নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতা লিখি , গল্প লিখি , মুভি রিভিউ লিখি , বুক রিভিউ লিখি , ফিচার লিখি । এই তো আমার লিখিময় জীবন ।
সেজুঁতি যে দোকানটিতে জব করে তার নাম "টেন টু টে" । সে বিক্রমকর্মী নয় , তার দায়িত্ব মূলত হিসেব নিকেশ করা । কাজের সময় সে প্রায়শ কানে ইয়ারফোন গুঁজে রাখে । এই নিয়ে আরেক কর্মী রত্নার বিরক্তির শেষ নেই । সে প্রায়শ সেজুঁতির অগোচরে তার নামে সুপারভাইজারের কাছে নালিশ করে । সুপারভাইজার মানুষটা খুব ভালো কাউকে বকা দিতে পারে না । উল্টো সেঁজুতি রক্ত দিতে যাবে বলাতে দ্রুত ছুটিও দিয়ে ফেলে । রত্না ভাবে মেয়েটা অনেক বড় ফাঁকিবাজ । কেবলই বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে চায় ।
.
রত্না একটু ভুল করলেও পুরো ভুল করেনি । সেজুঁতি বয়ফ্রেন্ডের সাথে বেড়িয়েছে । আর তা রক্ত দিবার উদ্দেশ্যেই । শিশির আবদুল্লাহ আবু সাইদের একনিষ্ট ভক্ত । তার কাজ মূলত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মোবাইল লাইব্রেরিতে । এই গাড়ি লাইব্রেরিতে চড়ে বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় যায় । তরুণ পাঠক পাঠিকাদের আর্কষণ করে । তাদের নিয়ে অনুষ্ঠান করে ।
.
শিশির তার শত ঝাঁমেলা এড়িয়ে সেঁজুতির সাথে হাসপাতালে যায় তার কিছু সঙ্গ দিবার জন্য । সবার জন্য রক্ত দেওয়া বা রক্তের ব্যবস্থা করে দেওয়ার ব্যারাম সেঁজুতি থাকলেও শিশিরের নেই । সে রক্ত দেখলেই ভয় পায় । ব্যপারটা নিয়ে সেঁজুতি প্রছন্ন খোটা দিলে শিশির তার রক্ত কেবল রাজপথের দেওয়ার জন্য বলে এড়িয়ে যায় ।
.
সেঁজুতি এবার যাকে রক্ত দিতে এসেছে তার নাম "শান্ত" । ছোট্ট ছেলে । সে তার মায়ের কাছে সেঁজুতিকে বড় হলে বিয়ে করার জন্য আবদার করে । তার মা হাসে । রিক্সা করে ফিরবার পথে শিশির সেঁজুতি খুনসুটি করে । শিশির বলে - "এই জানো , তোমার মুখে কনে দেখা আলো পড়েছে । একেবারে পাত্রপক্ষ ঠকানো রোদ" সেঁজুতি এর অর্থ বুঝে না , শিশির অর্থ বুঝাতে লেগে যায় । এই সময়ে ঘটকেরা পাত্রীকে দেখায় পাত্রপক্ষের লোকজনকে । ফেয়ার এন্ড লাভলির আর দরকার হয় না । বিয়ে হয়ে যায়
.
সেঁজুতি হাসে । শিশির যাই বলুক সে কেবল শিশিরকেই বিয়ে করবে । বেলায় বেলায় অনেক বেলা পেরুলো , শিশিরও একটি ভালো জায়গায় এক এনজিওতে চাকরীও পেলো । কিন্তু সুখের খবরের সাথে সাথে খারাপ খবরও আসে । এক রোগীর সাথে সেঁজুতির রক্ত ম্যাচ করেনি । শিশির তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলো । যা জানা গেলো তা ভয়ংকর । সেঁজুতির রক্তে হেপাটাইটিস সি ধরা পড়েছে ।
.
হেপাটাইটিস সি কোন টিকা নেই । এই রোগে আক্রান্তদের অন্যকে রক্ত , বা টিস্যু বা শরীরের কোন অঙ্গ দান করা নিষেধ । সেঁজুতির ধারণা এই রোগ তার শরীরের রুট ক্যানাল করাতে গিয়ে ঢুকেছে ।
.
সেঁজুতি এখন হাসপাতালে । ডাক্তারদের পর্যবেক্ষণে । শিশির সর্বক্ষণ তাকে সঙ্গ দিবার চেষ্টা করে । কিন্তু সেঁজুতি ভালো নেই । সে নিজের জীবনের সাথে সাথে অন্যের জীবনও নষ্ট করে ফেলেছে । সে যাকে যাকে রক্ত দিয়েছে তাদের কমবেশি সবাই এই রোগে আক্রান্ত । সবার কুট কথা , অভিমান , অভিশাপে তার জীবন বিপর্যস্ত । সে এখন শিশিরের সাথেও খারাপ ব্যবহার করে । তাকে তার কাছে থাকতে দেয় না । একদিন শিশির যখন ঘুমে সেঁজুতি তখন চুপিচুপি ছাঁদের উঠে যায় আত্মহত্যার জন্য । শেষ মুহুর্তে শিশির তাকে বাঁচিয়ে ফেলে । ডাক্তারের তাকে ঘুমের ইনজেকশন দেয় । সেঁজুতি আস্তে আস্তে নিস্তেজ হতে থাকে । শিশির ধীর পায়ে এগিয়ে আসে । বলে -সেঁজুতি , তুমি বড় ভালো মেয়ে , আমি তোমাকে বিয়ে করবো ।
.
