নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতা লিখি , গল্প লিখি , মুভি রিভিউ লিখি , বুক রিভিউ লিখি , ফিচার লিখি । এই তো আমার লিখিময় জীবন ।
ছেলেটার নাম রবি । প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে এল এল বি অধ্যায়নরত । সবে ৬ষ্ট অর্ধবর্ষে পদার্পণ করেছে ।
.
আজ রবি খুবিই ব্যস্ত ।
.
"এই মামা , যাচ্ছটা কোথায় শুনি ? এত ফিটফাট ? কার কার সাথে ঘুরতে বেরোবে ?" মুখ ঘুরিয়ে দেখে তার প্রাণপ্রিয় আদরের ভাগ্নি রুমি , সবে ক্লাস
ফাইভে উঠেছে তার মধ্যে এত
চেটাং চেটাং কথা শিখে ফেলেছে
.
“ আজ পহেলা বৈশাখ , কোথায় আর যাব , বন্ধুর সাথে ঘুরবো ” রুমি চোখ উল্টিয়ে সন্দেহের লুক দিল ।
.
“ আমার উপর গোয়েন্দাগিরি বাদ দিয়ে তোর পাশের বাড়ি বি এফ এর কথা চিন্তা কর ”
.
মেয়েটা আম্মু বলেই দৌড় দিল । আপার কাছে ওর নামে বিচার দিবে । এখন সময় থাকতে চলে যাওয়া ভালো ।
.
.
.
“ এই শালা কুত্তা [ লিখার অযোগ্য ] কই ? তোর বাসার নিচে সবাই বসে আছি , নাম
শালা [ লিখার অযোগ্য ] ”
.
গলার স্বরেই বুঝা যায় রবির জানের দোস্ত আরিফ , ওর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল গালি ছাড়া কথা বলতে পারেনা । শুধু জিএফ বাদে । জিএফ কল করলে জ্বি হুজুর জ্বি হুজুর করতে থাকে, যেন জি এফ পোষা কুকুরছানা ।
.
“ এইতো আসছি ”
“ আর কতক্ষণ ? ”
“ আর ১০ মিনিট ”
“ কি ! এতক্ষণ কি করব ?”
“ ভিক্ষা কর” বলেই নামা শুরু করল ।
.
“ মামা , মনে করে আমার জন্য কিছু নিয়ে আসবেন , যদি সময় পান আর কি ” চোখে তীর্যক ভঙ্গি
.
“ ওকে টুনটুনি ”
.
রুমি লজ্জা পেল , ইস মামা যে কেন বোঝে না , সে এখন বড় হয়েছে , এখন কেউ এভাবে ডাকে ?
.
.
২
ডিসি হিলে একটার পর একটা ব্যানসন টেনে যাচ্ছে রবি ও তার গ্যাং আর স্বভাবসুলভ ভাবে সুন্দর মেয়ে দেখলেই
রোমান্টিক লুক দিচ্ছে যেন এক
লুকে মেয়েগুলোকে কুপকাত করে ফেলবে । রবি সবে আরাম করে তিন নাম্বার ব্যানসন ধরিয়েছে মাত্র এমন সময় শোনা গেল মিষ্টি এক স্বর , সাথে তিক্ততা ফ্রি ।
.
“ এইয়ে ভাইয়া , প্লিজ আপনারা আপনাদের এই জঘন্য কাজটা বন্ধ করবেন ? ”
.
রবি তাকিয়ে দেখে একটু তফাতে ৪ জন মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে আর সাথে এক পরী । পরীটি তার দিকে বিতৃষ্ণার
দৃস্টিতে তাকিয়ে আছে । রবি কিছুক্ষণ কথা বলতে পারছিল না , সাদা শাড়ীতে লাল পাড়ের নকশা । লাল সাদা চুড়িতে তাকে নব পরিনিতা কন্যা লাগছে । এ যেন জীবনানন্দের নাটোরের বনলতা সেন , মেয়েটি যেন কবিতা থেকে সাক্ষাত তার সামনে এসে উঠে এসেছে ।
.
“ এই যে , আপনাদের বলছি আমরা ৫ জন তখন থেকে এখানে দাঁড়িয়ে আছি ,আপনারা একটার পর একটা সিগারেট খাচ্ছেন আমাদের দিকে ধোঁয়া দিচ্ছেন ”
.
