নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাট ইয়োর বডি এর্কোডিং টু ইয়োর ইমেজ

শরৎ চৌধুরী

তুমি তোমার ইমেজ মতইপ্রোফাইল বানাওকি ব্লগেকি জীবনে

শরৎ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবেগের পুঁজিবাদে শুইয়া তুমি চাও লালন আর সূফী (তাহসানের জীবন উপলব্ধি আর মিথিলার মুক্তি! খ্যাক!)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৪৭




Mr. & Mrs. Smith সিনেমার কথা অনেকের মনে থাকার কথা। Brad Pitt & Angelina Jolie মিলিয়ে পাওয়ার কাপল। যাদেরকে আদর করে “Brangelina” ডাকা হত একসময়। এই ঘটনার ইশারা বহু আগে দিয়ে গিয়েছিলেন হর্টন ও ওহল, সেই ১৯৫৬ সালে। তারা প্যারাসোশ্যাল সম্পর্কের কথা বলেছিলেন। এই ঘটনায় দর্শকরা মিডিয়া তারকাদের সঙ্গে একতরফা আবেগঘন সম্পর্ক তৈরি করে। যখন কোনো পর্দার জুটি রোমান্স উপস্থাপন করে, দর্শকরা তাদেরকে নিজেদের আবেগীয় জগতের অংশ হিসেবে কল্পনা করতে শুরু করে। তাদেরকে বাস্তব জীবনেও “সুখী” দেখতে পাওয়া; মানে দর্শকদের কাছে তারকার কর্মকান্ডে নিজেদের আবেগ বিনিয়োগের একটা সত্যতা, একটা উদাহরণ নিশ্চিত হওয়া। একটা রিইনফোর্সমেন্ট ঘটে। দর্শকরা নিজেদের জীবনেও এর প্রতিফলন ঘটাতে চান। তো হর্টন ও ওহল (১৯৫৬) সালে এই আলাপ তুলেছিলেন তখন রমরমা হলিউড, রেডিওর জয়জয়কার এবং টেলিভিশন তখন মহাবিস্ময়কর এক ম্যাজিকবক্স।

তারকাদের জুটি বিষয়ক আবেগ কিন্তু এখনো কাজ করে। আপনাদের শাহরুখ-কাজল, উত্তম-সূচিত্রা, রাজ্জাক-শাবানা, সালমান শাহ-মৌসুমী, বাকের ভাই-মুনা এঁদের কথা মনে আছে। এর নস্টালজীয়া এখনো জীবন্ত। মানুষ বড়ই অদ্ভুত প্রাণী, জুটি-প্রেমের আড়ালে সে নিজের জুটির মানদন্ড খুঁজতে থাকে। খুঁজে পায়-ও এবং নৈতিক মানদন্ড তৈরি করে। এই বিষয়টা মনে রাখবেন।

তো, কালের বিবর্তনে টেলিভিশন থেকে আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে পৌছে গেছি এবং সেটিকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছি। যদিও আমাদের পাওয়ার কাপল হবার বাসনা একটুও কমেনি। সেই আদম-হাওয়া থেকে যুগে যুগে নিজেদের পাওয়ার কাপল হিসেবে হাজির করার চাপ এবং বাসনা একইসাথে কাজ করেছে। তাই তারকাদের ঘটনা, যেমন হুমায়ন আহমেদ ও শাওনের বিয়ে বিপুল আলোড়ন তৈরি করেছিল। হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার। তিনি দীর্ঘদিন গুলতেকিন আহমেদের সঙ্গে সংসার করার পর শাওনের সঙ্গে সম্পর্ক ও বিয়ে করেন। শাওনের বয়স, হুমায়ূনের পারিবারিক অবস্থা, এবং আগের সংসার ভাঙন নিয়ে মিডিয়া ও সমাজে প্রচুর আলোচনা হয়। অনেকেই এটিকে "নৈতিক স্খলন" হিসেবে দেখেছিল, আবার অন্যরা এটিকে "ভালোবাসার স্বাভাবিক পরিণতি" হিসেবে গ্রহণ করেছিল। অন্যদিকে তাহসান-মিথিলা ছিলেন বাংলাদেশের **“আদর্শ নগর মধ্যবিত্ত দম্পতি”**র প্রতীক। তারা দুজনই ছিলেন শিক্ষিত, মার্জিত, মিডিয়া-বন্ধুবৎসল এবং জনপ্রিয়। তাদের যুগল গান, টেলিভিশন সাক্ষাৎকার, সামাজিক উপস্থিতি তাদেরকে "পাওয়ার কাপল" এ পরিণত করেছিল। নগর মধ্যবিত্ত শ্রেণি তাদের জীবনযাপনকে অনুকরণীয় মনে করত। ২০১৭ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে এটি ছিল একটি “শক ওয়েভ”—কারণ মানুষ reel আর real ভালোবাসাকে একসাথে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল।

