নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহেরা

আরেফিন৩৩৬

একটি নেতৃত্বই পারে একটি জাতিকে পরিবর্তন করতে; আমি এ কথায় বিশ্বাসী।

আরেফিন৩৩৬ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংস্কৃতির অন্তরালে ব্যর্থতা ঢাকার আপ্রাণ চেষ্টা, ধন্য ধন্য তোলা এমন শয়তানি বন্ধ হোক।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৫০


হাওড়ে ১৪ কিলোমিটার পথে হয়ে গেলো আলপনা। আলপনা আমাদের সংস্কৃতির গ্রামীণ অনুষঙ্গ। বিশেষ করে বাংলার নারীদের একটি সৌখিন অনুষঙ্গ, ঐতিহাসিক ভাবে কোঠা ঘর সাজাতে করা হতো। ইলামিত্রের চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের প্রায় প্রতিটি গ্রামে আলপনা আঁকা হয়। টিকইল, করমজা, গুনইর, বিশালপুর, হাটবাকইল, নেজামপুর, বকুলতলা, কলিহার, ডাঙ্গাপাড়াসহ বহু এলাকায় দেখা যায়।
এগুলো শিখেছে বংশপরম্পরায় মা অথবা শ্বাশুড়ি থেকে। বলা হয় আর্যদের সময় থেকে শুরু। মূলত বিশ্বাসযোগ্য ইতিহাস হলো আলপনা আঁকা হয় এ অঞ্চলে আর্যদের আগমনেরও আগে। মাটির ঘরে এমন আলপনা চমৎকার দেখা যায়। কখন শুরু হইছে সেই সত্যাসত্য নির্ণয় করা যাবে গবেষণা করে। বাংলাদেশে মূলতই ঘর নির্মাণের সংস্কৃতির সুপ্রাচীন ঐতিহ্য হলো আলপনা, যা সৃষ্টি নারীদের দ্বারা। সৌন্দর্য এবং নন্দনের মানসে। এর সাথে পহেলা বৈশাখের কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু সম্পর্কযুক্ত করা হয়েছে হাল আমলে এবং স্মরণকালে। ঐতিহ্য তুলে আনার মানসে এটি দারুণ অবশ্যই। ৫২-র ভাষা আন্দোলনের মাহত্বেই এটি এসেছে প্রথম তারপর নানা সময় গড়িয়ে পহেলা বৈশাখে।

স্মরণকালে পহেলা বৈশাখে ইলিশে পান্তাও আনা হয়েছিলো। ব্যাপক প্রচার-প্রচারণায় সে বাড়াবাড়ি কমানো গেছে। কোথায় পিঁয়াজ আর কাঁচামরিচে পান্তা আর কোথায় ইলিশ। একটা প্রবাদ প্রচলিত ছিলো আমাদের গ্রাম বাংলায় যা আমাকে ব্যাপকভাবে স্পর্শ করে এবং রোমাঞ্চিতও করে---

"----এক বর্ষের ভাত আরেক বছর খাৎ----"
-----মানে চৈত্র মাসের শেষের দিন রাতে রান্না করে পহেলা বৈশাখে খাওয়া। এক বছরের ভাত আরেক বছর।

দাদীর কাছে অনেক উপকথা শুনতাম। একটি উপকথাকে তেভাগা অঞ্চলে সাঁওতাল এবং সাধারণ কৃষকের জীবনে দারুণ ভাবে সম্পর্কযুক্ত করা যায়,

-----" আমরা তো ভাদুইয়ের জাত শিকার-সকার করি
তোমরা ত রাইত পোহাইলেই ঊড়ি ঊড়ি "
সাঁওতাল সম্প্রদায় বেশিরভাগ শিকার করেই জীবন যাপন করতো, ভ্রাম্যমাণ তাদের জীবন, আর অন্য একটি সম্প্রদায় যারাই হোক বাস করতো কৃষিকাজ করেন। যারা ঘর করতো,ঘর সাজাতো, বিয়ে করে স্থায়ী জীবন যাপন করতো,কৃষিকাজ করতো। এরাই লৌকিক উৎসবে ঘর-দর সাজাতো। ঊড়ি মানে বিবাহিত জীবন-যাপন করা নারী। এই প্রচলিত শব্দযোগ খনারও পূর্বের মনে হয়, শব্দ গাঁথনীতে।