“ আমাকে বলছেন ? ”
“ না আপনাদের বলছ ”
“ সরি আপনাদের দেখেনি ” বলেই সিগারেট ফেলে দিল । তার দেখাদেখি কেউ সিগারেট ফেলে দিল আর যাদের সিগারেটের প্রতি দরদ বেশি তারা খানিকটা তফাতে চলে গেল ।
.
“ সো সরি । খেয়াল করতে পারিনি "
“ অশেষ ধন্যবাদ , আমি ধোঁয়া সহ্য করতে পারি না"
“ মেয়ে মাত্রই ধোঁয়া সহ্য করতে পারে না ... নেভার মাইন্ড
আপনারা কি সবাই এক সাথে এসেছেন ?”
.
“ হাঁ , এইচ এস সি পরীক্ষা শেষ তাই বের হলাম , আপনি ? ”
“ আমি রবি এল এল বিতে , প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে আছি ”
“ ওহহ ... তাই !! তাহলে তো দেখা হতে পারে , ভাবছি এলএলবি তে ঢুকব ”
.
ওরা এতক্ষণ কোন গাড়ির অপেক্ষায় ছিল তাই আসার সাথে সাথে উঠে বসলো ।
.
“ সরি ,তোমার নামটাই জানা হল না"
.
কথা শুনে ভিতরে মেয়েগুলো হেসে উঠলো । মৃদু হেসে মাথা দুলিয়ে জানালো “ আমি মাধবী ” .... বলেই চলে গেল ।
.
.
.
“ দোস্ত নাম্বারটা নেওয়া হল ?
তাছাড়া চাইলেও দিত বলে মনে হয় না ”
.
“ আরিফ দেখলি । ১০টাকার ব্যানসন নাকি ফেলে দেব
তাদের জন্য ! ফুহ ... ৪ টাকার ব্যানসন এখন ১০ টাকা , কি অমানবিক ? আন্দোলনে নামবো কি না বল ? ”
.
“ আচ্ছা রেজা দেখলি মাইয়াটা চোখ গুলো সেই রকম না ? এই জন্যী তো জীবনানন্দ বলেছেন _ _
.
“ চোখ তার কবেকার
অন্ধকার বিদিশার নিশা ”
.
“ কি ! এই কথা জীবনানন্দ সাহেব কখন বললেন ? এটা তো “ চুল তার কবে কার
অন্ধকার বিদিশার নিশা ”
.
“ ওই একই । সামাজদার
কো ইশারা কাফি হে ”
.
“ কি হল কোথায় চুল কোথায় চোখ । কি বল রবি ??? ”
.
শব্দ এখন সুপরাহত , তার কানে কিছু ঢুকছে না ,মনের
মানসপঠে মেয়েটা ছবি ভাসছে , মনের বনলতা কে পেয়েও হারালো । তবে সে হতাশ না জীবন অনেক লম্বা । একবার দেখা হবেই । হতেই হবে ।
.
এ যেন নিজের কাছেই প্রমিস করছে । গলায় দৃঢ়তার আভাস ।
.
.
৩
প্রতিবারের মত এবারো রবি ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠানের জন্য দৌড় ঝাপ শুরু করেছে । রবির দায়িত্ব পড়ল ১ম সেমিস্টারের ছাত্র ছাত্রীর সাথে কথা বলে প্রস্তুতি এগিয়ে নেওয়া
.
একে একে সব ক্লাস রুমে মিটিং করে বের হল । এখন সর্বশেষ ক্লাশ , এরপর তার ছুটি।ওখানে মীটিং করতে গিয়েই সব বিপত্তি সূচনা ।
.
সব কিছু যেন হঠাৎ করে থেমে গেল । মেয়েটি তারদিকে তাকিয়ে মিটমিট হাসছে । টানা টানা কাজলে রাঙানো চোখ । এতজনের মধ্যে রবির দৃষ্টি এখন শুধু তার দিকে । কথা বলতে পারছিলো না ।
.
“ এই রবি কি হচ্ছে ! নিজেকে সামলা ”
.
অনেক কষ্টে দৃষ্টি ফেরালো । কন্ট্রোল করল নিজেকে ।এরপর আত্মবিশ্বাসের সাথে সবার সাথে কথা বলে পরবর্তী মীটিং এর সময় জানিয়ে ক্লাস থেকে বেরিয়ে এলো ।
.
“ এই যে ভাইয়া ” পেছন থেকে বনলতার ডাক কেমনে অগ্রাহ্য করে ?
.
“ ভাইয়া রিম্মেবার মি ?
পহেলা বৈশাখে দেখা হয়েছে ।
আমি মাধবী "
.