তবে, গল্প এত সরল নয়। আমাদের বন্ধু-বান্ধবরাই সেই ২০০৭-৮ থেকে “পাওয়ার কাপল” হবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। তারা কর্পোরেটে জব পেয়ে, মহাসাফল্যের প্রতীক হয়ে উঠতে চেয়েছেন। বাকীদের ঈর্ষান্বিত করে সুখও পেতেন। তাদের প্রত্যেকের বিয়ে ছিল “পাওয়ার কাপল” হবার একটা ঘোষনার মত। এই ঘটনা তাই একইসাথে যেমন সমাজে নিজেদের সাফল্যজনকভাবে প্রতিষ্ঠিত করা তেমনি বিশেষ “নৈতিকতাকে” পুনঃজোরদার করার একটা প্রক্রিয়াও বটে।

ফলে মিথিলা-তাহসানের বিচ্ছেদের পর নৈতিকতার পরীক্ষা আবার সামনে এসে পড়ে। মিথিলা এই পরীক্ষায় একভাবে পড়েন, তাহসান অন্যভাবে। এটি উনাদের পারফর্মেন্সও। ডিভোর্সি নারীর স্টিগমা ভেঙ্গে সফলতার প্রতীক হয়ে ওঠেন মিথিলা। এটি তার নতুন আইকনাইজেশনও বটে। সৃজিত বা তাহসানের ছায়ায় না থেকে “নিজের” জীবন এবং ইমেজ তৈরির কাজটি তিনি সফলভাবে করেন। সম্প্রতি পিএইচডি সম্পন্ন (অভিনন্দন) করার মধ্য দিয়ে সেই ইমেজকে তিনি আরো জোরদার করেন। সময়টা পরকীয়া আর স্বকীয়া বিতর্কের। কারো কারো হয়ত মনে থাকবে। এদিকে তাহসান, বিরহী সিঙ্গেল প্যারেন্ট, একা ডিভোর্সি স্বামী ইমেজে থেকেও নিজের বিকাশ সচল রাখেন। সম্প্রতি তার নতুন স্ত্রী হলেন রোজা আহমেদ (Roza Ahmed), যিনি একটি ব্রাইডাল মেকআপ আর্টিস্ট এবং উদ্যোক্তা। এই দ্বিতীয় বিবাহও বেশ আলোড়ন তোলে। বরাবরের মতই তাহসানের নতুন স্ত্রী বনাম পুরোনো স্ত্রী বিতর্ক এবং আগের মিথিলার পুরোনো দেশী স্বামী এবং নতুন স্বামী (আপতত ততটা বন্ধত্বপূর্ণ নয় রাষ্ট্রের নাগরিক)-র তুলনা এবং কাঁটাছেঁড়া চলতে থাকে। আপনারা আরো যেটা মিস করে গেছেন তা হল, ২০১৩ এর পর থেকে “নৈতকতার” কি বিপুল পালাবদল এই দেশে ঘটেছে। এবং তা ঘটনো হয়েছে। সেই জমি গত রিজিমই তৈরি করে দিয়ে গেছেন।

এই যে গণনৈতিকতার ধারাবাহিক বিবর্তন এটি জটিল। তাহসানের বক্তব্য দেখা যাক। সম্প্রতি “অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত এক কনসার্টে ভক্ত–শ্রোতারা পেলেন আরেকটি অপ্রত্যাশিত খবর। গতকাল গাইতে গাইতে হঠাৎ মাইক্রোফোনে ঘোষণা করলেন, ‘অনেক জায়গায় লেখা হচ্ছে, এটা আমার শেষ কনসার্ট। শেষ কনসার্ট না, শেষ ট্যুর। আস্তে আস্তে সংগীতজীবনের হয়তো ইতি টানব। এটা ন্যাচারাল। সারাজীবন কি এভাবে মঞ্চে দাঁড়িয়ে লাফালাফি করা যায়! মেয়ে বড় হয়ে যাচ্ছে, এখন যদি মঞ্চে দাঁড়িয়ে গাই—“দূরে তুমি দাঁড়িয়ে”—দেখতে কেমন লাগে।’’ (প্রথম আলো)।