বলছিলাম বৈশাখে আলপনা টেনে আনা বাণিজ্য এবং হাজারো ব্যর্থতা ঢাকার টুটকা। এ টুটকা ব্যবহার নানাভাবে হইছে। স্মরণকালে বড় জাতীয় পতাকা করে স্কুল-কলেজের শিশুদের ভর রৌদ্রে ধরে রেখে, ধানের ক্ষেতে মুজিব ফুটিয়ে, মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিপুল ব্যয় করে ; অনুষ্ঠানগুলুকে সার্বজনীন না করে, এমন কি চেষ্টাও না করে। সাংবিধানিক ভাবে ফাঁক-ফোকড় দিয়ে অনৈতিক ভাবে টিকে যাওয়া নির্বাচন। এসব মেনে মেনে স্বাভাবিক বনে গেলেও নীতির কাছে বৈধ নয় তোমার রঙ তামাশা।

কেউ যদি হঠাৎ পরিবেশবাদী হয়ে যায়, আপনি যদি তাকে সাম্প্রদায়িক দেখেন,আপনিও টুটকা-র নামান্তর। হেভি মেটালের বেগুনে বাংলাদেশে ক্যান্সারে ভরে যাচ্ছে। হাওড়ে গিয়ে আপনাকে কেন আলপনা করতে হবে? আপনার যদি বৈশাখই অনুষঙ্গ হয় তাহলে আপনি আলপনা-র আতুড়ঘর নাচোলে যান, সেখানে বড় আলপনা করেন। প্রতিটি বাড়ীকে আপনি পরিচয় করে দিন, ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে আনুন।
সেখানকার জীবন-ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, আলপনার বিকাশ, জীবনে আলপনার স্বপ্ন, সৌখিনতা, অনুভব তুলে আনুন। একজন নারী কিভাবে যুগ যুগ এ আলপনার ঘর কল্পনায় সাজিয়েছে দেখান। এগুলো করতে তো প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে, বিশেষজ্ঞ লাগবে, দেশের একটি লালিত ঐতিহ্য উঠে আসবে অন্তত। তা তো করবেন না, আমরা যদি এসব বলি, আপনি আমাদের পরিবেশবাদের ভেতর সাম্প্রদায়িকতা খোঁজেন, অথচ আপনি কর্পোরেট ছোঁয়া দেখেন না। তা না দেখলেন, কিন্তু হাতি মাথায় পা, পায়ে মাথা, শুঁড়ে লেজ আর লেজে শুঁড় লাগাবেন?

এসব টুটকামি ছাড়েন। গুঁজামিলের সরকার আর গুঁজামিলের উন্নয়ন দিয়ে হবে না। মানুষকে বাঁচতে দিন। আপনি ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির কথা বলবেন। ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে বাঁচতে দিন। জায়গা মতো পরিচয় দিন, পরিচয় করিয়ে দিন।
আপনার দুইদিনের সংস্কৃতি আমরা জানি। আপনি হিন্দি গানের তালে বগল নাচান আমরা জানি। আপনি কোনকিছুই লুকাতে পারবেন না। আপনি পাকিস্তানিও নই, আপনি ভারতীয়ও নই। আপনি দেশের জলে-স্থলে একজন চেনা-জানা টুটকা। আপনার বর্ণ লুকাবার জায়গা নেই। ঐ রঙ আমরা ঘঁষে বের করতে পারি। আপনি চকচকে বর্ণ চোরা হলেও চেনাজানা টক্কা। আপনি সুযোগমতো ডেকে উঠেন।
আপনি উন্নতমানের সংস্কৃতির আড়ালে আমাকে আরোপিত জীবনধারা দিতে চান। আপনার আনন্দ শোভাযাত্রা কিভাবে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়ে যায় আমরা জানি। আপনি কিসের বিভক্তি চান আমরা বুঝি। আপনি রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করার শক্তি হারিয়ে আপনি ক্ষমতা দেখাতে চান, আমি সেই আপনাকে চিনি। জানি। চপনি কোনভাবেই নিজেকে লুকাতে ওারবেন না।
সলিল চৌধুরী বলেন,
--------চিনি তোমায় চিনি গো
জানি তোমায় জানি গো,
সাদা হাতির কালা মাহুত তুমি নও।।
তুমি যাদুমন্ত্রের আড়ালে একজন শোষক, সংস্কৃতির বালাই তোমার কাছে নেই। আজ তোমাকে কেউ নেংটি পড়তে বলে তুমি পড়বে, তাতে উলঙ্গ হলেও তোমার লজ্জা হবে না। তোমার ছেলে ভুলানোর মন্ত্র চাই।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিশ্ব-রেকর্ডের আর জিনিস পায় নাই। কাম পারে না, আকামটা ষোল আনাই পারে।