রবি এমন ভাব করল যেন এই মাত্র চিনতে পেরেছে
.
“ ও হ্যাঁ মাধবী , কেমন আছ ?
ইউনিভার্সিটি কেমন লাগছে ? ”
“ বেশ ভাল , আপনি কেমন আছেন ? অভ্যাসটা কি এখনো আছে ? ”
.
প্রশ্নবোধক চিহ্ন নিয়ে তাকায় রবি , সাথে সাথে বুঝতে পারলো
.
“হাঁ সিগারেট ছেড়ে দিয়েছে , আই মিন প্রায় "
.
"আচ্ছা ভাইয়া ক্লাস শুরু হচ্ছে পরে দেখা হবে , বাই"
.
রবি নীরবে ওর প্রস্থান দেখল, ভাবল বাঁধা দিয়ে বলবে আজকে ক্লাস করিও না । আমার সাথে কথা বল । কিন্তু
না কিছুই বলল না , এটা তার
স্বভাবে পড়ে না । একই
ইউনিভার্সিটিতে তো পড়ে ,
যাবে টা কোথায় ?
.
৪
.
পরের কয়েকটা দিন রবি খুব ব্যস্ততায় কাটলো কিন্তু তার
মন সবসময়ই মেয়েটকে খুঁজতো । দিনে একবার দেখতে পেলেই মন ভাল হয়ে যেত । কি ভেবে দেখা করতে যেত না । কেবল আড়াল থেকে লক্ষ্য করত । মাঝে মাঝে চোখাচোখি হয়ে যেত । চোখা চোখি হলেই
মাধবী মিষ্টি হাসি দিয়ে মনের
মাঝে কি এক ঝড় তুলত ।
মাঝে মাঝে রবি নিজেকে প্রশ্ন করত ...
.
“ আচ্ছা মাধবী কি ওর মত কিছু ফিল করে নাকি এটা শুধুই হাসি , আর কিছু না ? ”
.
কোন উত্তর খুঁজে পায় না সে ।
তবে হাঁ একটা কথা স্বীকার করতে হয় চেহারাতে কি যেন এক মায়া আছে । চেহারাটা দেখেই রবি ঠাকুরের মত কবিতার মত বলতে ইচ্ছা করে
“ মুখের পানে চাহিনু অনিমেষে
বাজিল বুকে সুখের মতো ব্যাথা ”
.
.
.
.৫
অনেক হয়েছে আর না । আর সে বিনিদ্রায় রাত কাটাতে পারবে না । রবি ঠিক করেছে ফেয়ার ওয়েলের দিন তা সাথে কথা বলে মাধবীর নাম্বার নিবে তাই সকাল থেকে গেইট এর প্রবেশ পথে দাঁড়িয়ে আছে ।
.
হঠাৎ চোখে তীব্র আলোক রশ্নি এসে চোখ ধাধিয়ে দিল । ঠিক করে দেখতে গিয়ে দেখে এ কি ! মাধবী লাল শাড়িতে ধীর পায়ে হেঁটে আসছে । হাতে একটি গোলাপ ।
.
হে খোদা আমাকে অন্ধ করে দাও । তুমি এত সুন্দর কেন ? কেন তোমার একটা কথা না বলেও আমি দিশেহারা ।
.
তার পাশে একটা ছেলেকে দেখে একটু হকচকিয়ে গেলো। ছেলেটি মাধবীর হাত ধরে এগিয়ে আসছে । মাধবী ছেলেটি সাথে হাসছে , এই সজল এই হাসি , রবি এই হাসি চিনে , এই হাসি রূপসীরা তার প্রিয় মানুষটাকে উৎসর্গ করে । রবি যা বুঝার বুঝে নিল । চোখ নামালো ।
.
রক্তাক্ত হৃদয় । কে যেন বুকে তপ্ত শিখা ঢুকিয়ে দিয়েছে , না দেখে মত তাদের পাস কাটিয়ে গেইট থেকে বের হয়ে গেল । চোখ তার ঝাপসা হয়ে আসছে । আনমনেই বলল নিজেকে "ময়লা পড়েছে"
.
.
.৬ ...
হাঁটা পথ ,
জলকন্যারা ভিজিয়ে দিয়েছে তাকে ,
সাথে সমস্ত রাস্তাঘাট ,
ঠাণ্ডা হাওয়া ,
রাস্তার ছোট ছেলেমেয়ের দল কদম ফুল বিক্রি করছে ,
নেওয়া যাক কয়েকটা
কিন্তু......
দিবে কাকে ?
