নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইউরোপে যুদ্ধ ঢুকেছে,সেখানের সময় আর আমাদের সময় যাওয়া এক নয়। তাদের সময় যায় গুণে গুণে আর আমাদের সময় যায় অপেক্ষায়। তাদের সময় যায় কামানের গুলার শব্দে আর আমাদের সময় যায় নিঃশব্দে। একটা মিল দুটি দেশেরই আছে; তা হলো সুন্দর দিনের আশা।
আমাদের ঘরে যুদ্ধ নেই কিন্তু দুয়ারে আছে সর্বগ্রাসী ভারত। তারা ভোটের জন্যে তাদের জনগণকে দেখাতে চায় বাংলাদেশ তাদের হাতে আছে, নিয়ন্ত্রণে আছে। আর আমাদের সরকার চায় যেকোন মূল্যে ক্ষমতা। তিনি বলতে চান এদেশে উনার চেয়ে যোগ্য কেউ নেই। তাহলে গত ১৫/১৬ বছরে দেড়যুগে কার চুল ছিঁড়লেন? দেশে কোন যোগ্য কাউকে তৈরি হওয়ার পরিবেশ দিলেন না? তাহলে আপনাকে দিয়ে আমরা কি চুল উৎপাদন করতেছি!
দুটি দেশেই আরো দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক আছে। ভাড়া খাটা যুদ্ধ বাহিনী বা ওয়াগনার গ্রুপ; যাদের নৈতিক মানবতার বালাই নেই। এরা জানে যুদ্ধে জয় আর সম্পদ সংগ্রহ। এরা মনে মনে চায় যুদ্ধ স্থায়ী হোক এত স্থায়ী যেন মুনাফা আসতেই থাকে। পুতিনের এদের প্রয়োজন, এমন কি ভারত থেকে লোভে লোভে এমন লোক গেছে! বেশিরভাগ গুর্খা যারা মানসিক ভাবে যুদ্ধবাজ। ভারতে এটি আলোচিত ঘটনা তখন যখন আমেরিকা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানায় এবং কিছুটা আপত্তিও করে।
অপরদিকে আছে নিরাপদ জীবনের জন্যে লড়ে যাওয়া জাতীয় ইউক্রেনীয় সম্প্রদায়,যার ক্লান্তির পর আবার ক্লান্তি আসে৷ তার ভেতর ভেসে উঠে প্রিয়জনের মুখ,প্রিয় সন্তান, প্রিয় ফসলের ক্ষেত, প্রিয় আঙিনা, প্রিয় ফুল-পাখি-গাছ।
আমাদের দেশের ওয়াগনার গ্রুপ হচ্ছে ভারতীয় ব্যবসায়ী,দালাল, সেটেলমেন্ট করে দেয়া ভাড়াটে, দেশের নব্য ধনী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর পেটোয়া যুব-ছাত্রলীগ সম্প্রদায় এবং প্রিগোজিনখ্যাত প্রতিষ্ঠিত শোষক ব্যবসায়ী সম্প্রদায়! দেশের ভেতর অনুৎপাদনশীল ট্রেডিং কর্পোরেশন, যারা আমদানি করে করে দেশের খুঁড়িয়ে চলা ছোট ও মাঝারি শিল্পগুলোর আরেক ঠ্যাং ভেঙ্গে দেয়ার জন্যে মরিয়া।
করোনায় আমরা দেখেছি নিজস্ব উৎপাদন ছাড়া কত হাহাকার হয়! নিজস্ব হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা ছাড়া বাবুল চৌধুরী আর আব্দুল মোনেম মিয়ারাও আইসিইউ পায় না।
আমাদের তৈরি হইছে সরকারের রাজস্ব তুলে দেয়া আবু ইসহাকের লিখা জোঁক বাহিনী নামক এনবিআর এবং দূর্নীতি দমন কমিশন। সবই প্রিগোজিন আর ওয়াগনার গ্রুপ। এদের কোন মানবতা নেই, মানবতার প্রয়োজন হয় না, হলে থাকতো। সরকারের ক্ষমতার প্রয়োজনে এদের অদৃশ্য ও অলিখিত ইনডেমনিটি পাওয়া। এখন শুধু এদের সন্তানের জন্যে দরকার আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়, আলাদা পাশ ব্যবস্থা। হলেই চৌদ্দ পুরুষের ব্যবস্থা হয়ে যায়। ১৫/১৬ বছরে এটিও তাঁর একটি বড় অর্জন।
কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ চালিয়ে, ক্যাপাসিটি চার্জ দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে এখন শুনি ক্যাপাসিটি চার্জও দিতে হবে আবার বিদ্যুৎ কিনতেও হবে। পুরো লেজেগোবরে অবস্থা। এ অবস্থা, এ অব্যবস্থাপনা একদিনে হয়নি। একজন যোগ্য ব্যাক্তি বলতে বলতে সকল অযোগ্যরা করেছে। মূলতই যারা করেছে তারা ধুরন্ধর, স্বার্থবাজ এবং অতিচালাক আর যোগ্য ব্যাক্তিটি একজন চরম মূর্খ ও আত্মঅহংকারী যার শুধু প্রশংসা হলেই চলে। অতীতে তাই-ই প্রমাণ হয়ে আসছে।
এমনও অবিবেচক চিন্তাশীল পাওয়া যায় অত্যাচারের মাত্রা কতটুকু অনুভব না করে গেয়ে উঠেন বিরোধী দল তুমি তো ভালা না। এমন কপট, স্বার্থপর আর ফয়দাবাজ আমাদের জন্যেই যে এমন খারাপ অবস্থা তা না বলে গেয়ে উঠি তুমি তো ভালা না! আপনি তো ভালা লয়ে খাচ্ছেন।
আসি প্রথমে ; যুদ্ধ ইউরোপে তাই মানবতা কাঁদে। এখন নেতানিয়াহু-কে ইউরোপীয় বংশধরেরা থামাতে চায়। এটি তবুও অসাধারণ। আশা করি এ যুদ্ধ বিরোধী চেতনা আগামীর পৃথিবীকে দীর্ঘদিন পথ দেখাবে, যেমনটি ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর দেখিয়েছিলো।
ভারতীয় জনগণকে যে অখন্ড ভারতীয় স্বপ্নে বিভোর করেছে এ স্বপ্ন থেকে পুরোপুরি পিছু হঠাতে হবে। রাশিয়ার মতো ভারতকেও থামাতে হবে। কে কোন ফ্রন্টে কত আপন, এসব না দেখে দেখতে হবে কার আগ্রাসন আমার ঘরে আগ্রাসন আসতে বাধ্য ও উৎসাহিত করে তার গলা চেপে ধরো৷ এটাই সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্তর্জাতিক স্বীকৃত নিয়ম।
স্বৈরাচার উত্তর বাংলাদেশ ভয় তো মূলত জামাত এমনটি চিহ্নিত করতে চান একটি প্রগতিশীল পক্ষ। সেটি মোকাবিলা পরে করা যাবে তাদের গতিপ্রকৃতি দেখে৷ কিন্তু এখন সর্বাগ্রে প্রয়োজন স্বৈরাচার উত্তর দেশ তৈরি। ইউক্রেনের সময় যাচ্ছে যুদ্ধের ভেতর আর আমাদের সময় যাচ্ছে যুদ্ধহীন অনিশ্চয়তার ভেতর। এ অসমতা, এ অস্বাভাবিক অবস্থা রেখে আপনি চেপে চেপে সময় পার করতে পারবেন কিন্তু বেশি দিন দমিয়ে রাখতে পারবেন না।
তাই তো তথাকথিত প্রধানমন্ত্রী বলে উঠেন নিরবতা আর ঠান্ডা সময়ে ; আমার চেয়ে যোগ্য কে আছে? বলি এটাই আপনার অযোগ্য।
২| ০৭ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: ঠিক। গড়তে হবে সুন্দর করে, দাঁড়াতে হবে দেশের পাশে, মানুষের সংগ্রামে। হতে হবে জাতীয় চিন্তার ধারক
৩| ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:০১
কামাল১৮ বলেছেন: বিশ্ব এখন এ অস্থির সময় পার করছে।দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর থেকে আমেরিকা ছিলো বিশ্ব মোড়ল।এখন অনেকেই সেটা মানতে চাচ্ছে না।এই না চাওয়াদের মাঝে আছে চীন, রাশিয়া সহ অনেক দেশ।তাই নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত এই সমস্যা থাকবে।
০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৪
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: আপনার অসাধারণ মন্তব্যের জন্যে অসাধারণ ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০২
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্ব এক চরম অস্থিতিশীলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে! কত কিছু ভাংছে, কত কিছু গড়ছে!