নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতা লিখি , গল্প লিখি , মুভি রিভিউ লিখি , বুক রিভিউ লিখি , ফিচার লিখি । এই তো আমার লিখিময় জীবন ।
৪৭ এ স্বাধীনতা পাওয়ার সাথে সাথে "র" এর জন্ম হয়নি । স্বাধীনতার আগে আগে যখন স্বাধীনতা ঘোষণা কেবল সময়ের ব্যাপার তখন ব্রিটিশ সরকারের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী সিমলা রাজনৈতিক বিভাগ ও অধিদপ্তরের অফিসে আগুন জ্বলছে । ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা MI6 বছরের পর বছর ধরে জমে থাকা গোপন নথিপত্র ধ্বংস করে চলেছে । যেখান ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে গোপনে ব্রিটিশদের পক্ষ অবলম্বনকারীদের নাম রয়েছে । রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও মহারাজাদের গোপন কাগজপত্র । যা দিয়ে ব্রিটিশরা তাদের ব্ল্যাকমেইল করে নিজেদের কার্যসিদ্ধ করেছে । বাদবাকি বেঁচে যাওয়া কাগজ পত্রের উপর বেইস করে গড়ে উঠেছে ভারতের প্রথম গোয়েন্দা সংস্থা IB (Intelligence bureau)
.
স্বাধীনতা পাওয়া পর গোয়েন্দা সংস্থা চালানো জন্য পুরো ভারতবর্ষে কেউ দুজন যোগ্যতাবান ছিলেন । গোলাম মোহাম্মদ ও সঞ্জীব পিল্লাই । গোলাম মোহাম্মদ পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্ব নিলেন ও সঞ্জীব পিল্লাই ভারতের গোয়েন্দা দায়িত্ব নিলেন । পরবর্তীতে ১৯৫০ এ স্বরাষ্ট্র সচিব ব্যানার্জির সাথে দ্বন্দ্বের কারণে সঞ্জীব পিল্লাইকে বিদায় নিতে হয় । তার জায়গায় আসেন পুলিশ বিভাগের বযোজ্যেষ্ঠ ব্যাক্তি বি এন মালিক । উনি এসেই পিল্লাই এর নিয়োজিত সব এজেন্টদের রদবদল করেন । যে নিয়মটি নতুন কেউ আসলে এখনো চলছে । ভারত পাকিস্তান আর চীনের সাথে যুদ্ধে ফলে উপলদ্ধি করতে পারে তাদের একটি আলাদা বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা দরকার । অবশেষে ইন্দিরা গান্ধীর যুগে এসে ১৯৬৮ সালে বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা গঠিত হয় । যার নামকরণ করা হয় রির্সাচ এন্ড অ্যানালিসিস উইং বা R&AW যা সংবাদপত্রের কারণে RAW বা "র"তে পরিণত হয় ।
.
শুরুতে "র" তে কেবল ২৫০ লোকবল ছিল , যা পরের বছরেই ৭০০০ এ উপনীত হয়েছিল । র এর ট্রানিং সেন্টার স্থাপিত হয় ।
.
.
অপারেশন বাংলাদেশ -
.
র তখনো ভালোভাবে দাড়াইনি । তারা কাজ করেছে অন্যভাবে । তথ্য সংগ্রহ , তথ্য প্রদান ও আশ্রয় দিয়ে । পাকিস্তানীদের গতিবিধি তাদের নজরে ছিল । ক্রমগত অস্ত্র ও সৈন্য আসছে দেখে "আসন্ন প্রলয়" উপলদ্ধির সদর দপ্তরের অতিজরুরী বার্তায় নিদের্শ দেওয়া হয় -"মেননকে উপদেশ দাও ...... আমাদের বন্ধুদের নিয়ে আসতে" মেনন হল শেখ মুজিব ও ভারতের সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী এজেন্ট ।তারা দীর্ঘ ১২টা ঘন্টা ধরে ২৫ মার্চে শেখ মুজিবকে ঢাকা ত্যাগের জন্য অনুরোধ করতে থাকে । শেখ মুজিব জেদ ধরে বসে রইলেন । পরিশেষ বিপর্যয় শুরু হবার মাত্র কয়েক ঘন্টা পূর্বে শেখ মুজিব তাঁর কয়েজন সঙ্গীকে ভারত যাত্রার অনুমতি দেন । শেখ মুজিবকে পাকিস্তানীর ধরে নিয়ে গেলেন । দিল্লিতে ম্যাসেজ পৌচ্ছলো । "পাখিকে খাঁচাবন্দী করা হয়েছে"
.