সেঁজুতির শরীরটা এখন কিছুটা ভালো । ভালো নেই কেবল তার মন । তার জন্যেই এতগুলো মানুষ সংক্রমিত মনে পড়লেই মাথা আবার এলোমেলো হয়ে যায় । শিশিরের বাবা মা তার জন্য পাত্রী ঠিক করে রেখেছে । কেবল শিশির রাজি নয় । তার বাবা মা বলে - তোর ওই মেয়েটাকি বাচ্চা নিতে পারবে ?
.
শিশির অপেক্ষা করছে ।
.
.
"সেজুঁতি , তোমার জন্য"
-আনিসুল হক (বুক রিভিউ)
আমার কথা- বইটা অনেক দিন ধরেই পড়েছিলো । আজকে ধরবো কালকে ধরবো এই ভেবে বইটা ধরা হচ্ছিলো না । তাছাড়া আরেকটা কারণ ছিলো বইটার নাম দেখে বুঝা যায় বইটা রোমান্টিক । রোমান্টিক বইতে লাতুপুতু রোমান্টিকতা ছাড়া কি বা থাকতে পারে । তারপরও আনিসুল স্যারের লিখা বলে কথা । আজ অবশেষে বসেই গেলাম । যা পড়লাম তাতে আমি আবেগে আপ্লুত । আমার মাঝেও আজো কিছু রোমান্স এখনো বেঁচে আছে তা আবার উপলব্ধি করলাম । সে যাইহোক, বইটা যারা পড়বেন তাদের জন্য শুভ কামনা । আশা করি নিরাশ হবেন না ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৪
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: ধন্যবাদ ।
২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৯
বাংলার ফেসবুক বলেছেন: অনেক সুন্দর পোষ্ট। পড়ে ভাল লাগলে । ভাল লাগা রেখে গেলাম সেই সঙ্গে আমার আইডিতে চায়ের নিমন্ত্রণ রইল।আপনার আসার অপেক্ষায় রইলাম কিন্ত। ধন্যবাদ।
৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০৬
কিরমানী লিটন বলেছেন: চমৎকার ভালোলাগার গল্প, অনেক শুভকামনা রইলো...
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৫
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ । ট্রাই মাই বেষ্ট ।
৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৬
মোঃসুমন মজুমদার বলেছেন: রিভিউ মানে গল্পের সারাংশ বলা নয়। বইটির বিশ্লেষণ করলে আরও ভালো রিভিউ হবে।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৬
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: প্রথম প্রথম একটু সমস্যা হচ্ছে । আশা করি পরবর্তীতে আরো বেটার করাবো ।
৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০০
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইলো।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৭
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা
৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২
পার্থ তালুকদার বলেছেন: বইটির ভাল দিক মন্দ দিক তুলে ধরলে ভাল লাগতো।
শুভকামনা।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৮
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: নিজেকে এতোটা যোগ্যতা সম্পন্ন মনে হয়না । আশা করি সামনে আরো বেটার করবো ।
৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩
নীলসাধু বলেছেন: ভাল লেগেছে বুক রিভিউ।
ধন্যবাদ জানবেন।
৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৮
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ
৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪২
আরজু পনি বলেছেন:
ভালো লাগলো পড়ে...যা বুঝলাম, রক্ত দান মহৎ কাজ হলেও রক্ত নেবার ব্যাপারে গ্রহীতার সাবধানতা প্রয়োজন ।
ডেন্টিস্টের কাছ থেকে সাবধান !
যে পিতা মাতা বলে তার পুত্র বধুর বাচ্চা নেবার কথা...তা তাদের ছেরের বেলায় হলে কী করতো ...
সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে।
তবে রিভিউ লিখতে হলে বইয়ের আনুসঙ্গিক তথ্যও সন্নিবেশিত হলে তাতে গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যায় ।
আমার ব্লগে পেছনের দিকের পোস্ট... কীভাবে করবেন বই রিভিউ...নামে একটা কাঠখোট্টা পোস্ট আছে কখনো সুযোগ পেলে দেখে নিতে পারেন ।
শুভেচ্ছা রইল, শান্ত ।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: সবচেয়ে গুরুত্ববহ মন্তব্য । অশেষ ধন্যবাদ । পরবর্তীতে আরো বেটার করার প্রত্যাশা ।
১০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০৬
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ভালো লাগলো পড়ে ।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: ধন্যবাদ
১১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১১
সৈয়দ সাইকোপ্যাথ তাহসিন বলেছেন: রিভিউ শুনে পড়তে ইচ্ছা হচ্ছে
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৯
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: পড়ে ফেলেন । দেরী করিয়েন না ।
১২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭
সৈয়দ সাইকোপ্যাথ তাহসিন বলেছেন: আচ্ছা ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০২
শাহমুন নাকীব ফারাবী(২) বলেছেন: পড়েছি