ফেইসবুকে আরেকটা ভার্শনে “মুখে দাঁড়ি নিয়ে” কথাটার উল্লেখ আছে।

এই বক্তব্য তুমুল বাক বিতন্ডার জন্ম দিয়েছে। বিশেষত জুলাইয়ের এক বছর পরে ডাকসু এবং জাকশুতে শিবিরের ভূমিধ্বস বিজয়ের পর। অনেকেই সতর্ক অনুমান করছেন যে তাহসান তাহলে সম্ভাব্য নতুন ক্ষমতা কাঠামোর সাথে নিজেকে এলাইন করে রাখলেন। অনেকে বলছেন কেবলই গলার সমস্যা। অনেকে বলছেন ব্যাবসা ভাই ব্যাবসা। কেউই ভুল নন।

এ প্রসঙ্গে ভারতে তাসলিমা নাসরিনের প্রতিক্রিয়াটিও বেশ, “সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও অভিনেতা তাহসান খান গান ছেড়ে দিয়ে ‘জিহাদিদের মতো’ কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাসিত বাংলাদেশি লেখক তসলিমা নাসরিন। তিনি বলেছেন, ‘তিনি (তাহসান) তো জিহাদিদের মতোই কথা বললেন, যে জিহাদিরা বাউল উৎসব বন্ধ করছে, লালন মেলা বন্ধ করছে, স্কুলে গানের শিক্ষক বন্ধ করছে, গান-বাজনার মাজার পুড়িয়ে দিচ্ছে! তিনি কি গান বাজনার বিরুদ্ধে ওদের জিহাদ ঘোষণায় সায় দিয়েছেন? তা না হলে তাঁর কোনো প্রতিবাদ দেখিনি কেন?’ (আজকের পত্রিকা)।

আপাতত মিডিয়া পলিটিক্স নিয়ে কথা বলার আগে কয়েকটা প্রসঙ্গ আনা দরকার। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক কাঠামো কোন দিকে যাবে সে বিষয়ে ভীষণ উৎকন্ঠায় আছেন বহু মানুষ। বিগত এক বছরে এই উৎকন্ঠা প্রায় নিশ্চয়তা পেয়েছে। কি সেই উৎকন্ঠা? জামাত ক্ষমতায় আসবে? আসলেই বা অনেক মানুষ বিদ্রোহ করবে? তাই?
আতংকটা মনে হয় আরো গভীরে। দা ওয়ে অফ লাইফ, সেটা কি ভীষণভাবে পরিবর্তিত হতে যাচ্ছে নাকি? কিন্তু পরিবর্তন তো বহু আগে শুরু করে দেয়া হয়েছিল।

আমার অভিজ্ঞতায় ২০১০ থেকে ২০২২ এর সময়টাকে বলা যায় সেই কাল যখন সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের জায়গাটাতে মধ্যবিত্ত তার গ্রাউন্ড হারিয়েছে। এই সময়টাতেই দেখবেন মধ্যবিত্ত কি কেন কীভাবে খায় এই বিতর্ক ঢাকায় চলেছে। ঢালাওভাবে “সাবল্টার্ণের” পক্ষে থাকার রাজনীতি করতে যেয়ে এবং স্বৈরাচারের কোলে বসে স্বৈরাচার বিরোধীতায় এই মধ্যবিত্তই এমনকিছুর বীজ বপণ করেছে যা সে নিজেই গিলতে পারবেনা। স্বৈরাচারিতা সংক্রমণ করে সবকিছুইকেই। সেটি করেছে। এবং এর প্রতিক্রিয়ায় যে সাংস্কৃতিক জমি তৈরি হয়েছে সেটিও মারাত্মক এবং কৌশুলি। ফলে তাহসানের বক্তব্য ভবিষ্যতের যে নৈতিক জমি তৈরি করল সেটি আসলে এসকল আশংকার মুখ মাত্র। তাসলিমা তার রাজনীতিটি ভালৈ করেছেন। নিজেও রিলেভেন্ট থাকলেন আর সার্ভিসও ভালৈ দিলেন। আবার আশংকাটাও অমূলক নয়। এইবার সামলান। বিশেষত এক বছর পরে। দুষ্ট লোকে বলে সবই মেটিকুলাস।

