই মাথায় ছুটে বেড়িয়েছিল ও। তাও আমাদের ভ্রমনের দিনের আগের রাতে।



আমাদের বাসা দোলাইরপাড়ে। সকাল ৭ টায় এখানে আসলো গাড়িটা। অনি আমার বাসায় আগে থেকে ছিল। আমি, অনি, ফরহাদ, রুমেল, বোরহান, মনির, সুমন, আকাশ আর টেকি শাকিল উঠলাম এখান থেকে। মিতুল, নুরু আর অনিক কে মতিঝিল এর আশপাশ থেকে রিসিভ করলাম। বাকি ছিল কবি শাকিল। তাকে নিতে চলে গেলাম তার উত্তরার বাসায়। ভ্রমনের শুরুটা মুলত এখান থেকেই।



বৃষ্টি আমাদের পিছু নিয়েছিল যে মুহূর্তে আমরা টিকাটুলি অতিক্রম করি সেখান থেকেই। পুরো রাস্তায় এই লুকোচুরী খেলা অব্যাহত ছিল।



গাড়িতে ওঠার পর থেকে পুরো আওয়াজে গান চলছিল আর আমরা তাতে সুর মেলাচ্ছিলাম। আকাশের শরীরে ভাইব্রেটর ছিল হয়তো। কারন আমরা গানের সুরে সুর মেলালেও সে হা-পা ছুড়ে পাশের জনকে ভোগান্তি মেলাচ্ছিল! হায়াস গাড়ি, ১৩ সিট। ড্রাইভারের পাশে একটা বিপদকালীন সিট থাকলেও কোন এক অজানা কারনে তিনি আমাদের ওই সিট ব্যবহার করতে দেননি যাবার সময়। গানের পাশাপাশি সবার ক্লোজ বান্ধবীর নামের সাথে তার নাম জড়িয়ে স্লোগান দেবার যে মারাত্নক খেলা বিরিশিরি ট্যুরে আমি সৃষ্টি করেছিলাম, তাও চলছিল। ভাগ্য ভাল একবারও আমাকে বেশি আগুনে পুড়তে হয়নি।



নরসিংদি গিয়ে আমরা এক রেস্তোরায় নাস্তা করলাম সকালে। যদিও তার আগেই ক্ষুধায় আমাদের দলের বেশ কয়েকজনের পেটের শর্ট সার্কিট হয়ে গিয়েছিল।



সেখান থেকে যাত্রা শুরু হল আবার। আমরা গাড়িতে উঠলাম আর শুরু হল বৃষ্টি। আর খেতে নামার ২ মিনিট আগে সেখানে বৃষ্টি থেমেছিল। গাড়ী বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে উড়াল দিয়ে চলছিল। একসময় আমরা পৌঁছলাম মৌলভীবাজার। মাঝে রাস্তা আর দুইপাশে হাওরের পানি। মাথার উপরে মেঘ। পাশে আরেকটা মাইক্রবাস। তাতে কিছু সুন্দরী ললনা। কয়েকজন যুবকের কাছে এর চেয়ে ভাল আর কি পরিবেশ হতে পারে?



সবাই হাঁসের বাচ্চার মত নামল গাড়ী থেকে। শুরু হল ক্যামেরায় নিজের খোমা তোলার প্রতিযোগিতা। একটু পড়ে রমনীরা চলে গেলে আমরাও ফিরলাম আমাদের বাহনে। চড়ে বসার পর বাহন চালু করা মাত্র আবার ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি।



বৃষ্টির মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলতে লাগলো আমাদের গাড়ী। বৃষ্টির ঝাপ্টা কমতে কমতে আমরা চলে এসেছি চাবাগানের কাছা কাছি। পথের দু পাশে শুধু চা বাগানের ছড়া ছড়ি। মনে হচ্ছিল সবুজের মাঝে হারিয়ে যাচ্ছি আমরা। একসময় পৌঁছলাম লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। ব্রিশটিতে ভেজা মাটির রাস্তা, গাছএর পাটা থেকে চুইয়ে পড়া বৃষ্টির ফোটা। অসাধারন এক অনুভুতি ছিল। হাঁটতে হাঁটতে অনেক ভেতরে চলে গেলাম।



রেললাইনে দাঁড়িয়ে ফটো শুট টাও মারাত্নক হয়েছিল।



ম্যানেজার হিসাবে আমার দায়িত্ব ছিল সবাইকে ম্যানেজ করে কয়েক জায়গায় ঘোরান তাও অতি স্বল্প সময়ে। যদিও এর আগে সিলেট যাইনি কখনও তবুও নিজের দেখার স্বাদ উপেক্ষা করে সময়ের কাছে নিজের ইচ্ছেকে দমিয়ে ২ ঘন্টা সেখানে ঘুরে সবাইকে নিয়ে আবার যাত্রা শুরু করলাম মাধবকুন্ডের দিকে।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৮

নীল সুমন বলেছেন: আমরাও ১৩ জন গেছিলাম।
ছবি কই?

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৮

খুলনার শের বলেছেন: ভাই রে ৩ বার ছবি দেবার চেষ্টা করছি। মাগার আইলনা। দেখি আরেকটু চেষ্টা করে।

২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন: খেলুম না!!!!!


ছবি কই???!!!!

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

খুলনার শের বলেছেন: খেলেন পিলিজ, ছবি দেবার চেষ্টা করতেছি।।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩০

খুলনার শের বলেছেন: দিলাম কয়েকটা

৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০২

আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ................. :)

এইবার জটিল হইছে.......... :D



মাধবকুন্ডের বিবরন কিন্তু চাই.... ছবি সহ :D :D :D


কয়দিন আগে আমিও মাধবকুন্ড ঘুইরা আইছি পোষ্ট ও দিছি ;)

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৩৬

খুলনার শের বলেছেন: মাধবকুন্ড এর বিবরন আর জটিল কিছু ছবি আছে। আপনার পোস্ট টা পড়ে ঘুরে আসব। এখন ঘুমের সময়। মাত্র তাস খেলে উঠলাম।

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:০৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: খুব চমৎকার লাগলো। ১৩ জনের একটা গ্রুপ ছবি থাকলে আরো ভালো হতো। ১৩ জনের বন্ধন অটুট থাকুক সারা জীবন।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৩

খুলনার শের বলেছেন: দোয়া করবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.