.
৭ ..
রবি এখন আগের মত আড্ডা দেয় না । সিড়িতেও বসে না । বন্ধুরা ওর অবস্থা বুঝে । কথা বলতে চায় না মেয়েটার কিন্তু রবি কঠোর মনভাবের কারনে এগোতে পারে না । রবি পারত পক্ষে রেশমির সামনে পড়ে না যাতে কথা বলতে না হয় । সে মেয়েটাকে ভুলতে চায় । তবু নিয়তি কেন যেন বার বার তার সাথে খেলা করে । নানান জায়গায় মেয়েটার সামনা সামনি দাঁড়িয়ে দেয় । মাধবী এটা ওটা বলতে চায় রবি ব্যস্ততার অজুহাতে পাশ কাটিয়ে চলে আসে । সে আর দুঃখ পেতে চায় না । মাধবীর সাথে ছেলেটিকে প্রায় দেখে । মনের মাঝে হতাশার সুর বাজে ।
.
.
৮
সেইদিন অনেক বৃষ্টি ......
সকাল থেকেই আকাশে মেঘের ঘুরাঘুরি । সূর্যে সাথে মেঘের লড়াই চলে অনেকক্ষণ পরাজিত মেঘ তার অশ্রুতে সিক্ত করে পরিবেশ । আজ ইউনিভার্সিটিতে স্টুডেন্টও তেমন আসেনি তাই ক্লাশও বেশি হয়নি । উল্টো বাহিরে জুনিয়ার কতগুলো সিনিয়ার জুনিয়ার নির্বিশেষে সবাইকে ভিজিয়ে দিচ্ছে । সেও অলরেড়ি এর শিকার । তাকে তো স্বসম্মানে সবাই মাথার উপর করে বৃষ্টিতে ভিজিয়েছে । তাই সে বৃষ্টির উপর অনেকখানি বিরক্ত । ভাবছে নিচে গিয়ে গিয়ে সুজনের দোকানে গরম গরম চা আর দুই তিনটা সুখ টান দিয়ে আসবে ।
.
সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে দেখে মাধবী একটু দুরে বৃষ্টি আর দেয়ালসন্ধিতে দাঁড়িয়ে আছে । আলতো করে চোখ বন্ধ করে বৃষ্টির ছিটে নিচ্ছে । বৃষ্টির কন্যারা কপোল বেয়ে ওর অধরে এসেছে পড়েছে । ওর রক্তিম অধর যেন জোড়া ওকে সম্মোহিত করেছে । অপরুপ এ সৌন্দর্য । চেহারাতে এত মায়া .
.
আর পারছে না সে । অপরুপ এ
সৌন্দর্যে সে নিতান্ত বেমানান । চোখ করে ফেললো । আর না ।
চলে যাচ্ছে এমন মুহুর্তে মেয়েটা বলে উঠে
.
“ একটু দাড়াবেন ?”
.
মাধবীর গলায় কাতর অনুরোধ
.
“ আপনি আমার সাথে এমন করছেন কেন ? কি করেছি আমি ?" বলেই কান্না শুরু করল ।
.
রবি হতভম্ম !
.
“ আপনাকে প্রথম দেখি ডিসি
হিলে তখনি আপনাকে ভাল লেগে যায় । কথায় কথায় জানতে পারলাম আপনি কোথায় পড়েন । আপনাদের
ইউনিভার্সিটিতে এসে ভর্তি হলাম । আর আপনি তো আমাকে প্রথমে ঠিক মত চিনতেই পারেননি ” আবার কান্না
.
রবি চিন্তা করছে এটা কি হচ্ছে তার সাথে । এমন তো হওয়ার কথা ছিল না ।
.
“ আমি প্রত্যেকদিন সিঁড়িতে বসে থাকতাম আপনাকে দেখব বলে । যখনি দেখতাম তখনি ব্যস্ত । কথা বলার তেমন সুযোগ নেই । সময় অসময়ে লুকিয়ে দেখতাম আপনাকে ।
মাঝে মাঝে চোখাচোখি হয়ে যেত । লজ্জায় পেতাম । বলতে চাইতাম অনেক কিছু কিন্তু পারতাম না । পরে বুঝেছি একেই বলে ভালবাসা ”
.
রবির মুখে রা নেই মেয়েটা বলে চলেছে
.