এই রোড এমনিতেই হাওর এলাকার সর্বনাশ করেছে, এখন কিছুদিন পরে এই আল্পনার রং ধুয়ে পানিতে মিশে হাওর এলাকার জীব বৈচিত্রের আরো বারোটা বাজাবে। বদমায়েশী কতোভাবে যে করা যায়, তা শেখাতে ''বাল'' এর কোন বিকল্প নাই।

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:০৬

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: একদম। এসব অর্থহীন গুয়েবলাস করে করে ভুলায় রাখে

৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বোকার মত কথা।
রাস্তা রঙ করলে পরিবেশ নষ্ট হওয়ার প্রশ্নই আসে না।
পৃথিবীর কোথাও অবকাঠামো রঙ করার রঙ কে পরিবেশ বিরোধী বলা হয় না।
রাস্তা রঙ করা হয় এনামেল বা প্লাস্টিক পেইন্ট দিয়ে। সারা বিশ্বেই রাস্তা বাড়ীঘরের আউড ওয়াল রঙ করা হয়। রঙ শুকিয়ে গেলে পানির সাথে মিসে না। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর উন্নত দেশে বছরে কোটি কোটি টন রঙ ব্যাবহার হচ্ছে। এই রঙ দিয়ে রাস্তার লেন দাগ আঁকা হয়, রাস্তার বাস লেন বাইসাইকেল লেন রঙ করা থাকে। টাইমস স্কোয়ারের রাস্তার অনেক অংশই রঙ্গিন।

কিন্তু আমাদের দেশের কিছু ধর্মান্ধ আর বুয়েট মাদ্রাসার কিছু মেধাবীকে এসব বোঝানো যাবে না।
কেউ বোঝাতে পারবে না। অনেক মেধাবীতো।

৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৬

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: আপনি নিশ্চয়ই চারুকলার বিজ্ঞানী। আপনার কমেন্ট দেখে আপ্লুত হলাম। শুধু প্লাস্টিক কণা থাকলেও জুয়োপ্লাংটন,ফাইটোপ্লাংটন এবং অনুজীব ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চারুকলার বিজ্ঞানী দিয়ে হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঐডা করেন। আপনার কাম ঐডা।

৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঘরে ব্রিজে সুইমিং পুলে লাগানোর রঙ রাস্তায় লাগানো হয়েছে। আগেও বহু বছর লাগানো হয়েছে।
সারা বিশ্বে কোথাও এনামেল পেইন্ট বা প্লাস্টিক পেইন্ট নিষিদ্ধ নয়।
তাতেই বাংলাদেশের লাখ লাখ পিনকি পরিবেশ বিশেষজ্ঞের জন্ম হয়ে গেল।
সমস্যা হচ্ছে এরা সরাসরি পহেলা বৈশাখের বিরোধিতা করতে পারতেছে না। তাই পরিবেশ বিশেষজ্ঞ হনুমান বিশেষজ্ঞ সেজেছে। চুলকানির আরেক জায়গা হচ্ছে আলপনার মতো জিনিস। আলপনার ভিতরে অনেকে হিন্দুয়ানী খুৃঁজে পায়। সমস্যা সেখানেই।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৭

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: আপনি হয়তো লেখাটি ভালোভাবে পড়েননি। না হলে আপনার একটু বিরোধিতা করা দরকার তাই এসেছেন। আমি পুরো আলপনার এ বাংলাদেশে ইতিহাস তুলে এনে লিখেছি। কোথায় আলপনা করতে হবে বলেছি। আপনি হদাগদা হলে তো হবে।সাবানে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়েছে জানেন? হাওড়ের মতো স্বয়ংসম্পর্ণ বাস্তুসংস্থানেই আপনার চেতনা কেন দাঁড়াতে হবে? নিজেকে কি খুব সংস্কৃতিবান মনে হয়? ব্লগে কি শেখার জন্যে আসেন? নাকি বিরোধিতা করতে? সবটাই করতে পারবেন। আমি এসবে উত্তেজিত হই না।

৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৭:৫৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: জনাব হা-কা , যৌক্তিক তর্কে আসুন। উন্নত বিশ্বে থেকে অশিক্ষিতের মত আচরন করবেন না। রাস্তার রঙ হাওরের পানিতে মিশে পানি/ পরিবেশ দুষন কেন করবে না , বুঝিয়ে বলুন। পোস্ট বা কমেন্টের কোথায় পহেলা বৈশাখের বিরোধিতা করা হয়েছে একটু দেখান।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৮

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: বিরোধিতা করতে হবে তাই করলো। তাদেরনা আছে দেশের প্রতি ূায় না আছে সংস্কৃতির প্রতি। সব ভেক।

৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:০৭

রাসেল বলেছেন: ডিভাইডার ঢাকার যুক্তি কি? সংস্কৃতিবান জ্ঞানী ব্যক্তিদের কাছে জানতে চাই।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪০

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: ঐটাও একটা উনত সংস্কৃতি। যা আমি আপনি বুঝি না।

৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩২

রানার ব্লগ বলেছেন:

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪১

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: এবার মনোযোগ দিয়ে লিখাটা পড়ুন। নইলে এক পালা মূড়ি খেয়ে বিরোধিতায় নামুন।

৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩২

রানার ব্লগ বলেছেন:

১০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৭

রানার ব্লগ বলেছেন: হে মহা মানব, হে অন্তর্যামী, হে অজ , হে বিলি , হে বক কোন টা আপনার অজ পুর্ন দৃষ্টিতে শয়তানী মনে হচ্ছে ?

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: আপনার সংস্কৃতি এক লাফে আকাশে উঠুক

১১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৯

কথামৃত বলেছেন: পুরোটাই একটা গাজাখুড়ি ভন্ডামি

১২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২

ইএম সেলিম আহমেদ বলেছেন:

আলপনা জিনিস টাই তো মূলত হিন্দু সংস্কৃতির একটা অংশ যেটা মুসলিম প্রধান দেশের কালচার হিসেবে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে শুরু থেকে।

উইকিপিডিয়া কি বলেঃ

আলপনাঃ
আলপনা বা আলিম্পন্ হল লেপন করে করা কারুকার্য; সাধারণত একটি বা দুটি রঙের সহজ বিমূর্ত (abstract) রেখাচিত্র। বাড়ির চৌকাঠে, আঙিনায়, বিয়ের পিঁড়িতে, হিন্দু পূজা মণ্ডপে ইত্যাদি জায়গায় সাদা আলপনা খুব চল আছে। এটি মূলত ক্ষণস্থায়ী লোকশিল্প। সমাজজীবনে প্রচলিত নানাবিধ অনুষ্ঠান ও গৃহসজ্জার জন্য আলপনা অঙ্কন করা হয়।

প্রকারঃ
বাংলার আলপনায় চিরাচরিতভাবে ভিজে চালগুঁড়ো সাদা রং হিসাবে ব্যবহার হয়। এছাড়া তেল-সিঁদুর লাল, এবং হলুদবাটা হলদে রঙ হিসাবে ব্যবহার হতে পারে। সাধারণত চালের গুঁড়োর পিটালীর মধ্যে ছোট এক টুকরো কাপড় কিংবা পাটের টুকরো ভিজিয়ে নিয়ে অনামিকা দিয়ে আলপনা আঁকা হয়। আলপনার ছবিগুলো পুরু রেখায় তৈরি ও দ্বিমাত্রিক। সাধারণত মেঝের উপরই আলপনা করা হয়। স্মরণাতীত কাল থেকেই বাংলার মহিলারা ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানাদির উদ্দেশ্যেই আলপনার অনুশীলন করে আসছেন। বিষয়বস্তু হিসেবে আলপনায় আঁকা হয় পদ্ম, ধানের গুচ্ছ, বৃত্তায়িত রেখা, সূর্য, মই, লক্ষ্মীর পদচিহ্ন,শ্রীকৃষ্ণের শিশু পদচিহ্ন, মাছ, পান, শঙ্খলতা ইত্যাদি। বর্তমান যুগে মুসলমানেরাও বিবাহ ও অন্যান্য সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আলপনা অঙ্কন করে থাকেন।

অনেক পণ্ডিতই ব্রত ও পূজার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আলপনাকে প্রাক-আর্য সময়কার উৎপত্তি বলে চিহ্নিত করেন। একুশে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও মিনার সংলগ্ন সড়কগুলিতে আলপনা করা হয়। প্রচলিত রীতির আওতার মধ্যে থেকেও অনুষ্ঠান, পটভূমি ও শৈল্পিক কারুকার্যে আলপনার রূপভেদ লক্ষ করা যায়। আধুনিক আলপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বিমূর্ত, আলংকরিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও সামঞ্জস্যপূর্ণ।

