নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রায় ১৩ বছর হলো সামুতে। অন্য ব্লগে হয়তো এমনই, চৌদ্দ বছর। সামুতে তিনটি আইডি। ব্লগের উপর যে ঝড় গেছে তা কল্পনাতীত।
আমি এখনো কোন ব্লগ থেকে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করিনি। অনেক সময় মন্তব্যও করি না। থাকুক না এ চিন্তায়।
বাংলা ভাষাকে এগিয়ে নিতে ব্লগ ভালো গুরুত্ব বহন করে। কোথায় থেকে কিভাবে ব্লগ বন্ধ করতে চায়? কারা চায়? কেন চায় এটা জানি ও বুঝি! কিন্তু বলার কায়দা নেই, বলবোও না। তবে বিষয়টি গভীর।
চিলে কান নিছে, কানে হাত না দিয়ে ধর্মীয় সুড়সুড়ি নিয়ে অনেকেই দৌড়াই। সেটি পক্ষ-বিপক্ষ সবাই। মূলত এসব জায়গা থেকে ব্লগগুলো কেউ খেতে চায় না। খেতে চায় অন্য একটি জায়গা থেকে। তাই সবপক্ষকে বলি, চলেন ভাষা ও সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাই। বাংলা ভাষা যদিও এখন খুঁড়িয়ে চলছে, কিন্তু এর রসদ ও হাড়গোড় খুব মজবুত। ঐতিহাসিক, মিথ, জীবনাচার, কথকা, দার্শনিক চিন্তা, ধারা, মানবীয় বিকাশ এবং ভবিষ্যৎ খুব সম্ভাবনাময়। এবং এটি সময়ের ব্যাপার।
আগেও দেশে আস্তিক-নাস্তিক ছিলো, এখনো আছে। পূর্বে সহবস্থান ছিলো আর এখন চুলোচুলি। এগুলো কারা চায় আপনাকে বুঝতে হবে। চলেন আমরা একটু একটু হারি, জিততে না চাই। হেরে গেলেও জেতা যায়। ভাষা ও সংস্কৃতিকে জেতানো যায়। আমাদের গন্তব্য আমাদের ভবিষ্যৎ বাংলা ভাষার ও সংস্কৃতির উৎকর্ষ। বাংলা ভাষা শব্দে ও প্রকরণে গরীব হয়ে যাচ্ছে। একে ধনী করা সবার দায়িত্ব।
বদ্বীপের জীবন কেমন ছিলো জানেন? একটু কল্পনা করুন। জেলে ছিলো, ধূপা ছিলো, কোল-মুন্ডা ছিলো, চামার-মুচার ছিলো, দলিত ছিলো-অভিবাসী ছিলো,কৃষক-শ্রমিক ছিলো, মালি-গোয়ালা ছিলো, পালাকার-গায়ক ছিলো, ধর্ম-দর্শন ছিলো। একে-অপরের হাল দলবেঁধে চাষ দিতো, রাতে দাওয়াত খেত, পালা ও গান শুনতো। আবার আরেকজনের কোঠা ঘর তুলতো সবাই মিলে, সকালে দুপুরে রাতে খেত। বিনিময়ে আবার দলবেঁধে অন্যের ফসল তুলে দিতো, সম্প্রীতিতে এ অঞ্চলের চেয়ে কোন অঞ্চলই এত এগিয়ে ছিলো না। এ ইতিহাস কেউ লিখে না। এ অঞ্চল কেউ অধিকার করে দীর্ঘদিন রাখতে পারেনি।
একটা কথা প্রচলিত বদ্বীপে গায়ে গায়ে ঘেঁষা লাগলে জীবন শেখা যায়, অধিকার শেখা যায়। স্বামী বিবেকানন্দ বলে গিয়েছেন, পথভ্রষ্ট ভারতকে সবসময় পথ দেখাবে বাংলা। প্রাকৃতিক জাতি সংকরায়নের উৎকৃষ্ট রূপ হলো বদ্বীপ। যা পশ্চিমাবিশ্ব পরিকল্পিতভাবে করতে চায়। আমাদের অতীতকে ঘোলা করা হয়। নানাভাবে, নানারূপে ও রাজনৈতিক ছলে করা হয়। এগুলো বুঝার ও বুঝে চলার আমরাই পথিকৃৎ। এটা প্রত্যেকের বুঝতে হবে।
পৃথিবীতে একমাত্র গায়ে গায়ে গন্ধ এলেও মিলতে পারে শিল্প ও সংস্কৃতি সচেতন লোকেরাই। অন্যের মতাদর্শকে নিজের বিরুদ্ধে হলেও ভালোবাসতে পারে এরা। এরাই জাতির পথ তৈরি করে। পথের কাঁটা ভালোবাসা দিয়ে ফুলে পরিণত করে।
এ অঞ্চলের মানুষের ত্যাগ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে মধ্যস্বত্বভোগী সম্প্রদায়। পাইক-পিয়াদা, নায়েব-গুমস্তা,লাঠিয়াল, দাদনদার,মহাজন,ভাড়াটেদার এবং তৃতীয়পক্ষ। আমি খুবই আশাবাদী এসব ভেঙ্গে যাবে একদিন। এদেশে ব্যাংক আছে ৭০ এর কাছাকাছি, এখনো কোন ব্যাংক পচনশীল দ্রব্যের চাষা-ভূষার নয়। তাই তারা মধ্যস্বত্বভোগীর করালগ্রাসে। আমি আশাবাদী বদ্বীপে পলি জমবে, বদ্বীপ প্লাবিত হবে, সব ধূইয়ে-মুছে দেবে।
আবার চিরাচরিত বদ্বীপবাসী হবে। প্রয়োজন ভাষা,শিল্প ও সংস্কৃতিকে এগিয়ে নেয়া। একটানে লিখা, ভুলত্রুটি মার্জনীয়
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১০
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: সামরিক থেকেও কিন্তু সময়টা বেশি সামরিক বাংলাদেশে। খোঁজটা দিলাম আপনাকে। যখন কিছুই করার থাকবে না, তার আগেই কথা বলুন। ভালোবাসা নিবেন।
২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:২৪
মিথমেকার বলেছেন: জয়তু ব্লগিং, জয়তু বাংলাভাষা।
লেখা পড়ে বেশ ভালো লেগেছে!
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১১
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: অভিনন্দন। দীর্ঘদিন ব্লগে আছেন।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:২৫
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: কাজে কম
৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: চালিয়ে যান আছি আপনার সাথে।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:২৬
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: ভালোবাসা অবিরাম
৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:৪৯
আলামিন১০৪ বলেছেন: আপনার আরো আইডি আচে নাকি সামুতে?
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:০৬
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: জ্বী। ঐগুলোতে অন্যভাবে লিখি৷ অজানাই থাকুক।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৫:৩৮
সোনাগাজী বলেছেন:
অভিনন্দন রলো।