“ লাল গোলাপ এনেছিলাম আপনাকে দেব বলে সাথে ছিল আমার এক প্রিয় বন্ধু । কিন্তু
ঢুকার সাথে সাথে দেখলাম আপনি মুখ লুকিয়ে চলে যাচ্ছেন । অনেকক্ষণ অপেক্ষা করলাম কিন্তু আপনি এলেন না । আমার ফুল অবেলায় ঝড়ে গেলো ”
.
“ এরপর ইউনিভার্সিটিতে আপনার মুড অন্য রকম হয়ে গেল । আগে সামান্য দেখা যেত
এখন তাও দেখা যায় না । সব সময় খেয়াল রাখতাম আপনি কখন আসবেন । আপনাকে দেখতে পেলেই নিচে নিয়ে যেতাম । আর আপনি আমাকে কিছু বলার সুযোগ দিতেন না , জাষ্ট ইগনোর করে চলে যেতেন ”
.
রবি ওর চোখের দিকে তাকিয়ে আছে । এত মায়া লুকিয়ে আছে মেয়েটার মাঝে !
.
“ আমি জানতে চাই কেন ? কি পাপ করেছি আমি ? আমি কি কারো ভালবাসা চাইবার যোগ্য নয় ?
.
কাঁদতে কাঁদতে এক দৌড়ে ছাদে চলে গেল । রবি নির্বাক
এটা কি হল তার সাথে ? তার কল্পনার বনলতা সেনকে সে বিনা যুদ্ধে পেয়ে গেছে । কি করবে বুঝতে পারছে না । মাধা জ্যাম হয়ে গেল ।
.
হঠাৎ সে তার ভুলটা বুঝতে পারলো ।
.
.
.
৯
ছাদে বসে মাধবী কাঁদছে । মেঘের অশ্রু সাথে তার অশ্রু মিশে একাকার । মোবাইলে ম্যাসেজ এল ।
.
.
“ আজ আকাশে মেঘ জমেছে , ডাকছে না আর পাখি
ভাবছ তুমি আনমনে তোমায় দিয়েছি ফাঁকি ,
কাঁদছ তুমি অঝোর ধারায়
একলা বসে একা
চেয়ে দেখো তোমার জন্য আমার হৃদয়ে একটি ছবি আঁকা ”
.
.
.
.
১০ .
দুই জন পাশাপাশি বসে আছে... রবি হাতটা শক্ত করে ধরে আছে , আর একটু হলে হাতটা হারিয়ে ফেলেছিল এখন আর হারাতে দিবে না ।
গল্পটা সত্যঘটনা অবলম্বনে
- ১৪ এপ্রিল ২০১৩
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১১
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: আমি তাই মনে করি । আমার গফ
২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
ভাইডি গল্পখানা তো খাসা হয়েছে তয় আমাদের সময় তো এইচএসসি পাশ করতে হতো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য। আপনার গল্পে নায়িকা দেখি মেট্রিক পাশ করেই বিশ্ববিদ্যলয়ে ভর্তি হয়ে গেলো। কেমনে কি
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১০
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: হে হে ভাই টাইপিং মিস্টেক । ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে একটু দেখেন
শুধরে দিলাম
৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪
নীল আকাশ বলেছেন: বেশী সূন্দর তো, ডাইরেক্ট বিশ্ববিদ্যলয়ে ভর্তি। এইচএসসি পাশ করতে লাগবে না !! আমার বিশ্ববিদ্যালয় হলে তো ফাইভ পাশ হলে নিয়ে নিতাম!! হে হে হে।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:০৭
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: হে হে । টাইপিং মিস্টেক
৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: রোমান্টিক গল্প! ভাল্লাগলো (এসএসসির জায়গায় এইচএসসি দিয়ে দিন)!
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১২
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: ধন্যবাদ শুধরে দিলাম
৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩২
রাজসোহান বলেছেন: সুন্দর হ্যাপী এন্ডিং রোমান্টিক গল্প। প্লাস +
৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১৫
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২৯
বিজন রয় বলেছেন: সুন্দর।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪০
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: ধন্যবাদ
৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১২
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আপনার লিখা বরাবরই ভাল লাগে।
গল্পটা ভালই ছিল। এটা কি ক্যাম্পাস যখন প্রবর্তক ছিল তখনকার নাকি হাজারি গলিতে আসার পর। ২০১৩ তে ক্যাম্পাস তো হাজারী গলিতে শিফট করে।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: প্রেক্ষাপট প্রবর্তকে থাকাকালীন সময়ে তাই প্রবর্তককে মাথায় রেখে লিখা
ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৪০
সুলেমানের বাপ বলেছেন: পয়লা আপুটা খুব কিউট