ডুর্খেইম এবং কোলড্রি অনেক আগেই বলেছেন যে সমাজ, সেলিব্রিটি জুটিদের টোটেম হিসেবে দেখে—যারা সমষ্টিগত আশা ও নৈতিক শৃঙ্খলার প্রতীক। তাদের বাস্তব জীবনের সুখ-শান্তি সমাজের মূল্যবোধ (ভালোবাসা, বিশ্বস্ততা, পরিবার) পুনরায় নিশ্চিত করার একধরনের আচারে (রিচুয়ালে) পরিণত হয়। আমি তাই মনে করে তাহসান রিচুয়াল এই পরিবেশে সংক্রামক হবে। মিথিলা রিচুয়াল যেমন আগের রিজিমে সংক্রামক হয়েছিল।

ভক্তরা (মানে রাজনীতের নীচে থাকা জনগণ) চান যেন পর্দার জীবন (reel) আর বাস্তব জীবন (real) একসাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে, কারণ এভাবেই তাদের সামাজিক ও নৈতিক আদর্শে বিশ্বাস টিকে থাকে। তাহসানের বক্তব্য বরং দা ওয়ে অফ লাইফ পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। এখানে তিনি একবিংশ শতকে নিওলিবারেল পুরুষতান্ত্রিক সেটাপে ব্যাক করলেন বলেই মনে হল। “সাবল্টার্ণের” মুখোশে যে নিওলিবারেল পোষ্ট মর্ডাণ সাংস্কৃতিক রাজনীতি চলছে তা কোন গোত্রেই জন্যই আরামদায়ক হবে বলে আমি মনে করিনা। বাতিল এর রাজনীতি শুরু হয় ইনকিলাবের ঘোষণা দিয়ে। অথবা উল্টোদিকে চেতনার নাম দিয়ে। কেউই বাতিল হয় না। হায়রে নকল লালন। বাটপার তিনি বাটপারই। ফলে গত দশকের তাবৎ “সাবল্টার্ণ” বুদ্ধীজিবীরা লালন-সূফী করলেন নিওলিবারেল ধান্দবাজ হিসেবে এবং এখন লালন-সূফী দাবী করছেন পোষ্ট মডার্ণ রাজনৈতিক দলের কাছে। খ্যাক!

তাহসান জানেন কিনা। কিন্তু আমার অনুমান প্রথমেই আইকন হিসেবে রিপ্লেস হবেন তাসহান-নিজেই। থাকবেন মধ্যবিত্তের নষ্টালজিয়া হিসেবে। এখানেই তার ব্যবসা। তবে যদি…আরো চালাক হয়ে ওঠেন তাইলে কিরতাও হইতে পারে। তবে নিঃশব্দে নিষেধের একটা চলমান প্রক্রিয়া আরো জোরালোভাবে বাতিল করবে তাহসান-মিথিলা জুটিকে। জুটি শব্দটি হয়ে উঠবে কেবলি পুরুষের। কারণ নতুন কর্তৃত্ববাদ নেতাদেরকে “ধর্মের রক্ষক” হিসেবে দাঁড় করায়। এতে সাধারণ মানুষ তাদেরকে প্রশ্নাতীত “আইকন” মনে করাতে চায়। টেলিভিশন, সামাজিক মাধ্যম, মসজিদ/মন্দির/গির্জার বক্তৃতা—সব মিলিয়ে তাদের প্রতিমূর্তি বারবার প্রচারিত হয়, যা তাদের আইকন বানায়। যেমনঃ খ্রিস্টান ডানপন্থী রাজনীতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনেকেই “ধর্মীয় নৈতিকতার রক্ষক” বলে তুলে ধরে, যদিও তিনি ঐতিহ্যগতভাবে ধার্মিক নন। এখানে ধর্মীয় কর্তৃত্ববাদ নতুন আইকন তৈরি করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। এর বিপরীতে বাইপোলার অপর আইকন তৈরি হবে। অনেক “স্বাধীন” থাকবে। হয়ত তার অবস্থান হবে অন্য দেশে। এবং এই দেশের মানুষরা মনে করবে সেই দেশ কত ভালো। যেমন এখনো মনে করে। মিথিলা সম্ভবত চুপ থাকবেন। তিনি অধিক বুদ্ধিমতী।