পরবর্তীতে র সীমান্তব্যাপী বিভিন্ন গোপনীয় আশ্রয়স্থান তৈরী করে দেয় ও হিট এন্ড রান (গেরিলা) ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করে দেয় । ডিসেম্বরের আগ পযর্ন্ত ১ লক্ষ জনকে ট্রেনিং করা করা হয় । র এর পর্যবেক্ষকদের মতে মুক্তিবাহিনী নিজেরাই পাকিস্তানী সৈন্যদের বাংলাদেশ হতে বিতাড়িত করতে সক্ষম । কিন্তু যুদ্ধ দীর্ঘাযিত ও প্রচুর রক্তপাত হবে ।
.
৩ ডিসেম্বর বিকাল ৫-৩০ মিনিটে ইয়াহিয়া খান যুদ্ধ ঘোষণা করাতে র চমকে যায় । দিল্লীর এর মতে পাকিস্তানের এত শ্রীঘ্রই যুদ্ধঘোষণা ছিল সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত , কারণ তা তাদের হিসেব করা সময়ে আগে হয়ে গেছে । কিছুক্ষণে মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন । বলেন "বাংলাদেশের যুদ্ধ আজ ভারতের যুদ্ধে পরিণত হয়েছে"
.
.
.
.
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর যে বিশৃঙ্খলা দেখা গিয়েছিল তাতে র ভীতির মধ্য ছিল । র এর এজেন্টরা জিয়াউর রহমানের বাসায় মেজর ফারুক , মেজর রশিদ ও লে.কর্ণেল ওসমানী একটা গোপন সভার তথ্য লাভে সমর্থ হয় । ৩ ঘন্টার এই আলোচনায় এক অংশগ্রহণকারী উদ্দেশহীনভাবে কাগজে কিছু লিখে ফেলেন ও পরে অমনোযোগবশত ওয়েষ্ট ব্যাস্কেটে ছুঁড়ে ফেলে দেন । সেই কাগজটি পরে র এর এজেন্ট সংগ্রহ করে দিল্লীর র এর দপ্তরে পাঠিয়ে দেয় । অভ্যুথান হবে বুঝবে পেরে র প্রধান কাও ছন্মবরণে ঢাকা এসে পৌছেন । উনি শেখ মুজিবকে তার তথ্য বিশ্বাস করাতে না পেরে ফিরে যান । শেখ মুজিব জড়িতদের নাম শুনে বলেন -"এরা আমারই সন্তান এবং এরা আমার কোনো ক্ষতি করতে পারে না"
.
জিয়াউর রহমানে ক্ষমতাগ্রহণ ও ইন্দিয়া গান্ধীর সাথে যোগাযোগ পযর্ন্ত ছিল ভারতের বাংলাদেশ অপারেশনের ১ম পর্ব । এরপর শুরু হয় সিকিম অপারেশন ।
.
আপতত "র" ও বাংলাদেশ সম্পর্কে এতটুকু । পরবর্তীতে "র" এর সিকিম অপারেশন লিখবো ।
.
তথ্যসুত্র - ইনসাইড "র"
২| ১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:৪৭
এম. মাসুদ আলম. বলেছেন: আপনার কল্পনা শক্তি ভালা। বেঁচে থাকুন।
এখানে লেখার আমন্ত্রণ
৩| ১৩ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: এটা পিউর অরিজিনাল লিখা ।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
মাছির মগজ থেকে চোখ বড়।