নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতা লিখি , গল্প লিখি , মুভি রিভিউ লিখি , বুক রিভিউ লিখি , ফিচার লিখি । এই তো আমার লিখিময় জীবন ।
আমার প্রধানত দুটো শখ - লেখা এবং দেখা । দেখা বলতে মূলত মুভি দেখা , তবে ঠিক করে বলতে গেলে আমি মুভি দেখি না বরং গিলি । আমি সারাদিন যতই লম্পজম্প করি না কেন রাতে ঘুমানোর আগে মুভি আমার দেখতেই হবে এট এনি হাউ । ব্যাপারটাতে আমি অনেকটা এডিক্টেট হয়ে গেছি । তাই আমার ল্যাপটপ ভর্তি সব মুভি আর মুভি ।
.
আজ দীর্ঘ একটা মাস কষ্ট করে "প্রিজন ব্রেক" সিরিয়ালের ৪টে সেশন দেখে শেষ করলাম । বুক ভর্তি হাহাকার ও তৃপ্তি । অনেক চিন্তা ভাবনা করে ঠিক করলাম - আর কত গল্প কবিতা ? একটু অন্য ধারাগুলো নিয়েও একটু লিখালিখি করি । তাই আমার আজকেই এই পোষ্টটি কেবল মুভি/সিরিয়াল নিয়েই ।
.
আমি মূলত সব ধরণ ও ধাঁচের মুভি/সিরিয়াল দেখি । ইংলিশ থেকে শুরু করে কোরিয়ান মুভি পযর্ন্ত । আমি "ফরেষ্ট গাম"এর মত ক্ল্যাসিক মুভি যতটুকু পছন্দ করি , তারচেয়ে বেশি পছন্দ করি ফ্যান্টাসি , এক্সম্যান টাইপস । তবে হলিউড বাদ দিয়েও বাকি দুনিয়া আছে । আমি কোরিয়ান সিরিয়ালের ফ্যান । এদের কাহিনী এতটাই সহজসরল যে সামান্য ইংলিশ সাবটাইটেল দেখে যে কেউ এদের এইসব সিরিয়ালের রস গ্রহণ করতে পারবে আমার মতে এদের কাছেই দুনিয়ার সবচেয়ে সেরা সেন্স অফ হিউমার আছে । একবার কষ্ট করে দেখুন গ্যারান্টি দিলাম নিরাশ হবেন না । এই ক্ষেত্রে "বয়েস অফ ফ্লাওয়ার" দেখার পরামর্শ দিলাম । আর সর্ট ফ্লিমের ক্ষেত্রে কেউ থাইল্যান্ডকে ক্রস করতে পারবে না । আরো কারো যদি রোমান্স করতে ইচ্ছে করে "থাই রোমান্স সর্ট ফ্লিম" লিখে সার্চ দিয়েন বারে বারে প্রেম করতে ইচ্ছে করবে ।
.
দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমি বাংলা মুভি দেখি না তবে মনপুরা বা টেলিভিশন টাইপের মুভি অবশ্য দেখি , আর দেখি ভারতীয় বাংলা আর্ট ফ্লিমগুলো । এক্ষেত্রে আমি আপনাদের "গয়নার বক্স" মুভি দেখার জন্য অনুরোধ করবো । হিন্দি দেখি না তা না । তবে উপরোক্ত এত ভালো মানের সিনেমা দেখে ফেলেছি যে হিন্দি মুভিগুলো আমার সে তুলনা অখাদ্য লাগে।
.
আমি আসলে লিখতে বসেছিলাম "প্রিজন ব্রেক" সিরিয়ালটা নিয়ে । আমার দেখা ওয়ান অফ দ্যা বেষ্ট সিরিয়াল ইন মাই লাইফ । যে ১পর্বটা একবার দেখতে বসেছে সে বাকি ৪টা সেশন শেষ না করে উঠতে পারবে না । তবে এর পিছেন ইতিহাসটিও চমকপ্রদ
.
প্রিজন ব্রেক একটি আমেরিকান সিরিয়াল ড্রামা টেলিভিশন সিরিজ। সিরিয়ালটির কাহিনী আবর্তিত হয়েছে এমন একজনকে নিয়ে যে কোন অপরাধ না করেও আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছে। টিভি ধারাবাহিকটির নির্মাতা হলেন মাই ফ্যাভারিট "পল টি শিউরিং"
.
প্রিজন ব্রেক প্রথমত একটি সাধারণ ধারণা হিসেবে শুরু হয়েছিল। চলচ্চিত্র প্রযোজক ডন প্যারোজের পরামর্শে পল শিউরিং এ ধরণের একটি চিন্তাধারা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছিলেন। একজন লোক অন্য কাউকে মুক্ত করার লক্ষ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে জেলে যাবে, এটিই ছিল চিন্তাধারার কেন্দ্রীয় ভাব। ধারণাটি বেশ ভাল হলেই শিউরিং চিন্তা করছিলেন ঠিক কি কারণে একজন ব্যক্তি এ ধরণের একটি মিশন নিয়ে স্বেচ্ছায় কারাবাসের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। চিন্তা করে মিথ্যা মামলার দায়ে অভিযুক্ত ভাইকে উদ্ধার করার পরিকল্পনাটিই গ্রহণ করেন এবং একে কেন্দ্র করে অন্যান্য চরিত্র নিয়ে ভাবতে থাকেন। ২০০৩সালে তিনি ফক্স ব্রডকাস্টিং কোম্পানির কাহিনীর সারমর্ম জানান। কিন্তু এ ধরণের কাহিনী নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি সিরিয়াল চালিয়ে নেয়া সম্ভব কি-না চিন্তা করে কোম্পানি তা প্রত্যাখ্যান করে। অন্য চ্যানেলগুলোর কাছে গিয়েও তিনি প্রত্যাখ্যাত হন। সবারই ধারণা ছিল এ ধরণের কাহিনী কেবল পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে, সিরিয়ালের জন্য না । তবে লস্ট এবং টুয়েন্টি ফোর ধারাবাহিকের বিপুল জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করে ফক্স নেটওয়ার্ক তাদের মত পাল্টিয়ে ২০০৪সালে এই কাহিনী নিয়ে সিরিয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করে। আর বাকিটা ইতিহাস
.
প্রথমে কেবল দুইটি সেশন সম্প্রচারের কথা থাকলেও বিশ্বব্যাপী এর বিপুল জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করে ফক্স টেলিভিশন সিরিয়ালটিকে তৃতীয় সেশন পর্যন্ত নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিল । ৩য় সেশনেও দর্শকের মনের ইচ্ছে মিটেনি দেখে এটাকে ৪র্থ মৌসুমে সমাপ্তি টানতে হয় । এইভাবেই প্রিজন ব্রেকের ইতিহাসে গল্পের মুল চরিত্র "মাইকেল স্কোফিল্ড" প্রিজন ব্রেকের ইতিহাসে চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবে ।
.
আর হ্যাঁ , বর্তমানে আমার হাতে আছে "গেইম অফ থ্রোন্স" । দেখি এটাকে নিয়ে পরবর্তীতে কি লিখতে পারি । আপতত আপনারও মুভি/সিরিয়াল দেখুন আর আমাকেও কিছু উপদেশ দিন । :-)
©somewhere in net ltd.