আপনারা জানেন কিনা; বাতিল পদ্ধতির আতংক বা উদ্ধারকারী স্বৈর-পুনঃবাসন পদ্ধতির মধ্য দিয়ে আসল রাজনীতি চলছে। আর সেখানেই সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব অসীম। এদেশে ক্ষমতা বদলের সাথে সাথে প্রচলিত মিডিয়ার মালিকানা ও টোন বদলাতে বেশি সময় লাগবে না। বাকী থাকলো সোশ্যাল মিডিয়া। সেটি নিয়ন্ত্রণের যে ব্যবস্থা ও ট্রেনিং আগের রিজিম রেখে গেছেন তার কোন গুণগত পরিবর্তন হয়নি বলেই আমার মনে হয়। ফলে ঝামেলা হ্যাজ। আর তারকারা। তারা আমেরিকায় বা অস্ট্রেলিয়ায় সেটেল করবেন বলেই আমার ধারণা। কনজিউমার সহজে ছাড়বে চাইবেন না। তবে সকল তারকাদের লাইভ পারফর্মেন্স দেশের বাইরে যেয়ে উপভোগ করার প্রবল সম্ভাবনা আছে।

ফলে মনে রাখতে হবে যে কোন জুটিই আসলে সাংস্কৃতিক লড়াইয়ে জনগণের সাথে নাই। ইলুজ দেখিয়েছেন কীভাবে ভালোবাসা ও রোমান্সকে পুঁজিবাদী সংস্কৃতি—সিনেমা, গান, বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে—মধ্যস্থতা করে। জুটিরা এখানে এক ধরনের **“আবেগীয় পুঁজিবাদ”**র প্রতিরূপ হয়ে ওঠে, যেখানে ব্যক্তিগত ভালোবাসা জনসমক্ষে প্রদর্শনীতে পরিণত হয় (Eva Illouz, 2007)। আমি মনে করিনা এখন শেষ পর্যন্ত তারকাগিরি ক্যাপিটালিজমের কোন ক্ষতি করে। আর সোশ্যাল মিডিয়া চলেই এটার উপর দিয়া। তবে তারকারা যেহেতু গোপনে গোপনে জনগণ তৈরি করেন তারা জনগণের ক্ষতি করতে সক্ষম।

বরং সোশ্যাল মিডিয়াতে এই লড়াই আরো বাড়বে কেননা Zizi Papacharissi (Affective Publics) 2015, সালেই বলে গেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় আইকনদের ঘিরে তৈরি হওয়া আবেগ জনসমাজে বিতর্ক সৃষ্টি করে এবং নৈতিক জগতকে রূপ দেয়। ফলে নিউলিবারেল জামানায় কোন জুটিই আসলে সাংস্কৃতিক লড়াইয়ে জনগণের সাথে থাকেন না। যারা ভুলেও থাকেন তারা হয় সফল ধান্দবাজ হন, অথবা বিমর্ষ হয়ে নিজেদের গুটিয়ে নেন এবং বাকীরা রিজিমের পালা বদলের অপেক্ষায় থাকেন। সম্ভবত আরেকটা সাংস্কৃতিক আন্দোলন আসন্ন। এবং রক্তপাত সহ। আর নতুন পাওয়ার কাপলরা? এরা দলবেঁধে নতুন ক্ষমতায় জয়েন করবেন বা বিদেশে পালাবেন।

শরৎ চৌধুরী, ২৩ শে সেপ্টম্বের ২০২৫।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মিথিলার বহুগামিতা আছে। তার সাথে ইফতেখার আহমেদ ফাহমির রিলেশন ছিলো । পরে সেখান থেকে Srijit mukharji র মতো ওমেনাইজার কে বিয়ে করেন ।

তাহসানের বহুগামিতা আছে কিনা জানা নেই । মিথিলা তাহসান কারো আইডল হতে পারে না । উনরা যদি সিংগেল মাদার কিংবা ফাদার ও হন সেটা সাধারণ মানুষের লাইফের সাথে মেলানো যাবে না ।

২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৪

বিজন রয় বলেছেন: তাহলে অন্যমনস্ক শরৎ কোথায় গেল?

৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: এই বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করিব না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.