বড় আলপনাঃ
ভারতকে হারিয়ে ১০ কি.মি. দৈর্ঘ্য আলপনা দিয়ে নতুন রেকর্ড করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। [১][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও কে স্মরণীয় করতে অভিনব এক পন্থা অবলম্বন করে গাইবান্ধার শিক্ষার্থীরা। সেই পন্থার অংশ হিসাবে পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব গাইবান্ধার (পুসাগ) উদ্যোগে গাইবান্ধা থেকে বাদিয়াখালি টু ফুলছড়ি পর্যন্ত দীর্ঘ ১০ কিলোমিটার সড়কজুড়ে আলপনা আঁকে তাঁরা। ভিডিও- [২]

এখন পর্যন্ত বিশ্বের বৃহত্তম যেই আলপনাটি আঁকা হয়েছে তার দৈর্ঘ্য ছিল মাত্র ২.৭৩ কিলোমিটার। যে টি ২০১৭ সালে আঁকা হয়েছিল ভারতের কলকাতার নাদিয়া জেলার ফুলিয়ায়।

তবে নাদিয়ার আগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আলপনার রেকর্ডটি ছিল বাংলাদেশের দখলে। আর যেটির দৈর্ঘ্য ছিল ১.৫ কিলোমিটার। তাই বলা যায় গাইবান্ধার শিক্ষার্থীদের আঁকা ১০ কিলোমিটার আলপনার মাধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আবার ফিরে পেতে যাচ্ছে তাদের হারানো গৌরব।

বর্তমানে বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জের হাওড়ের রাস্তায় ১৪ কি.মি. জুড়ে লম্বা আলপনা তৈরি করেছে যা বিশ্ব রেকর্ড এর অপেক্ষায় আছে।

১৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৩

নতুন বলেছেন: সংস্কৃতির অন্তরালে ব্যর্থতা ঢাকার আপ্রাণ চেষ্টা, ধন্য ধন্য তোলা এমন শয়তানি বন্ধ হোক।


দেশে চেতনা বিক্রির ব্যাবসা ভালো চলছে। তাই শাসক গোস্ঠিরা জনগনকে ব্যস্ত রাখতে এমন সব আয়োজনকে স্বাগতম জানাবে।

জনগনের উচিত সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা।...

কিন্তু সংস্কৃতিক উজ্জাপনের বিরোধিতা করাও ঠিক না। যেমনটা দেখছি সবাই পহেলা বৈশাখ আসলেই এর বিরোধিতা শুরু করে...

১৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২২

কাঁউটাল বলেছেন:




"বালপনা"

১৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭

রানার ব্লগ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার সংস্কৃতি এক লাফে আকাশে উঠুক

আমি আরবীয় সংস্কৃতির ধারক বা বাহক না । আমাদের একটাই সংস্কৃতি তা হলো বাঙ্গালী সংস্কৃতি । যার উপর আমার / আমাদের পূর্ন আস্থা আছে ।

সংস্কৃতি কখনোই এককের হয় না উহা সমষ্টির হয় ।

১৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:২৬

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: কিন্তু আপনার উপর আমার আস্থা নেই। আপনারা সুযোগ ঘৃণা ছড়ান। দেশের জনগণকে ভাগ করেন। ঐক্যের খেলায় আপনারা নাই।

১৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৯

রানার ব্লগ বলেছেন: জামাত শিবির রাজাকার আলবদরের পুত্র কন্যা গনের সাথে আবার কিসের ঐক্য। জংগলের বাঘ কখনো গিদারের সাথে ঐক্যে যায় না।

১৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: রাজাকার আওয়ামী লীগে বেশি ১২ হাজারে ৮ হাজার। জামাতে প্রায় ২ হাজার বিএনপিতে একদম নাই বললেই চলে। ৮ এর মতো। এ দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের বিএনপি।

১৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩

রানার ব্লগ বলেছেন: গিদার কোন এলাকায় বেশি কোন এলাকায় কম উহা দিয়া আমার কি কাম?? আমি জানি গিদার দেখলেই থুথু মেরে হাতের কাছে যা পাওয়া যায় তা দিয়া উস্টা মারা।

২০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৮

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: কিন্তু বাস্তবে তো হাসিনার পেটিকোটের ছায়ায় আপনারা, ওরাও। মিলেমিশে বসবাস

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.